যে কোনো বয়সের জারজ সন্তানদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়াটা ‘পবিত্র ইসলাম অবমাননা’র শামিল
২০০৬ সালের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন বিধিমালা অনুযায়ী আগে এতিম, পতিতা, মানসিক বা দৈহিক প্রতিবন্ধী, পিতৃ পরিচয়হীন শিশু, পরিচয়হীন শিশু ও বেদে সম্প্রদায়কে স্বীকৃতি দিয়েছিলো সরকার। কিন্তু বর্তমানে সরকার সে বিধিমালা সংশোধন করে শুধু শিশুদের ক্ষেত্রে নয় বরং যে কোনো বয়সের পিতৃ পরিচয়হীন ও পরিচয়হীনদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এক্ষেত্রে পিতৃ পরিচয়হীন বলতে যার জন্মদাতা পিতা অপরিচিত বা যার জন্মদাতা পিতা আইনদ্বারা স্বীকৃত (বিবাহিত) নয় এমন মানুষদের বোঝানো হয়েছে। অর্থাৎ সহজ কথায় সরকারের এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে, নারী পুরুষের অবিবাহিত (অবৈধ) মেলামেশায় জন্ম নেয়া যেকোন বয়সের শিশু বা প্রাপ্তবয়স্ক (জারজ) সন্তানও সরকারের অনুমতি ক্রমে বৈধ সন্তান হিসেবে স্বীকৃত হবে। নাউযুবিল্লাহ! এ আইন এদেশের ৯৭ ভাগ মুসলমানের পক্ষে মেনে নেয়া কখনোই সম্ভব নয়। সরকার কী করে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার বিধানকে অবজ্ঞা করে জারজ সন্তানদের বৈধতা দেয়? সরকারের এ ঔদ্ধতমূলক সিদ্ধান্ত পবিত্র দ্বীন ইসলাম অবমাননার শামিল। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার শামিল। এসব কুফরী আইন কাফির-মুশরিকদের দেশে চলতে পারে, ৯৭ ভাগ মুসলমানের রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের দেশে চলতে পারেনা। কারণ সম্মানিত ইসলামী শরীয়া মোতাবেক বিবাহ বহির্ভূত মেলামেশা হারাম এবং এ থেকে জন্ম নেয়া সন্তান অবৈধ, জারজ সন্তান। দ্বীন ইসলাম যেটাকে বৈধতা দেননি, সেখানে সরকার কি করে এর বৈধতা দেয়? সরকার কি নিজেদের সর্বশক্তিমান, মহাপরাক্রমশালী মনে করে? সূতরাং সরকারের সংশ্লিষ্ট মহল যারা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাদের অনতিবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে। নচেৎ গুটি কয়েক লোকের পবিত্র ইসলাম অবমাননামূলক সিদ্ধান্তের কারণে গোটা সরকার ও প্রশাসনকে বিপাকে পড়তে হবে। |
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন