কিছু দিন আগে ভারতের দেওবন্দ মাদরাসার ছাত্র আমিরুদ্দিন আগুনে পুড়ে মারা যায়। ঘটনাটি ছিলো এমন- গত ২১ শে অক্টোবর অজু করতে বাইরে যায় ১৬ বছর বয়সী হাফেজে কুরআন আমিরুদ্দিন। ফাঁদ পেতে থাকা কিছু হিন্দু তাকে ধরে নিয়ে যায় এবং দড়ি দিয়ে বেধে গায়ে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। ৭০ ভাগ পুড়ে যাওয়া দেহের সাথে এক সপ্তাহ লড়াই করার পর যন্ত্রণার কাছে হেরে যায় সে। মারা যায় আমিরুদ্দিন। তার মৃত্যুর পর ফুঁসে উঠে দেওবন্দ মাদ্রাসার ছাত্র শিক্ষকরা। তারা এখন সমাবেশ করে এ অন্যায়ের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
এখানে লক্ষনীয়, আমিরুদ্দিন কিন্তু দেওবন্দী মাদ্রাসার ছাত্র। তার নির্মম মৃত্যুর পর যারা প্রতিবাদ করছে তারাও দেওবন্দী। অথচ এই দেওবন্দীরাই হিন্দুদের এক পক্ষীয় সমর্থন দিয়ে আসছে। পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে মুশরিকদের মুসলমানদের শত্রু বলে উল্লেখ থাকার পরেও সীমালঙ্ঘন করে তারা ঘোষণা দিয়েছে ‘হিন্দু-মুসলিম ভাই’। নাউযুবিল্লাহ! তারা হিন্দুদের পক্ষ নিয়ে আরো বলেছে, ‘হিন্দুদের জন্য গরু কুরবানী বন্ধ করুন’, ‘যোগ ব্যায়াম নামাজের মত’, ‘কাশ্মীরের স্বাধীনতা দরকার নাই’ ‘অখ- ভারত চাই’ ইত্যাদি, ইত্যাদি।
দেওবন্দ এবার বিজেপীর মতো কট্টর ইসলাম বিদ্বেষী দলকে পর্যন্ত সমর্থন দিলো। তারপরেও তাদের কথিত হিন্দু ভাইরাই নির্মমভাবে পুড়িয়ে মারলো মাদরাসার ছাত্রকে। কারণ পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক আগেই বলে দিয়েছেন, নিশ্চয়ই মুশরিকরা নাপাক। মুশরিকরা মুসলমানদের শত্রু। পবিত্র আয়াত শরীফ যে ব্যতিক্রম হতে পারেনা, আমিরুদ্দীনই তার প্রমাণ। এছাড়া ইতিপূর্বে হিন্দুদের মুসলিম বিরোধী দাঙ্গার ইতিহাসও কম নেই।
কাজেই এ ঘটনা থেকে দেওবন্দীসহ সমস্ত মুসলমানদের নছীহত গ্রহণ করা উচিত- হিন্দুদের যতো মাথা তুলে রাখবে হিন্দুরা ততো বেশি তৎপর হবে গর্দান কাটার জন্য।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন