ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম এবং হযরত আহলে বাইত আলাইহিমুস সালাম উনাদের পবিত্রতম শাহাদাত মুবারক উনার সাথে যারা জড়িত ছিল ঐ কুখ্যাত ইয়াযীদ বাহিনীরা সকলেই ছিল কাফির
হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন চিশতী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেছেন, “ ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম তিনি আসল ও নকলের পরিচয় পরিষ্কার দেখিয়ে গেলেন।” ইয়াযীদের সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম তিনি কখনও কারবালায় যাননি। যদি সত্যিকারভাবে যুদ্ধ করার জন্যই তিনি কারবালয় গমন করতেন, তাহলে পবিত্রতম শিশু আওলাদ আলাইহিমুস সালামসহ ও পবিত্রতম আহলে পাক উনাদেরকে নিয়ে অবশ্যই কারবালায় যেতেন না।
মূলতঃ কাফিরেরা তাদের হাক্বীক্বত উন্মোচোনের জন্য, মুনাফিকী ও কুফরী ফাঁস করার জন্য পবিত্রতম দাওয়াতের ছলে আহবান করেছিল। আর তিনি আসল-নকল মুসলমান উনাদের সঠিক পরিচিতি তুলে ধরার জন্য কারবালার প্রান্তরে তাশরীফ গ্রহণ করেন। যা সাইয়্যিদু শাবাবি আহলিল জান্নাহ ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার শেষ ‘বাক্য মুবারক’ যে কত তাৎপর্যপূর্ণ ছিল; তা থেকে পরিষ্কারভাবে পরিস্ফুট হয়েছে। ইয়াযীদের সেনাবাহিনীতে সবাই ছিল নামধারী মুসলমান। অথচ হযরত ইমাম আলাইহিস সালাম তিনি জিহাদের শুরুতেই তাদেরকে উদ্দেশ্য করেই বলছিলেন, তোমাদের মধ্যে কি একজনও মুসলমান নেই? তোমাদের মধ্যে কি একজনও সত্যিকার মুসলমান নেই? অর্থাৎ তোমরা সবাই মুখোশধারী, মুনাফিক, তোমাদের অন্তরে এক বিন্দু পরিমাণ ঈমানও নেই? যদি তোমাদের অন্তরে এক বিন্দু পরিমাণ ঈমানও থাকতো তাহলে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্রতম আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে নিধন করতে তোমরা আসতে না! ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার এ বাক্যটিই সমগ্র মানব জাতিকে পরিষ্কার বুঝিয়ে দিয়েছেন সকল অন্যায় ও মিথ্যার বিরুদ্ধে জিহাদ করা প্রত্যেক ঈমানদার মুসলমান উনাদেরই একান্ত কর্তব্য।
‘রওজাতুশ শুহাদা’ গ্রন্থে বর্ণিত আছে, মহান আল্লাহ পাক তিনি সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা, সাইয়্যিদাতুনা হযরত ফাতিমাতুয যাহারা আলাইহাস সালাম উনার নিকট ইলহাম করেছেন ক্বিয়ামত পর্যন্ত নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উম্মতের সকল পুরুষ-মহিলা এমনকি সমস্ত কায়িনাতবাসী সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার মুহব্বতের জন্যই ক্রন্দন করতে থাকবে। সুবহানাল্লাহ!
হযরত আব্দুল আযীয মুহাদ্দিছে দেহলভী রহমতুল্লাহি তিনি লিখেছেন, ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার এবং উনার পুতঃপবিত্রম আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের কারবালার হৃদয়বিদারক, মর্মান্তিক, করুন শাহাদাত মুবারক উনার দুঃখে দুঃখিত হয়ে শোকে-শোকাতুর হয়ে বেদনায় ব্যাথিত হয়ে করুণ দৃশ্যের বর্ণনায় ক্বিয়ামত পর্যন্ত রোনাজারি, কান্নাকাটি করতে থাকবে। সুবহানাল্লাহ! (ছিররুশ শাহাদাতাইন)
তিনি হচ্ছেন হচ্ছেন উম্মতের হিদায়েতের বাতি তথা একমাত্র মহান নূর এবং নাজাতের তরী। কেননা উনার পবিত্র আওলাদ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মাধ্যমে সকল উম্মাহ হিদায়েতের নূর পাবে। আর কিয়ামতের দিন উনার পবিত্রতম শাহাদত মুবারক উনার বদলায় অসংখ্য উম্মাহ নাজাত পাবে। সুবহানাল্লাহ! যেমন এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
إنّ حضرة الحسين عليه السلام مصباح الهدى و سفينة النجاة
অর্থ: অবশ্যই সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম তিনি হচ্ছেন পবিত্রতম হিদায়েত উনার আলোকবর্তিকা এবং পরিপূর্ণ নাজাতের তরী। (মুসীরুল আহযান, পৃষ্ঠা নং ৪)
অপর এক রেওয়ায়েতে বর্ণিত হয়েছে যে, মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাকে উনার শাহাদাত মুবারক উনার বিনিময়ে উনাকে অমূল্য তিনটি বিষয় নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লঅম উনার উম্মতের নাজাতের জন্য হাদিয়া করেন। সুবহানাল্লাহ!
১. উনার মাধ্যমেই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্রতম বংশধারা, ইমামত ও বিলায়াত মুবারক ক্বিয়ামত পর্যন্ত জারি থাকবেন। সুবহানাল্লাহ!
২. উনার পবিত্রতম মাজার শরীফ উনার গম্বুজ মুবারক-এর নিচে যারা যে দু’য়াই করবেন তার সকল দু’য়াই নির্ঘাত কবুল হবে। সুবহানাল্লাহ!
৩. উনার মাজার শরীফ উনার পবিত্রতম ‘মাটি মুবারক’ দ্বারা মানুষ সমস্ত প্রকার অসুস্থতা থেকে সুস্থতা মুবারক লাভ করবেন। সুবহানাল্লাহ!
ফতোয়া সূত্র: দৈনিক আল ইহসান
মূলতঃ কাফিরেরা তাদের হাক্বীক্বত উন্মোচোনের জন্য, মুনাফিকী ও কুফরী ফাঁস করার জন্য পবিত্রতম দাওয়াতের ছলে আহবান করেছিল। আর তিনি আসল-নকল মুসলমান উনাদের সঠিক পরিচিতি তুলে ধরার জন্য কারবালার প্রান্তরে তাশরীফ গ্রহণ করেন। যা সাইয়্যিদু শাবাবি আহলিল জান্নাহ ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার শেষ ‘বাক্য মুবারক’ যে কত তাৎপর্যপূর্ণ ছিল; তা থেকে পরিষ্কারভাবে পরিস্ফুট হয়েছে। ইয়াযীদের সেনাবাহিনীতে সবাই ছিল নামধারী মুসলমান। অথচ হযরত ইমাম আলাইহিস সালাম তিনি জিহাদের শুরুতেই তাদেরকে উদ্দেশ্য করেই বলছিলেন, তোমাদের মধ্যে কি একজনও মুসলমান নেই? তোমাদের মধ্যে কি একজনও সত্যিকার মুসলমান নেই? অর্থাৎ তোমরা সবাই মুখোশধারী, মুনাফিক, তোমাদের অন্তরে এক বিন্দু পরিমাণ ঈমানও নেই? যদি তোমাদের অন্তরে এক বিন্দু পরিমাণ ঈমানও থাকতো তাহলে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্রতম আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে নিধন করতে তোমরা আসতে না! ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার এ বাক্যটিই সমগ্র মানব জাতিকে পরিষ্কার বুঝিয়ে দিয়েছেন সকল অন্যায় ও মিথ্যার বিরুদ্ধে জিহাদ করা প্রত্যেক ঈমানদার মুসলমান উনাদেরই একান্ত কর্তব্য।
‘রওজাতুশ শুহাদা’ গ্রন্থে বর্ণিত আছে, মহান আল্লাহ পাক তিনি সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা, সাইয়্যিদাতুনা হযরত ফাতিমাতুয যাহারা আলাইহাস সালাম উনার নিকট ইলহাম করেছেন ক্বিয়ামত পর্যন্ত নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উম্মতের সকল পুরুষ-মহিলা এমনকি সমস্ত কায়িনাতবাসী সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার মুহব্বতের জন্যই ক্রন্দন করতে থাকবে। সুবহানাল্লাহ!
হযরত আব্দুল আযীয মুহাদ্দিছে দেহলভী রহমতুল্লাহি তিনি লিখেছেন, ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার এবং উনার পুতঃপবিত্রম আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের কারবালার হৃদয়বিদারক, মর্মান্তিক, করুন শাহাদাত মুবারক উনার দুঃখে দুঃখিত হয়ে শোকে-শোকাতুর হয়ে বেদনায় ব্যাথিত হয়ে করুণ দৃশ্যের বর্ণনায় ক্বিয়ামত পর্যন্ত রোনাজারি, কান্নাকাটি করতে থাকবে। সুবহানাল্লাহ! (ছিররুশ শাহাদাতাইন)
তিনি হচ্ছেন হচ্ছেন উম্মতের হিদায়েতের বাতি তথা একমাত্র মহান নূর এবং নাজাতের তরী। কেননা উনার পবিত্র আওলাদ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মাধ্যমে সকল উম্মাহ হিদায়েতের নূর পাবে। আর কিয়ামতের দিন উনার পবিত্রতম শাহাদত মুবারক উনার বদলায় অসংখ্য উম্মাহ নাজাত পাবে। সুবহানাল্লাহ! যেমন এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
إنّ حضرة الحسين عليه السلام مصباح الهدى و سفينة النجاة
অর্থ: অবশ্যই সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম তিনি হচ্ছেন পবিত্রতম হিদায়েত উনার আলোকবর্তিকা এবং পরিপূর্ণ নাজাতের তরী। (মুসীরুল আহযান, পৃষ্ঠা নং ৪)
অপর এক রেওয়ায়েতে বর্ণিত হয়েছে যে, মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাকে উনার শাহাদাত মুবারক উনার বিনিময়ে উনাকে অমূল্য তিনটি বিষয় নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লঅম উনার উম্মতের নাজাতের জন্য হাদিয়া করেন। সুবহানাল্লাহ!
১. উনার মাধ্যমেই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্রতম বংশধারা, ইমামত ও বিলায়াত মুবারক ক্বিয়ামত পর্যন্ত জারি থাকবেন। সুবহানাল্লাহ!
২. উনার পবিত্রতম মাজার শরীফ উনার গম্বুজ মুবারক-এর নিচে যারা যে দু’য়াই করবেন তার সকল দু’য়াই নির্ঘাত কবুল হবে। সুবহানাল্লাহ!
৩. উনার মাজার শরীফ উনার পবিত্রতম ‘মাটি মুবারক’ দ্বারা মানুষ সমস্ত প্রকার অসুস্থতা থেকে সুস্থতা মুবারক লাভ করবেন। সুবহানাল্লাহ!
ফতোয়া সূত্র: দৈনিক আল ইহসান
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন