মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৬ বছর করলে যাদের সমস্যা হয় কিন্তু ষোড়শীরা সুন্দরী প্রতিযোগিতার নামে চর্মবাণিজ্য করলে কোনো সমস্যা হয় না, তাদের আসলে উদ্দেশ্য কী?
সরকার মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৬ বছর করাতে নারীবাদী কিছু মহল ও প্রথম আলো পত্রিকাসহ বেশ কিছু ইসলামবিদ্বেষী মিডিয়া খুব লম্ফঝম্ফ করেছে। তাদের প্রধান যুক্তি দুটি: (১) ১৬ বছর বয়সে একটি মেয়ে সংসারের দায়িত্ব নিতে পারে না। (২) কম বয়সে বিয়ে হলে তার পড়ালেখা নষ্ট নয়। এটাই যদি হয় মূল সমস্যা তাহলে কথিত সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম দিয়ে সেই সুইট সিক্সটিনদেরকেই চর্মবাণিজ্যের হাটে নামানো হচ্ছে কেন? এখানে একটি ১৬ বছরের মেয়েকে মিডিয়া, প্রোগ্রাম, পরিবার, ফিটনেস, রূপচর্চা ইত্যাদি অনেকগুলো বিষয় মেইন্টেইন করতে হয়। সংসারের সামান্য দায়িত্বই যদি তার পক্ষে সম্ভব না হয়, তাহলে এতোগুলো দায়িত্ব সে কিভাবে পালন করে? আর এগুলো ঠিক রেখে পড়াশোনাই করে কিভাবে?
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, বছর দুই আগে মম নামে এক লাক্স ফটো সুন্দরী সাক্ষাৎকারে সেই সুইট সিক্সটিনের হাক্বীক্বত কিন্তু ফাঁস করে দিয়েছিলো। সেই সাক্ষাৎকারে তার বক্তব্য এখানে তুলে ধরা হলো:
“সুন্দরী প্রতিযোগিতা নাকি ষোড়শী ছাড়া হয় না। তরুণীদের প্রতিটি বয়সে আলাদা আলাদা সৌন্দর্য আছে বটে, কিন্তু ষোড়শী সুন্দরীর মেধা কোন লেভেলের থাকে যে সৌন্দর্যটা সে ক্যারি করতে পারবে? আসলে পারে না। কারণ অল্প বয়সী মেয়েদের পিক করা হয় বিপথগামী করার জন্য। প্রধান উদ্দেশ্য থাকে অল্প বয়সী ষোড়শী সুন্দরীদের নিয়ে ব্যবসা করা।...পৃথিবীব্যাপী সুন্দরী প্রতিযোগিতা হচ্ছে একটা ব্যবসা। মেয়েরা হচ্ছে ব্যবসার উপকরণ। ছোট কাপড়ের মেয়েরা ব্যবসার ভালো উপকরণ।”
এ পথে আসলে পড়াশোনা কেমন হয় এ ব্যাপারে সে বলেছে, “বাংলাদেশের অধিকাংশ আর্টিস্টের (মডেল, অভিনেতা-অভিনেত্রী, গায়ক-গায়িকা ইত্যাদি) প্রোপার শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই। যেমন ধরেন তিশা কিন্তু লেখাপড়া কমপ্লিট করে নাই। কোথাকার কোন টেলিকমিউনিকেশনে পড়তো, আজীবন পড়েই যাচ্ছে। বিন্দু (মডেল, টিভি অভিনেত্রী) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত হয়েছে। মীম জাহাঙ্গীরনগরে আমার ডিপার্টমেন্টেই পড়তো। পরপর দুইবার ফেল করায় বহিষ্কৃত হয়েছে। শুধু তারা নয় খোঁজ নিলে দেখা যাবে, ম্যাক্সিমাম আর্টিস্টেরই এই অবস্থা।” (সূত্র: ঢাকারিপোর্ট২৪.কম-এ সাক্ষাৎকারটি ১লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ঈ. তারিখে প্রকাশিত হয়) অর্থাৎ যারা এসব পথে পা বাড়ায় তাদের লেখাপড়া হয় না; বরং জীবনটা আটকে যায় আটচক্রের গ্যাড়াকলে, যেখান থেকে সে চাইলেও বেড় হতে পারে না।
তাহলে দেখা যাচ্ছে, এসব কুপথে গিয়ে একটি মেয়ের স্বাভাবিক জীবন নষ্ট হচ্ছে, লেখাপড়ার ক্ষতি হচ্ছে, পারিবারিক-সামাজিক মর্যাদাহানী হচ্ছে। কিন্তু এতে কুচক্রী মহলগুলোর কোনো প্রতিবাদ নেই। কেবল শরীয়তসম্মত উপায়ে বিয়ে করলেই এসব নারীবাদী আর কুচক্রী মিডিয়াগুলোর যত চুলকানির সৃষ্টি হয়। হারাম উপায়ে অবৈধ সম্পর্ক করলে, নিজেকে পণ্য বানিয়ে ব্যবসা করলে বা দেহব্যবসা করলে তাদের কোনো সমস্যা নেই বরং তারা এটাই চায়। নাউযুবিল্লাহ!
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, বছর দুই আগে মম নামে এক লাক্স ফটো সুন্দরী সাক্ষাৎকারে সেই সুইট সিক্সটিনের হাক্বীক্বত কিন্তু ফাঁস করে দিয়েছিলো। সেই সাক্ষাৎকারে তার বক্তব্য এখানে তুলে ধরা হলো:
“সুন্দরী প্রতিযোগিতা নাকি ষোড়শী ছাড়া হয় না। তরুণীদের প্রতিটি বয়সে আলাদা আলাদা সৌন্দর্য আছে বটে, কিন্তু ষোড়শী সুন্দরীর মেধা কোন লেভেলের থাকে যে সৌন্দর্যটা সে ক্যারি করতে পারবে? আসলে পারে না। কারণ অল্প বয়সী মেয়েদের পিক করা হয় বিপথগামী করার জন্য। প্রধান উদ্দেশ্য থাকে অল্প বয়সী ষোড়শী সুন্দরীদের নিয়ে ব্যবসা করা।...পৃথিবীব্যাপী সুন্দরী প্রতিযোগিতা হচ্ছে একটা ব্যবসা। মেয়েরা হচ্ছে ব্যবসার উপকরণ। ছোট কাপড়ের মেয়েরা ব্যবসার ভালো উপকরণ।”
এ পথে আসলে পড়াশোনা কেমন হয় এ ব্যাপারে সে বলেছে, “বাংলাদেশের অধিকাংশ আর্টিস্টের (মডেল, অভিনেতা-অভিনেত্রী, গায়ক-গায়িকা ইত্যাদি) প্রোপার শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই। যেমন ধরেন তিশা কিন্তু লেখাপড়া কমপ্লিট করে নাই। কোথাকার কোন টেলিকমিউনিকেশনে পড়তো, আজীবন পড়েই যাচ্ছে। বিন্দু (মডেল, টিভি অভিনেত্রী) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত হয়েছে। মীম জাহাঙ্গীরনগরে আমার ডিপার্টমেন্টেই পড়তো। পরপর দুইবার ফেল করায় বহিষ্কৃত হয়েছে। শুধু তারা নয় খোঁজ নিলে দেখা যাবে, ম্যাক্সিমাম আর্টিস্টেরই এই অবস্থা।” (সূত্র: ঢাকারিপোর্ট২৪.কম-এ সাক্ষাৎকারটি ১লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ঈ. তারিখে প্রকাশিত হয়) অর্থাৎ যারা এসব পথে পা বাড়ায় তাদের লেখাপড়া হয় না; বরং জীবনটা আটকে যায় আটচক্রের গ্যাড়াকলে, যেখান থেকে সে চাইলেও বেড় হতে পারে না।
তাহলে দেখা যাচ্ছে, এসব কুপথে গিয়ে একটি মেয়ের স্বাভাবিক জীবন নষ্ট হচ্ছে, লেখাপড়ার ক্ষতি হচ্ছে, পারিবারিক-সামাজিক মর্যাদাহানী হচ্ছে। কিন্তু এতে কুচক্রী মহলগুলোর কোনো প্রতিবাদ নেই। কেবল শরীয়তসম্মত উপায়ে বিয়ে করলেই এসব নারীবাদী আর কুচক্রী মিডিয়াগুলোর যত চুলকানির সৃষ্টি হয়। হারাম উপায়ে অবৈধ সম্পর্ক করলে, নিজেকে পণ্য বানিয়ে ব্যবসা করলে বা দেহব্যবসা করলে তাদের কোনো সমস্যা নেই বরং তারা এটাই চায়। নাউযুবিল্লাহ!
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন