অনেকেই তাবলীগ, চর্মনাই, ওহাবী-খারেজী ইত্যাদি বাতিল ও গোমরা দলগুলোতে বেশি মানুষের সম্পৃক্ততা দেখে তাদের হক্ব বলে মনে করে। তাদের প্রশ্ন হচ্ছে, এতোগুলো মানুষ কী বোকা নাকি?
কিন্তু মানুষের আধিক্যতা দিয়ে যে হক্ব না হক্ব নিরুপন করা যায়না, এটা অনেকেরই মাথায় আসেনা। এখানে বুঝার জন্য খুব সহজ একটা হিসাব আছে। যেটা একটা বাচ্চাকে বললেও সে বুঝবে। সেটা হলো- ৭২ আর ১ এর মধ্যে পার্থক্য। কোনটা বড়?
আরেকটু পরিস্কার করে বলি- হাদীছ শরীফ মোতাবেক ৭২টি হবে বাতিল ফিরক্বা আর
১টি হবে হক্ব তথা নাজাতপ্রাপ্ত দল। এখানে কোন সংখ্যাটা বেশি? ৭২ নাকি ১?
সূতরাং সংখ্যা বেশি থাকলেই হক্ব বলে প্রমাণ হয়না বরং বাতিল বলেই প্রমাণ হয়।
বাতিল ফিরক্বাদের দলে বেশি লোক হওয়ার অনেকগুলো কারণ আছে। তার মধ্যে একটি হলো ইবলিসের ধোকা। কে এমন ব্যক্তি আছে যে ইবলিশের ধোকা থেকে রক্ষা পেতে পারে? ইবলিশতো ফেরেশতাদের মুয়াল্লিম (শিক্ষক) ছিলো।
ইবলিশ কিভাবে মানুষকে ধোকা দেয় এ ব্যাপারে পবিত্র কুরআন শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “যে আল্লাহ্ পাক উনার যিকির থেকে বিরত থাকে তার জন্য একটি শয়তান নির্দিষ্ট হয়ে যায়। সে তার বন্ধু হয়ে সব সময় তার সাথে থাকে।” (সূরা যুখরুখ/৩৬)
আর হাদীছ শরীফে উল্লেখ আছে, “শয়তান আদম সন্তানের ক্বলবের উপর সব সময় বসা থাকে। যখনই বান্দা যিকির করে তখন শয়তান পালিয়ে যায়। আর যখন সে যিকির থেকে গাফিল হয় তখনই শয়তান তাকে ওয়াস্ওয়াসা (ধোকা) দেয়।” (বুখারী শরীফ)
তাহলে যারা বাতিল ফিরক্বার মধ্যে ঢুকে বসে আছেন অথবা বাতিল দলগুলোকে সমর্থন করছেন তারা নিজের অবস্থা নিয়ে চিন্তা করে দেখুন, আপনার ক্বলবে যিকির জারি আছে কিনা। থাকার প্রশ্নই আসে না।
হক্বানী রব্বানী আল্লাহওয়ালা বা ওলিআল্লাহ ব্যাতিত কেউ নিজে নিজে হাজার চেষ্টা করেও ক্বলবী যিকির জারি করতে পারবেনা। এটা আামর কথা নয়, এ ব্যাপারে সরাসরি কুরআন পাকে বলা হয়েছে-
- “ঐ সমস্ত লোকদের ছোহ্বতকে লাযেম করে নাও; যারা সকাল-সন্ধা আল্লাহ্ পাক উনার সন্তুষ্টির জন্য যিকির-আযকারে মশগুল।” (সূরা কাহ্ফ/২৮)
-“ঐ সমস্ত লোকদের ইতায়াত করোনা (যার আমলের দরুণ) তার ক্বলবকে আমার যিকির থেকে গাফিল করে দিয়েছি। (আর আমার যিকির থেকে গাফিল থাকার কারণেই) সে নফ্সের পায়রবী করে ও তার কাজগুলো শরীয়তের খিলাফ।” (সূরা কাহ্ফ/২৮)
সূতরাং সূরা ফাতিহা শরীফে বর্ণিত সিরাতাল মুস্তাক্বী (সহজ সরল) পথেই হচ্ছে ওলী আল্লাহ, পীর মাশায়েখ উনাদের পথ। এটাও আমার কথা নয়, আল্লাহ পাক নিজেই পবিত্র কুরআন শরীফে স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন- مَنْ يَهْدِ اللهُ فَهُوَ الْمُهْتَدِىْ وَمَنْ يُضْلِلْ فَلَن ْتَجِدَ لَهٗ وَلِيًّا مُّرْشِدًا*
- “আল্লাহ্ পাক তিনি যাকে হিদায়েত করেন (অর্থাৎ যে হিদায়েত চায়) সেই হিদায়েতপ্রাপ্ত হয়। আর যে গোমরাহীতে (বাতিলের মধ্যে) দৃঢ় থাকে; সে কোন (وَلِيًّا مُّرْشِدًا) ওলীয়ে মুর্শিদ উনার ছোহবত পাবেনা।” (সূরা কাহ্ফ/১৭)
উল্লেখ্য, আমাদের দেশে অনেক কথিত/সুরতান পীর-মাশায়েক অনেক আছে। যারা শরীয়তের তোয়াক্কা করেনা। অনেক দরবার আছে যেখানে হরদম নারীপুরুষ বেপর্দা হয়ে দেখা সাক্ষাৎ করে, গান-বাজনা হয়, অনেক কথিত পীর আছে যারা ছবি তোলে। এদেরও কিন্তু ভক্ত আশেকান কম না। এরাও ইবলিশের ধোকার মধ্যে আছে।
মিশকাত শরীফের ব্যাখ্যা মিরকাত শরীফে বর্ণিত আছে, “যে ব্যক্তি শুধু ফিক্বাহ্ (শরীয়ত) শিখলো, তাছাউফ শিখলোনা সে ফাছিক। আর যে শুধু তাছাউফ শিখলো; কিন্তু ফিক্বাহ্ শিখলোনা সে যিন্দিক বা কাফির। আর যে ফিক্বাহ্ ও তাছাউফ উভয়টাই শিখলো, সেই মুহাক্কিক বা আল্লাহ্ওয়ালা।” (মিরকাত শরীফ)
বাতিল ফিরক্বাদের দলে বেশি লোক হওয়ার অনেকগুলো কারণ আছে। তার মধ্যে একটি হলো ইবলিসের ধোকা। কে এমন ব্যক্তি আছে যে ইবলিশের ধোকা থেকে রক্ষা পেতে পারে? ইবলিশতো ফেরেশতাদের মুয়াল্লিম (শিক্ষক) ছিলো।
ইবলিশ কিভাবে মানুষকে ধোকা দেয় এ ব্যাপারে পবিত্র কুরআন শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “যে আল্লাহ্ পাক উনার যিকির থেকে বিরত থাকে তার জন্য একটি শয়তান নির্দিষ্ট হয়ে যায়। সে তার বন্ধু হয়ে সব সময় তার সাথে থাকে।” (সূরা যুখরুখ/৩৬)
আর হাদীছ শরীফে উল্লেখ আছে, “শয়তান আদম সন্তানের ক্বলবের উপর সব সময় বসা থাকে। যখনই বান্দা যিকির করে তখন শয়তান পালিয়ে যায়। আর যখন সে যিকির থেকে গাফিল হয় তখনই শয়তান তাকে ওয়াস্ওয়াসা (ধোকা) দেয়।” (বুখারী শরীফ)
তাহলে যারা বাতিল ফিরক্বার মধ্যে ঢুকে বসে আছেন অথবা বাতিল দলগুলোকে সমর্থন করছেন তারা নিজের অবস্থা নিয়ে চিন্তা করে দেখুন, আপনার ক্বলবে যিকির জারি আছে কিনা। থাকার প্রশ্নই আসে না।
হক্বানী রব্বানী আল্লাহওয়ালা বা ওলিআল্লাহ ব্যাতিত কেউ নিজে নিজে হাজার চেষ্টা করেও ক্বলবী যিকির জারি করতে পারবেনা। এটা আামর কথা নয়, এ ব্যাপারে সরাসরি কুরআন পাকে বলা হয়েছে-
- “ঐ সমস্ত লোকদের ছোহ্বতকে লাযেম করে নাও; যারা সকাল-সন্ধা আল্লাহ্ পাক উনার সন্তুষ্টির জন্য যিকির-আযকারে মশগুল।” (সূরা কাহ্ফ/২৮)
-“ঐ সমস্ত লোকদের ইতায়াত করোনা (যার আমলের দরুণ) তার ক্বলবকে আমার যিকির থেকে গাফিল করে দিয়েছি। (আর আমার যিকির থেকে গাফিল থাকার কারণেই) সে নফ্সের পায়রবী করে ও তার কাজগুলো শরীয়তের খিলাফ।” (সূরা কাহ্ফ/২৮)
সূতরাং সূরা ফাতিহা শরীফে বর্ণিত সিরাতাল মুস্তাক্বী (সহজ সরল) পথেই হচ্ছে ওলী আল্লাহ, পীর মাশায়েখ উনাদের পথ। এটাও আমার কথা নয়, আল্লাহ পাক নিজেই পবিত্র কুরআন শরীফে স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন- مَنْ يَهْدِ اللهُ فَهُوَ الْمُهْتَدِىْ وَمَنْ يُضْلِلْ فَلَن ْتَجِدَ لَهٗ وَلِيًّا مُّرْشِدًا*
- “আল্লাহ্ পাক তিনি যাকে হিদায়েত করেন (অর্থাৎ যে হিদায়েত চায়) সেই হিদায়েতপ্রাপ্ত হয়। আর যে গোমরাহীতে (বাতিলের মধ্যে) দৃঢ় থাকে; সে কোন (وَلِيًّا مُّرْشِدًا) ওলীয়ে মুর্শিদ উনার ছোহবত পাবেনা।” (সূরা কাহ্ফ/১৭)
উল্লেখ্য, আমাদের দেশে অনেক কথিত/সুরতান পীর-মাশায়েক অনেক আছে। যারা শরীয়তের তোয়াক্কা করেনা। অনেক দরবার আছে যেখানে হরদম নারীপুরুষ বেপর্দা হয়ে দেখা সাক্ষাৎ করে, গান-বাজনা হয়, অনেক কথিত পীর আছে যারা ছবি তোলে। এদেরও কিন্তু ভক্ত আশেকান কম না। এরাও ইবলিশের ধোকার মধ্যে আছে।
মিশকাত শরীফের ব্যাখ্যা মিরকাত শরীফে বর্ণিত আছে, “যে ব্যক্তি শুধু ফিক্বাহ্ (শরীয়ত) শিখলো, তাছাউফ শিখলোনা সে ফাছিক। আর যে শুধু তাছাউফ শিখলো; কিন্তু ফিক্বাহ্ শিখলোনা সে যিন্দিক বা কাফির। আর যে ফিক্বাহ্ ও তাছাউফ উভয়টাই শিখলো, সেই মুহাক্কিক বা আল্লাহ্ওয়ালা।” (মিরকাত শরীফ)
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন