দ্বীন ইসলামে (মুসলমানদের মধ্যে) ৭২টি বাতিল ফিরকা থাকবে, যাদের নামের সাথে অনেক বড় বড় ডিগ্রি থাকবে, নামকরা আলেম হবে, বড় স্কলার-দাঈ ইত্যাদি পরিচয় থাকবে। তাদের ওয়াজ/লেকচার শুনে, মুখস্ত বিদ্যা দেখে অনেকে তাজ্জুব হবে, তাদের ভক্ত অনুসারি হবে। তারা যেটা বলবে সেটাই তারা বিনা দলিলে মেনে নিবে। দ্বীন ইসলামে অনেক ফযিলতপূর্ন নেক আমলকে তারা বেদাত, নাজায়েজ বলে মানুষকে নেক কাজ থেকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে।
হ্যা, বর্তমানে অধিকাংশ মুসলমানই এমন জালে আটকে ঈমান হারা হয়ে মরছে।
তবে আপনি কখনোই বিভ্রান্ত হবেন না যদি এই উসুলগুলো মনে রাখেন-
১. প্রথমত শুধু এতটুকুই দেখবেন যে 'আমলটি কি করা হচ্ছে'?
যদি দেখেন এখানে হারাম বা গুনাহের কাজ করা হচ্ছে না বরং নেক কাজই করা হচ্ছে তাহলে অপপ্রচারে কান দিবেন না। সেটা তাদের কথিত 'বেদাত' হলেও করুন। মনে রাখবেন, বেদায়াত ২ প্রকার। ১. বেদায়াতে হাসানাহ (উত্তম বেদায়াত), ২. বেদায়াতে সাইয়েয়া (খারাপ বেদাত)। কথিত বেদাত আমলটি নেক কাজ হলে সেটা উত্তম বেদায়াত হিসেবে আমল যোগ্য। আর কথিত বেদায়াত আমলটি কোন হারাম/গুনাহের কাজের অনুরুপ হলে সেটা পরিত্যাজ্য।
২. আপনি আরো লক্ষ্য করবেন- যারা ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পালনের বিরোধিতা করে তারা শবে বরাত, শবে কদর, মিলাদ-কিয়াম, আখেরি চাহার শোম্বাহ এমনকি ২০রাকাত তারাবীর নামায নিয়েও বিরোধিতা করে। অর্থাৎ আপনি লক্ষ্য করবেন তারা দ্বীন ইসলামকে খাটো করার ও মুসলমানদের নেক আমলগুলো সবসময় কমানোর চেষ্টা করে। অথচ হারামে মশগুল মুসলমানদের হারাম কাজে বাধা দেয়ার কোন কার্যক্রম তাদের নেই। বরং তারা নিজেরাই শরীয়তের নামে সুদ ব্যবসায় জড়িত, মহিলাদের সাথে বেপর্দা হচ্ছে, ছবি/ভিডিও করে ভাইরাল হওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছে। শিরক ও কুসংস্কারে পরিপূর্ণ পহেলা বৈশাখকেও তারা কখনো হারাম/বেদায়াত/শিরক বলেনা।
৩. কেউ কি দেখেছেন, ঈদে মীলাদুন নবী দিবসকে কেন্দ্র করে হারাম/কুফরি/শিরকি কোন আমল প্রচলিত আছে? তাহলে কেন অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হয়ে নিজের ঈমান নষ্ট করছেন?
এটাতো নবীজি উনার সুন্নত, হযরত সাহাবায়ে কেরাম উনাদের সুন্নত, তাবেঈন ও পরবর্তী ইমাম মুজতাহিদগণ উনাদের সকলের সর্বাধিক পালনীয় আমল, সর্বোপরি মহান আল্লাহ পাক উনার হুকুম অনুযায়ী ফরয।
কোন নেক আমলকে বেদাত-নাজায়েজ বললে বা বিশ্বাস করলে 'পরিণতি' কি হবে সেটা আপনিই চিন্তা করুন।
#90daysmahfil
Sm40.com
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন