হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, একবার হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট এসে বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!
এই যে হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম তিনি একটি পাত্র নিয়ে আসতেছেন উহাতে তরকারী এবং খাওয়ার দ্রব্য রয়েছে। তিনি যখন আপনার নিকট আসবেন তখন আপনি উনাকে উনার রবের পক্ষ হতে এবং আমার পক্ষ হতে সালাম বলবেন এবং উনাকে সম্মানিত জান্নাত উনার মধ্যে মুক্তাখচিত এমন একটি প্রাসাদের সুসংবাদ প্রদান করবেন, যেখানে না কোনো হই হুল্লোর রয়েছে আর না কোনো কষ্ট রয়েছে। (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, মিশকাত শরীফ)
অন্য এক পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার বর্ণনায় জানা যায়, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উম্মুল মু’মিনীন হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনাকে বললেন, হে হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম! স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন হযরত জিব্রীল আলাইহিস্ সালাম উনার মাধ্যমে আপনাকে সালাম দিয়েছেন।
উম্মুল মু’মিনীন হযরত কুবরা আলাইহিস সালাম তিনি উক্ত সালামের জাওয়াব দিলেন এভাবে- “ওয়াস্সালাম্ আলাইকা ওয়া আলা জিবরীল আলাইহিস সালাম ওয়া ইন্নাল্লাহা হুওয়াস সালাম।” অর্থাৎ হে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনার প্রতি এবং হযরত জিব্রীল আলাইহিস সালাম উনার প্রতিও আমার সালাম। আর মহান আল্লাহ পাক তিনি তো নিজেই সালাম (শান্তিদাতা)। তিনি অন্য কারো সালামের মুহতাজ বা মুখাপেক্ষী নন।
কাজেই, জ্ঞানের তীক্ষ্মতা কত বেশি থাকলে এ ধরনের জাওয়াব দেয়া সম্ভব হতে পারে; তা সত্যিই ফিকিরযোগ্য মূলত, এর নামই হচ্ছে ইলমে লাদুন্নী। অর্থাৎ মহান আল্লাহ তায়ালা উনার প্রদত্ত ইলম উনার অধিকারিণী ছিলেন উম্মুল মু’মিনীন হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম।
#90daysmahfil
বিস্তারিত: SM40.com
সম্মানিত সুন্নতি সামগ্রীর বিপুল সমাহার sunnat .info
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন