সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

মেয়েদের সৌন্দর্যের প্রতিযোগিতা, ফ্যাশন শো, মডেলিং ইত্যাদি সম্পূর্ণরূপেই হারাম

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন- হে মহিলারা! তোমরা জাহিলিয়াত যুগের মহিলাদের মতো সৌন্দর্য প্রদর্শন করে বেরিও না।
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, যে দেখে ও দেখায় উভয়ের প্রতি মহান আল্লাহ পাক উনার লা’নত।
তাই যদি হয় তাহলে ৯৭ ভাগ মুসলমান ও রাষ্ট্র দ্বীন ইসলামের দেশে মেয়েদের সৌন্দর্যের প্রতিযোগিতা, ফ্যাশন শো, মডেলিং ইত্যাদি লা’নতগ্রস্ত বিষয়গুলি কিভাবে জায়িয হতে পারে? অর্থাৎ সেগুলি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
কারণ ইসলামী শরীয়তের দৃষ্টিতে মেয়েদের সৌন্দর্যের প্রতিযোগিতা, ফ্যাশন শো, মডেলিং ইত্যাদি সম্পূর্ণরূপেই হারাম।
তবে ইসলাম ও মুসলমানগণের দুশমন ইহুদী, মুশরিক ও নাছারাগুলো মেয়েদের সৌন্দর্যের প্রতিযোগিতা, ফ্যাশন শো, মডেলিংয়ের নামে মুসলিম নারীগণকে বেপর্দা, বেহায়া ও জাহান্নামী বানাতে চায়।
তাই ‘কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ বিরোধী কোনো আইন পাস হবে না’-এ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সরকারের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে, মেয়েদের সৌন্দর্যের প্রতিযোগিতা, ফ্যাশন শো, মডেলিংসহ সর্বপ্রকার অশ্লীলতা বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, মুহইস সুন্নাহ, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, “মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন- ‘হে মহিলারা! তোমরা জাহিলিয়াত যুগের মহিলাদের মতো সৌন্দর্য প্রদর্শন করে বেরিওনা।’ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, ‘যে দেখে ও দেখায় উভয়ের প্রতি মহান আল্লাহ পাক উনার লা’নত।’ তাই যদি হয় তাহলে ৯৭ ভাগ মুসলমান ও রাষ্ট্র দ্বীন ইসলামের দেশে মেয়েদের সৌন্দর্যের প্রতিযোগিতা, ফ্যাশন শো, মডেলিং ইত্যাদি লা’নতগ্রস্ত বিষয়গুলি কিভাবে জায়িয হতে পারে? অর্থাৎ সেগুলি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। কারণ ইসলামী শরীয়তের দৃষ্টিতে মেয়েদের সৌন্দর্যের প্রতিযোগিতা, ফ্যাশন শো, মডেলিং ইত্যাদি সম্পূর্ণরূপেই হারাম। তবে ইসলাম ও মুসলমানগণের দুশমন ইহুদী, মুশরিক ও নাছারাগুলো মেয়েদের সৌন্দর্যের প্রতিযোগিতা, ফ্যাশন শো, মডেলিংয়ের নামে মুসলিম নারীগণকে বেপর্দা, বেহায়া ও জাহান্নামী বানাতে চায়। তাই ‘কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ বিরোধী কোনো আইন পাস হবে না’-এ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সরকারের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে, মেয়েদের সৌন্দর্যের প্রতিযোগিতা, ফ্যাশন শো, মডেলিংসহ সর্বপ্রকার অশ্লীলতা বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা।”
গত ৮ই অক্টোবর/২০১১ ঈসায়ী তারিখ থেকে সারাদেশব্যাপী ‘মিস ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ’ নামক সুন্দরী প্রতিযোগিতা আয়োজনের বিষয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, গত ৮ই অক্টোবর/২০১১ ঈসায়ী তারিখ থেকে সারা বাংলাদেশে শুরু হয়েছে ‘মিস ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ’। এই কথিত সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব সরকারি ও বেরসকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা। ফলে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে এক বড় ধরনের বেহায়া-বেপর্দার মচ্ছব। অথচ কুরআন শরীফ-এ “সূরা নিসা, সূরা নূর ও সূরা আহযাব” সূরাসমূহে পর্দা করার ব্যাপারে কঠোর আদেশ-নির্দেশ করা হয়েছে। যেমন মহান আল্লাহ পাক সূরা নূর-এর ৩০, ৩১ নম্বর আয়াত শরীফ-এ ইরশাদ করেন, “(হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি মু’মিন পুরুষগণকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে অবনত রাখে এবং তাদের ইজ্জত-আবরু হিফাযত করে। এটা তাদের জন্য পবিত্রতার কারণ। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি তারা যা করে তার খবর রাখেন। আর আপনি মু’মিনা মহিলাগণকে বলুন, তারাও যেন তাদের দৃষ্টিকে অবনত রাখে এবং তাদের ইজ্জত-আবরু হিফাযত করে ও তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে।”

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি ‘মুসনাদে আহমদ, তিরমিযী, আবু দাউদ, দারিমী, মিশকাত শরীফ’-এর বরাত দিয়ে বলেন, হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, হযরত বুরাইদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘হে আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু! দৃষ্টিকে অনুসরণ করবেন না। প্রথম দৃষ্টি (যা অনিচ্ছা সত্ত্বে পতিত হয় তা) ক্ষমা করা হবে; কিন্তু পরবর্তী দৃষ্টি ক্ষমা করা হবে না।” অর্থাৎ প্রতি দৃষ্টিতে একটি করে কবীরা গুনাহ লেখা হয়ে থাকে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি ‘বাইহাক্বী ও মিশকাত শরীফ’-এর বরাত দিয়ে বলেন, হাদীছ শরীফ-এ আরো ইরশাদ হয়েছে, হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি মুরসাল সূত্রে বর্ণনা করেন, আমার নিকট এই হাদীছ শরীফ পৌঁছেছে, “যে দেখে এবং দেখায় অর্থাৎ যে বেপর্দা হয় ও যে বেপর্দা করায় উভয়ের প্রতি মহান আল্লাহ পাক উনার লা’নত।” অর্থাৎ আল্লাহ পাক উনার কালাম পাক এবং মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হাদীছ শরীফ দ্বারা সরাসরি পর্দাকে ফরয করা হয়েছে।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ-এ ‘সূরা মায়িদা’-এর ৮২নং আয়াত শরীফ-এ ইরশাদ করেন, “তোমরা তোমাদের সবচেয়ে বড় শত্রু হিসেবে পাবে ইহুদীদেরকে। অতঃপর যারা মুশরিক তাদেরকে।” অর্থাৎ ইসলাম ও মুসলমানের সবচেয়ে বড় শত্রু হলো প্রথমতঃ ইহুদীরা, দ্বিতীয়তঃ মুশিরকরা, আর তৃতীয়তঃ হচ্ছে নাছারারা। এক কথায় সকল বিধর্মীরাই ইসলাম ও মুসলমানের শত্রু। তাই বলা হয়, “সমস্ত কাফিরেরা মিলে এক ধর্ম।” অর্থাৎ কোনো কোনো বিষয়ে তাদের নিজেদের মধ্যে মতভেদ থাকলেও ইসলাম ও মুসলমানের ক্ষতিসাধনে তারা সবাই একজোট। ইহুদী-খ্রিস্টান, হিন্দু-বৌদ্ধ, মজূসী ও মুশরিক তারা সবাই মিলে সর্বদাই চেষ্টা করে থাকে কী করে মুসলমানগণের ঈমান আমল নষ্ট করে কাফিরে পরিণত করা যায়। নাউযুবিল্লাহ! এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ‘সূরা বাক্বারা’-এর ১০৯নং আয়াত শরীফ-এ ইরশাদ করেন, “ইহুদী-নাছারা, আহলে কিতাব তথা বিধর্মীদের মধ্যে অনেকেই প্রতিহিংসাবশত চায় যে, মুসলমান হওয়ার পর তোমাদেরকে কোনো রকমে কাফির বানিয়ে দিতে।” নাউযুবিল্লাহ!

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, কাজেই বিধর্মীরা যেহেতু ইসলাম ও মুসলমানগণের চরম পরম শত্রু তাই তারা হিংসার বশবর্তী হয়েই মুসলমানগণের ঈমান-আমল নষ্ট করে। অর্থাৎ তথাকথিত সুন্দরী প্রতিযোগিতা, ফ্যাশন শো, মডেলিংসহ আরো বহুবিধ বেপর্দা ও বেহায়ামূলক কাজে মশগুল করে দিয়ে ‘দাইয়্যূছ’ বানিয়ে চির জাহান্নামী করতে চায়। কারণ, ইহুদী-খ্রিষ্টান তথা মুসলমানগণের তাবৎ শত্রুরা হাদীছ শরীফ-এ পেয়েছে, “দাইয়ূছ কখনো জান্নাতে প্রবেশ করবেনা।” (নাসায়ী, মুসনাদে আহমদ)

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ইহুদী-নাছারারা উক্ত হাদীছ শরীফ গবেষণা করে সিদ্ধান্ত নেয় যে, যে কোনো মূল্যেই হোক না কেন মুসলমানগণকে ‘দাইয়ূছ’ বানিয়ে দিতে হবে। অর্থাৎ পুরুষ ও মহিলা উভয়কে বেপর্দা করে দিতে হবে। এলক্ষে তারা কাজ শুরু করেছে এবং অনেকটা সফলও হয়েছে। আজ সারা বিশ্বের অধিকাংশ মহিলাই চরম বেপর্দা। তারা আজ পুরুষের সাথে একই অফিসে চাকুরী করছে, লেখা-পড়া করছে, সিনেমা, নাটক করছে, গান গাইছে, সুন্দরী প্রতিযোগিতা, ফ্যাশন শো ও মডেলিংয়ে অংশগ্রহণ করছে, রাজনীতি করছে, খেলাধুলা করছে। অর্থাৎ নানানভাবে আজকে মহিলাদেরকে বেপর্দা, বেহায়া অর্থাৎ দাইয়ূছ করা হচ্ছে।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ৯৭ ভাগ মুসলমান ও রাষ্ট্র দ্বীন ইসলামের দেশে সুন্দরী প্রতিযোগিতা, ফ্যাশন শো, মডেলিং ইত্যাদি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। কারণ, ইসলামী শরীয়তের দৃষ্টিতে সুন্দরী প্রতিযোগিতা, ফ্যাশন শো, মডেলিং ইত্যাদি সম্পূর্ণরূপে হারাম। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন- “হে মহিলারা! তোমরা জাহিলিয়াত যুগের মহিলাদের মতো সৌন্দর্য প্রদর্শন করে বেরিও না।” আর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “যে দেখে ও দেখায় উভয়ের প্রতি মহান আল্লাহ পাক উনার লা’নত।” তাই ‘কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ বিরোধী কোনো আইন পাস হবে না’-এ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সরকারের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে, মেয়েদের সৌন্দর্যের প্রতিযোগিতা, ফ্যাশন শো, মডেলিংসহ সর্বপ্রকার অশ্লীলতা বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

*Coca-cola is Haram for Muslim

Because Coca-Cola and Other Soft Drinks may Contain ALCOHOL. Read Details here:~~~~ COCA-COLA: THE REAL THINGS? The proportions in the accompanying recipe are based on the analyses of Coke quoted above and Merory's recipes. The amount of caffeine agrees with that stated in Coca-Cola's So you asked about soft drinks... pamphlet; this is about a third of the caffeine found in the trial analyses. The following recipe produces a gallon of syrup very similar to Coca-Cola's. Mix 2,400 grams of sugar with just enough water to dissolve (high-fructose corn syrup may be substituted for half the sugar). Add 36 grams of caramel, 3.1 grams of caffeine, and 11 grams of phosphoric acid. Extract the cocaine from 1.1 grams of coca leaf ( Truxillo growth of coca preferred) with toluol; discard the cocaine extract. Soak the coca leaves and kola nuts (both finely powdered; 0.37 gram of kola nuts) in 22 grams of 20 percent alcohol. California white wine fortified to 20 percent strengt...

যে সকল শব্দ মুসলমানদের ব্যবহার করা উচিত নয়

শব্দ ব্যবহারের কুচিন্তায় যোগসাধনের ষড়যন্ত্র ইহুদী খ্রিস্টানদের ঐতিহ্যগত প্রবৃত্তি। স্বয়ং হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সময়ও ইহুদী খ্রিস্টানদের এরূপ ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার ছিল। কুরআন শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “হে ঈমানদারগণ! তোমরা রঈনা বলো না উনজুরনা বলো এবং শ্রবণ কর (বা শুনতে থাক) আর কাফিরদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি।” (সূরা বাক্বারা ১০৪) আয়াতের শানে নযুলে বলা হয়েছে, ইহুদীরা রসুলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কষ্ট দেবার জন্য ‘রঈনা’ শব্দ ব্যবহার করত, যার একাধিক অর্থ। একটি অর্থ হল ‘আমাদের দিকে লক্ষ্য করুন’ যা ভাল অর্থে ব্যবহার হয় আর খারাপ অর্থ হল ‘হে মূর্খ, হে মেষ শাবক’ এবং হিব্রু ভাষায় একটি বদদোয়া। ইহুদীরা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে রঈনা বলে সম্বোধন করত। যাতে প্রকৃতপক্ষে তাদের উদ্দেশ্য ছিল খারাপ অর্থের প্রতি ইঙ্গিত করা। আর হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ ‘রঈনা’ শব্দের ভাল অর্থের প্রতি ইঙ্গিত করে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সম্বোধন করলে ইহুদীরা খারাপ অর্থ চিন্তা করে হাসাহাসি করত। এতে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলা...

উশরযোগ্য ফল-ফসলের বিধান

উশর কি?  পবিত্র ‘উশর’ শব্দটি আরবী আশরাতুন (দশ) শব্দ হতে উৎসরিত বা উৎকলিত হয়েছে। উনার আভিধানিক বা শাব্দিক অর্থ হলেন এক দশমাংশ। আর সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার পরিভাষায় কৃষিজাত পণ্য- ফল ও ফসলের পবিত্র যাকাত উনাকে পবিত্র উশর বলে। এক কথায়, উৎপাদিত ফল ফসলের যাকাতই হচ্ছেন পবিত্র উশর। পবিত্র উশর সম্পর্কে পবিত্র কুরআন শরীফ থেকে দলীলঃ পবিত্র উশর সম্পর্কে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার একাধিক পবিত্র আয়াত শরীফ উনাদের মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে। মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- وانفقوا من طيبات ماكسبتم ومـما اخرجنا لكم من الارض. অর্থ : “তোমরা তোমাদের উপার্জিত হালাল সম্পদ হতে এবং যা আমি তোমাদের জন্য যমীন হতে উৎপন্ন করিয়েছি তা হতে দান করো।” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ২৬৭) তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-  واتوا حقه يوم حصاده অর্থ : “ফসল কাটার সময় তার হক (পবিত্র উশর) আদায় করো।” (পবিত্র সূরা আনআম শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১৪১) উশর সম্পর্কে পবিত্র হাদিস শরীফে যা বর্ণিত রয়েছে:  এ প্রসঙ্গে অনেক হাদিস শরীফ পাওয়া যায়। তার মধ্যে ২টি পবিত্র হাদী...