নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, ‘যে ধোঁকা দেয় সে আমার উম্মত নয়।’ আরো ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সাথে মিল রাখবে তার হাশর-নশর তাদের সাথে হবে।’ আজ যারা ‘এপ্রিল ফুল’ পালন করবে তারা কুফরী করবে। কারণ মুসলমানদের জন্য ‘পহেলা এপ্রিল’ বা ‘এপ্রিল ফুল’ পালন করা হারাম ও কুফরী। কেননা এদিন কাফির-মুশরিকরা মুসলমানদেরকে চরম মিথ্যা, প্রতারণা ও ধোঁকা দিয়ে নির্মমভাবে শহীদ করেছে। মুসলমান নিজেদের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে গাফিল থাকার কারণেই আজকে বিধর্মীদের ষড়যন্ত্রে চরমভাবে নির্যাতিত হচ্ছে।
তাই প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ ও মহিলা সকলের জন্যই ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে, নিজেদের ঐতিহ্য ও ইতিহাস সম্পর্কে অবগত হওয়া এবং পহেলা এপ্রিল বা এপ্রিল ফুলসহ সর্বপ্রকার বিজাতীয় নিয়মনীতি পালন করা থেকে বিরত থাকা।
তাই প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ ও মহিলা সকলের জন্যই ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে, নিজেদের ঐতিহ্য ও ইতিহাস সম্পর্কে অবগত হওয়া এবং পহেলা এপ্রিল বা এপ্রিল ফুলসহ সর্বপ্রকার বিজাতীয় নিয়মনীতি পালন করা থেকে বিরত থাকা।
যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, প্রতি বৎসর ১লা এপ্রিলের নামে বাড়িতে-বাড়িতে, পাড়া-মহল্লায়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, অফিস-আদালতে একে অপরকে ধোঁকা দিয়ে ঠকিয়ে প্রতারণা করে পহেলা এপ্রিল পালন করে থাকে। নাউযুবিল্লাহ! এ প্রতারণার আনন্দকে তারা পহেলা এপ্রিলের আনন্দ মনে করে থাকে এবং মুখেও তা উচ্চারণ করে থাকে। নাঊযুবিল্লাহ! অথচ হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, ‘যে ধোঁকা দেয় সে আমার উম্মত নয়।’ আরো ইরশাদ করেন, “যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সাথে মিল রাখে তার হাশর-নশর তাদের সাথে হবে।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পহেলা এপ্রিলে যারা ধোঁকা দিয়ে কৌতুক করে বা অপরকে ঠকানোর আনন্দে বিভোর হয় তারা শুধু মিথ্যা ও প্রতারণার মতো হারাম ও শক্ত কবীরা গুনাহর দ্বারাই কঠিন গুনাহগারে পরিণত হয় না, পাশাপাশি তারা এদিনে লাখ-লাখ মুসলমান শহীদকারীদের দলেও নিজেদের নাম লেখায়। মুসলমান নামধারণ করে মুসলমানদের শহীদ করাতে নিজেদের সমর্থন ও আনন্দ প্রকাশ করে। মুসলমানদের শত্রুদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। নাঊযুবিল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “পৃথিবীর এক প্রান্তে যদি কেউ নেক কাজ করে এবং অপর প্রান্ত থেকে তা সমর্থন করে তবে সে সমান নেকী পাবে। আবার এক প্রান্তে যদি কেউ গুনাহ করে অপর প্রান্ত থেকে কেউ তা সমর্থন করে তারও সমান গুনাহ হবে।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মুসলমানরা আজ ইলম চর্চা হতে অনেক দূরে। মুসলমানরা নিজেদের গৌরবময় ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে বড়ই বেখবর। আজ মুসলমানরা নিজেদের স্বর্ণযুগ, সারা বিশ্বব্যাপী তাদের বিস্তীর্ণ জ্ঞান-বিজ্ঞানে অভূতপূর্ব উন্নতি ইত্যাদি সম্পর্কে কিছুই জানে না। আবার অপরদিকে ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে কাফির-বিধর্মীরা যে মুসলমানদের উপর কতো মর্মান্তিক যুলুম করেছে, নির্মমভাবে শহীদ করেছে সে খবরও মুসলমান জানে না। পহেলা এপ্রিলে এমনি ধরনের এক নির্মম কাহিনী রয়েছে। যাতে লাখ-লাখ মুসলমানের নির্মমভাবে শাহাদাতের ঘটনা ঘটেছে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ইতিহাস স্বাক্ষী যে, স্পেনে মুসলিম শাসনের অবসানের পর প্রতারক রাজা ফার্ডিনান্ড আদেশ জারি করে মসজিদগুলোকে নিরাপদ ঘোষণা করে। এ আদেশে আরো বলা হয় যে, যারা মসজিদে আশ্রয় নেবে তারা নিরাপদ থাকবে। অসংখ্য স্পেনীয় মুসলমান সরল বিশ্বাসে মসজিদগুলোতে আশ্রয় গ্রহণ করে আবদ্ধ হয়। যালিম খ্রিস্টান শত্রুরা মসজিদগুলিকে তালাবদ্ধ করে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ভস্ম করে দেয় অবশিষ্ট স্পেনীয় মুসলমানদের। আর বাইরে থেকে যালিম খ্রিস্টনরা উল্লাসভরে কৌতুক করে সমস্বরে ঋড়ড়ষ! ঋড়ড়ষ!! (ফুল, ফুল) বলে অট্টহাসি আর চিৎকারে মেতে উঠে। দিনটি ছিলো পহেলা এপ্রিল ১৪৯২ ঈসায়ী সন। অদ্যাবধি প্রতারক খ্রিস্টানরা তাদের সেই শঠতার স্মরণে ধোঁকা বা প্রতারণার দিবস হিসেবে পালন করে ‘এপ্রিল ফুল’। আর এটাই হচ্ছে পহেলা এপ্রিল বা এপ্রিল ফুলের হৃদয় বিদারক ইতিহাস।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, খ্রিস্টানদের জন্য এদিনটি পালনীয় হলেও মুসলমানদের জন্য ভাষাহীন বেদনাদায়ক। কেননা মুসলমানদেরই হাতে গড়ে উঠা একটি সভ্যতা বর্বর অসভ্য যালিম খ্রিস্টানদের নির্মম প্রতারণায় ভেসে যায় লাখ লাখ মুসলমানদেরই বুকের তাজা রক্ত স্রোতে। কাজেই এদিনের ইতিহাস থেকে প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ ও মহিলা সকলের দায়িত্ব ও কর্তব্য হলো- হাক্বীক্বীভাবে ইহুদী-খ্রিস্টানদের ইসলাম বিরোধী ও মুসলিম বিদ্বেষী মনোভাব সম্পর্কে শিক্ষা নেয়া। তাদের সম্পর্কে সচেতন হওয়া। তাদের প্রতিহতকরণে জজবা পয়দা করা। পাশাপাশি প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ ও মহিলা সকলের জন্যই ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে, নিজেদের ঐতিহ্য ও ইতিহাস সম্পর্কে অবগত হওয়া এবং পহেলা এপ্রিল বা এপ্রিল ফুলসহ সর্বপ্রকার বিজাতীয় নিয়মনীতি পালন করা থেকে বিরত থাকা।
দৈনিক আল ইহসান-১ এপ্রিল, ২০১২
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন