কারবালায় পবিত্র আশুরা শরীফের ঘটনায় যে জন্য নসিহত ও ইবরত বা শিক্ষা রয়েছে তা নিম্নরূপ:
১) জীবন চলে গেলেও বাতিলের সাথে কোন রকম আপোস করা যাবেনা( সাইয়্যিদুনা ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম কারবালার প্রান্তরে সেই শিক্ষা দিয়ে গেছেন)
২) সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাকে যারা শহীদ করেছে সেই পাপীষ্ঠ, সৃষ্টির নিকৃষ্ট ইয়াজিদ লা'নাতুল্লাহি আলাইহি সহ যারা শাহাদতের সাথে জড়িত সবাই কাট্টা কাফির চীর জাহান্নামী। ইয়াজিদ লা'নাতুল্লাহি আলাইহি কে যারা কাফির বলবেনা তারাও কাট্টা কাফির চীর জাহান্নামী। এটাই আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের আক্বিদা।
৩) নবী রছুল আলাইহিমুছ ছালাম উনারা হলেন মাছুম, উনাদের কোন গুনাহখাতা নাই, উনারা কোন ভুল করেননি, হযরত সাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম উনারা হলেন মাহফুজ বা সংরক্ষিত, উনারা হলেন সত্যের মাপকাঠি, উনারা হলেন তারকা স্বরুপ, উনাদের যে কাউকে যে কেহ যে কোন বিষয়ে অনুসরন করলে সে নাযাত পেয়ে যাবে।
৪) নুরে মুজাসসাম হাবিবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ছাল্লাম, মহা সম্মানিত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুছ ছালাম উনাদের প্রতি বিশুদ্ধ আক্বিদা ও হুসনে যন(সু ধারনা) পোষন করা পবিত্র ইমান ও নাযাতের কারন, উনাদের শানের খেলাফ কথাবার্তা বললে সে কশ্চিনকালেও ইমানদার থাকতে পারবেনা। কাট্টা কাফির চীর জাহান্নামী হয়ে যাবে। (এটাই আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আক্বিদা)
৫) কাফির মুশরিকদের সাথে কোন প্রকারে তাশাব্বুহ করা যাবেনা, তাদের মত পথ গ্রহন করা যাবেনা। তাদের অনুসরন করা যাবেনা। তাদোতরকে বন্ধু হিসাবে গ্রহন করা যাবেনা।
৬) রোযা একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হওয়া স্বত্তেও হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উম্মতকে আশুরার ২টি রোযা রাখতে বললেন এইজন্য যে ইহুদিরা আশুরার দিনে ১টি রোযা রেখে থাকে। রোযার ক্ষেত্রেও যদি কাফির মুশরিকদের খেলাফ আমল করতে হয় তবে কোনও আমল কাফির মুশরিকদের অনুসরনে করা যাবে? যেমন তন্ত্রমন্ত্র, গানবাজনা, খেলাধুলা, ছবি, ভিডিও, বেপর্দা, অশ্লিল অশালিন কাজ যেগুলি কাফির মুশরিকদের আমল সেগুলি কি করা যাবে? কশ্চিনকালেও করা যাবেনা। পবিত্র আশুরা শরীফে সাইয়্যিদুনা মামদুহ হযরত মুরশিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম আমাদের ইমান আমল হেফাজত করার জন্য আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের অনুসরনীয় আক্বিদা শিক্ষা দেন।
#90daysmahfil
#sm40.com
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন