সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

আখিরী রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, উনার অবমাননা পৃথিবীর প্রায় তিনশ’ কোটি মুসলমানের কারো পক্ষেই বরদাশত করা সম্ভব না

পৃথিবীর প্রায় তিনশ’ কোটি মুসলমানের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের নাম ‘মত প্রকাশের স্বাধীনতা’ হতে পারে না। তথাকথিত মত প্রকাশের স্বাধীনতার নামে- মুসলমানদের ঈমান, নূরে মুজাসসম, রসূলদের রসূল, আখিরী রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, উনার অবমাননা পৃথিবীর প্রায় তিনশ’ কোটি মুসলমানের কারো পক্ষেই বরদাশত করা সম্ভব নয়। কোন আইন অথবা আদালতই এটা সমর্থন করতে পারে না। ব্যঙ্গচিত্র, কার্টুন এমনকি ফেসবুকে এগুলোর প্রতিযোগিতা আহ্বান কোন মতেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। ফেসবুকে প্রতিযোগিতা আহ্বানকারী ক্ষমা প্রার্থনা করলেও- এটাই যথেষ্ট নয়। সংশ্লিষ্ট দেশ ও কর্তৃপক্ষ যদি এর যথাযথ প্রতিকারে উপযুক্ত শাস্তি প্রদানে ব্যর্থ হয়; তবে উদ্ভূত পরিস্থিতির দায়-দায়িত্ব তাদেরই বহন করতে হবে।
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, অবিশ্বাস্যভাবে আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ, নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, উনাকে অবমাননার অপচেষ্টা বেড়েই চলছে। ২০০৫ সালে একটি ডেনিশ পত্রিকায় আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, উনার কার্টুন প্রকাশের পর বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের মধ্যে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এতে প্রাণহানির কয়েকটি ঘটনাও ঘটে। মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, একইভাবে গত ২৮শে নভেম্বর, ২০০৮-এ নেদারল্যান্ডের রক্ষণশীল পার্লামেন্ট সদস্য, গার্ট উইন্ডার্স বিবৃত কুরআন শরীফ-এর ফ্যাসিবাদী উপকরণগুলো (যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও মনগড়া) তুলে ধরে চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হয়েছে। মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, যে স্যাটানিক ভার্সেসের লেখার কারণে কুখ্যাত সালমান রুশদী মুরতাদ হয়েছে বহু আগেই তার মৃত্যুদণ্ড ঘোষিত হয়েছে, গোটা মুসলিম বিশ্ব ক্ষুব্ধ হয়ে আছে সে স্যাটানিক ভার্সেস নিয়ে বিবিস্থির সিনেমা করার পরিকল্পনা মূলত উদ্দেশ্য হলো, আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, উনার মানহানি করা। মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, ইহুদী-খ্রিস্টানরা ইতঃপূর্বে বাইতুল মুক্কাদ্দাস শরীফ-এর অবমাননা করেছে। শরাবের বোতলে তারা বাইতুল মুকাদ্দাস শরীফ-এর ছবি ছেপেছে। আর এখন বাইতুল্লাহ শরীফ-এর নকশায় ও নামে তারা শরাবখানা খুলতে চাচ্ছে। (নাউযুবিল্লাহ) মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, দিন দিন ইহুদী-খ্রিস্টানদের ইসলাম বিদ্বেষী মনোভাব ও স্পর্ধা বেড়ে যাচ্ছে। মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার একটি সাপ্তাহিক পত্রিকায় গত ২১শে মে, ২০১০-এ সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, উনার একটি কাল্পনিক কার্টুন ছাপা হয়েছে। এতে অভিযোগ করা হয়েছে, তার ভক্তদের মনে রসবোধের অভাব রয়েছে। (নাউযুবিল্লাহ) উক্ত গার্ডিয়ান পত্রিকায় কুখ্যাত কার্টুনিস্ট জাপিরোর আঁকা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, উনার কার্টুনটি ছাপা হয়। এ রকম একটি কার্টুন ওই পত্রিকায় ছাপা হচ্ছে বলে আগাম খবর জেনে কয়েকটি মুসলিম অ্যাডভোকেসি গ্রুপ আদালতের নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলা করে। আদালত মামলাটি নাকচ করে দেয়ার পর কার্টুনটি প্রকাশ করা হয়। (নাউযুবিল্লাহ) মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, যে আইন; যে আদালত পৃথিবীর প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠী মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত আমলে নেয় না, সে আইন তথা আদালত কোন মানদণ্ডেই গৃহীত হতে পারে না। আর এর ফলে পৃথিবীর তিনশ’ কোটি মুসলমানের অন্তরে যে ঈমানী দায়বোধ জেগে উঠবে তার দায়ভার তাদেরকেই বহন করতে হবে। মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, আল্লাহ পাক, উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, উনার মুবারক শানে ফেসবুকে ব্যঙ্গচিত্র আঁকার প্রতিযোগিতা আহবানকারী মুসলিম বিদ্বেষী কাফির-মুশরিকরা। (নাউযুবিল্লাহ) মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, ফেসবুকের এই প্রতিযোগিতার আয়োজক মুসলিম বিদ্বেষী চরমপন্থীরা হুমকি দিয়ে আরো বলেছে, ‘আমরা মুসলিমদের জানিয়ে দিতে চাই তাদের নবীকে যে কোনোরূপে উপস্থাপন করলে তারা যে আমাদের হুমকি দেয় তাতে আমরা ভয় পাই না এবং আমাদের ভয় দেখিয়ে তারা আমাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা কেড়ে নিতে পারে না।’ প্রতিযোগিতার জন্য ২০ মে আল্লাহ পাক, উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, উনার মুবারক শানে ব্যঙ্গচিত্র এঁকে পাঠানোর আহ্বান জানানো হয়। (নাউযুবিল্লাহ) মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, তবে গত ২১ মে, উক্ত কার্টুনিস্ট ইন্টারনেটে সামাজিক ওয়েবসাইট ফেসবুকে কার্টুন প্রতিযোগিতার আহ্বান প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এছাড়া সে এর জন্য মুসলিমদের কাছে ক্ষমাও চেয়েছে। মার্কিন টিভি চ্যানেল কমেডি সেন্ট্রালের জনপ্রিয় এপিসোড 'সাউথ পার্ক'-এ একটি কার্টুন থাকায় সেটি তারা গত মাসে বাদ দিয়েছিল। কারণ যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত মুসলিমদের কাছ থেকে এ ব্যাপারে ব্যাপক প্রতিবাদ এসেছিল। এপিসোড বাতিলের ঘটনা উপলক্ষ করে সিয়াটলের কার্টুনিস্ট মলি নরিস '২০ মে এভরিবডি ড্র মোহামেদ ডে' ঘোষণা করে। পরবর্তী পর্যায়ে সে এই পরিকল্পনা বাতিল করে। সে তার নিজস্ব ওয়েবসাইটে বলে, ২০ মে তারিখকে আমি এ রকম দিবস ঘোষণা করিনি। কেউ হয়ত আমার নাম ব্যবহার করে এ রকম কাজ করে থাকতে পারে। মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, এগুলো সবই ওদের ছলনা এবং টেস্ট কেস। ইহুদী-খ্রিস্টানরা চায় পৃথিবীতে ইসলামের কোন নিদর্শন না থাকুক। মুসলমানদের কোনো অস্তিত্ব না থাকুক। মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, ইহুদী-খ্রিস্টানরা ফুৎকার দিয়ে আল্লাহ পাক, উনার নূরকে নির্বাপিত করে দিতে চায়। আমেরিকা গোটা মুসলিম বিশ্বকে তছনছ করে দিতে চায়। মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, আমেরিকাগোষ্ঠী যেন মনে না করে, তারা মহা শক্তিধর কিছু হয়ে গেছে। তাই তারা মুসলমানদের উপর যা ইচ্ছে তাই করে বেড়াবে। অর্থাৎ ইসলামের উপর একের পর এক আঘাত হেনে চলবে। মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি সেদিকে লক্ষ্য করেই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, আমেরিকা যদি মুসলমানের উপর অত্যাচার-নির্যাতন বন্ধ না করে, ইসলামের উপর আঘাত হানা বন্ধ না করে তবে তার প্রতি ভয়াবহ আযাব ও গযব অতি আসন্ন। অতীতে আল্লাহ পাক তার চেয়ে বহু শক্তিধর ফেরআউন সাদ্দাদ নমরূদের রাজত্বকে মুহূর্তের মধ্যে ধূলিসাৎ করে দিয়েছেন। মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, এখনই আমেরিকায় একের পর এক আযাব, গযব ও লা’নত বর্ষিত হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে বন্যা, তুফান, টর্নেডো, দাবানল ও তুষারপাত, ভূমিকম্প ইত্যাদি যুগপৎ ভাবে দেখা দিচ্ছে; তারপরেও যদি আমেরিকার হুঁশ না হয় তবে অতি শীঘ্রই রাশিয়ার চেয়েও সে বেশি পঙ্গু ও দুর্বল হবে। তাদেরকে এখনই খয়রাত করে খেতে হচ্ছে। ভবিষ্যতে আরো বেশি খয়রাত করতে হবে। মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মুসলমানরা আজ উলামায়ে ‘ছূ’দের কারণে ঈমানহারা, আক্বীদাহারা, আমলহারা হওয়ার প্রেক্ষিতেই ইহুদী-খ্রিস্টানরা এত সাহস পাচ্ছে। অথচ আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “তোমরা চিন্তিত হয়োনা, তোমরা পেরেশানিগ্রস্ত হয়োনা, তোমরাই কামিয়াব হবে; যদি তোমরা মু’মিন হতে পারো।” মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মূলত ইহুদী-নাছারা কখনই হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, উনার ব্যঙ্গচিত্র বা কুরআন শরীফ-এর অবমাননা করে সিনেমা তৈরির সাহস পেতনা যদি না উলামায়ে ‘ছূ’ অর্থাৎ মুরতাদ মাওলানারা তাদের ধর্মব্যবসার কারণে আজকে ছবিকে জায়িয বলে ফতওয়া না দিতো। মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, যতদিন পর্যন্ত ইহুদী-নাছারারা দেখেছে যে, মুসলমারা ছবি তোলে না এবং মুসলমান আলিম-উলামারা ছবি তোলার বিরুদ্ধে শত শত হাদীছ শরীফ শক্তভাবে উচ্চারণ করছে ততদিন পর্যন্ত তারা ব্যঙ্গচিত্র বা সিনেমা তো দূরের কথা কোন চিত্রই ছাপতে সাহস করেনি। কিন' আজকে উলামায়ে ‘ছূ’ অর্থাৎ মুরতাদ মাওলানারা ছবি জায়িয বলে ফতওয়া দেয়ার পরই ইসলামবিদ্বেষীরা সে সুযোগ নিচ্ছে। (নাউযুবিল্লাহ) মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানী কর্তব্য হলো, ইহুদী-খ্রিস্টানদের ইসলাম বিদ্বেষী সব অপতৎপরতা বন্ধ করা। ইসলামের মানহানিকর সকল তর্জ-তরীক্বা প্রতিহত করা এবং তার মূল উলামায়ে ‘ছূ’দের চিহ্নিত করা ও তাদের নিশ্চিহ্ন করা। এর অন্যথা হলে কেউ নাযাত পাবে না।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

*Coca-cola is Haram for Muslim

Because Coca-Cola and Other Soft Drinks may Contain ALCOHOL. Read Details here:~~~~ COCA-COLA: THE REAL THINGS? The proportions in the accompanying recipe are based on the analyses of Coke quoted above and Merory's recipes. The amount of caffeine agrees with that stated in Coca-Cola's So you asked about soft drinks... pamphlet; this is about a third of the caffeine found in the trial analyses. The following recipe produces a gallon of syrup very similar to Coca-Cola's. Mix 2,400 grams of sugar with just enough water to dissolve (high-fructose corn syrup may be substituted for half the sugar). Add 36 grams of caramel, 3.1 grams of caffeine, and 11 grams of phosphoric acid. Extract the cocaine from 1.1 grams of coca leaf ( Truxillo growth of coca preferred) with toluol; discard the cocaine extract. Soak the coca leaves and kola nuts (both finely powdered; 0.37 gram of kola nuts) in 22 grams of 20 percent alcohol. California white wine fortified to 20 percent strengt...

যে সকল শব্দ মুসলমানদের ব্যবহার করা উচিত নয়

শব্দ ব্যবহারের কুচিন্তায় যোগসাধনের ষড়যন্ত্র ইহুদী খ্রিস্টানদের ঐতিহ্যগত প্রবৃত্তি। স্বয়ং হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সময়ও ইহুদী খ্রিস্টানদের এরূপ ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার ছিল। কুরআন শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “হে ঈমানদারগণ! তোমরা রঈনা বলো না উনজুরনা বলো এবং শ্রবণ কর (বা শুনতে থাক) আর কাফিরদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি।” (সূরা বাক্বারা ১০৪) আয়াতের শানে নযুলে বলা হয়েছে, ইহুদীরা রসুলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কষ্ট দেবার জন্য ‘রঈনা’ শব্দ ব্যবহার করত, যার একাধিক অর্থ। একটি অর্থ হল ‘আমাদের দিকে লক্ষ্য করুন’ যা ভাল অর্থে ব্যবহার হয় আর খারাপ অর্থ হল ‘হে মূর্খ, হে মেষ শাবক’ এবং হিব্রু ভাষায় একটি বদদোয়া। ইহুদীরা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে রঈনা বলে সম্বোধন করত। যাতে প্রকৃতপক্ষে তাদের উদ্দেশ্য ছিল খারাপ অর্থের প্রতি ইঙ্গিত করা। আর হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ ‘রঈনা’ শব্দের ভাল অর্থের প্রতি ইঙ্গিত করে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সম্বোধন করলে ইহুদীরা খারাপ অর্থ চিন্তা করে হাসাহাসি করত। এতে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলা...

উশরযোগ্য ফল-ফসলের বিধান

উশর কি?  পবিত্র ‘উশর’ শব্দটি আরবী আশরাতুন (দশ) শব্দ হতে উৎসরিত বা উৎকলিত হয়েছে। উনার আভিধানিক বা শাব্দিক অর্থ হলেন এক দশমাংশ। আর সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার পরিভাষায় কৃষিজাত পণ্য- ফল ও ফসলের পবিত্র যাকাত উনাকে পবিত্র উশর বলে। এক কথায়, উৎপাদিত ফল ফসলের যাকাতই হচ্ছেন পবিত্র উশর। পবিত্র উশর সম্পর্কে পবিত্র কুরআন শরীফ থেকে দলীলঃ পবিত্র উশর সম্পর্কে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার একাধিক পবিত্র আয়াত শরীফ উনাদের মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে। মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- وانفقوا من طيبات ماكسبتم ومـما اخرجنا لكم من الارض. অর্থ : “তোমরা তোমাদের উপার্জিত হালাল সম্পদ হতে এবং যা আমি তোমাদের জন্য যমীন হতে উৎপন্ন করিয়েছি তা হতে দান করো।” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ২৬৭) তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-  واتوا حقه يوم حصاده অর্থ : “ফসল কাটার সময় তার হক (পবিত্র উশর) আদায় করো।” (পবিত্র সূরা আনআম শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১৪১) উশর সম্পর্কে পবিত্র হাদিস শরীফে যা বর্ণিত রয়েছে:  এ প্রসঙ্গে অনেক হাদিস শরীফ পাওয়া যায়। তার মধ্যে ২টি পবিত্র হাদী...