ক্যাথলিক চার্চের নতুন কেলেংকারী : এবার মুখ খুলেছেন পাদ্রীদের বান্ধবীরা
ক্যাথলিক ধর্মগুরু পোপ ষোড়শ বেনেডিক্ট যখন পাদ্রীদের যৌন কেলেংকারীর ঘটনা সামাল দেয়ার চেষ্টা করছেন ঠিক তখন কোনো কোনো পাদ্রীর বান্ধবীরা মুখ খুলতে শুরু করেছেন। এ ধরনের প্রায় ১২ জন মহিলা সম্প্রতি পোপের উদ্দেশ্যে একটি একটি খোলা চিঠি লিখেছেন। ক্যাথলিক চার্চের পাদ্রীদের চির কুমার থাকা ধর্মীয় প্রতিশ্রুতির অঙ্গ বলে যে দাবি করা হয়, এই পত্রে সে বক্তব্যের প্রতিবাদ করা হয়েছে। তারা বলেছেন, চার্চ শুধুমাত্র আর্থিক ব্যয় সংকোচনের লক্ষ্যে এ ধরনের ব্যবস্থা চালু রেখেছে। ক্যাথলিক চার্চের অতীতের ইতিহাস তুলে ধরে এই খোলা পত্রে আরো বলা হয়েছে, অতীতে ৩৯ জন পোপ ছিলেন বিবাহিত। গত মার্চ মাসে এই পত্র লেখা হলেও তা এতদিন গোপন রাখা হয়েছিলো। তবে গত মাসে গ্লোবাল পোষ্ট নামের একটি নিউজ ওয়েব সাইটে এই চিঠির খবর প্রকাশিত হয়ে যাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট মহিলারা এটি প্রকাশ করা উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এই পত্রে স্বাক্ষরকারী অন্যতম মহিলা স্টেফেনিয়া সোলোমন জানিয়েছেন, নাম প্রকাশ হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট পাদ্রী হয়ত সম্পর্ক চুকিয়ে ফেলবে এই ভয়ে মাত্র তিন জন মহিলা পত্রে স্বনামে স্বাক্ষর করেছেন। তিনি আরো জানান, যে সব মহিলা তাদের নাম প্রকাশ করেছেন এখন তারা পাদ্রীদের সাথে অতীতের সম্পর্কের কথা বলছেন। তিনি আরো জানান, লুসিয়া নামে এক ৩৫ বছরের মহিলার সাথে ৩৮ বছর বয়সী এক পাদ্রীর ছয় বছরের সম্পর্ক ছিলো। তার এখন একটি ২০ মাসের ছেলে আছে। তবে সে পাদ্রী এই সন্তানের পিতৃত্ব অস্বীকার করেছে এবং সন্তানের বয়স যখন দুই মাস তখন একবার মাত্র ১০ মিনিটের জন্য তাকে দেখেছে। স্টেফেনিয়া সোলোমন আরো বলেন, বিয়ের মত মৌলিক অধিকার থেকে কাউকে বঞ্চিত করার অধিকার ক্যাথলিক চার্চের নেই।
২ জুন ২০১০ (রেডিও তেহরান)
ক্যাথলিক ধর্মগুরু পোপ ষোড়শ বেনেডিক্ট যখন পাদ্রীদের যৌন কেলেংকারীর ঘটনা সামাল দেয়ার চেষ্টা করছেন ঠিক তখন কোনো কোনো পাদ্রীর বান্ধবীরা মুখ খুলতে শুরু করেছেন। এ ধরনের প্রায় ১২ জন মহিলা সম্প্রতি পোপের উদ্দেশ্যে একটি একটি খোলা চিঠি লিখেছেন। ক্যাথলিক চার্চের পাদ্রীদের চির কুমার থাকা ধর্মীয় প্রতিশ্রুতির অঙ্গ বলে যে দাবি করা হয়, এই পত্রে সে বক্তব্যের প্রতিবাদ করা হয়েছে। তারা বলেছেন, চার্চ শুধুমাত্র আর্থিক ব্যয় সংকোচনের লক্ষ্যে এ ধরনের ব্যবস্থা চালু রেখেছে। ক্যাথলিক চার্চের অতীতের ইতিহাস তুলে ধরে এই খোলা পত্রে আরো বলা হয়েছে, অতীতে ৩৯ জন পোপ ছিলেন বিবাহিত। গত মার্চ মাসে এই পত্র লেখা হলেও তা এতদিন গোপন রাখা হয়েছিলো। তবে গত মাসে গ্লোবাল পোষ্ট নামের একটি নিউজ ওয়েব সাইটে এই চিঠির খবর প্রকাশিত হয়ে যাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট মহিলারা এটি প্রকাশ করা উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এই পত্রে স্বাক্ষরকারী অন্যতম মহিলা স্টেফেনিয়া সোলোমন জানিয়েছেন, নাম প্রকাশ হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট পাদ্রী হয়ত সম্পর্ক চুকিয়ে ফেলবে এই ভয়ে মাত্র তিন জন মহিলা পত্রে স্বনামে স্বাক্ষর করেছেন। তিনি আরো জানান, যে সব মহিলা তাদের নাম প্রকাশ করেছেন এখন তারা পাদ্রীদের সাথে অতীতের সম্পর্কের কথা বলছেন। তিনি আরো জানান, লুসিয়া নামে এক ৩৫ বছরের মহিলার সাথে ৩৮ বছর বয়সী এক পাদ্রীর ছয় বছরের সম্পর্ক ছিলো। তার এখন একটি ২০ মাসের ছেলে আছে। তবে সে পাদ্রী এই সন্তানের পিতৃত্ব অস্বীকার করেছে এবং সন্তানের বয়স যখন দুই মাস তখন একবার মাত্র ১০ মিনিটের জন্য তাকে দেখেছে। স্টেফেনিয়া সোলোমন আরো বলেন, বিয়ের মত মৌলিক অধিকার থেকে কাউকে বঞ্চিত করার অধিকার ক্যাথলিক চার্চের নেই।
২ জুন ২০১০ (রেডিও তেহরান)
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন