সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ভেলেন্টাইন ডে সম্পর্কে কিছু সত্য তথ্য

১৪ ফেব্রুয়ারী দৈনিক আল ইহসান-এ প্রকাশিত ব্যানার হেডিং
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, তোমরা কাফির ও মুনাফিকদের অনুসরণ করো না
আজ যারা ভ্যালেন্টাইন ডে পালন করবে তারা কুফরী করবে আর তাদের হাশর-নশর ইহুদী-নাছারা তথা বিধর্মীদের সাথেই হবে
কারণ, ইসলামের দৃষ্টিতে মুসলমানদের জন্য ভ্যালেন্টাইন ডে বা ভালোবাসা দিবস পালন করা সম্পূর্ণরূপে নাজায়িয, হারাম ও কুফরীবাংলাদেশে ভ্যালেন্টাইন ডে প্রবর্তক হলো- যুদ্ধাপরাধী, দুর্নীতিবাজ, জামাত জোটের খাছ এজেন্ট, মুসলমান নামধারী মুনাফিক, নীতিভ্রষ্ট এক সাংবাদিক
তার কথায় দেশের ৯৭ ভাগ মুসলমান এবং স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তির প্রভাবিত হওয়া উচিত নয়তাই মুসলমানদের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে- ভ্যালেন্টাইন ডেসহ সর্বপ্রকার কুফরী ও হারাম প্রথা থেকে বিরত থাকা ও সেগুলো প্রতিহত করা

যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আযম, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর আলোকে বলেন, আজ যারা ভ্যালেন্টাইন ডে পালন করবে তারা কুফরী করবেবাংলাদেশে ভ্যালেন্টাইন ডে প্রবর্তনের পিছনে রয়েছে পাশ্চাত্য গোলাম, যুদ্ধাপরাধী ও মহাদুর্নীতিবাজ জামাত-জোটের খাছ এজেন্ট, একান্ত ফরমাবরদার ও বিশেষ তল্পীবাহক এবং সুবিধাভোগী মুসলমান নামধারী মুনাফিক শফিক রেহমান ও ইহুদী-খ্রিস্টান বা কাফিরদের স্বার্থএটা এদেশের মুসলমানদের মুসলমানিত্ব নির্মূলের গভীর ষড়যন্ত্রমুসলমানদের জন্য এ গভীর ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং তা থেকে বিরত থাকা ও প্রতিহত করা ফরয-ওয়াজিব
মুজাদ্দিদে যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, তথাকথিত ভালোবাসা দিবস পালন মূলত অভালোবাসা তথা নোংরামীর বিস্তার ঘটায়পাশ্চাত্যে ভালোবাসা দিবস প্রচলনের পেছনে ছিলো ব্যবসায়ীদের স্বার্থপাশাপাশি এদেশে তা প্রবর্তনের পেছনে আছে পাশ্চাত্য গোলাম শফিক রেহমান ও ইহুদী খ্রিস্টানদের সুদূরপ্রসারী ইসলাম বিরোধী স্বার্থ
মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, পশ্চিমাদের খাছ গোলাম, মুনাফিক শফিক রেহমান পশ্চিমাদের কাছে আরো প্রিয় এবং এদেশের হুজুগে মাতা বাঙালিদের কাছে একটি তথাকথিত সংস্কৃতির প্রচলনের প্রবক্তা সাজার উদ্দেশ্যে ও তার কাঙ্খিত বাহবা কুড়ানোর লক্ষ্যে ১৯৯৩ সালে তার সাপ্তাহিক যায়যায়দিনপত্রিকার মাধ্যমে তথাকথিত ভালোবাসা দিবসের প্রবর্তন ঘটিয়েছেতবে শুধু শফিক রেহমানই নয় এর পেছনে সুযোগ-সন্ধানী ইসলামবিদ্বেষী মহলের বিবিধ স্বার্থ কাজ করেছে, করছে
মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, ভালোবাসা দিবসের ইতিহাস খুঁজতে গিয়ে The new Encyclopaedia Britannica Encyclopaedia Americana সহ আরো বহু রেফারেন্স থেকে জানা যায়, “রোমান এক খ্রিস্টান পাদ্রি সেন্ট ভ্যালেন্টাইনচিকিৎসা বিদ্যায় সে ছিলো অভিজ্ঞখ্রিস্টধর্ম প্রচারের অভিযোগে ২৭০ খ্রিস্টাব্দে রোমের সম্রাট দ্বিতীয় ক্লডিয়াসের আদেশে ভ্যালেন্টাইনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়সে যখন বন্দি ছিলো তখন তরুণ-তরুণীরা তাকে ভালোবাসা জানিয়ে জেলখানায় জানালা দিয়ে চিঠি ছুড়ে দিতোবন্দি অবস্থাতেই সেন্ট ভ্যালেন্টাইন জেলারের অন্ধ মেয়ের দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দেয়ার চিকিৎসা করেমেয়েটির সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে উঠেমৃত্যুর আগে মেয়েটিকে লেখা এক চিঠিতে সে লিখে যে, “ফ্রম ইউর ভ্যালেন্টাইনঅনেকের মতে, সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের নামানুসারেই পোপ প্রথম জুলিয়াস ৪৯৬ খ্রিস্টাব্দে ১৪ ফেব্রুয়ারিকে সেন্ট ভ্যালেন্টাইন ডেহিসেবে ঘোষণা দেয়
মুজাদ্দিদে যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, বর্ণিত ইতিহাস দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয় যে, তথাকথিত ভালোবাসা দিবস কখনোই এদেশীয় অর্থাৎ বাঙালি সংস্কৃতির অংশ ছিলো নাআর মুসলমানদের সংস্কৃতি তো নয়ইবরং তা সম্পূর্ণরূপেই বিজাতীয়, বিধর্মীয় তথা পশ্চিমা ইহুদী-নাছারাদের প্রবর্তিত নিয়মনীতি, তর্জ-তরীক্বা যা অনুসরণ করা মুসলমানদের জন্য কাট্টা হারাম ও শক্ত কবীরা গুনাহএছাড়া তথাকথিত ভালোবাসা দিবসের নামে মূলত চলে বেপর্দা-বেহায়াপনার নির্লজ্জ উৎসবযাতে ইবলিস শয়তানের ওয়াসওয়াসা থাকে ও নফস বা প্রবৃত্তির উদ্দামতা যুক্ত হয়যা কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ মুতাবিক শক্ত কবীরাহ গুনাহ এবং পরকালে এসব কাজের জন্য কঠিন শাস্তি পেতে হবে তথা জাহান্নামে যেতে হবেএ প্রসঙ্গে হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিততিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সাথে মিল রাখে সে তাদের দলভুক্ত এবং তার হাশর-নশর তাদের সাথেই হবেঅর্থাৎ যারা কথিত ভালোবাসা দিবস পালন করবে তাদের হাশর-নশর ইহুদী-নাছারা তথা বিধর্মীদের সাথেই হবেনাঊযুবিল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, এ প্রসঙ্গে হিন্দুস্থানের একটি ঘটনা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্যহিন্দুস্থানে একজন জবরদস্ত ওলীআল্লাহ ছিলেনযিনি ইন্তিকালের পর আরেকজন বুযুর্গ ব্যক্তি উনাকে স্বপ্নে দেখে জিজ্ঞেস করেন, আপনি কেমন আছেন? সেই ওলীআল্লাহ তিনি জাওয়াবে বলেন, আপাতত আমি ভালই আছি, কিন্তু আমার উপর দিয়ে এক কঠিন সময় অতিবাহিত হয়েছে যা বলার অপেক্ষা রাখে নাতখন স্বপ্নদ্রষ্টা বুযুর্গ ব্যক্তি তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, আপনি কি আমাকে আপনার সেই কঠিন অবস্থা সম্পর্কে বলবেন? ওলীআল্লাহ তিনি জবাব দিলেন, অবশ্যই বলবোকারণ এতে যমীনবাসীর জন্য শক্ত ইবরত বা নছীহত রয়েছেঅতঃপর তিনি বলা শুরু করলেন, আমার ইন্তেকালের পর ফেরেশ্‌তা আলাইহিমুস সালাম উনারা আমাকে সরাসরি যিনি মহান আল্লাহ্‌ পাক উনার নিকট পেশ করেনআল্লাহ পাক তিনি ফেরেশ্‌তা আলাইহিমুস সালাম উনাদের বললেন, “হে ফেরেশ্‌তা আলাইহিমুস সালাম! আপনারা উনাকে কেনো এখানে নিয়ে এসেছেন”? ফেরেশ্‌তা আলাইহিমুস সালাম উনারা বললেন, হে বারে ইলাহী! আমরা উনাকে খাছ বান্দা হিসেবে আপনার সাথে সাক্ষাৎ করার জন্য নিয়ে এসেছিআল্লাহ পাক তিনি বললেন, উনাকে এখান থেকে নিয়ে যান, উনার হাশর-নশর হিন্দুদের সাথে হবেকারণ তিনি পূজা করেছেনওলীআল্লাহ তিনি বলেন, একথা শুনে আমি ভয় পেয়ে গেলাম এবং আমার সমস্ত শরীর ভয়ে থর থর করে কাঁপতে লাগলো এবং আমি আরজু করলাম, আয় আল্লাহ পাক! আমার হাশর-নশর হিন্দুদের সাথে হবে কেনো? আমি তো সবসময়ই আপনার এবং আপনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ফরমাবরদার ছিলামকখনো ইচ্ছাকৃত কোনো নাফরমানি করিনিআর পূজা করা তো দূরের কথা আমি কখনো মন্দিরের আশ-পাশ দিয়েও হাঁটিনি তখন আল্লাহ পাক তিনি বললেন, আপনি সেদিনের কথা স্মরণ করুন, যেদিন হিন্দুস্থানে হোলি পূজা হচ্ছিলআপনি রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন, আপনার সামনে-পিছনে, ডানে-বামে, উপরে-নিচে আশে-পাশে সমস্ত গাছ-পালা, তরু-লতা, পশু-পাখি, কীট-পতঙ্গ, বাড়ি-ঘর, সবকিছুতেই রঙ দেয়া হয়েছিলোএমতাবস্থায় আপনার সামনে দিয়ে একটি গর্দভ (গাধা) হেঁটে যাচ্ছিল যাকে রঙ দেয়া হয়নিআপনি সে সময় পান চিবাচ্ছিলেন, আপনি সেই গর্দভের গায়ে এক চিপটি পানের পিক বা রঙীন রস নিক্ষেপ করে বলেছিলেন- হে গর্দভ! তোমাকে তো এই হোলি পূজার দিনে কেউ রঙ দেয়নি তাই আমি তোমাকে রঙ দিয়ে দিলামএটা কি আপনার পূজা করা হয়নি? আপনি কি জানেন না যে, আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন- যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সাথে মিল রাখে সে তাদের অন্তর্ভুক্ত এবং তার হাশর-নশর তাদের সাথে হবেসুতরাং, আপনার হাশর-নশর হিন্দুদের সাথে হবেযখন আল্লাহ পাক তিনি এই কথা বললেন, তখন আমি লা-জাওয়াব হয়ে গেলাম এবং ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে বললাম, আয় আল্লাহ পাক! আমি তো বুঝতে পারিনি, আমাকে কেউ বুঝিয়েও দেয়নি আর আমার অন্তরও এ বিষয়ে কখনও সাড়া দেয়নি হে আল্লাহ পাক! আমাকে দয়া করে ক্ষমা করুনকিছুক্ষণ পর আল্লাহ পাক তিনি বললেন, হ্যাঁআপনাকে আপনার অন্যান্য আমলের কারণে ক্ষমা করা হলোএখন কথা হলো- হোলি পুজার সাথে মিল রেখে এক চিপটি পানের পিক বা রস দিলে যদি হিন্দুদের সাথে হাশর-নশর হয় তবে যারা ইহুদী, নাছারা বা কাফিরদের সাথে মিল রেখে ভেলেন্টাইন ডে পালন করবে তাদের হাশর-নশর কাদের সাথে হবে?
মুজাদ্দিদে যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মূলকথা হলো- আজ যারা ভ্যালেন্টাইন ডে পালন করবে তারা কুফরী করবে, আর তাদের হাশর-নশর ইহুদী-নাছারা তথা বিধর্মীদের সাথেই হবেকারণ, ইসলামের দৃষ্টিতে মুসলমানদের জন্য ভ্যালেন্টাইন ডে বা ভালোবাসা দিবস পালন করা সম্পূর্ণরূপে নাজায়িয, হারাম ও কুফরীবাংলাদেশে ভ্যালেন্টাইন ডের প্রবর্তক হলো- যুদ্ধাপরাধী, দুর্নীতিবাজ, জামাত জোটের খাছ এজেন্ট, মুসলমান নামধারী মুনাফিক, নীতিভ্রষ্ট এক সাংবাদিকতার কথায় দেশের ৯৭ ভাগ মুসলমান এবং স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তির প্রভাবিত হওয়া উচিত নয়তাই মুসলমানদের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে- ভ্যালেন্টাইন ডেসহ সর্বপ্রকার কুফরী ও হারাম প্রথা থেকে বিরত থাকা ও সেগুলো প্রতিহত করা

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

*Coca-cola is Haram for Muslim

Because Coca-Cola and Other Soft Drinks may Contain ALCOHOL. Read Details here:~~~~ COCA-COLA: THE REAL THINGS? The proportions in the accompanying recipe are based on the analyses of Coke quoted above and Merory's recipes. The amount of caffeine agrees with that stated in Coca-Cola's So you asked about soft drinks... pamphlet; this is about a third of the caffeine found in the trial analyses. The following recipe produces a gallon of syrup very similar to Coca-Cola's. Mix 2,400 grams of sugar with just enough water to dissolve (high-fructose corn syrup may be substituted for half the sugar). Add 36 grams of caramel, 3.1 grams of caffeine, and 11 grams of phosphoric acid. Extract the cocaine from 1.1 grams of coca leaf ( Truxillo growth of coca preferred) with toluol; discard the cocaine extract. Soak the coca leaves and kola nuts (both finely powdered; 0.37 gram of kola nuts) in 22 grams of 20 percent alcohol. California white wine fortified to 20 percent strengt...

যে সকল শব্দ মুসলমানদের ব্যবহার করা উচিত নয়

শব্দ ব্যবহারের কুচিন্তায় যোগসাধনের ষড়যন্ত্র ইহুদী খ্রিস্টানদের ঐতিহ্যগত প্রবৃত্তি। স্বয়ং হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সময়ও ইহুদী খ্রিস্টানদের এরূপ ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার ছিল। কুরআন শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “হে ঈমানদারগণ! তোমরা রঈনা বলো না উনজুরনা বলো এবং শ্রবণ কর (বা শুনতে থাক) আর কাফিরদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি।” (সূরা বাক্বারা ১০৪) আয়াতের শানে নযুলে বলা হয়েছে, ইহুদীরা রসুলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কষ্ট দেবার জন্য ‘রঈনা’ শব্দ ব্যবহার করত, যার একাধিক অর্থ। একটি অর্থ হল ‘আমাদের দিকে লক্ষ্য করুন’ যা ভাল অর্থে ব্যবহার হয় আর খারাপ অর্থ হল ‘হে মূর্খ, হে মেষ শাবক’ এবং হিব্রু ভাষায় একটি বদদোয়া। ইহুদীরা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে রঈনা বলে সম্বোধন করত। যাতে প্রকৃতপক্ষে তাদের উদ্দেশ্য ছিল খারাপ অর্থের প্রতি ইঙ্গিত করা। আর হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ ‘রঈনা’ শব্দের ভাল অর্থের প্রতি ইঙ্গিত করে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সম্বোধন করলে ইহুদীরা খারাপ অর্থ চিন্তা করে হাসাহাসি করত। এতে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলা...

উশরযোগ্য ফল-ফসলের বিধান

উশর কি?  পবিত্র ‘উশর’ শব্দটি আরবী আশরাতুন (দশ) শব্দ হতে উৎসরিত বা উৎকলিত হয়েছে। উনার আভিধানিক বা শাব্দিক অর্থ হলেন এক দশমাংশ। আর সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার পরিভাষায় কৃষিজাত পণ্য- ফল ও ফসলের পবিত্র যাকাত উনাকে পবিত্র উশর বলে। এক কথায়, উৎপাদিত ফল ফসলের যাকাতই হচ্ছেন পবিত্র উশর। পবিত্র উশর সম্পর্কে পবিত্র কুরআন শরীফ থেকে দলীলঃ পবিত্র উশর সম্পর্কে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার একাধিক পবিত্র আয়াত শরীফ উনাদের মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে। মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- وانفقوا من طيبات ماكسبتم ومـما اخرجنا لكم من الارض. অর্থ : “তোমরা তোমাদের উপার্জিত হালাল সম্পদ হতে এবং যা আমি তোমাদের জন্য যমীন হতে উৎপন্ন করিয়েছি তা হতে দান করো।” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ২৬৭) তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-  واتوا حقه يوم حصاده অর্থ : “ফসল কাটার সময় তার হক (পবিত্র উশর) আদায় করো।” (পবিত্র সূরা আনআম শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১৪১) উশর সম্পর্কে পবিত্র হাদিস শরীফে যা বর্ণিত রয়েছে:  এ প্রসঙ্গে অনেক হাদিস শরীফ পাওয়া যায়। তার মধ্যে ২টি পবিত্র হাদী...