১৪ ফেব্রুয়ারী দৈনিক আল ইহসান-এ প্রকাশিত ব্যানার হেডিং
যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর আলোকে বলেন, আজ যারা ভ্যালেন্টাইন ডে পালন করবে তারা কুফরী করবে। বাংলাদেশে ভ্যালেন্টাইন ডে প্রবর্তনের পিছনে রয়েছে পাশ্চাত্য গোলাম, যুদ্ধাপরাধী ও মহাদুর্নীতিবাজ জামাত-জোটের খাছ এজেন্ট, একান্ত ফরমাবরদার ও বিশেষ তল্পীবাহক এবং সুবিধাভোগী মুসলমান নামধারী মুনাফিক শফিক রেহমান ও ইহুদী-খ্রিস্টান বা কাফিরদের স্বার্থ। এটা এদেশের মুসলমানদের মুসলমানিত্ব নির্মূলের গভীর ষড়যন্ত্র। মুসলমানদের জন্য এ গভীর ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং তা থেকে বিরত থাকা ও প্রতিহত করা ফরয-ওয়াজিব।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, তথাকথিত ভালোবাসা দিবস পালন মূলত অভালোবাসা তথা নোংরামীর বিস্তার ঘটায়। পাশ্চাত্যে ভালোবাসা দিবস প্রচলনের পেছনে ছিলো ব্যবসায়ীদের স্বার্থ। পাশাপাশি এদেশে তা প্রবর্তনের পেছনে আছে পাশ্চাত্য গোলাম শফিক রেহমান ও ইহুদী খ্রিস্টানদের সুদূরপ্রসারী ইসলাম বিরোধী স্বার্থ।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, পশ্চিমাদের খাছ গোলাম, মুনাফিক শফিক রেহমান পশ্চিমাদের কাছে আরো প্রিয় এবং এদেশের হুজুগে মাতা বাঙালিদের কাছে একটি তথাকথিত সংস্কৃতির প্রচলনের প্রবক্তা সাজার উদ্দেশ্যে ও তার কাঙ্খিত বাহবা কুড়ানোর লক্ষ্যে ১৯৯৩ সালে তার সাপ্তাহিক ‘যায়যায়দিন’ পত্রিকার মাধ্যমে তথাকথিত ভালোবাসা দিবসের প্রবর্তন ঘটিয়েছে। তবে শুধু শফিক রেহমানই নয় এর পেছনে সুযোগ-সন্ধানী ইসলামবিদ্বেষী মহলের বিবিধ স্বার্থ কাজ করেছে, করছে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, ভালোবাসা দিবসের ইতিহাস খুঁজতে গিয়ে The new Encyclopaedia Britannica ও Encyclopaedia Americana সহ আরো বহু রেফারেন্স থেকে জানা যায়, “রোমান এক খ্রিস্টান পাদ্রি সেন্ট ভ্যালেন্টাইন। চিকিৎসা বিদ্যায় সে ছিলো অভিজ্ঞ। খ্রিস্টধর্ম প্রচারের অভিযোগে ২৭০ খ্রিস্টাব্দে রোমের সম্রাট দ্বিতীয় ক্লডিয়াসের আদেশে ভ্যালেন্টাইনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। সে যখন বন্দি ছিলো তখন তরুণ-তরুণীরা তাকে ভালোবাসা জানিয়ে জেলখানায় জানালা দিয়ে চিঠি ছুড়ে দিতো। বন্দি অবস্থাতেই সেন্ট ভ্যালেন্টাইন জেলারের অন্ধ মেয়ের দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দেয়ার চিকিৎসা করে। মেয়েটির সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে উঠে। মৃত্যুর আগে মেয়েটিকে লেখা এক চিঠিতে সে লিখে যে, “ফ্রম ইউর ভ্যালেন্টাইন।” অনেকের মতে, সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের নামানুসারেই পোপ প্রথম জুলিয়াস ৪৯৬ খ্রিস্টাব্দে ১৪ ফেব্রুয়ারিকে ‘সেন্ট ভ্যালেন্টাইন ডে’ হিসেবে ঘোষণা দেয়।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, বর্ণিত ইতিহাস দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয় যে, তথাকথিত ভালোবাসা দিবস কখনোই এদেশীয় অর্থাৎ বাঙালি সংস্কৃতির অংশ ছিলো না। আর মুসলমানদের সংস্কৃতি তো নয়ই। বরং তা সম্পূর্ণরূপেই বিজাতীয়, বিধর্মীয় তথা পশ্চিমা ইহুদী-নাছারাদের প্রবর্তিত নিয়মনীতি, তর্জ-তরীক্বা যা অনুসরণ করা মুসলমানদের জন্য কাট্টা হারাম ও শক্ত কবীরা গুনাহ। এছাড়া তথাকথিত ভালোবাসা দিবসের নামে মূলত চলে বেপর্দা-বেহায়াপনার নির্লজ্জ উৎসব। যাতে ইবলিস শয়তানের ওয়াসওয়াসা থাকে ও নফস বা প্রবৃত্তির উদ্দামতা যুক্ত হয়। যা কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ মুতাবিক শক্ত কবীরাহ গুনাহ এবং পরকালে এসব কাজের জন্য কঠিন শাস্তি পেতে হবে তথা জাহান্নামে যেতে হবে। এ প্রসঙ্গে হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সাথে মিল রাখে সে তাদের দলভুক্ত এবং তার হাশর-নশর তাদের সাথেই হবে।” অর্থাৎ যারা কথিত ভালোবাসা দিবস পালন করবে তাদের হাশর-নশর ইহুদী-নাছারা তথা বিধর্মীদের সাথেই হবে। নাঊযুবিল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, এ প্রসঙ্গে হিন্দুস্থানের একটি ঘটনা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। “হিন্দুস্থানে একজন জবরদস্ত ওলীআল্লাহ ছিলেন। যিনি ইন্তিকালের পর আরেকজন বুযুর্গ ব্যক্তি উনাকে স্বপ্নে দেখে জিজ্ঞেস করেন, আপনি কেমন আছেন? সেই ওলীআল্লাহ তিনি জাওয়াবে বলেন, আপাতত আমি ভালই আছি, কিন্তু আমার উপর দিয়ে এক কঠিন সময় অতিবাহিত হয়েছে যা বলার অপেক্ষা রাখে না। তখন স্বপ্নদ্রষ্টা বুযুর্গ ব্যক্তি তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, আপনি কি আমাকে আপনার সেই কঠিন অবস্থা সম্পর্কে বলবেন? ওলীআল্লাহ তিনি জবাব দিলেন, অবশ্যই বলবো। কারণ এতে যমীনবাসীর জন্য শক্ত ইবরত বা নছীহত রয়েছে। অতঃপর তিনি বলা শুরু করলেন, আমার ইন্তেকালের পর ফেরেশ্তা আলাইহিমুস সালাম উনারা আমাকে সরাসরি যিনি মহান আল্লাহ্ পাক উনার নিকট পেশ করেন। আল্লাহ পাক তিনি ফেরেশ্তা আলাইহিমুস সালাম উনাদের বললেন, “হে ফেরেশ্তা আলাইহিমুস সালাম! আপনারা উনাকে কেনো এখানে নিয়ে এসেছেন”? ফেরেশ্তা আলাইহিমুস সালাম উনারা বললেন, হে বারে ইলাহী! আমরা উনাকে খাছ বান্দা হিসেবে আপনার সাথে সাক্ষাৎ করার জন্য নিয়ে এসেছি। আল্লাহ পাক তিনি বললেন, উনাকে এখান থেকে নিয়ে যান, উনার হাশর-নশর হিন্দুদের সাথে হবে। কারণ তিনি পূজা করেছেন। ওলীআল্লাহ তিনি বলেন, একথা শুনে আমি ভয় পেয়ে গেলাম এবং আমার সমস্ত শরীর ভয়ে থর থর করে কাঁপতে লাগলো এবং আমি আরজু করলাম, আয় আল্লাহ পাক! আমার হাশর-নশর হিন্দুদের সাথে হবে কেনো? আমি তো সবসময়ই আপনার এবং আপনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ফরমাবরদার ছিলাম। কখনো ইচ্ছাকৃত কোনো নাফরমানি করিনি। আর পূজা করা তো দূরের কথা আমি কখনো মন্দিরের আশ-পাশ দিয়েও হাঁটিনি। তখন আল্লাহ পাক তিনি বললেন, আপনি সেদিনের কথা স্মরণ করুন, যেদিন হিন্দুস্থানে হোলি পূজা হচ্ছিল। আপনি রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন, আপনার সামনে-পিছনে, ডানে-বামে, উপরে-নিচে আশে-পাশে সমস্ত গাছ-পালা, তরু-লতা, পশু-পাখি, কীট-পতঙ্গ, বাড়ি-ঘর, সবকিছুতেই রঙ দেয়া হয়েছিলো। এমতাবস্থায় আপনার সামনে দিয়ে একটি গর্দভ (গাধা) হেঁটে যাচ্ছিল যাকে রঙ দেয়া হয়নি। আপনি সে সময় পান চিবাচ্ছিলেন, আপনি সেই গর্দভের গায়ে এক চিপটি পানের পিক বা রঙীন রস নিক্ষেপ করে বলেছিলেন- হে গর্দভ! তোমাকে তো এই হোলি পূজার দিনে কেউ রঙ দেয়নি তাই আমি তোমাকে রঙ দিয়ে দিলাম। এটা কি আপনার পূজা করা হয়নি? আপনি কি জানেন না যে, আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন- যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সাথে মিল রাখে সে তাদের অন্তর্ভুক্ত এবং তার হাশর-নশর তাদের সাথে হবে। সুতরাং, আপনার হাশর-নশর হিন্দুদের সাথে হবে। যখন আল্লাহ পাক তিনি এই কথা বললেন, তখন আমি লা-জাওয়াব হয়ে গেলাম এবং ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে বললাম, আয় আল্লাহ পাক! আমি তো বুঝতে পারিনি, আমাকে কেউ বুঝিয়েও দেয়নি আর আমার অন্তরও এ বিষয়ে কখনও সাড়া দেয়নি। হে আল্লাহ পাক! আমাকে দয়া করে ক্ষমা করুন। কিছুক্ষণ পর আল্লাহ পাক তিনি বললেন, হ্যাঁ। আপনাকে আপনার অন্যান্য আমলের কারণে ক্ষমা করা হলো।” এখন কথা হলো- হোলি পুজার সাথে মিল রেখে এক চিপটি পানের পিক বা রস দিলে যদি হিন্দুদের সাথে হাশর-নশর হয় তবে যারা ইহুদী, নাছারা বা কাফিরদের সাথে মিল রেখে ভেলেন্টাইন ডে পালন করবে তাদের হাশর-নশর কাদের সাথে হবে?
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মূলকথা হলো- আজ যারা ভ্যালেন্টাইন ডে পালন করবে তারা কুফরী করবে, আর তাদের হাশর-নশর ইহুদী-নাছারা তথা বিধর্মীদের সাথেই হবে। কারণ, ইসলামের দৃষ্টিতে মুসলমানদের জন্য ভ্যালেন্টাইন ডে বা ভালোবাসা দিবস পালন করা সম্পূর্ণরূপে নাজায়িয, হারাম ও কুফরী। বাংলাদেশে ভ্যালেন্টাইন ডে’র প্রবর্তক হলো- যুদ্ধাপরাধী, দুর্নীতিবাজ, জামাত জোটের খাছ এজেন্ট, মুসলমান নামধারী মুনাফিক, নীতিভ্রষ্ট এক সাংবাদিক। তার কথায় দেশের ৯৭ ভাগ মুসলমান এবং স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তির প্রভাবিত হওয়া উচিত নয়। তাই মুসলমানদের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে- ভ্যালেন্টাইন ডে’সহ সর্বপ্রকার কুফরী ও হারাম প্রথা থেকে বিরত থাকা ও সেগুলো প্রতিহত করা।
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, তোমরা কাফির ও মুনাফিকদের অনুসরণ করো না।
আজ যারা ভ্যালেন্টাইন ডে পালন করবে তারা কুফরী করবে । আর তাদের হাশর-নশর ইহুদী-নাছারা তথা বিধর্মীদের সাথেই হবে।
কারণ, ইসলামের দৃষ্টিতে মুসলমানদের জন্য ভ্যালেন্টাইন ডে বা ভালোবাসা দিবস পালন করা সম্পূর্ণরূপে নাজায়িয, হারাম ও কুফরী। বাংলাদেশে ভ্যালেন্টাইন ডে’র প্রবর্তক হলো- যুদ্ধাপরাধী, দুর্নীতিবাজ, জামাত জোটের খাছ এজেন্ট, মুসলমান নামধারী মুনাফিক, নীতিভ্রষ্ট এক সাংবাদিক।
তার কথায় দেশের ৯৭ ভাগ মুসলমান এবং স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তির প্রভাবিত হওয়া উচিত নয়। তাই মুসলমানদের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে- ভ্যালেন্টাইন ডে’সহ সর্বপ্রকার কুফরী ও হারাম প্রথা থেকে বিরত থাকা ও সেগুলো প্রতিহত করা।
আজ যারা ভ্যালেন্টাইন ডে পালন করবে তারা কুফরী করবে । আর তাদের হাশর-নশর ইহুদী-নাছারা তথা বিধর্মীদের সাথেই হবে।
কারণ, ইসলামের দৃষ্টিতে মুসলমানদের জন্য ভ্যালেন্টাইন ডে বা ভালোবাসা দিবস পালন করা সম্পূর্ণরূপে নাজায়িয, হারাম ও কুফরী। বাংলাদেশে ভ্যালেন্টাইন ডে’র প্রবর্তক হলো- যুদ্ধাপরাধী, দুর্নীতিবাজ, জামাত জোটের খাছ এজেন্ট, মুসলমান নামধারী মুনাফিক, নীতিভ্রষ্ট এক সাংবাদিক।
তার কথায় দেশের ৯৭ ভাগ মুসলমান এবং স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তির প্রভাবিত হওয়া উচিত নয়। তাই মুসলমানদের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে- ভ্যালেন্টাইন ডে’সহ সর্বপ্রকার কুফরী ও হারাম প্রথা থেকে বিরত থাকা ও সেগুলো প্রতিহত করা।
যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর আলোকে বলেন, আজ যারা ভ্যালেন্টাইন ডে পালন করবে তারা কুফরী করবে। বাংলাদেশে ভ্যালেন্টাইন ডে প্রবর্তনের পিছনে রয়েছে পাশ্চাত্য গোলাম, যুদ্ধাপরাধী ও মহাদুর্নীতিবাজ জামাত-জোটের খাছ এজেন্ট, একান্ত ফরমাবরদার ও বিশেষ তল্পীবাহক এবং সুবিধাভোগী মুসলমান নামধারী মুনাফিক শফিক রেহমান ও ইহুদী-খ্রিস্টান বা কাফিরদের স্বার্থ। এটা এদেশের মুসলমানদের মুসলমানিত্ব নির্মূলের গভীর ষড়যন্ত্র। মুসলমানদের জন্য এ গভীর ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং তা থেকে বিরত থাকা ও প্রতিহত করা ফরয-ওয়াজিব।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, তথাকথিত ভালোবাসা দিবস পালন মূলত অভালোবাসা তথা নোংরামীর বিস্তার ঘটায়। পাশ্চাত্যে ভালোবাসা দিবস প্রচলনের পেছনে ছিলো ব্যবসায়ীদের স্বার্থ। পাশাপাশি এদেশে তা প্রবর্তনের পেছনে আছে পাশ্চাত্য গোলাম শফিক রেহমান ও ইহুদী খ্রিস্টানদের সুদূরপ্রসারী ইসলাম বিরোধী স্বার্থ।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, পশ্চিমাদের খাছ গোলাম, মুনাফিক শফিক রেহমান পশ্চিমাদের কাছে আরো প্রিয় এবং এদেশের হুজুগে মাতা বাঙালিদের কাছে একটি তথাকথিত সংস্কৃতির প্রচলনের প্রবক্তা সাজার উদ্দেশ্যে ও তার কাঙ্খিত বাহবা কুড়ানোর লক্ষ্যে ১৯৯৩ সালে তার সাপ্তাহিক ‘যায়যায়দিন’ পত্রিকার মাধ্যমে তথাকথিত ভালোবাসা দিবসের প্রবর্তন ঘটিয়েছে। তবে শুধু শফিক রেহমানই নয় এর পেছনে সুযোগ-সন্ধানী ইসলামবিদ্বেষী মহলের বিবিধ স্বার্থ কাজ করেছে, করছে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, ভালোবাসা দিবসের ইতিহাস খুঁজতে গিয়ে The new Encyclopaedia Britannica ও Encyclopaedia Americana সহ আরো বহু রেফারেন্স থেকে জানা যায়, “রোমান এক খ্রিস্টান পাদ্রি সেন্ট ভ্যালেন্টাইন। চিকিৎসা বিদ্যায় সে ছিলো অভিজ্ঞ। খ্রিস্টধর্ম প্রচারের অভিযোগে ২৭০ খ্রিস্টাব্দে রোমের সম্রাট দ্বিতীয় ক্লডিয়াসের আদেশে ভ্যালেন্টাইনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। সে যখন বন্দি ছিলো তখন তরুণ-তরুণীরা তাকে ভালোবাসা জানিয়ে জেলখানায় জানালা দিয়ে চিঠি ছুড়ে দিতো। বন্দি অবস্থাতেই সেন্ট ভ্যালেন্টাইন জেলারের অন্ধ মেয়ের দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দেয়ার চিকিৎসা করে। মেয়েটির সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে উঠে। মৃত্যুর আগে মেয়েটিকে লেখা এক চিঠিতে সে লিখে যে, “ফ্রম ইউর ভ্যালেন্টাইন।” অনেকের মতে, সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের নামানুসারেই পোপ প্রথম জুলিয়াস ৪৯৬ খ্রিস্টাব্দে ১৪ ফেব্রুয়ারিকে ‘সেন্ট ভ্যালেন্টাইন ডে’ হিসেবে ঘোষণা দেয়।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, বর্ণিত ইতিহাস দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয় যে, তথাকথিত ভালোবাসা দিবস কখনোই এদেশীয় অর্থাৎ বাঙালি সংস্কৃতির অংশ ছিলো না। আর মুসলমানদের সংস্কৃতি তো নয়ই। বরং তা সম্পূর্ণরূপেই বিজাতীয়, বিধর্মীয় তথা পশ্চিমা ইহুদী-নাছারাদের প্রবর্তিত নিয়মনীতি, তর্জ-তরীক্বা যা অনুসরণ করা মুসলমানদের জন্য কাট্টা হারাম ও শক্ত কবীরা গুনাহ। এছাড়া তথাকথিত ভালোবাসা দিবসের নামে মূলত চলে বেপর্দা-বেহায়াপনার নির্লজ্জ উৎসব। যাতে ইবলিস শয়তানের ওয়াসওয়াসা থাকে ও নফস বা প্রবৃত্তির উদ্দামতা যুক্ত হয়। যা কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ মুতাবিক শক্ত কবীরাহ গুনাহ এবং পরকালে এসব কাজের জন্য কঠিন শাস্তি পেতে হবে তথা জাহান্নামে যেতে হবে। এ প্রসঙ্গে হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সাথে মিল রাখে সে তাদের দলভুক্ত এবং তার হাশর-নশর তাদের সাথেই হবে।” অর্থাৎ যারা কথিত ভালোবাসা দিবস পালন করবে তাদের হাশর-নশর ইহুদী-নাছারা তথা বিধর্মীদের সাথেই হবে। নাঊযুবিল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, এ প্রসঙ্গে হিন্দুস্থানের একটি ঘটনা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। “হিন্দুস্থানে একজন জবরদস্ত ওলীআল্লাহ ছিলেন। যিনি ইন্তিকালের পর আরেকজন বুযুর্গ ব্যক্তি উনাকে স্বপ্নে দেখে জিজ্ঞেস করেন, আপনি কেমন আছেন? সেই ওলীআল্লাহ তিনি জাওয়াবে বলেন, আপাতত আমি ভালই আছি, কিন্তু আমার উপর দিয়ে এক কঠিন সময় অতিবাহিত হয়েছে যা বলার অপেক্ষা রাখে না। তখন স্বপ্নদ্রষ্টা বুযুর্গ ব্যক্তি তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, আপনি কি আমাকে আপনার সেই কঠিন অবস্থা সম্পর্কে বলবেন? ওলীআল্লাহ তিনি জবাব দিলেন, অবশ্যই বলবো। কারণ এতে যমীনবাসীর জন্য শক্ত ইবরত বা নছীহত রয়েছে। অতঃপর তিনি বলা শুরু করলেন, আমার ইন্তেকালের পর ফেরেশ্তা আলাইহিমুস সালাম উনারা আমাকে সরাসরি যিনি মহান আল্লাহ্ পাক উনার নিকট পেশ করেন। আল্লাহ পাক তিনি ফেরেশ্তা আলাইহিমুস সালাম উনাদের বললেন, “হে ফেরেশ্তা আলাইহিমুস সালাম! আপনারা উনাকে কেনো এখানে নিয়ে এসেছেন”? ফেরেশ্তা আলাইহিমুস সালাম উনারা বললেন, হে বারে ইলাহী! আমরা উনাকে খাছ বান্দা হিসেবে আপনার সাথে সাক্ষাৎ করার জন্য নিয়ে এসেছি। আল্লাহ পাক তিনি বললেন, উনাকে এখান থেকে নিয়ে যান, উনার হাশর-নশর হিন্দুদের সাথে হবে। কারণ তিনি পূজা করেছেন। ওলীআল্লাহ তিনি বলেন, একথা শুনে আমি ভয় পেয়ে গেলাম এবং আমার সমস্ত শরীর ভয়ে থর থর করে কাঁপতে লাগলো এবং আমি আরজু করলাম, আয় আল্লাহ পাক! আমার হাশর-নশর হিন্দুদের সাথে হবে কেনো? আমি তো সবসময়ই আপনার এবং আপনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ফরমাবরদার ছিলাম। কখনো ইচ্ছাকৃত কোনো নাফরমানি করিনি। আর পূজা করা তো দূরের কথা আমি কখনো মন্দিরের আশ-পাশ দিয়েও হাঁটিনি। তখন আল্লাহ পাক তিনি বললেন, আপনি সেদিনের কথা স্মরণ করুন, যেদিন হিন্দুস্থানে হোলি পূজা হচ্ছিল। আপনি রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন, আপনার সামনে-পিছনে, ডানে-বামে, উপরে-নিচে আশে-পাশে সমস্ত গাছ-পালা, তরু-লতা, পশু-পাখি, কীট-পতঙ্গ, বাড়ি-ঘর, সবকিছুতেই রঙ দেয়া হয়েছিলো। এমতাবস্থায় আপনার সামনে দিয়ে একটি গর্দভ (গাধা) হেঁটে যাচ্ছিল যাকে রঙ দেয়া হয়নি। আপনি সে সময় পান চিবাচ্ছিলেন, আপনি সেই গর্দভের গায়ে এক চিপটি পানের পিক বা রঙীন রস নিক্ষেপ করে বলেছিলেন- হে গর্দভ! তোমাকে তো এই হোলি পূজার দিনে কেউ রঙ দেয়নি তাই আমি তোমাকে রঙ দিয়ে দিলাম। এটা কি আপনার পূজা করা হয়নি? আপনি কি জানেন না যে, আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন- যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সাথে মিল রাখে সে তাদের অন্তর্ভুক্ত এবং তার হাশর-নশর তাদের সাথে হবে। সুতরাং, আপনার হাশর-নশর হিন্দুদের সাথে হবে। যখন আল্লাহ পাক তিনি এই কথা বললেন, তখন আমি লা-জাওয়াব হয়ে গেলাম এবং ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে বললাম, আয় আল্লাহ পাক! আমি তো বুঝতে পারিনি, আমাকে কেউ বুঝিয়েও দেয়নি আর আমার অন্তরও এ বিষয়ে কখনও সাড়া দেয়নি। হে আল্লাহ পাক! আমাকে দয়া করে ক্ষমা করুন। কিছুক্ষণ পর আল্লাহ পাক তিনি বললেন, হ্যাঁ। আপনাকে আপনার অন্যান্য আমলের কারণে ক্ষমা করা হলো।” এখন কথা হলো- হোলি পুজার সাথে মিল রেখে এক চিপটি পানের পিক বা রস দিলে যদি হিন্দুদের সাথে হাশর-নশর হয় তবে যারা ইহুদী, নাছারা বা কাফিরদের সাথে মিল রেখে ভেলেন্টাইন ডে পালন করবে তাদের হাশর-নশর কাদের সাথে হবে?
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মূলকথা হলো- আজ যারা ভ্যালেন্টাইন ডে পালন করবে তারা কুফরী করবে, আর তাদের হাশর-নশর ইহুদী-নাছারা তথা বিধর্মীদের সাথেই হবে। কারণ, ইসলামের দৃষ্টিতে মুসলমানদের জন্য ভ্যালেন্টাইন ডে বা ভালোবাসা দিবস পালন করা সম্পূর্ণরূপে নাজায়িয, হারাম ও কুফরী। বাংলাদেশে ভ্যালেন্টাইন ডে’র প্রবর্তক হলো- যুদ্ধাপরাধী, দুর্নীতিবাজ, জামাত জোটের খাছ এজেন্ট, মুসলমান নামধারী মুনাফিক, নীতিভ্রষ্ট এক সাংবাদিক। তার কথায় দেশের ৯৭ ভাগ মুসলমান এবং স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তির প্রভাবিত হওয়া উচিত নয়। তাই মুসলমানদের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে- ভ্যালেন্টাইন ডে’সহ সর্বপ্রকার কুফরী ও হারাম প্রথা থেকে বিরত থাকা ও সেগুলো প্রতিহত করা।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন