মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, তিনি (মহান আল্লাহ পাক) শক্তিশালী ও মজবুত রিযিকদাতা।
তিনি আরো ইরশাদ করেন, “যে ব্যক্তি আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করে, আল্লাহ পাক তিনি তার জন্য নিষ্কৃতির পথ বের করে দেন এবং তাকে তার ধারণাতীত জায়গা থেকে রিযিক দিয়ে থাকেন। যে ব্যক্তি আল্লাহ পাক উনার উপর তাওয়াক্কুল করে তার জন্য তিনিই যথেষ্ট।” ইনশাআল্লাহ!
কোনো মুসলমান যদি কখনো রিযিকের সঙ্কট মনে করে অর্থাৎ খাদ্যের অভাবে ক্ষুধার্ত থাকে তখন সে যেনো বেশি বেশি আল্লাহ আল্লাহ, লাইলাহা ইল্লাল্লাহ যিকির করে এবং বেশি বেশি ছলাত বা দরূদ শরীফ পাঠ করে। তাহলে মহান আল্লাহ পাক তিনি যিকির ও দরূদ শরীফ-এর উসীলায় তার ক্ষুধা নিবারণ করে দিবেন।
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি সম্প্রতি জাপানের কাফিরদের উপর খোদায়ী গযব নাযিলের পর তারা না খেয়ে মারা যাওয়ার ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে এসব কথা বলেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মুসলমানদের প্রতি যুলুম নির্যাতনের ফলে সারা বিশ্বের কাফির মুশরিকদের উপর নানা প্রকার খোদায়ী গযব নাযিল হচ্ছে। যেমন তুষারপাত, দাবানল, বন্যা, তুফান, ভূমিকম্প, সুনামি, অর্থনৈতিক মন্দা ও খাদ্য সঙ্কটসহ আরো হাজারো গযব নাযিল হচ্ছে এবং হবে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, খোদা না করুন কোনো মুসলমান যদি কখনো খাদ্য সঙ্কটে পড়ে বা খাদ্যের অভাবে ক্ষুধার্ত থাকে তখন তারা যেনো বেশি বেশি আল্লাহ আল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ যিকির করে এবং বেশি বেশি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি দরূদ শরীফ পাঠ করে। তাহলে মহান আল্লাহ পাক তিনি যিকির ও দরূদ শরীফ-এর উসীলায় কুদরতীভাবে তার পেট ভরায়ে দিবেন অর্থাৎ তার ক্ষুধা দূর করে দিবেন। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, এর বাস্তব উদাহরণ হচ্ছে- হাদীছ শরীফ-এ উল্লেখ আছে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, ক্বিয়ামতের পূর্বে যখন দাজ্জালের আবির্ভাব হবে, তখন সে চল্লিশ দিন কর্তৃত্ব করবে। তার মধ্যে প্রথম দিন হবে এক বৎসরের সমান, দ্বিতীয় দিন হবে এক মাসের সমান, আর তৃতীয় দিন হবে এক সপ্তাহের সমান। বাকী ৩৭ দিন স্বাভাবিক। দাজ্জাল তখন মুসলমানদের যমীনের সমস্ত ফসলগুলো নষ্ট করে ফেলবে। ফলে মুসলমানদের মধ্যে রিযিকের সঙ্কট দেখা দিবে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, তখন হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা জিজ্ঞাসা করলেন ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! তাহলে তখন মুসলমানগণ খাবে কি এবং তারা বাঁচবে কি করে? নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, তখন মহান আল্লাহ পাক উনার যিকিরই হবে বান্দা-বান্দীদের রিযিক। সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ তখন যারা মহান আল্লাহ পাক উনার যিকির করবে, মহান আল্লাহ পাক তিনি যিকিরের উসীলায় মুসলমানদের পেট কুদরতীভাবে ভরায়ে দিবেন। অর্থাৎ তাদের ক্ষুধা দূর করে দিবেন। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, কারণ মহান আল্লাহ পাক তিনি সর্বশক্তিমান। তিনি শক্তিশালী মজবুত রিযিকদাতা। তিনি সমস্ত মাখলূক্বাতের রিযিকের মালিক। কাজেই, উনার উপর তাওয়াক্কুল রেখে কেউ যদি উপরোক্ত আমল করে তবে অবশ্যই মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে কুদরতীভাবে হিফাযত করবেন। ইনশাআল্লাহ। মহান আল্লাহ পাক তিনি ‘সূরা তালাক্ব’-এর ২, ৩ নম্বর আয়াত শরীফ-এ আরো ইরশাদ করেন, “যে ব্যক্তি আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করে, আল্লাহ পাক তিনি তার জন্য নিষ্কৃতির পথ বের করে দিবেন এবং তাকে তার ধারণাতীত জায়গা থেকে রিযিক দেবেন। যে ব্যক্তি আল্লাহ পাক উনার উপর তাওয়াক্কুল করে তার জন্য তিনিই যথেষ্ট।” তাই কাফিরদের প্রতি আযাব-গযব ও খাদ্য সঙ্কটের কারণে মুসলমানদের চিন্তিত বা পেরেশান হওয়ার কিছুই নেই। ইনশাআল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মূলকথা হলো- কোনো মুসলমান যদি কখনো রিযিকের সঙ্কট মনে করে অর্থাৎ খাদ্যের অভাবে ক্ষুধার্ত থাকে তখন সে যেনো বেশি বেশি আল্লাহ আল্লাহ, লাইলাহা ইল্লাল্লাহ যিকির করে। এবং বেশি বেশি ছলাত বা দরূদ শরীফ পাঠ করে। তাহলে মহান আল্লাহ পাক তিনি যিকির ও দরূদ শরীফ-এর উসীলায় তার ক্ষুধা নিবারণ করে দিবেন। কারণ মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, তিনি (মহান আল্লাহ পাক) শক্তিশালী ও মজবুত রিযিকদাতা।
সূত্র: দৈনিক আল ইহসান ২০ মার্চ ২০১১
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন