মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, হে ঈমানদারগণ! আমি তোমাদেরকে যে পবিত্র বা হালাল রিযিক দান করেছি তা হতে ভক্ষণ কর।
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, প্রত্যেক মানুষ যে হারাম খাদ্য দ্বারা লালিত-পালিত সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। বরং তার জন্য জাহান্নামই শেষ মনজিল।
যে ব্যক্তির খাদ্য হারাম, পানীয় হারাম, পোশাক-পরিচ্ছদ হারাম তার কোনো দোয়া আল্লাহ পাক উনার দরবারে কবুল হবে না খালিছ তওবা না করা পর্যন্ত। তাই ইসলামী শরীয়তের দৃষ্টিতে কালিমা, নামায, রোযা, হজ্জ ও যাকাতের পরে পুরুষের জন্য হালাল রুযী উপার্জন করা ফরয।
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, যে ব্যক্তির খাদ্য হারাম, পানীয় হারাম, পোশাক-পরিচ্ছদ হারাম তার কোনো দোয়া আল্লাহ পাক উনার দরবারে কবুল হবে না খালিছ তওবা না করা পর্যন্ত। তাই ইসলামী শরীয়তের দৃষ্টিতে কালিমা, নামায, রোযা, হজ্জ ও যাকাতের পরে পুরুষের জন্য হালাল রুযী উপার্জন করা ফরয।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, খালিক্ব মালিক রব আল্লাহ পাক তিনি উনার কালাম পাক-এ একাধিক আয়াত শরীফ নাযিল করে জানিয়ে দিয়েছেন যে, বান্দারা যেন হালাল ও পবিত্র রিযিক গ্রহণ করে আর হারাম ও অপবিত্র রিযিক পরিহার বা বর্জন করে। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “হে ঈমানদাররা! আমি তোমাদেরকে যেসব হালাল রিযিক দিয়েছি, তা হতে তোমরা ভক্ষণ কর।” তিনি অন্যত্র ইরশাদ করেন, “হালাল বা পবিত্র বস্তু থেকে ভক্ষণ কর এবং নেক কাজ কর।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি তিনি ইরশাদ করেন, “যে ব্যক্তি পবিত্র ও হালাল খাদ্য গ্রহণ করবে, সুন্নত অনুযায়ী আমল করবে এবং তার অসদাচরণ থেকে মানুষ নিরাপদ থাকবে সে বেহেশতে প্রবেশ করবে।” সুবহানাল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ)
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, বাযযার গ্রন্থে হাদীছ শরীফ বর্ণিত রয়েছে, “যে ব্যক্তি অবৈধ বা হারাম মাল-সম্পদ উপার্জন করে তা দ্বারা পোশাক তৈরি করতঃ পরিধান করে, সে পোশাক শরীর থেকে না খোলা পর্যন্ত তার নামায আল্লাহ পাক উনার দরবারে কবুল হবে না। আল্লাহ পাক তিনি এ ব্যাপারে এমনই কঠোর যে বান্দাকে তিনি এক্ষেত্রে আদৌ রেহাই দিবেন না।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, যে ব্যক্তি অবৈধ পথে ধন-সম্পদ উপার্জন করে এবং তা থেকে আল্লাহ পাক উনার পথে ব্যয় করে তা কখনও আল্লাহ পাক উনার দরবারে কবুল হয় না এবং তাতে কোনরূপ বরকতও লাভ হয় না। উপরন্তু কেউ অবৈধভাবে ধন-সম্পদ উপার্জন করে রেখে গেলে তা তাকে দোযখে নিয়ে যাওয়ারই কারণ হয়। নাঊযুবিল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, ইবনে হাব্বান কিতাবে বর্ণিত হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, মানব দেহের যে রক্ত-গোশত হারাম মাল দ্বারা গঠিত হয়েছে তা কখনও বেহেশতে প্রবেশ করবে না বরং তা দোযখের উপযুক্ত।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, কাজেই আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সন্তুষ্টি হাছিলের জন্য এবং উনাদের অসন্তুষ্টি ও আযাব হতে পরিত্রাণের জন্য প্রত্যেকের জন্য হালাল কামাই করা, হালাল খাদ্য, পানীয়, বস্ত্র ইত্যাদি গ্রহণ করা ফরযে আইনের অন্তর্ভুক্ত।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মূল কথা হলো- যে ব্যক্তির খাদ্য হারাম, পানীয় হারাম, পোশাক-পরিচ্ছদ হারাম তার কোনো দোয়া আল্লাহ পাক উনার দরবারে কবুল হবে না খালিছ তওবা না করা পর্যন্ত। তাই ইসলামী শরীয়তের দৃষ্টিতে কালিমা, নামায, রোযা, হজ্জ ও যাকাতের পরে পুরুষের জন্য হালাল রুযী উপার্জন করা ফরয।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন