মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, আমি (আল্লাহ পাক) নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান-মান, মর্যাদা-মর্তবাকে বুলন্দ করেছি। পবিত্র ‘মি’রাজ শরীফ’ সেই বেমেছাল শান-মান ও মর্যাদা-মর্তবার মধ্যে অন্যতম।তাই বাংলাদেশসহ প্রত্যেক মুসলিম-অমুসলিম দেশের সরকারের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- পবিত্র মি’রাজ শরীফ উপলক্ষে বাধ্যতামূলক ছুটি ঘোষণা করা। আশ্চর্যের বিষয়, ৯৭ ভাগ মুসলমানের দেশে মাত্র দুই ভাগ হিন্দুর দুর্গাপূজায় ও ১ ভাগেরও কম বৌদ্ধের বৌদ্ধ পূর্ণিমায় বাধ্যতামূলক ছুটি দেয়া হয় আশ্চর্যের বিষয়, মুসলমানদের একটি গুরুত্বপূর্ণ রাত পবিত্র শবে মি’রাজ-এর ছুটি হচ্ছে ঐচ্ছিক।
তাহলে কি সরকারের কাছে পবিত্র মি’রাজ শরীফ-এর গুরুত্ব ওই সকল দিবসের চেয়ে কম? নাঊযুবিল্লাহ!
তাই সরকারের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে- পবিত্র মি’রাজ শরীফ-এর ছুটি ঐচ্ছিক না করে বাধ্যতামূলক করা।
যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, “মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, আমি (আল্লাহ পাক) নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান-মান, মর্যাদা-মর্তবাকে বুলন্দ করেছি। পবিত্র মি’রাজ শরীফ সেই বেমেছাল শান-মান ও মর্যাদা-মর্তবার মধ্যে অন্যতম। তাই বাংলাদেশসহ প্রত্যেক মুসলিম-অমুসলিম দেশের সরকারের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- পবিত্র মি’রাজ শরীফ উপলক্ষে বাধ্যতামূলক ছুটি ঘোষণা করা।”
আসন্ন পবিত্র মি’রাজ শরীফ-এর আহকাম ও গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ২৪ ঘণ্টাই আল্লাহ পাক উনার দায়িমী যিয়ারতে রয়েছেন; তবে আসমানবাসী, যমীনবাসীকে বুঝানোর জন্য মি’রাজ শরীফ একটি আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। মি’রাজ শরীফ-এর ঘটনাটি কালামুল্লাহ শরীফ-এর “সূরা বনী ইসরাইল”-এর ১ নম্বর আয়াত শরীফ-এ বর্ণনা করেছেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “মহান আল্লাহ পাক যিনি উনার বান্দা (হাবীব) ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কোনো এক রাতের সামান্য সময়ে (প্রথমে) বাইতুল্লাহ শরীফ থেকে বাইতুল মুকাদ্দাস শরীফ পর্যন্ত, যার আশপাশ বরকতময়; অতঃপর উনার নিদর্শনসমূহ দেখানোর জন্য অর্থাৎ দীদার মুবারক আরশে আযীমে দেয়ার জন্য ভ্রমণ করিয়েছেন। নিশ্চয়ই তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা।” সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মি’রাজ শরীফ হয়েছে ৩৪ বার। এক বার জিসমানী বাকি ৩৩ বার রূহানীভাবে হয়েছে। আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দুনিয়াবী হিসেবে ৫১তম বয়স মুবারক-এ ২৭ মাহে রজব রোববার দিবাগত রাত্রে অর্থাৎ সোমবার শরীফ রাত্রে কা’বা শরীফ থেকে বাইতুল মুকাদ্দাস শরীফ, সিদরাতুল মুনতাহা হয়ে আরশে মুয়াল্লায় আল্লাহ পাক উনার সাক্ষাৎ করে আবার যমীনে তাশরীফ আনেন। যা উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম, হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুসহ বিশিষ্ট ৪৫ জন ছাহাবী বর্ণনা করেছেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মি’রাজ শরীফ সংঘটিত হওয়ার লক্ষ-কোটি কারণ রয়েছে, তন্মধ্যে অন্যতম কারণ হচ্ছে আল্লাহ পাক উনার সরাসরি সাক্ষাৎ তথা ছোহবত, যা তিনি উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দিয়েছেন। এ মি’রাজ শরীফ-এর দ্বারা আল্লাহ পাক উনার সাথে আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিগূঢ় সম্পর্ক আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ পেয়েছে। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদা হচ্ছে, যমীনে কেউ সরাসরি স্বচক্ষে হাক্বীক্বী ছূরত মুবারক-এ আল্লাহ পাক উনাকে কখনো দেখবে না। কিন্তু আল্লাহ পাক উনার হাবীব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে যেহেতু বেমেছাল হিসেবে সৃষ্টি করেছেন, সেজন্যে তিনি আল্লাহ পাক উনার সরাসরি সাক্ষাতে তাশরীফ নিয়েছেন, সরাসরি আল্লাহ পাক উনার দীদার ও ছোহবত লাভ করেছেন। সুবহানাল্লাহ! এ বছরের জন্য পবিত্র মি’রাজ শরীফ-এর রাত্রিটি হচ্ছে- ২৯শে জুন ২০১১ ঈসায়ী, রোজ- বুধবার দিবাগত রাত। আর দিনটি হচ্ছে ৩০শে জুন ২০১১ ঈসায়ী, রোজ- বৃহস্পতিবার।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে- এদেশের ৯৭ ভাগ মুসলমান, ২ ভাগ হিন্দু। আর খ্রিস্টান ০.০৩, ইহুদী ৭২ জন, বৌদ্ধ ও উপজাতি মিলে ০.০৭ অর্থাৎ এরা সকলে মিলে ১ ভাগ। এই ৯৭ ভাগ মুসলমানের দেশে মাত্র ২ ভাগ হিন্দুর দুর্গাপূজা ১ ভাগেরও কম বৌদ্ধের বৌদ্ধ পূর্ণিমা ও খ্রিস্টানদের উদ্ভাবিত পহেলা মে উপলক্ষে সাধারণ বা বাধ্যতামূলক ছুটি দেয়া হয়। অথচ এ ছুটিগুলো মুসলমানদের প্রয়োজন নেই এবং এদিবসগুলো উদযাপন করা মুসলমানদের জন্য জায়িযও নেই বরং সম্পূর্ণরূপে হারাম। কথা হচ্ছে- ৯৭ ভাগ মুসলমান ও রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের দেশের সরকার যদি এরূপ অপ্রয়োজনীয় ছুটি বাধ্যতামূলক করতে পারে তবে মি’রাজ শরীফ-এর ছুটি ঐচ্ছিক কেন? তাহলে কি সরকারের কাছে মি’রাজ শরীফ-এর গুরুত্ব ওই সকল দিবসের চেয়ে কম? নাউযুবিল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, তাই সরকারের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- মুসলমানগণ যেন শবে মি’রাজ-এর মুবারক রাতটি ইবাদত ও দোয়া-মুনাজাতে কাটাতে পারে এবং পরের দিন রোযা রাখতে পারে, সেজন্য পরের দিন সরকারিভাবে বাধ্যতামূলক ছুটি ঘোষণা করা। কেননা পহেলা মে, পহেলা বৈশাখ, বৌদ্ধ পূর্ণিমা, ২৫ ডিসেম্বর ও দুর্গাপূজাসহ অন্যান্য দিনে মুসলিম বিশ্বে ছুটি দেয়া হয়; যার সাথে মুসলিম ঐতিহ্যের কোনো সম্পর্ক নেই এবং যা মুসলমানদের কোনো প্রয়োজনও নেই। শুধু তাই নয়, বরং বিধর্মীদের বিশেষ দিনগুলি মুসলমানগণের জন্য পালন করা সম্পূর্ণরূপে নাজায়িয ও হারাম এবং ঈমান নষ্ট হওয়ারও কারণ। সরকরের উচিত এরূপ অপ্রয়োজনীয় দিনে ছুটি ঐচ্ছিক করে শবে মি’রাজ-এর ন্যায় এত ফযীলতপূর্ণ রাত উপলক্ষে বাধ্যতামূলক ছুটি দেয়া।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে মুসলমান হিসেবে প্রত্যেকেরই উচিত ছিল মুসলিম ঐতিহ্য ও ইসলামী ফযীলতযুক্ত দিন যেমন, রজব মাসের পহেলা রাত, শবে বরাত, শবে ক্বদর, দুই ঈদের দুই রাত, লাইলাতুর রগায়িব, শবে মি’রাজ, আশূরা এবং বিশেষভাবে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হযরত নবী ও রসূল আলাইহিমুস সালাম, হযরত উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন নাস সালাম, হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম, হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের বিলাদত ও বিছাল শরীফ সম্পর্কে অবগত থাকা। তার চেতনাবোধে ও মর্যাদা-মর্তবা অনুধাবনে অনুপ্রাণিত থাকা। এসব দিন ও রাতের গুরুত্ব ও ফযীলত অনুধাবন করেই দৈনিক আল ইহসান বন্ধ রাখা হয়। তিনি আশা প্রকাশ করেন অতি শীঘ্রই সবাই একই আদর্শ অনুসরণে এগিয়ে আসবেন ইনশাআল্লাহ।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মূলকথা হলো- পবিত্র মি’রাজ শরীফ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেমেছাল ফাযায়িল-ফযীলতের মধ্য হতে একটি বিশেষ ফাযায়িল-ফযীলত; যা বিশ্বাস করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরয। আর অস্বীকার ও অবজ্ঞা করা কাট্টা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। বাংলাদেশসহ প্রত্যেক মুসলিম ও অমুসলিম দেশের সরকারের উচিত মি’রাজ শরীফ উপলক্ষে ঐচ্ছিক নয় বরং বাধ্যতামূলক ছুটি ঘোষণা করা এবং এ মুবারক রাত্রটি যথাযথ তা’যীম-তাকরীম-এর সাথে উদযাপনের জন্য সরকারিভাবে সকল প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
তাহলে কি সরকারের কাছে পবিত্র মি’রাজ শরীফ-এর গুরুত্ব ওই সকল দিবসের চেয়ে কম? নাঊযুবিল্লাহ!
তাই সরকারের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে- পবিত্র মি’রাজ শরীফ-এর ছুটি ঐচ্ছিক না করে বাধ্যতামূলক করা।
যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, “মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, আমি (আল্লাহ পাক) নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান-মান, মর্যাদা-মর্তবাকে বুলন্দ করেছি। পবিত্র মি’রাজ শরীফ সেই বেমেছাল শান-মান ও মর্যাদা-মর্তবার মধ্যে অন্যতম। তাই বাংলাদেশসহ প্রত্যেক মুসলিম-অমুসলিম দেশের সরকারের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- পবিত্র মি’রাজ শরীফ উপলক্ষে বাধ্যতামূলক ছুটি ঘোষণা করা।”
আসন্ন পবিত্র মি’রাজ শরীফ-এর আহকাম ও গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ২৪ ঘণ্টাই আল্লাহ পাক উনার দায়িমী যিয়ারতে রয়েছেন; তবে আসমানবাসী, যমীনবাসীকে বুঝানোর জন্য মি’রাজ শরীফ একটি আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। মি’রাজ শরীফ-এর ঘটনাটি কালামুল্লাহ শরীফ-এর “সূরা বনী ইসরাইল”-এর ১ নম্বর আয়াত শরীফ-এ বর্ণনা করেছেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “মহান আল্লাহ পাক যিনি উনার বান্দা (হাবীব) ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কোনো এক রাতের সামান্য সময়ে (প্রথমে) বাইতুল্লাহ শরীফ থেকে বাইতুল মুকাদ্দাস শরীফ পর্যন্ত, যার আশপাশ বরকতময়; অতঃপর উনার নিদর্শনসমূহ দেখানোর জন্য অর্থাৎ দীদার মুবারক আরশে আযীমে দেয়ার জন্য ভ্রমণ করিয়েছেন। নিশ্চয়ই তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা।” সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মি’রাজ শরীফ হয়েছে ৩৪ বার। এক বার জিসমানী বাকি ৩৩ বার রূহানীভাবে হয়েছে। আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দুনিয়াবী হিসেবে ৫১তম বয়স মুবারক-এ ২৭ মাহে রজব রোববার দিবাগত রাত্রে অর্থাৎ সোমবার শরীফ রাত্রে কা’বা শরীফ থেকে বাইতুল মুকাদ্দাস শরীফ, সিদরাতুল মুনতাহা হয়ে আরশে মুয়াল্লায় আল্লাহ পাক উনার সাক্ষাৎ করে আবার যমীনে তাশরীফ আনেন। যা উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম, হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুসহ বিশিষ্ট ৪৫ জন ছাহাবী বর্ণনা করেছেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মি’রাজ শরীফ সংঘটিত হওয়ার লক্ষ-কোটি কারণ রয়েছে, তন্মধ্যে অন্যতম কারণ হচ্ছে আল্লাহ পাক উনার সরাসরি সাক্ষাৎ তথা ছোহবত, যা তিনি উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দিয়েছেন। এ মি’রাজ শরীফ-এর দ্বারা আল্লাহ পাক উনার সাথে আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিগূঢ় সম্পর্ক আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ পেয়েছে। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদা হচ্ছে, যমীনে কেউ সরাসরি স্বচক্ষে হাক্বীক্বী ছূরত মুবারক-এ আল্লাহ পাক উনাকে কখনো দেখবে না। কিন্তু আল্লাহ পাক উনার হাবীব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে যেহেতু বেমেছাল হিসেবে সৃষ্টি করেছেন, সেজন্যে তিনি আল্লাহ পাক উনার সরাসরি সাক্ষাতে তাশরীফ নিয়েছেন, সরাসরি আল্লাহ পাক উনার দীদার ও ছোহবত লাভ করেছেন। সুবহানাল্লাহ! এ বছরের জন্য পবিত্র মি’রাজ শরীফ-এর রাত্রিটি হচ্ছে- ২৯শে জুন ২০১১ ঈসায়ী, রোজ- বুধবার দিবাগত রাত। আর দিনটি হচ্ছে ৩০শে জুন ২০১১ ঈসায়ী, রোজ- বৃহস্পতিবার।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে- এদেশের ৯৭ ভাগ মুসলমান, ২ ভাগ হিন্দু। আর খ্রিস্টান ০.০৩, ইহুদী ৭২ জন, বৌদ্ধ ও উপজাতি মিলে ০.০৭ অর্থাৎ এরা সকলে মিলে ১ ভাগ। এই ৯৭ ভাগ মুসলমানের দেশে মাত্র ২ ভাগ হিন্দুর দুর্গাপূজা ১ ভাগেরও কম বৌদ্ধের বৌদ্ধ পূর্ণিমা ও খ্রিস্টানদের উদ্ভাবিত পহেলা মে উপলক্ষে সাধারণ বা বাধ্যতামূলক ছুটি দেয়া হয়। অথচ এ ছুটিগুলো মুসলমানদের প্রয়োজন নেই এবং এদিবসগুলো উদযাপন করা মুসলমানদের জন্য জায়িযও নেই বরং সম্পূর্ণরূপে হারাম। কথা হচ্ছে- ৯৭ ভাগ মুসলমান ও রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের দেশের সরকার যদি এরূপ অপ্রয়োজনীয় ছুটি বাধ্যতামূলক করতে পারে তবে মি’রাজ শরীফ-এর ছুটি ঐচ্ছিক কেন? তাহলে কি সরকারের কাছে মি’রাজ শরীফ-এর গুরুত্ব ওই সকল দিবসের চেয়ে কম? নাউযুবিল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, তাই সরকারের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- মুসলমানগণ যেন শবে মি’রাজ-এর মুবারক রাতটি ইবাদত ও দোয়া-মুনাজাতে কাটাতে পারে এবং পরের দিন রোযা রাখতে পারে, সেজন্য পরের দিন সরকারিভাবে বাধ্যতামূলক ছুটি ঘোষণা করা। কেননা পহেলা মে, পহেলা বৈশাখ, বৌদ্ধ পূর্ণিমা, ২৫ ডিসেম্বর ও দুর্গাপূজাসহ অন্যান্য দিনে মুসলিম বিশ্বে ছুটি দেয়া হয়; যার সাথে মুসলিম ঐতিহ্যের কোনো সম্পর্ক নেই এবং যা মুসলমানদের কোনো প্রয়োজনও নেই। শুধু তাই নয়, বরং বিধর্মীদের বিশেষ দিনগুলি মুসলমানগণের জন্য পালন করা সম্পূর্ণরূপে নাজায়িয ও হারাম এবং ঈমান নষ্ট হওয়ারও কারণ। সরকরের উচিত এরূপ অপ্রয়োজনীয় দিনে ছুটি ঐচ্ছিক করে শবে মি’রাজ-এর ন্যায় এত ফযীলতপূর্ণ রাত উপলক্ষে বাধ্যতামূলক ছুটি দেয়া।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে মুসলমান হিসেবে প্রত্যেকেরই উচিত ছিল মুসলিম ঐতিহ্য ও ইসলামী ফযীলতযুক্ত দিন যেমন, রজব মাসের পহেলা রাত, শবে বরাত, শবে ক্বদর, দুই ঈদের দুই রাত, লাইলাতুর রগায়িব, শবে মি’রাজ, আশূরা এবং বিশেষভাবে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হযরত নবী ও রসূল আলাইহিমুস সালাম, হযরত উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন নাস সালাম, হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম, হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের বিলাদত ও বিছাল শরীফ সম্পর্কে অবগত থাকা। তার চেতনাবোধে ও মর্যাদা-মর্তবা অনুধাবনে অনুপ্রাণিত থাকা। এসব দিন ও রাতের গুরুত্ব ও ফযীলত অনুধাবন করেই দৈনিক আল ইহসান বন্ধ রাখা হয়। তিনি আশা প্রকাশ করেন অতি শীঘ্রই সবাই একই আদর্শ অনুসরণে এগিয়ে আসবেন ইনশাআল্লাহ।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মূলকথা হলো- পবিত্র মি’রাজ শরীফ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেমেছাল ফাযায়িল-ফযীলতের মধ্য হতে একটি বিশেষ ফাযায়িল-ফযীলত; যা বিশ্বাস করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরয। আর অস্বীকার ও অবজ্ঞা করা কাট্টা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। বাংলাদেশসহ প্রত্যেক মুসলিম ও অমুসলিম দেশের সরকারের উচিত মি’রাজ শরীফ উপলক্ষে ঐচ্ছিক নয় বরং বাধ্যতামূলক ছুটি ঘোষণা করা এবং এ মুবারক রাত্রটি যথাযথ তা’যীম-তাকরীম-এর সাথে উদযাপনের জন্য সরকারিভাবে সকল প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন