নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, আমার আহলে বাইত আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত করো আমার সন্তুষ্টি লাভের জন্য।
হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম তিনি আহলে বাইত আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্যতম। উনাকে মুহব্বত করা, তা’যীম-তাকরীম করা ও অনুসরণ করা এবং উনার জীবনী মুবারক জানা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরযে আইন।
তাই পৃথিবীব্যাপী সকল মাদরাসা, স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সিলেবাসে উনার জীবনী মুবারক অন্তর্ভুক্ত করাও ফরযে আইন। কারণ যে বিষয়টি শরীয়তে ফরয-ওয়াজিব সে বিষয় সম্পর্কে ইলম অর্জন করাও ফরয-ওয়াজিব।
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, “হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম তিনি আহলে বাইত আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্যতম। উনাকে মুহব্বত করা, তা’যীম-তাকরীম করা ও অনুসরণ করা এবং উনার জীবনী মুবারক জানা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরযে আইন। তাই পৃথিবীব্যাপী সকল মাদরাসা, স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সিলেবাসে উনার জীবনী মুবারক অন্তর্ভুক্ত করাও ফরযে আইন। কারণ যে বিষয়টি শরীয়তে ফরয-ওয়াজিব সে বিষয় সম্পর্কে ইলম অর্জন করাও ফরয-ওয়াজিব।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সাইয়্যিদুশ শুহাদা হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম তিনি চতুর্থ হিজরীর শা’বান মাসের ৫ তারিখ মদীনা শরীফ-এ বিলাদত শরীফ লাভ করেন। বিলাদত শরীফ-এর পর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার কান মুবারক-এ আযান দিয়ে দোয়া করেন। সাতদিন পর আকীক্বা করে উনার নাম মুবারক রাখেন হযরত ‘হুসাইন’ আলাইহিস সালাম। হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম ও হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনারা বেহেশতে যুবকদের সাইয়্যিদ।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি একদা এমন অবস্থায় বাইরে তাশরীফ আনলেন যে, উনার এক কাঁধ মুবারক-এর উপর হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম এবং অন্য কাঁধ মুবারক-এর উপর হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাদেরকে বসিয়ে ছিলেন। এভাবে আমাদের সামনে তাশরীফ আনলেন এবং ইরশাদ করলেন, ‘যে ব্যক্তি এ দু’জনকে মুহব্বত করলো, সে আমাকে মুহব্বত করলো। আর যে উনাদের সাথে দুশমনি করলো, সে আমার সাথে দুশমনি করলো।’ উল্লেখ্য, উনাদের ফযীলত, মর্যাদা-মর্তবা সম্পর্কে এরূপ বহু বর্ণনা হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে। তাছাড়া হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম তিনি আহলে বাইত আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্যতম। আর কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ-এর অসংখ্য স্থানে আহলে বাইত আলাইহিমুস সালাম উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত ও পবিত্রতা বর্ণনা করা হয়েছে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি বলুন, আমি তোমাদের নিকট রিসালত-এর দায়িত্ব পালনের কোনো প্রতিদান চাই না। তবে আমার আত্মীয়-স্বজনদের তথা বংশধর উনাদের সাথে সদাচরণ করবে।”
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, রহমতুল্লিল আলামীন, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, আমি তোমাদের জন্য দুটি জিনিস রেখে যাচ্ছি। প্রথমটি হলো- মহান আল্লাহ পাক উনার কিতাব। যার মধ্যে রয়েছে হিদায়েত ও নূর। তোমরা কিতাবুল্লাহকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়িয়ে ধর। রাবী বলেন, তিনি কিতাবুল্লাহর প্রতি উৎসাহ প্রদান করলেন। অতঃপর বললেন, দ্বিতীয়টি হলো- আমার আহলে বাইত বা (আওলাদগণ) বংশধরগণ। উনাদের ব্যাপারে তোমাদের সতর্ক করছি। উনাদের ব্যাপারে তোমাদের সতর্ক করছি। (মুসলিম শরীফ ও মিশকাত শরীফ)
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি সিররুশ শাহাদাতাইন কিতাবের বরাত দিয়ে বলেন, আহলে বাইত তথা আওলাদুর রসূলগণ উনাদের খুছুসিয়ত, মর্যাদা, মর্তবা, বৈশিষ্ট্য ও ফযীলত সম্পর্কে অন্য হাদীছ শরীফ-এ রহমতুল্লিল আলামীন, রউফুর রহীম, নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “নিশ্চয়ই আমার আওলাদগণ উনাদের উদাহরণ হলো হযরত নূহ আলাইহিস সালাম উনার কিশতীর ন্যায়। যে তাতে প্রবেশ করেছে (অর্থাৎ যে আমার আওলাদগণ উনাদেরকে মুহব্বত করে) সেই নাজাত পেয়েছে।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আহলে বাইত তথা আওলাদে রসূলগণ উনাদের ফযীলত সম্পর্কে হাদীছ শরীফ-এর কিতাবে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “তারকারাজী আসমানের নিরাপত্তা দানকারী আর আমার বংশধর বা আওলাদগণ উনারা যমীনের নিরাপত্তা দানকারী। সুতরাং যখন আমার আহলে বাইত আলাইহিমুস সালাম বা আওলাদগণ উনারা (দুনিয়া থেকে) চলে যাবেন তখন দুনিয়াবাসী সকলেই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।” (আহমদ, মিরকাত, হাশিয়ায়ে মিশকাত)
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, উপরোক্ত আলোচনা দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম তিনি আহলে বাইত আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্যতম। উনাকে মুহব্বত করা, তা’যীম-তাকরীম করা ও অনুসরণ করা এবং উনার জীবনী মুবারক জানা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরযে আইন। তাই পৃথিবীব্যাপী সকল মাদরাসা, স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সিলেবাসে উনার জীবনী মুবারক অন্তর্ভুক্ত করাও ফরযে আইন। কারণ যে বিষয়টি শরীয়তে ফরয-ওয়াজিব সে বিষয় সম্পর্কে ইলম অর্জন করাও ফরয-ওয়াজিব।
৩০ নভেম্বর, ২০১১
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন