সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

GMT'র বিকল্প হিসেবে KMT বাস্তবায়িত করতে হবে

কুরআন শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, তোমরা পরস্পর পরস্পরকে নেকী ও পরহেজগারীতে সাহায্য ও সহযোগিতা করো।

মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ করেন, তোমরা আমাকে স্মরণ করো, আমিও তোমাদেরকে স্মরণ করবো।
মক্কা শরীফ টাওয়ারে স্থাপিত ঘড়িটি GMT'র বিকল্প হিসেবে চালু হবে বলে সউদী আরবের সংবাদ মাধ্যমগুলোতে প্রচার করা হয়েছে। শুধু প্রচার করলেই চলবে না সাথে সাথে বাস্তবায়িতও করতে হবে। 
স্মরণীয়, KMT (Kaba Shareef Mean Time) চালু করার পূর্বে কাবা শরীফ-এর উপর দিয়ে প্রাইম মেরিডিয়ান স্থির করে নিতে হবে।

যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আযম, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সুলত্বানুন নাছীর, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মক্কা শরীফ টাওয়ারে স্থাপিত ঘড়িটি GMT'র বিকল্প হিসেবে চালু হবে বলে সউদী আরবের সংবাদ মাধ্যমগুলোতে প্রচার করা হয়েছে। শুধু প্রচার করলেই চলবে না সাথে সাথে বাস্তবায়িতও করতে হবে। স্মরণীয় যে, KMT Kaba Shareef Mean Time) চালু করার পূর্বে কাবা শরীফ-এর উপর দিয়ে প্রাইম মেরিডিয়ান স্থির করে নিতে হবে।
মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি সার্বিকভাবে বিশ্বের সকল মুসলমানের মর্যাদা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সউদী সরকারের করণীয় এবং তাদের দৃঢ়চিত্তহীনতার বিষয়ে বলতে গিয়ে উপরোক্ত ক্বওল শরীফ উল্লেখ করেন।


মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মক্কা শরীফ টাওয়ারে পৃথিবীর বৃহত্তম ঘড়িটি স্থাপিত হওয়ার পর সউদী আরব থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক আরব নিউজ-এ ২০১০ সালের ১০ই আগস্ট, মঙ্গলবার শিরোনাম এসেছিলো- Makkah Time a new alternative for GMT. জিএমটির বিকল্প হতে পারে মক্কা শরীফ-এর সময়- এই শিরোনামে পত্রিকাতে প্রকাশ করা হয়েছিল। কাজেই অতিসত্বর তা বাস্তবায়িত করতে হবে। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, এখন টাওয়ারের যে যে অংশে ঘড়ি চালু হয়েছে তা চলছে GMT-এর সময়কে কেন্দ্র করে। 


মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলত কিভাবে মক্কা শরীফ-এর ঘড়িটি জিএমটির বিকল্প হতে পারে সউদী সরকারের এ বিষয়ে পূর্ণ ধারণা নেই। তাদের উচিত যারা এ বিষয়ে অভিজ্ঞ তাদের সাথে পরামর্শ করে অচিরেই জিএমটির পরিবর্তে কেএমটির প্রচলন ঘটানো। 

মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আমাদের সদা-সর্বদা মহান আল্লাহ পাক উনার স্বরণ করা উচিত। অথচ প্রতিদিনের সময় নিরূপণ করার সময় মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র ঘর কাবা শরীফ-এর স্মরণ না করে মানুষ বিশেষত মুসলমানগণ স্মরণ করছে কাফিরদের গ্রীনিচকে। নাঊযুবিল্লাহ!


তবে গ্রীনিচের স্মরণ না করে মহান আল্লাহ পাক এবং উনার পবিত্র ঘর কাবা শরীফ-এর স্মরণের ক্ষেত্রে বিশ্বের মুসলমানগণকে সবচেয়ে বেশি সহায়তা দিতে পারে সউদী আরব সরকার। যেহেতু পবিত্র মক্কা শরীফ সউদী আরবে অবস্থিত। সউদী সরকারের উচিত বিশ্বের সকল মুসলিম দেশগুলোর সমর্থন নিয়ে গ্রীনিচের পরিবর্তে কাবা শরীফ-এর উপর দিয়ে প্রাইম মেরিডিয়ান স্থির করা। কাফিররা তা অনুসরণ করবে, কী করবে না- তা তাদের নিজস্ব ব্যাপার। কিন্তু মুসলমানগণের এ ব্যাপারে দৃঢ়চিত্ততা প্রকাশ করতে হবে।

মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, অনেক তথাকথিত মুসলিম জিএমটির পরিবর্তে কেএমটি চালুর বিষয়টি উপলব্ধি করতে না পেরে এটিকে অপ্রয়োজনীয়, জটিল, অর্থহীন এসব শব্দ ব্যবহার করে। নাঊযুবিল্লাহ! অথচ মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার নির্দেশের অনুসরণের জন্যই কেএমটির প্রচলন হওয়া দরকার। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, তোমরা আল্লাহ পাক উনাকে স্মরণ করো। অথচ আমরা যখন জিএমটি অনুযায়ী সময় নির্ধারণ করি তখন ইচ্ছা অনিচ্ছায় আমরা কাফিরদের স্মরণ করি। (নাঊযুবিল্লাহ)। কারণ GMT নির্ধারিত হয়েছে কাফিরদের গ্রীনিচকে কেন্দ্র করে।


মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, প্রাইম মেরিডিয়ান সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিলো ১৮৮৪ সালে। সেই সিদ্ধান্ত কোনোকালের জন্যই মুসলমানগণ মানতে বাধ্য নয়। মুসলমানগণের উচিত, এসব বিষয়ে শরঈ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা। কাবা শরীফ-এর উপর দিয়ে প্রাইম মেরিডিয়ান স্থির করে নিয়ে মক্কা শরীফ-এর সময় অনুযায়ী পৃথিবীর সকল সময় অঞ্চল নির্ধারণ করাটা মুসলমানগণের জন্য সর্বকালের জন্যই অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। অবশ্যই এ ব্যাপারে সউদী সরকারকে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে হবে।


(প্রকৃতপক্ষে যিনি যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আযম ঢাকা রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনিই পৃথিবীতে সর্বপ্রথম GMT -এর পরিবর্তে KMT -এর প্রচলনের কথা ব্যক্ত করেন এবং তা দৈনিক আল ইহসান শরীফ-এ ব্যানার হেডিংয়ের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। সেই ব্যানার হেডিং-এর অনুসরণ করে পরবর্তীতে কাতারে একদল বিজ্ঞানী KMT -এর প্রচলনের ব্যাপারে মতবিনিময় অনুষ্ঠান করে এবং সউদী কর্তৃপক্ষ অনুপ্রাণিত হয়ে মক্কা টাওয়ারে বিশেষ ঘড়িটি স্থাপন করে। কিন্তু GMT-এর পরিবর্তে KMT-এর প্রচলনের কথা দৈনিক আল ইহসান শরীফ-এ ক্রমাগত প্রকাশিত হয়ে চলছে। কিন্তু মুসলিম বিজ্ঞানীগণ এবং সউদী কর্তৃপক্ষ বর্তমানে নীরব। এর মূল কারণ KMT -এর প্রচলনের ব্যাপারে তাদের আবেগ থাকলেও পর্যাপ্ত জ্ঞানের অভাব রয়েছে।)


মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, KMT-এর প্রচলনের ব্যাপারে আগ্রহী সকল কর্তৃপক্ষকে দৈনিক আল ইহসান শরীফ কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগের জন্য বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন। যেহেতু আল ইহসান শরীফ থেকেই প্রথম এই ধারণা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দেয় হয়।



সূত্র: দৈনিক আল ইহসান, ১৬ নভেম্বর, ২০১১

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

*Coca-cola is Haram for Muslim

Because Coca-Cola and Other Soft Drinks may Contain ALCOHOL. Read Details here:~~~~ COCA-COLA: THE REAL THINGS? The proportions in the accompanying recipe are based on the analyses of Coke quoted above and Merory's recipes. The amount of caffeine agrees with that stated in Coca-Cola's So you asked about soft drinks... pamphlet; this is about a third of the caffeine found in the trial analyses. The following recipe produces a gallon of syrup very similar to Coca-Cola's. Mix 2,400 grams of sugar with just enough water to dissolve (high-fructose corn syrup may be substituted for half the sugar). Add 36 grams of caramel, 3.1 grams of caffeine, and 11 grams of phosphoric acid. Extract the cocaine from 1.1 grams of coca leaf ( Truxillo growth of coca preferred) with toluol; discard the cocaine extract. Soak the coca leaves and kola nuts (both finely powdered; 0.37 gram of kola nuts) in 22 grams of 20 percent alcohol. California white wine fortified to 20 percent strengt...

যে সকল শব্দ মুসলমানদের ব্যবহার করা উচিত নয়

শব্দ ব্যবহারের কুচিন্তায় যোগসাধনের ষড়যন্ত্র ইহুদী খ্রিস্টানদের ঐতিহ্যগত প্রবৃত্তি। স্বয়ং হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সময়ও ইহুদী খ্রিস্টানদের এরূপ ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার ছিল। কুরআন শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “হে ঈমানদারগণ! তোমরা রঈনা বলো না উনজুরনা বলো এবং শ্রবণ কর (বা শুনতে থাক) আর কাফিরদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি।” (সূরা বাক্বারা ১০৪) আয়াতের শানে নযুলে বলা হয়েছে, ইহুদীরা রসুলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কষ্ট দেবার জন্য ‘রঈনা’ শব্দ ব্যবহার করত, যার একাধিক অর্থ। একটি অর্থ হল ‘আমাদের দিকে লক্ষ্য করুন’ যা ভাল অর্থে ব্যবহার হয় আর খারাপ অর্থ হল ‘হে মূর্খ, হে মেষ শাবক’ এবং হিব্রু ভাষায় একটি বদদোয়া। ইহুদীরা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে রঈনা বলে সম্বোধন করত। যাতে প্রকৃতপক্ষে তাদের উদ্দেশ্য ছিল খারাপ অর্থের প্রতি ইঙ্গিত করা। আর হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ ‘রঈনা’ শব্দের ভাল অর্থের প্রতি ইঙ্গিত করে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সম্বোধন করলে ইহুদীরা খারাপ অর্থ চিন্তা করে হাসাহাসি করত। এতে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলা...

উশরযোগ্য ফল-ফসলের বিধান

উশর কি?  পবিত্র ‘উশর’ শব্দটি আরবী আশরাতুন (দশ) শব্দ হতে উৎসরিত বা উৎকলিত হয়েছে। উনার আভিধানিক বা শাব্দিক অর্থ হলেন এক দশমাংশ। আর সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার পরিভাষায় কৃষিজাত পণ্য- ফল ও ফসলের পবিত্র যাকাত উনাকে পবিত্র উশর বলে। এক কথায়, উৎপাদিত ফল ফসলের যাকাতই হচ্ছেন পবিত্র উশর। পবিত্র উশর সম্পর্কে পবিত্র কুরআন শরীফ থেকে দলীলঃ পবিত্র উশর সম্পর্কে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার একাধিক পবিত্র আয়াত শরীফ উনাদের মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে। মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- وانفقوا من طيبات ماكسبتم ومـما اخرجنا لكم من الارض. অর্থ : “তোমরা তোমাদের উপার্জিত হালাল সম্পদ হতে এবং যা আমি তোমাদের জন্য যমীন হতে উৎপন্ন করিয়েছি তা হতে দান করো।” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ২৬৭) তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-  واتوا حقه يوم حصاده অর্থ : “ফসল কাটার সময় তার হক (পবিত্র উশর) আদায় করো।” (পবিত্র সূরা আনআম শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১৪১) উশর সম্পর্কে পবিত্র হাদিস শরীফে যা বর্ণিত রয়েছে:  এ প্রসঙ্গে অনেক হাদিস শরীফ পাওয়া যায়। তার মধ্যে ২টি পবিত্র হাদী...