নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, আমরা ছোট জিহাদ থেকে বড় জিহাদের দিকে প্রত্যাবর্তন করতেছি।
বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিলো প্রকৃতপক্ষে স্বাধীনভাবে সঠিক ইসলাম পালনের লক্ষ্যে। কিন্তু এই স্বাধীন দেশ এক নতুন ভয়াবহ জিহাদের সম্মুখীন। ইসলামী মূল্যবোধ নষ্টের জন্য চাপিয়ে দেয়া বিজাতীয় সংস্কৃতির জিহাদে আজ ৯৭ ভাগ মুসলমানের ঈমানী চেতনার সীমান্ত অরক্ষিত।
ফলে দেশ হারানোর আগে ঈমান হারাতে বসেছে এদেশের কোটি কোটি মুসলমান।
‘কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ বিরোধী কোনো আইন পাস হবে না’ এই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সরকারকে এ বিষয়টি অবশ্যই ফিকির করতে হবে।
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, আমরা ছোট জিহাদ থেকে বড় জিহাদের দিকে প্রত্যাবর্তন করতেছি। বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিলো প্রকৃতপক্ষে স্বাধীনভাবে সঠিক ইসলাম পালনের লক্ষ্যে। কিন্তু এই স্বাধীন দেশ এক নতুন ভয়াবহ জিহাদের সম্মুখীন। ইসলামী মূল্যবোধ নষ্টের জন্য চাপিয়ে দেয়া বিজাতীয় সংস্কৃতির জিহাদে আজ ৯৭ ভাগ মুসলমানের ঈমানী চেতনার সীমান্ত অরক্ষিত। ফলে দেশ হারানোর আগে ঈমান হারাতে বসেছে এদেশের কোটি কোটি মুসলমান। ‘কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ বিরোধী কোনো আইন পাস হবে না’ এই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সরকারকে এ বিষয়টি অবশ্যই ফিকির করতে হবে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি পরিকল্পিতভাবে এদেশের মুসলমানদের মধ্য থেকে ইসলামী মূল্যবোধ, ঈমানী চেতনা নষ্ট করার লক্ষ্যে মুসলমান নামধারী গুটিকতেক সেক্যুলার নেতা, আমলা, বিচারকদের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দেশের সকল মুসলিম জনগোষ্ঠীকে সচেতন করার লক্ষ্যে এসব কথা বলেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পূর্বে মুসলমানগণ অত্যন্ত অল্প সংখ্যক সৈন্য নিয়ে বিশাল কাফির বাহিনীর বিরুদ্ধে জয়লাভ করতেন শুধু ঈমানী কুওওয়ত, জযবা এবং সর্বোপরি মহান আল্লাহ রব্বুল আলামীন উনার রহমত এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ইহসানের কারণে। বর্তমানে মুসলমানদের সে ঈমানী কুওওয়ত না থাকলেও শুধু মুসলমান হবার কারণেই ইরাকে ৯ বছর ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্র বাহিনী নাজেহাল হওয়ার পর অবশেষে ইরাক ছেড়েছে। আফগানিস্তানে সৈন্য সরিয়ে নেবার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সৈন্য সংখ্যা বাড়িয়েছে। অথচ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মতো একটি যুদ্ধ মাত্র পাঁচ বছরেই শেষ হয়েছিলো। মুসলমানদের টিম টিম করে জ্বলা ঈমানের কারণেও আজ কাফির-মুশরিকরা ভীত সন্ত্রস্ত। আর সে কারণে তারা নেমেছে ভয়ানক ষড়যন্ত্রে। আর সে ষড়যন্ত্র হচ্ছে মুসলিম দেশগুলোতে বিজাতীয় সংস্কৃতির প্রবেশ ঘটিয়ে ইসলামী মূল্যবোধ ও ঈমানী চেতনা নষ্ট করার। মুসলমানগণ ঈমান হারালে তারা মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন উনার রহমত এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ইহসান থেকে বঞ্চিত হবে, এটা কাফিরদের জানা রয়েছে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত আছে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, আমরা ছোট জিহাদ থেকে বড় জিহাদের দিকে প্রত্যাবর্তন করতেছি। হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনারা বলেন, বড় জিহাদ কোনটি? তিনি বলেন, নফসের সাথে জিহাদ হচ্ছে বড় জিহাদ।”
হাদীছ শরীফ-এ নফসের জিহাদকে বড় জিহাদ বলার কারণ কি? মূলত, তরবারির জিহাদ শুধু জিহাদের ময়দানেই করতে হয়। আর নফসের জিহাদ সর্বত্র এবং সর্বদাই করতে হয়। এমনকি জিহাদের ময়দানে ও ঘরের কোণে বসে থেকেও। তাই নফসের জিহাদকে বড় জিহাদ বলা হয়েছে। কাজেই নফসের সাথে জিহাদ করে হারাম বিজাতীয় সংস্কৃতি থেকে বেঁচে থাকতে হবে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আমাদের দেশের শতকরা ৯৭ ভাগ মুসলমান জনগোষ্ঠী কাফিরদের জন্য আজ ভয়ের কারণ। পার্শ্ববর্তী হিন্দু রাষ্ট্রের সহযোগিতায় পশ্চিমারা নেমেছে অভিনবভাবে এদেশ দখল করতে। কিন্তু ভয় শতকরা ৯৭ ভাগ মুসলমানের ঈমানী জযবা। সুতরাং দেশের সীমান্ত ভেঙে প্রবেশ করার পূর্বেই তারা বিজাতীয় সংস্কৃতি যেমন হারাম নাচ, গান, খেলাধুলা দিয়ে তারা প্রবেশ করতে চাইছে মুসলমানদের ঈমানী চেতনার সীমান্ত, মূল্যবোধের সীমান্ত, ঈমানের সীমান্ত ভেদ করে। আর সে কারণেই হঠাৎ করেই দেশে পূজাম-পে ও কথিত বড়দিনে দেয়া হচ্ছে মোটা অংকের সরকারি অর্থ বরাদ্দ। এছাড়াও এজন্য অর্থের যোগান আসছে বাইরে থেকে। হঠাৎ করে বাংলা একাডেমী বছরব্যাপী রবীন্দ্র চর্চার আয়োজনে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। বাংলার মাটিতে ভারতীয় নর্তক-নর্তকীরা নাচ-গান করে এদেশের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ভারতীয় মৃত চিত্র শিল্পীদের জন্য আয়োজিত হচ্ছে স্মরণসভা। আয়োজিত হলো বিশ্ব ক্রিকেট নামক হারাম খেলাধুলা। তাও পবিত্র রবীউল আউয়াল শরীফ মাসে। দেশের প্রাণকেন্দ্র ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গড়ে উঠেছে মন্দির, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের হিন্দুত্ববাদ শিক্ষা দেবার লক্ষ্যে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মুসলমান নেতা-নেত্রীরা ইসলাম থেকে দূরে সরে যাওয়ার কারণে কাফিরদের কূটকৌশলের নেপথ্য দিকটা দেখতে পায় না।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, এ সকল নেতা-নেত্রীদের মনে রাখতে হবে গুটিকয়েক শহরকেন্দ্রীক মানুষের রসনার রসদ যেমন খেলাধুলা, নাচ-গানের ব্যবস্থা করতে পারলেই ক্ষমতায় টিকে থাকা যাবে না বরং এদেশের বৃহৎ অংশের হৃদয়ের মধ্যে রয়েছে ইসলামী চেতনা, মূল্যবোধ জযবা।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, এদেশের মুসলমানদের হৃদয়ের চাহিদা মেটাতে পারলে, এদেশের মুসলমানগণের ইসলামী চেতনা বৃদ্ধির লক্ষ্যে, ইসলামী জ্ঞান বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশেষ আয়োজন করলে, ব্যবস্থা গ্রহণ করলে, সর্বোপরি ‘কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ বিরোধী কোনো আইন পাস হবে না’ এই নির্বাচনী ইশতেহার পূরণ করলেই তবে ক্ষমতায় টিকে থাকা যাবে। নতুবা নয়।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি সবশেষে বলেন, এটা সত্যিই অবাক একটি বিষয় যে, সরকার জনগণের ঈমানী মূল্যবোধ শাণিত করার পরিবর্তে তাদের ঈমানী চেতনাকে নষ্ট করার পরিকল্পনা গ্রহণ করছে। অথচ তাদের এই নির্বুদ্ধিতার খেসারত শুধু নির্বাচনেই দিবে না, বরং পরকালে কঠিন প্রশ্নের ও অবস্থার সম্মুখীন হয়েও দিতে হবে।
২০ ডিসেম্বর, ২০১১
বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিলো প্রকৃতপক্ষে স্বাধীনভাবে সঠিক ইসলাম পালনের লক্ষ্যে। কিন্তু এই স্বাধীন দেশ এক নতুন ভয়াবহ জিহাদের সম্মুখীন। ইসলামী মূল্যবোধ নষ্টের জন্য চাপিয়ে দেয়া বিজাতীয় সংস্কৃতির জিহাদে আজ ৯৭ ভাগ মুসলমানের ঈমানী চেতনার সীমান্ত অরক্ষিত।
ফলে দেশ হারানোর আগে ঈমান হারাতে বসেছে এদেশের কোটি কোটি মুসলমান।
‘কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ বিরোধী কোনো আইন পাস হবে না’ এই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সরকারকে এ বিষয়টি অবশ্যই ফিকির করতে হবে।
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, আমরা ছোট জিহাদ থেকে বড় জিহাদের দিকে প্রত্যাবর্তন করতেছি। বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিলো প্রকৃতপক্ষে স্বাধীনভাবে সঠিক ইসলাম পালনের লক্ষ্যে। কিন্তু এই স্বাধীন দেশ এক নতুন ভয়াবহ জিহাদের সম্মুখীন। ইসলামী মূল্যবোধ নষ্টের জন্য চাপিয়ে দেয়া বিজাতীয় সংস্কৃতির জিহাদে আজ ৯৭ ভাগ মুসলমানের ঈমানী চেতনার সীমান্ত অরক্ষিত। ফলে দেশ হারানোর আগে ঈমান হারাতে বসেছে এদেশের কোটি কোটি মুসলমান। ‘কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ বিরোধী কোনো আইন পাস হবে না’ এই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সরকারকে এ বিষয়টি অবশ্যই ফিকির করতে হবে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি পরিকল্পিতভাবে এদেশের মুসলমানদের মধ্য থেকে ইসলামী মূল্যবোধ, ঈমানী চেতনা নষ্ট করার লক্ষ্যে মুসলমান নামধারী গুটিকতেক সেক্যুলার নেতা, আমলা, বিচারকদের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দেশের সকল মুসলিম জনগোষ্ঠীকে সচেতন করার লক্ষ্যে এসব কথা বলেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পূর্বে মুসলমানগণ অত্যন্ত অল্প সংখ্যক সৈন্য নিয়ে বিশাল কাফির বাহিনীর বিরুদ্ধে জয়লাভ করতেন শুধু ঈমানী কুওওয়ত, জযবা এবং সর্বোপরি মহান আল্লাহ রব্বুল আলামীন উনার রহমত এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ইহসানের কারণে। বর্তমানে মুসলমানদের সে ঈমানী কুওওয়ত না থাকলেও শুধু মুসলমান হবার কারণেই ইরাকে ৯ বছর ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্র বাহিনী নাজেহাল হওয়ার পর অবশেষে ইরাক ছেড়েছে। আফগানিস্তানে সৈন্য সরিয়ে নেবার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সৈন্য সংখ্যা বাড়িয়েছে। অথচ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মতো একটি যুদ্ধ মাত্র পাঁচ বছরেই শেষ হয়েছিলো। মুসলমানদের টিম টিম করে জ্বলা ঈমানের কারণেও আজ কাফির-মুশরিকরা ভীত সন্ত্রস্ত। আর সে কারণে তারা নেমেছে ভয়ানক ষড়যন্ত্রে। আর সে ষড়যন্ত্র হচ্ছে মুসলিম দেশগুলোতে বিজাতীয় সংস্কৃতির প্রবেশ ঘটিয়ে ইসলামী মূল্যবোধ ও ঈমানী চেতনা নষ্ট করার। মুসলমানগণ ঈমান হারালে তারা মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন উনার রহমত এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ইহসান থেকে বঞ্চিত হবে, এটা কাফিরদের জানা রয়েছে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত আছে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, আমরা ছোট জিহাদ থেকে বড় জিহাদের দিকে প্রত্যাবর্তন করতেছি। হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনারা বলেন, বড় জিহাদ কোনটি? তিনি বলেন, নফসের সাথে জিহাদ হচ্ছে বড় জিহাদ।”
হাদীছ শরীফ-এ নফসের জিহাদকে বড় জিহাদ বলার কারণ কি? মূলত, তরবারির জিহাদ শুধু জিহাদের ময়দানেই করতে হয়। আর নফসের জিহাদ সর্বত্র এবং সর্বদাই করতে হয়। এমনকি জিহাদের ময়দানে ও ঘরের কোণে বসে থেকেও। তাই নফসের জিহাদকে বড় জিহাদ বলা হয়েছে। কাজেই নফসের সাথে জিহাদ করে হারাম বিজাতীয় সংস্কৃতি থেকে বেঁচে থাকতে হবে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আমাদের দেশের শতকরা ৯৭ ভাগ মুসলমান জনগোষ্ঠী কাফিরদের জন্য আজ ভয়ের কারণ। পার্শ্ববর্তী হিন্দু রাষ্ট্রের সহযোগিতায় পশ্চিমারা নেমেছে অভিনবভাবে এদেশ দখল করতে। কিন্তু ভয় শতকরা ৯৭ ভাগ মুসলমানের ঈমানী জযবা। সুতরাং দেশের সীমান্ত ভেঙে প্রবেশ করার পূর্বেই তারা বিজাতীয় সংস্কৃতি যেমন হারাম নাচ, গান, খেলাধুলা দিয়ে তারা প্রবেশ করতে চাইছে মুসলমানদের ঈমানী চেতনার সীমান্ত, মূল্যবোধের সীমান্ত, ঈমানের সীমান্ত ভেদ করে। আর সে কারণেই হঠাৎ করেই দেশে পূজাম-পে ও কথিত বড়দিনে দেয়া হচ্ছে মোটা অংকের সরকারি অর্থ বরাদ্দ। এছাড়াও এজন্য অর্থের যোগান আসছে বাইরে থেকে। হঠাৎ করে বাংলা একাডেমী বছরব্যাপী রবীন্দ্র চর্চার আয়োজনে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। বাংলার মাটিতে ভারতীয় নর্তক-নর্তকীরা নাচ-গান করে এদেশের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ভারতীয় মৃত চিত্র শিল্পীদের জন্য আয়োজিত হচ্ছে স্মরণসভা। আয়োজিত হলো বিশ্ব ক্রিকেট নামক হারাম খেলাধুলা। তাও পবিত্র রবীউল আউয়াল শরীফ মাসে। দেশের প্রাণকেন্দ্র ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গড়ে উঠেছে মন্দির, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের হিন্দুত্ববাদ শিক্ষা দেবার লক্ষ্যে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মুসলমান নেতা-নেত্রীরা ইসলাম থেকে দূরে সরে যাওয়ার কারণে কাফিরদের কূটকৌশলের নেপথ্য দিকটা দেখতে পায় না।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, এ সকল নেতা-নেত্রীদের মনে রাখতে হবে গুটিকয়েক শহরকেন্দ্রীক মানুষের রসনার রসদ যেমন খেলাধুলা, নাচ-গানের ব্যবস্থা করতে পারলেই ক্ষমতায় টিকে থাকা যাবে না বরং এদেশের বৃহৎ অংশের হৃদয়ের মধ্যে রয়েছে ইসলামী চেতনা, মূল্যবোধ জযবা।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, এদেশের মুসলমানদের হৃদয়ের চাহিদা মেটাতে পারলে, এদেশের মুসলমানগণের ইসলামী চেতনা বৃদ্ধির লক্ষ্যে, ইসলামী জ্ঞান বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশেষ আয়োজন করলে, ব্যবস্থা গ্রহণ করলে, সর্বোপরি ‘কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ বিরোধী কোনো আইন পাস হবে না’ এই নির্বাচনী ইশতেহার পূরণ করলেই তবে ক্ষমতায় টিকে থাকা যাবে। নতুবা নয়।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি সবশেষে বলেন, এটা সত্যিই অবাক একটি বিষয় যে, সরকার জনগণের ঈমানী মূল্যবোধ শাণিত করার পরিবর্তে তাদের ঈমানী চেতনাকে নষ্ট করার পরিকল্পনা গ্রহণ করছে। অথচ তাদের এই নির্বুদ্ধিতার খেসারত শুধু নির্বাচনেই দিবে না, বরং পরকালে কঠিন প্রশ্নের ও অবস্থার সম্মুখীন হয়েও দিতে হবে।
২০ ডিসেম্বর, ২০১১
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন