পবিত্র রবীউল আউয়াল শরীফ মাস শুরুর ক্ষেত্রে অনেক মুসলিম দেশ ইতিবাচক সাড়া দিলেও সউদী আরব এবং তার অনুসারী দেশগুলো চাঁদ না দেখেই মনগড়াভাবে আরবী মাস শুরু করেছে।
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, ‘হে মানবজাতি! অবশ্যই তোমাদের মধ্যে মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে এসেছেন মহান নছীহতকারী, তোমাদের অন্তরের সকল ব্যাধিসমূহ দূরকারী, কুল-কায়িনাতের মহান হিদায়েত দানকারী ও ঈমানদারদের জন্য মহান রহমতস্বরূপ (হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি)। হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি বলে দিন, তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার দয়া, ইহসান ও রহমত (হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পেয়ে) উনার জন্য ঈদ উদযাপন তথা খুশি প্রকাশ করো। তোমরা যতো আমলই করো না কেন তার চেয়ে এই খুশি প্রকাশ করাটা হচ্ছে সবচেয়ে উত্তম ও শ্রেষ্ঠ।’(সূরা ইউনুস, আয়াত শরীফ ৫৫-৫৮)
শরীয়তসম্মতভাবে চাঁদ দেখে সাইয়্যিদুল আসইয়াদ, সাইয়্যিদুশ শুহুর, শাহরুল আ’যম পবিত্র রবীউল আউয়াল শরীফ মাস শুরুর ক্ষেত্রে অনেক মুসলিম দেশ ইতিবাচক সাড়া দিলেও সউদী আরব এবং তার অনুসারী দেশগুলো চাঁদ না দেখেই মনগড়াভাবে আরবী মাস শুরু করেছে।
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, “মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, ‘হে মানবজাতি! অবশ্যই তোমাদের মধ্যে মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে এসেছেন মহান নছীহতকারী, তোমাদের অন্তরের সকল ব্যাধিসমূহ দূরকারী, কুল-কায়িনাতের মহান হিদায়েত দানকারী ও ঈমানদারদের জন্য মহান রহমতস্বরূপ (হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি)। হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি বলে দিন, তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার দয়া, ইহসান ও রহমত (হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পেয়ে) উনার জন্য ঈদ উদযাপন তথা খুশি প্রকাশ করো। তোমরা যতো আমলই করো না কেন তার চেয়ে এই খুশি প্রকাশ করাটা হচ্ছে সবচেয়ে উত্তম ও শ্রেষ্ঠ।’ (সূরা ইউনুস, আয়াত শরীফ ৫৫-৫৮) শরীয়ত সম্মতভাবে চাঁদ দেখে সাইয়্যিদুল আসইয়াদ, সাইয়্যিদুশ শুহুর, শাহরুল আ’যম পবিত্র রবীউল আউয়াল শরীফ মাস শুরুর ক্ষেত্রে অনেক মুসলিম দেশ ইতিবাচক সাড়া দিলেও সউদী আরব এবং তার অনুসারী দেশগুলো চাঁদ না দেখেই মনগড়াভাবে আরবী মাস শুরু করেছে।”
সাইয়্যিদুল আসইয়াদ, সাইয়্যিদুশ শুহুর, শাহরুল আ’যম পবিত্র রবীউল আউয়াল শরীফ পেয়ে খুশি প্রকাশ করার বিষয় আলোচনাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পেয়ে খুশী প্রকাশ করা মহান আল্লাহ পাক উনার আদেশ। এই আদেশ পালন করতে হবে ব্যক্তিগত, সমষ্টিগত, সরকারি পর্যায়ে, সকল ক্ষেত্রে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, অনেক মুসলিম দেশ যেমন মালয়েশিয়া, মরক্কো, ওমান ইত্যাদি দেশসমূহ সবসময় চাঁদ দেখে আরবী মাস শুরু না করলেও পবিত্র রবীউল শরীফ মাসে চাঁদ দেখে সঠিক তারিখে শুরু করেছে। ফলে আরবী মাস শুরু করার শরীয়তের বিধান মানার কারণে, সাইয়্যিদুল আসইয়াদ মাসের গুরুত্ব দেয়ার কারণে অবশ্যই সে দেশের মানুষ বিশেষ রহমত, বরকত, সাকীনা লাভ করবে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, কিন্তু পরিতাপের বিষয়, যে দেশে এই ক্বায়িনাতের যিনি রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তাশরীফ নিয়ে আছেন, যে দেশে রয়েছে পবিত্র মদীনা শরীফ, মক্কা শরীফ; সেই সউদী আরব দেশটি এবং তার অনুসারী আলজেরিয়া, নাইজেরিয়া, মিশর, বাহরাইন, জর্ডান, কাতার, কুয়েত, আরব আমীরাত তারা সাইয়্যিদুল আসইয়াদ, সাইয়্যিদুশ শুহুর, শাহরুল আ’যম পবিত্র রবীউল আউয়াল শরীফ শুরু করেছে চাঁদ না দেখে, মনগড়া পদ্ধতি অনুযায়ী। নাউযুবিল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, বাংলাদেশে এর ব্যতিক্রম দেখা যায়। অধীর আগ্রহে দেশবাসী অপেক্ষা করেছিলো এই পবিত্র মাসের চাঁদ তালাশের জন্য এবং যথারীতি ছফর মাসের ২৯তম তারিখে চাঁদ দেখা যায় এবং দেশের অগণিত মানুষ শুধু এই পবিত্র মাস পেয়ে খুশি প্রকাশ করার কারণেই আগ্রহের সাথে চাঁদ তালাশ করেছিলো। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ৯৭ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত এই দেশের সরকারের উচিত, জনগণের এই জযবা, আবেগ, মুহব্বতের দিকে লক্ষ্য রেখে সর্বোপরি মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সন্তুষ্টি পাবার লক্ষ্যে- সাইয়্যিদুল আসইয়াদ, সাইয়্যিদুশ শুহুর, শাহরুল আ’যম পবিত্র রবীউল আউয়াল শরীফ-এর সম্পূর্ণ মাসব্যাপী এবং খাছ ও আখাচ্ছুল খাছভাবে ১২ই শরীফ-এ সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা। জনগণকে অনুষ্ঠান পালনের জন্য আর্থিক সাহায্য ও সহযোগিতাসহ সকল প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণে সহযোগিতা করা।
২৯ জানুয়ারী, ২০১২
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন