জামাতের প্রতিষ্ঠাতা মিস্টার মওদুদী কুফরীমূলক ধৃষ্টতাপূর্ণ উক্তি
ইসলাম বিদ্বেষী কাফির-মুশরিকরা মূলত মুসলমানগণের থেকেই এজেন্ট তৈরি করে। যারা মুসলমানগণের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে ইসলামী আক্বীদার মধ্যে ফিৎনা তৈরি করে। পাক ভারত উপমহাদেশে এ ধারায় অগ্রগামী হয়েছে তথাকথিত জামাতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা মিস্টার মওদুদী। বিষাক্ত বীজ থেকে যেমন সুমিষ্ট আম আশা করা যায় না তেমনি ইসলামী আন্দোলন ইত্যাদি মিষ্টি মিষ্টি কথা বললেও মওদুদী নিজেই যে কত বিষাক্ত বীজ ছিলো তা তার অনুসারীদের হাজারো কুফরী আক্বীদা থেকেই প্রতিভাত হয়।
স্বয়ং আল্লাহ পাক, আল্লাহ পাক উনার হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম, হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম, মোদ্দাকথা ইসলামের সব অনুষঙ্গেই মিথ্যা, কুফরী ও জঘন্য সমালোচনার জাল বিস্তার করে ওই ষড়যন্ত্রকারী মৌলভী মওদুদী। যদিও তার ষড়যন্ত্র বহু পূর্বেই ফাঁস হয়েছে।
ব্রিটেন থেকে প্রকাশিত ‘দ্য মিত্রোখিন আর্কাইভ’ নামক ওই বইয়ে যে বোমা বিস্ফোরণ করা হয়েছে তা হলো, “ধর্মীয় দল জামায়াতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা আবুল আলা মওদুদী ছিলো সিআইএ’র এজেন্ট।” নিম্নে জামাতের প্রতিষ্ঠাতা মিস্টার মওদুদীর কুফরীমূলক ধৃষ্টতাপূর্ণ উক্তির যৎকিঞ্চিত তুলে ধরা হলো:-
(ক) পবিত্র কুরআন শরীফ সম্পর্কে বক্তব্য:
মিস্টার মওদুদী পবিত্র কুরআন শরীফ-এর মূল্যায়ন প্রসঙ্গে লিখেছে, “কোরআন শরীফ হেদায়েতের জন্য যথেষ্ট, কিন' নাজাত বা মুক্তির জন্য নয়।” [তাফহিমাত, ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ৩১২]
(খ) পবিত্র হাদীছ শরীফ সম্পর্কে বক্তব্য:
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র হাদীছ সম্পর্কে মিস্টার মওদুদী বলেছে, “হাদীস কিছু লোক থেকে কিছু লোক পর্যন্ত অর্থাৎ মানুষের মুখে মুখে বর্ণিত হয়ে আসছে। এসব বড়জোর সঠিক বলে ধারণা করা যায়; কিন' দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করা যায় না। আর একথা স্পষ্ট যে, আল্লাহর ধর্মের যেসব বিষয় এতো গুরুত্বপূর্ণ, যেগুলোর দ্বারা ঈমান ও কাফিরের পার্থক্য পরিষ্কার হয়ে যায়, সেগুলো কয়েকজন লোকের বর্ণনা নির্ভর করে মানুষকে বিপদাপন্ন করা আল্লাহ তায়ালা তিনি কখনো পছন্দ করতে পারেন না।” নাঊযুবিল্লাহ! [রাসায়েল ও মাসায়েল, পৃষ্ঠা ৬৭]
(গ) নবী-রসূল আলাইহিস সালাতু ওয়াস সালাম উনাদের সম্পর্কে বক্তব্যঃ
(১) হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্পর্কে:
“আল্লাহ তায়ালার নিকট কাতর কন্ঠে এই আবেদন করুন, যে কাজের দায়িত্ব আপনাকে দেওয়া হয়েছিল, তা সম্পন্ন করার ব্যাপারে আপনার দ্বারা যে ভুল ত্রুটি হয়েছে কিংবা তাতে যে অসম্পূর্ণতা রয়ে গেছে তা যেন তিনি ক্ষমা করে দেন।” (নাঊযুবিল্লাহ) [তাফহিমুল কোরআন (বাংলা), ১৯শ খণ্ড, ২৮০ পৃষ্ঠা, ওরিয়েন্টাল প্রেস, ঢাকা, ১৯৮০ ইংরেজি]
“মহানবী (স.) মানবিক দুর্বলতা থেকে মুক্ত ছিলেন না। অর্থাৎ তিনি মানবিক দুর্বলতার বশীভূত হয়ে গুনাহ করেছিলেন।” (নাঊযুবিল্লাহ) [তরজুমানুল কোরআন, ৮৫তম সংখ্যা, পৃষ্ঠা ২৩০]
“মহানবী (স.) নিজে মনগড়া কথা বলেছেন এবং নিজের কথায় নিজেই সন্দেহ পোষণ করেছেন।”(নাঊযুবিল্লাহ) [তরজুমানুল কোরআন, রবিউল আউয়াল সংখ্যা, ১৩৬৫ হিজরী]
“মহানবী (দঃ) তের বছর পর্যন্ত আরবের লোকদের মধ্যে ইসলামের মৌখিক ওয়াজ ও দাওয়াতের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর শেষে যখন অস্ত্র ধারণ করেছিলেন তখন মানুষের মন আপনা-আপনি সত্য গ্রহণের জন্য বিগলিত ও ইসলামে শামিল হওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে গেল।” (নাঊযুবিল্লাহ) [আল জিহাদ ফিল ইসলাম, ১৭৩-১৭৪ পৃষ্ঠা, ২০০২ ইংরেজি]
স্বয়ং আল্লাহ পাক, আল্লাহ পাক উনার হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম, হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম, মোদ্দাকথা ইসলামের সব অনুষঙ্গেই মিথ্যা, কুফরী ও জঘন্য সমালোচনার জাল বিস্তার করে ওই ষড়যন্ত্রকারী মৌলভী মওদুদী। যদিও তার ষড়যন্ত্র বহু পূর্বেই ফাঁস হয়েছে।
ব্রিটেন থেকে প্রকাশিত ‘দ্য মিত্রোখিন আর্কাইভ’ নামক ওই বইয়ে যে বোমা বিস্ফোরণ করা হয়েছে তা হলো, “ধর্মীয় দল জামায়াতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা আবুল আলা মওদুদী ছিলো সিআইএ’র এজেন্ট।” নিম্নে জামাতের প্রতিষ্ঠাতা মিস্টার মওদুদীর কুফরীমূলক ধৃষ্টতাপূর্ণ উক্তির যৎকিঞ্চিত তুলে ধরা হলো:-
(ক) পবিত্র কুরআন শরীফ সম্পর্কে বক্তব্য:
মিস্টার মওদুদী পবিত্র কুরআন শরীফ-এর মূল্যায়ন প্রসঙ্গে লিখেছে, “কোরআন শরীফ হেদায়েতের জন্য যথেষ্ট, কিন' নাজাত বা মুক্তির জন্য নয়।” [তাফহিমাত, ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ৩১২]
(খ) পবিত্র হাদীছ শরীফ সম্পর্কে বক্তব্য:
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র হাদীছ সম্পর্কে মিস্টার মওদুদী বলেছে, “হাদীস কিছু লোক থেকে কিছু লোক পর্যন্ত অর্থাৎ মানুষের মুখে মুখে বর্ণিত হয়ে আসছে। এসব বড়জোর সঠিক বলে ধারণা করা যায়; কিন' দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করা যায় না। আর একথা স্পষ্ট যে, আল্লাহর ধর্মের যেসব বিষয় এতো গুরুত্বপূর্ণ, যেগুলোর দ্বারা ঈমান ও কাফিরের পার্থক্য পরিষ্কার হয়ে যায়, সেগুলো কয়েকজন লোকের বর্ণনা নির্ভর করে মানুষকে বিপদাপন্ন করা আল্লাহ তায়ালা তিনি কখনো পছন্দ করতে পারেন না।” নাঊযুবিল্লাহ! [রাসায়েল ও মাসায়েল, পৃষ্ঠা ৬৭]
(গ) নবী-রসূল আলাইহিস সালাতু ওয়াস সালাম উনাদের সম্পর্কে বক্তব্যঃ
(১) হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্পর্কে:
“আল্লাহ তায়ালার নিকট কাতর কন্ঠে এই আবেদন করুন, যে কাজের দায়িত্ব আপনাকে দেওয়া হয়েছিল, তা সম্পন্ন করার ব্যাপারে আপনার দ্বারা যে ভুল ত্রুটি হয়েছে কিংবা তাতে যে অসম্পূর্ণতা রয়ে গেছে তা যেন তিনি ক্ষমা করে দেন।” (নাঊযুবিল্লাহ) [তাফহিমুল কোরআন (বাংলা), ১৯শ খণ্ড, ২৮০ পৃষ্ঠা, ওরিয়েন্টাল প্রেস, ঢাকা, ১৯৮০ ইংরেজি]
“মহানবী (স.) মানবিক দুর্বলতা থেকে মুক্ত ছিলেন না। অর্থাৎ তিনি মানবিক দুর্বলতার বশীভূত হয়ে গুনাহ করেছিলেন।” (নাঊযুবিল্লাহ) [তরজুমানুল কোরআন, ৮৫তম সংখ্যা, পৃষ্ঠা ২৩০]
“মহানবী (স.) নিজে মনগড়া কথা বলেছেন এবং নিজের কথায় নিজেই সন্দেহ পোষণ করেছেন।”(নাঊযুবিল্লাহ) [তরজুমানুল কোরআন, রবিউল আউয়াল সংখ্যা, ১৩৬৫ হিজরী]
“মহানবী (দঃ) তের বছর পর্যন্ত আরবের লোকদের মধ্যে ইসলামের মৌখিক ওয়াজ ও দাওয়াতের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর শেষে যখন অস্ত্র ধারণ করেছিলেন তখন মানুষের মন আপনা-আপনি সত্য গ্রহণের জন্য বিগলিত ও ইসলামে শামিল হওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে গেল।” (নাঊযুবিল্লাহ) [আল জিহাদ ফিল ইসলাম, ১৭৩-১৭৪ পৃষ্ঠা, ২০০২ ইংরেজি]
ag©xq Abyf~wZ‡Z AvNvZ nvbvi Awf‡hv‡M Rvgv‡Z Bmjvgxi Avgxi wbRvgx Ges ‡m‡µUvvwi gyRvwn‡`i wei“‡× XvKv I jvjgwbinv‡U MZ 21 gvP©/2010 c…_K `ywU gvgjv n‡q‡Q| XvKvq ZwiKZ ‡dWv‡ik‡bi gnvmwPe ‡iRvDj nK Pvu`cyix Ges jvjgwbinv‡U ‡Rjv AvIqvgx jx‡Mi mvaviY m¤úv`K A¨vW‡fv‡KU gwZqvi ingvb ev`x n‡q jvjgwbinvU RywWwkqvj g¨vwR‡÷«U Av`vj‡Z G gvgjv `ywU `v‡qi K‡ib| Gw`‡K e«vþYevwoqvi bexbM‡i RvgvZ-wkwei ‡bZvKg©x‡`i wei“‡× ivó«‡`«vwnZvi Awfhv‡M 21 gvP©/2010 gvgjv n‡q‡Q| G NUbvi m‡½ RwoZ _vKvi Awf‡hv‡M cywjk ¯’vbxq GK mvsevw`K‡K ‡M«dZvi K‡i‡Q|
XvKv wmGgGg Av`vj‡Z 21 gvP©/2010 `v‡qi Kiv gvgjvq Rvgv‡Z Bmjvgx I QvÎwkwe‡ii Av‡iv wZb ‡bZv‡K Avmvwg Kiv n‡q‡Q| Giv n‡jv Rvgv‡Zi ‡K›`«xq ‡bZv gvI. mvC`x, XvKv gnvbMi Avgxi iwdKyj Bmjvg Lvb Ges QvÎwkwe‡ii XvKv gnvbMix `w¶‡Yi mfvcwZ Av m g Bqvwnqv|
gvgjvi Awf‡hv‡M ejv nq, MZ 17 gvP© gMevRv‡ii Avj-dvjvn wgjbvqZ‡b QvÎwkwei Av‡qvwRZ GK mfvq 3, 4 I 5 b¤^i Avmvwg wbRvgx‡K b~‡i gyRvmmvg ûh~i cvK Qjvjvû AvjvBwn Iqv mvjvg Dbvi m‡½ Zyjbv K‡i e³e¨ iv‡L| gvgjvKvixi `vwe Abyhvqx wbRvgx‡K ûh~i cvK Qjvjvû AvjvBwn Iqv mvjvg Dbvi m‡½ Zyjbv Kiv ag©xq Abyf~wZ‡Z AvNvZ nvbvi kvwgj Ges Gi mvRv g…Z¨y`Ê| ev`x Avmvwg‡`i wei“‡× ‡M«dZvwi c‡ivqvbv Rvwi K‡i h‡_vchy³ mvRv c«v_©bv K‡ib|
Gw`‡K ag©xq Abyf~wZ‡Z AvNv‡Zi Awf‡hv‡M jvjgwbinv‡U Rvgv‡Zi Avgxi wbRvgxmn 4 R‡bi wei“‡× Av‡iv GKwU gvgjv n‡q‡Q| 21 gvP©/2010 ‡Rjv AvIqvgx jx‡Mi mvaviY m¤úv`K A¨vW‡fv‡KU gwZqvi ingvb ev`x n‡q jvjgwbinvU RywWwkqvj g¨vwR‡÷«U Avey gbmyi ‡gvnv¤§` wRqvDj n‡Ki Av`vj‡Z gvgjvwU `v‡qi K‡ib| gvgjvi Ab¨ Avmvwgiv n‡jv Rvgv‡Zi ‡bZv ‡`jvIqvi ‡nvmvBb mvC`x, XvKv gnvbMi KwgwUi Avgxi iwdKyj Bmjvg Lvb I cëb _vbv Avgxi mwdKyj Bmjvg|
AZtci MZ 29‡k Ryb/2010 Rvgv‡Zi Avgxi wbRvgx, ‡m‡µUvwi gyRvwn`, bv‡q‡e Avgxi mvC`x‡K ‡M«dZvi K‡i‡Q cywjk| ag©xq Abyf~wZ‡Z AvNvZ nvbvi Awf‡hv‡M `v‡qi Kiv gvgjvq mgb ‡c‡qI nvwRi bv nIqvq `ycy‡i wmGgGg ‡Kv‡Ui« g¨vwR‡÷«U ‡gwn`x nvmvb ZvjyK`vi `jwUi Pvi ‡bZvi wei“‡× ‡M«dZvwi c‡ivqvbv Rvwii K‡qK NÈvi g‡a¨ G‡`i ‡M«dZvi Kiv nj|
MZ 21 gvP©/2010 Avmvwg‡`i wei“‡× ag©xq Abyf~wZ‡Z AvNvZ nvbvi Awf‡hv‡M XvKvi wmGgGg ‡Kv‡U© gvgjvwU `v‡qi K‡ib ZwiKZ ‡dWv‡ik‡bi gnvmwPe ‰mq` ‡iRvDj nK Pvu`cyix |
gvgjvi Awf‡hv‡M ejv nq, MZ 17 gvP© gMevRvi Avj dvjvn wgjbvqZ‡b Bmjvgx QvÎwkwe‡ii GK mfvq Rvgv‡Zi Avgxi wbRvgx‡K ûh~i cvK Qjvjvû AvjvBwn Iqv mvjvg Dbvi mv‡_ Zyjbv K‡i e³e¨ iv‡L `jwUi bv‡q‡e Avgxi mvC`x Ges XvKv gnvbMi kvLvi Avgxi iwdKyj Bmjvg Lvb| mfvq Dcwm'Z Rvgv‡Zi gvI. gwZDi ingvb wbRvgx Ges ‡m‡µUvwi gyRvwn` Zv‡`i G e³e¨‡K nvZZvwj w`‡q mg_©b K‡ib| ciw`b mKj RvZxq cwÎKvq G msev` cwi‡ewkZ nq| Awf‡hv‡M Av‡iv ejv nq, ûh~i cvK Qjvjvû AvjvBwn Iqv mvjvg Dbvi mv‡_ hy×vcivax, Lywb wbRvgx‡`i Zyjbv K‡i gymjgvb‡`i ag©xq Abyf~wZ‡Z AvNvZ Kiv n‡q‡Q| 29 Ryb/2010 Zvwi‡L Av`vj‡Z nvwRi n‡Z Avmvwg‡`i c«wZ mgb Rvwi Kiv nq|
D‡jL¨ ‡h, ïay GB GKwU gvÎ wel‡q Rvgv‡Z gI`y`x gymjgvb‡`i ag©xq Abyf~wZ‡Z AvNvZ ‡`qwb| gvgjv Kivi gZ GKgvÎ KvR K‡iwb| eis ch©v‡jvPbv Ki‡j ‡`Lv hv‡e, ‡MvUv RvgvZx gI`y`xi Rb¥ ‡_‡K me K_v I AvgjB gymjgvb‡`i ag©xq Abyf~wZ‡Z Mfxi AvNvZ ‡`qvi kvwgj Ges nvRvi nvRvi gvgjv Kivi KviY|
c«m½Z G wel‡q GLv‡b Av‡jvKcvZ Kiv n‡jv-
wg÷vi gI`y`xi c«v_wgK PgKc«` Kvh©vejx `k©b K‡i gvIjvbv Avãyj gv‡R` `wiqvev`x mv‡ne Zv‡K ÔBmjvgx `vk©wbKÕ Dcvwa‡Z f~wlZ K‡iwQ‡jb, wKb' ci¶‡YB hLb Zvi Avmj iƒc c«Kvk ‡cj, ZLb wZwb ej‡jb, ÔG ‡Zv bZyb LvwiRx ‡dZbvÕ|
gvIjvbv mvBwq¨` Avng` Kv‡Rgx mv‡ne e‡jb, wg÷vi gI`y`xi mv‡_ e¨w³MZ `xN© Av‡jvPbvi ci Avgvi wbKU G mZ¨ D`NvwUZ n‡q‡Q ‡h, wg÷vi gI`y`x KyiAvb kixd I nv`xQ kixd-Gi fyj e¨vL¨v Øviv GK bZyb gvhnv‡ei wfwË ¯’vcb K‡i‡Q| ‡m wb‡R‡K GKRb c~Y©v½ gyRvwÏ` I Bgvg gvn`x g‡b K‡i| wKb' we‡kl ‡gvQ‡jnv‡Z Zv c«Kvk K‡i bv| nq‡Zvev mgq Avm‡j c«Kvk Ki‡Z cv‡i|
wg÷vi gI`y`x bZyb ag© Rb¥ ‡`qvi D‡Ï‡k¨ ¯^KwíZ åvš— gZev`mg~n c«eZ©b K‡iB ïay ¶¨vš— nqwb, eis g~j mZ¨ ÔBmjvgÕ a‡gi« evnK ûh~i cvK Qjvjvû AvjvBwn Iqv mvjvg n‡Z ïi“ K‡i mg¯— Avw¤^qv AvjvBwngym mvjvg, nhiZ Qvnvev‡q wKivg iwØqvjvû Zvqvjv Avbûg, Zv‡eqxb, Zv‡e Zv‡eqxb, AvB¤§v‡q gyRZvwn`xb, AvIwjqv‡q wKivg me ‡k«Yxi avivK-evnK‡K jvMvgnxb Ky-mgv‡jvPbv I wg_¨v ‡`vl PP©vi So Zy‡j‡Q| GgbwK A‡bK A‡kvfbxq fvlvq Mvwj-MvjvR ch©š— Ki‡Z wØav‡eva K‡iwb| G e¨vcv‡i KwZcq `…óvš— Zy‡j aiv n‡e|
eZ©gv‡b wg÷vi gI`y`x RxweZ ‡bB| wKb' Zvi ‡i‡L hvIqv AÜvbyKiYKvix ÔRvgv‡Z BmjvgxÕ `jwU Zvi åvš— gZev` I AcweÎ wPš—vaviv mgv‡R c«Pvi K‡i Zvi bZyb ag© Movi e¨_© ¯^cœwU ev¯—evq‡bi Rb¨ D‡V c‡o ‡j‡M‡Q Ges gvbyl‡K ‡avuKvq ‡djvi D‡Ï‡k¨ evwn¨Kfv‡e Bmjv‡gi eywj AvIwo‡q e¯’Z Bmjvg‡K weK…Z K‡i bZyb ag© Movi Ac‡Póv Pvwj‡q hv‡”Q|
GgZve¯’vq bxie `k©‡Ki f~wgKv cvjb K‡i Ô‡Mvcb mg_©bÕ c«`vb Kiv ‡Kvb ag©wc«q gymjgv‡bi Rb¨ Rvwqh n‡e bv| ZvB Avcb Rvb I gv‡ji gva¨‡g G ‡dZbvi c«wZKvi Kiv Ges Avcb Øxb I Cgv‡bi ‡ndvhZ K‡i Gi g~‡jv‡”Q‡`i Rb¨ mvwe©K c«‡Póv Pvjv‡bv Z_v
Av‡iv bZyb K‡i ag©xq Abyf~wZ‡Z AvNv‡Zi gvgjv `v‡qi Kiv GLb mKj gymjgv‡bi Dci dih n‡q c‡o‡Q|
cvVK‡`i AeMwZi Rb¨ wg÷vi gI`y`xi CgvbweaŸsmx åvš— gZev` I AcweÎ wPš—vavivi KwZcq `…óvš— c«wZc¶xq Bmjvgx gZ I c‡_i eY©bvi mv‡_ mv‡_ cy¯—‡Ki nvIjvmnKv‡i msw¶ß AvKv‡i ‡ck Kiv n‡jv-
1| gnvb Avjvn cvK Dbvi m¤ú‡K© gš—e¨:
Bmjvg e‡j, Ògnvb Avjvn cvK Dbvi ‡Kvb ‡¶‡Î Ryjy‡gi Avk¼vRwbZ ‡Kvb weavb ‡`bwb|Ó (m~iv BDmyd, 44)
wg÷vi gI`y`x e‡j, Ò‡h ‡¶‡Î bi bvixi Aeva ‡gjv‡gkv, ‡m ‡¶‡Î ‡hbvi Kvi‡Y (Avjvn cvK, Dbvi Av‡`kK…Z) iRg kvw¯— c«‡qvM Kiv wbtm‡›`‡n Ryjyg|Ó (ZvdnxgvZ, 2q LÊ, 281 c…ôv)
2| ‡d‡ikZv AvjvBwngym mvjvg m¤ú‡K© gš—e¨:
Bmjvg e‡j, Ò ‡d‡ikZvMY b~‡ii ‰Zwi Avjvn cvK Dbvi gvLjyK| Dbviv ¯¿xI bb, cyi“lI bb| Dbv‡`i Lvbvwcbvi c«‡qvRb nq bv| me©`v Dbviv Bev`‡Z gk¸j _v‡Kb|Ó (ki‡n AvKvB‡` bQdx, 322 c…ôv)
wg÷vi gI`y`x e‡j, Ò‡d‡ikZv c«vq IB wRwbm hv‡K wM«K, fviZ BZ¨vw` ‡`‡ki ‡gvk‡iKiv ‡`ex-‡`eZv wm'i K‡i‡Q|Ó (ZvR`x` I GnBqv‡q Øxb, 10 c…ôv)
3| Avw¤^qv‡q AvjvBwngym mvjvg m¤ú‡K© gš—e¨:
Bmjvg e‡j, ÒbexMY gvÕQ~g A_©vr wb®úvc; Dbviv ‡Kvb ¸bvn K‡ibwb|Ó (ZiRygvbym mybœvn, 3q LÊ, 305 c…ôv)
wg÷vi gI`y`x e‡j, ÒbexMY gvÕQ~g bb| c«‡Z¨K bexB ¸bvn K‡i‡Qb|Ó (ZvdnxgvZ, 2q LÊ, 43 c…ôv)
Bmjvg e‡j, ÒbexMY KLbI LexQ bd‡mi Øviv Avµvš— nbwb|Ó
wg÷vi gI`y`x e‡j, ÒbexMY eûevi LexQ bd‡mi Avµg‡Y Avµvš— n‡q‡Qb|Ó (ZvdnxgvZ, 1g LÛ, 163 c…ôv)
Bmjvg e‡j, ÒbexMY Avcb Øx‡bi Dci wm'i wQ‡jb| Dbviv KLbI gvbexq `ye©jZvi wkKvi nbwb|Ó
gI`y`x e‡j, Ò‡Kvb ‡Kvb bex Øx‡bi Pvwn`vi Dci wm'i _vK‡Z cv‡ibwb| eis Dbviv Avcb gvbexq `ye©jZvi Kv‡Q nvi ‡g‡b‡Qb|Ó (Zvdnxgyj KyiAvb, 2q LÊ, 344 c…ôv)
Bmjvg e‡j, ÒbexMY gnv m¤§vwbZ m‡e©vËg gvbe| Dbv‡`i ‡`vl eY©bv Kiv nvivg|Ó (Zvdmxi“j KvgvjvBb, 4_© LÊ, 4 c…ôv)
wg÷vi gI`y`x e‡j, Ò(bex ‡nvK, Qvnvev ‡nvK), Kv‡iv m¤§vbv‡_© Dbv‡`i ‡`vl eY©bv bv Kiv‡K Ri“ix g‡b Kiv Avgvi `…wó‡Z g~wZ©c~Rvi kvwgj|Ó (ZiRygvbyj KyiAvb, 35kÕ msL¨v, 327 c…ôv)
ZvB wg÷vi gI`y`x jvMvgnxbfv‡e nhiZ Avw¤^qv‡q AvjvBwngym mvjvgMY Dbv‡`i ‡`vlÎywU eY©bv Ki‡Z wM‡q e‡j-
(K) ÒnhiZ Av`g AvjvBwnm mvjvg gvbweK `ye©jZvq Avµvš— n‡qwQ‡jb| wZwb kqZvbx c«‡jvfb n‡Z m…wó Z¡wiZ RRevq AvZ¥‡fvjv n‡q wbR wbqš¿Y nvwi‡q ‡d‡jb| d‡j wZwb AvbyM‡Z¨i D”PwkLi n‡Z bvdigvbxi AZj Z‡j wM‡q c‡ob|Ó (Zvdwngyj KyiAvb, 3q LÊ, 193 c…ôv)
(L) ÒnhiZ b~n AvjvBwnm mvjvg wPš—vavivi w`K w`‡q Øx‡bi Pvwn`v n‡Z `~‡i m‡i wM‡qwQ‡jb| Dbvi g‡a¨ Rvwnwjq¨v‡Zi RRev ¯’vb ‡c‡qwQ‡jv|Ó (Zvdwngyj KyiAvb, 2q LÊ, 344 c…ôv)
(M) ÒnhiZ g~mv AvjvBwnm mvjvg Lye eo GKwU ¸bvn K‡iwQ‡jb; wZwb GK e¨w³ KZj K‡i ‡d‡jb|Ó (ivmv‡qj gvmv‡qj, 1g LÊ, 31 c…ôv)
(N) ÒnhiZ BDbym AvjvBwnm mvjvg wVKgZ byeyIIqv‡Zi `vwqZ¡ cvjb K‡ibwb| m¤¢eZ wZwb ‰ah©nviv n‡q wbw`©ó mgq Avmvi c~‡e©B Avcb ¯’vb Z¨vM K‡ib|Ó
(O) ÒnhiZ BDmyd AvjvBwnm mvjvg wgk‡ii ‡divD‡bi wbKU ïay A_©gš¿xi c`B c«v_©bv K‡ibwb hv A‡b‡Ki aviYv; eis wZwb ixwZgZ wW‡±Ui Ôme©vwabvqKÕ neviB c«v_©bv K‡iwQ‡jb|Ó (ZiRygvbyj KyiAvb, gyniig msL¨v, 1364 wnRix)
(P) ÒnhiZ Be«vnxg AvjvBwnm mvjvg ¶wY‡Ki Rb¨ wki‡Ki ¸bv‡n wbgw¾Z wQ‡jb|Ó (Zvdnxgyj KyiAvb, 1g LÛ, 558 c…ôv)
(Q) ÒnhiZ `vD` AvjvBwnm mvjvg GK weevwnZv hyeZxi Dci Avm³ n‡q Zv‡K weevn Kivi Rb¨ Zvi ¯^vgxi wbKU Zvjv‡Ki `iLv¯— K‡iwQ‡jb|Ó (ZvdnxgvZ, 2q LÛ, 42 c…ôv)
(R) ÒAvi‡ei gZ Dchy³ ‡¶Î ‡c‡qwQ‡jb e‡jB ‡Zv ûh~i cvK Qjvjvû AvjvBwn Iqv mvjvg mdjKvg n‡qwQ‡jb, Ab¨_vq wK wZwb G mdjZv jvf Ki‡Z cvi‡Zb?Ó (AvLjvKx eywbqv`, 10 c…ôv)
D‡jL¨, Dc‡i ewY©Z gI`y`xi c«‡Z¨KwU AvK¡x`vB Qnxn Bmjv‡gi Pig ‡Ljvc| hv Qnxn Bmjv‡g wek¦vmKvix gymjgv‡bi ag©xq Abyf~wZ‡Z Mfxi AvNvZ¯^iƒc| A_P Rvgv‡Z gI`y`xiv Gme AvK¡x`v ïay wek¦vmB K‡i bv mv‡_ mv‡_ Zviv Me©f‡i e‡j ‡eovq, c«Pvi K‡i I wbR Kg©x‡`i wk¶v ‡`q|
A_©vr Dc‡iv³ c«‡Z¨KwU K_v I ‡jLbxi ØvivB Zviv Ghver gymjgvb‡`i ag©xq Abyf~wZ‡Z AvNvZ w`‡q Avm‡Q| ‡m‡¶‡Î Dc‡iv³ c«wZwU K_vqB gI`y`x Rvgv‡Zi wei“‡× ag©xq Abyf~wZ‡Z AvNvZ `v‡bi gvgjv n‡Z cv‡i|
we‡klZ ÔKyiAvb-mybœvn we‡ivax ‡Kvb AvBb cvm n‡e bvÕ- G wbe©vPbx c«wZk«ywZi miKvi wb‡RB Gme gvgjv Ki‡Z cv‡i| Zvn‡jB G‡`‡ki ag©c«vY gymjgvb ‡ewk Lywk n‡e|
(গ) নবী-রসূল আলাইহিস সালাতু ওয়াস সালাম উনাদের সম্পর্কে বক্তব্য: (৫) হযরত ইউনুস আলাইহিস সালাম উনার সম্পর্কে বক্তব্য: “হযরত ইউনুস (আ.) থেকে রিসালতের দায়িত্ব আদায় করার ব্যাপারে কিছু দুর্বলতা হয়ে গিয়েছিল। সম্ভবত তিনি ধৈর্যহারা হয়ে নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই আপন স্থান ত্যাগ করে চলে গিয়েছিলেন।” (নাঊযুবিল্লাহ) [তাফহিমুল কোরআন, ৩য় সংস্করণ, ২য় খণ্ড, সূরা ইউনুস (টীকা দ্রষ্টব্য), ১৯৬৪ ইং] (৬) হযরত মূসা আলাইহিস সালাম উনার সম্পর্কে বক্তব্য: “নবী হওয়ার পূর্বে মুছা (আ.) উনার দ্বারা একটি বড় গুনাহ হয়েছিল। তিনি এক ব্যক্তিকে কতল করেছিলেন।” (নাঊযুবিল্লাহ) [রাসায়েল ও মাসায়েল, ১ম খণ্ড, ৩১ পৃষ্ঠা] “মুছা (আ.) এর দৃষ্টান্ত হচ্ছে ওই অধৈর্যশীল বিজয়ীর মত যে তার শাসন ক্ষমতা সুপ্রতিষ্ঠিত না করেই মার্চ করে সম্মুখ চলে যায় আর পিছনে ফেলে যাওয়া এলাকায় বিদ্রোহের দাবানল দাউ দাউ করে ছড়িয়ে পড়ে।” (নাঊযুবিল্লাহ) [তরযমানুল কোরআন, ২৯তম খণ্ড, ৪-৫ পৃষ্ঠা] (৭) হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম উনার সম্পর্কে বক্তব্য: “এখানে আর একটি প্রশ্নের উদ্রেক হয় যে, হযরত ইব্রাহীম (আ.) যখন নক্ষত্র দেখে বলেছিলেন, এটা আমার প্রতিপালক এবং চন্দ্র-সূর্য দেখে এগুলোকেও নিজের প্রতিপালক হিসেবে অবহিত করেন, তখন সাময়িকভাবে হলেও কি তিনি শিরকে নিপতিত হননি?” (নাঊযুবিল্লাহ) [তাফহিমুল কোরআন, ১ম খণ্ড, ৫৫৮ পৃষ্ঠা] (৮) হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালাম উনার সম্পর্কে বক্তব্য: “আমাকে মিসরের রাজকোষের পরিচালক নিয়োগ করুন” এ কথাটি হযরত ইউসুফ (আ.) শুধু অর্থমন্ত্রী হওয়ার জন্যই প্রার্থনা করেননি। করো কারো ধারণা বরং তিনি এ বলে ডিকটিটরীই চেয়েছিলেন মৌলিকভাবে। এরই ফলশ্রুতিতে বর্তমান ইতালির মুসোলিনির যে মর্যাদা তিনিও এর কাছাকাছি মর্যাদার অধিকারী হয়েছিলেন।” (নাঊযুবিল্লাহ) [তাফহীমাত, ৫ম সংস্করণ, ২য় খণ্ড, ১২২ পৃষ্ঠা] (৯) হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম উনার সম্পর্কে কুফরী বক্তব্য: “হযরত ইসা (আ.) মারা গেছেন এ কথাও বলা যাবে না, বরং বুঝতে হবে ব্যাপরটি অস্পষ্ট।” (নাঊযুবিল্লাহ) [িতাফহিমুল কোরআন, ১ম খণ্ড, ৪২১ পৃষ্ঠা]
(১০) নবী-রসূল আলাইহিস সালাতু ওয়াস সালাম উনাদের সম্পর্কে কুফরী বক্তব্য: “ইসমত বা নিষ্পাপ হওয়াটা মূলত নবীদের প্রকৃতিগত গুণ নয়। বরং নবুয়তের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনের জন্য আল্লাহ তায়ালা কৌশলগতভাবে তাঁদেরকে ভুল-ত্রুটি ও পদস্খলন থেকে নিরাপদ রেখেছেন। নতুবা তাঁদের উপর আল্লাহ তায়ালার হেফাজত ক্ষণিকের জন্য উঠে গেলে সাধারণ মানুষের মত তাঁরাও ভুল-ভ্রান্তিতে পড়তে পারেন। এখানে একটি সূক্ষ্ম বিষয় এই যে, আল্লাহ তায়ালা ইচ্ছা করেই প্রত্যেক নবীর উপর থেকে কোন না কোন সময় তার হেফাজত উঠিয়ে নেন এবং তাদেরকে দু’একটি গুনাহে লিপ্ত হতে দেন। যাতে করে মানুষ যেন খোদা বলে ধারণা না করে এবং জেনে রাখে এরাও মানুষ।” (নাঊযুবিল্লাহ) [তাফহীমাত, ৪র্থ সংস্করণ, ২য় খণ্ড, ৫৬-৫৭ পৃষ্ঠা] “কোন কোন নবী দ্বীনের চাহিদার উপর সি'র থাকতে পারেননি। বরং তারা আপন মানবীয় দূর্বলতার কাছে হার মেনেছেন।” (নাঊযুবিল্লাহ) [তরজমানুল কোরআন, ৩৫তম সংখ্যা, ৩২৭ পৃষ্ঠা] (ঘ) হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের সম্পর্কে কুফরী বক্তব্য: (১) হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের সম্পর্কে মওদুদী বলে, “দীর্ঘদিনের শিক্ষা-দীক্ষার পর রাসুলুল্লাহ (সাঃ) তাঁদেরকে রণাঙ্গনে নিয়ে আসেন। তাঁদের মনমানসিকতায় মহাবিপ্লব চিত্রিত হওয়ার পরও ইসলামের প্রাথমিক যুদ্ধগুলোতে আল্লাহর রাস্তায় জেহাদের মূল তাৎপর্য অনুধাবনে সাহাবা কেরামরা বারবার ভুল করতেন।” (নাঊযুবিল্লাহ) [তরজুমানুল কোরআন, রবিউস সানী সংখ্যা, ১৩৫৭ হিজরী] (২) মওদুদী হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের সম্পর্কে আরো বলেছে, “সাহাবায়ে কেরামের অনেকে মনগড়া হাদীস বর্ণনা করেছেন।” (নাঊযুবিল্লাহ) [তরজুমানুল কোরআন, ৩৫শ সংখ্যা, ৩২৭ পৃষ্ঠা] (৩) সে আরো বলেছে, “সাহাবাদের মধ্যে জাহিলিয়াতের বদস্বভাবের পুনরাবৃত্তি ঘটে।” (নাঊযুবিল্লাহ) [তাফহিমাত, ২য় খণ্ড, ১৫৫ পৃষ্ঠা]
(ঘ) হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের সম্পর্কে কুফরী বক্তব্য:
(৪) মওদুদী আরো বলেছে, “অনেক সময় সাহাবাদের মধ্যে মানবিক দুর্বলতা প্রাধান্য লাভ করতো। তাঁরা একে অপরকে আক্রমণ করে বসতেন এবং পরস্পরে গালিগালাজ শুরু করতেন।” (নাঊযুবিল্লাহ) [তরজুমানুল কোরআন]
(৫) ইসলামের প্রথম খলীফা হযরত আবু বকর ছিদ্দীক্ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার সম্পর্কে মওদুদী লিখেছে, “ইসলাম মানুষকে এই নির্দেশ দেয় যে, সে যেন কখনো রিপুর প্রভাবে প্রভাবিত না হয়। ...... এটা অত্যন্ত সূক্ষ্ম ব্যাপার। একবার হযরত আবু বকর ছিদ্দীক্বের মত রিপুর তাড়নামুক্ত খোদাভীরু ও আল্লাহতে নিবেদিতপ্রাণ ব্যক্তিও তা পূরণ করতে ব্যর্থ হন।” (নাঊযুবিল্লাহ) [তরজুমানুল কোরআন]
(৬) হযরত ওমর ফারুক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার সম্পর্কে মওদুদী লিখেছে, “বিশ্ব প্রতিটি উচুর সামনে মাথা নত করতে অভ্যস্ত ছিল এবং প্রত্যেক বুজুর্গ মানুষকে সাধারণ মানুষের স্তর থেকে কিছু না কিছু ঊর্ধ্বে ধারণা করে আসছিল। এই ধারণার প্রভাব বিলুপ্ত হওয়ার পথও কখনো কখনো স্পষ্ট হয়ে উঠতো....। সম্ভবত এই ব্যক্তি শ্রেষ্ঠত্বের ধারণাই রসূলুল্লাহর ইন্তেকালের সময় অনিচ্ছাকৃতভাবে হলেও কিছুক্ষণের জন্য হযরত ওমরকে পরাভূত করে ফেলেছিলো।” (নাঊযুবিল্লাহ) [তরজুমানুল কোরআন]
(৭) হযরত ওসমান যুন নুরাইন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার সম্পর্কে সে বলেছে, “একদিকে ইসলামী রাষ্ট্র সমপ্রসারণের দরুন কাজ দিন দিন কঠিনতর হচ্ছিল, অপরদিকে হযরত ওসমান যার উপর এই বিরাট কাজের বোঝা ন্যস্ত করা হয়েছিলো, তিনি ততটা যোগত্যা ও বৈশিষ্ট্যের অধিকারী ছিলেন না যা তার পূর্বসূরিদের ছিলো। এজন্য জাহিলিয়াত ইসলামী সমাজব্যবস্থায় অনুপ্রবেশের পথ পেয়ে যায়।” (নাঊযুবিল্লাহ) [তাজদীদ ও এহইয়ায়ে দ্বীন, ৩৩ পৃষ্ঠা]
(৪) মওদুদী আরো বলেছে, “অনেক সময় সাহাবাদের মধ্যে মানবিক দুর্বলতা প্রাধান্য লাভ করতো। তাঁরা একে অপরকে আক্রমণ করে বসতেন এবং পরস্পরে গালিগালাজ শুরু করতেন।” (নাঊযুবিল্লাহ) [তরজুমানুল কোরআন]
(৫) ইসলামের প্রথম খলীফা হযরত আবু বকর ছিদ্দীক্ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার সম্পর্কে মওদুদী লিখেছে, “ইসলাম মানুষকে এই নির্দেশ দেয় যে, সে যেন কখনো রিপুর প্রভাবে প্রভাবিত না হয়। ...... এটা অত্যন্ত সূক্ষ্ম ব্যাপার। একবার হযরত আবু বকর ছিদ্দীক্বের মত রিপুর তাড়নামুক্ত খোদাভীরু ও আল্লাহতে নিবেদিতপ্রাণ ব্যক্তিও তা পূরণ করতে ব্যর্থ হন।” (নাঊযুবিল্লাহ) [তরজুমানুল কোরআন]
(৬) হযরত ওমর ফারুক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার সম্পর্কে মওদুদী লিখেছে, “বিশ্ব প্রতিটি উচুর সামনে মাথা নত করতে অভ্যস্ত ছিল এবং প্রত্যেক বুজুর্গ মানুষকে সাধারণ মানুষের স্তর থেকে কিছু না কিছু ঊর্ধ্বে ধারণা করে আসছিল। এই ধারণার প্রভাব বিলুপ্ত হওয়ার পথও কখনো কখনো স্পষ্ট হয়ে উঠতো....। সম্ভবত এই ব্যক্তি শ্রেষ্ঠত্বের ধারণাই রসূলুল্লাহর ইন্তেকালের সময় অনিচ্ছাকৃতভাবে হলেও কিছুক্ষণের জন্য হযরত ওমরকে পরাভূত করে ফেলেছিলো।” (নাঊযুবিল্লাহ) [তরজুমানুল কোরআন]
(৭) হযরত ওসমান যুন নুরাইন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার সম্পর্কে সে বলেছে, “একদিকে ইসলামী রাষ্ট্র সমপ্রসারণের দরুন কাজ দিন দিন কঠিনতর হচ্ছিল, অপরদিকে হযরত ওসমান যার উপর এই বিরাট কাজের বোঝা ন্যস্ত করা হয়েছিলো, তিনি ততটা যোগত্যা ও বৈশিষ্ট্যের অধিকারী ছিলেন না যা তার পূর্বসূরিদের ছিলো। এজন্য জাহিলিয়াত ইসলামী সমাজব্যবস্থায় অনুপ্রবেশের পথ পেয়ে যায়।” (নাঊযুবিল্লাহ) [তাজদীদ ও এহইয়ায়ে দ্বীন, ৩৩ পৃষ্ঠা]
(ঘ) হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের সম্পর্কে কুফরী বক্তব্য:
(৮) হযরত ওসমান যুন নুরাইন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে শহীদকারীদের বিচারের ব্যাপারে হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার দেওয়া বক্তব্যের সমালোচনা করে মওদুদী বলেছে, “ইনসাফ করো, তুমি যদি মায়াবিয়া (হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু) হতে কিংবা মায়াবিয়া না হও অন্তত সিরিয়ার একজন সাধারণ নাগরিক হত, তাহলে বর্ণিত পটভূমির প্রেক্ষিতে তুমি কি আলীর জবাবকে একটা বাহানা, গড়িমসি, ছলনা ও অস্বীকৃতি ছাড়া সৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মনে করতে?” (নাঊযুবিল্লাহ) [তাজাল্লী, দেওবন্দ, ডিসেম্বর ১৯৫৭]
(ঙ) মুজাদ্দিদ সম্পর্কে বক্তব্যঃ
মুজাদ্দিদের আগমন সম্পর্কে জনাব মওদুদীর বক্তব্য হচ্ছে, “ইতিহাসের প্রতি দৃষ্টিপাত করলে জানা যায়, এ পর্যন্ত কোন ‘কামেল মুজাদ্দিদের’ আবির্ভাব হয়নি। ওমর ইবনে আব্দুল আজিজের এই মর্যাদায় অধিষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা ছিলো। কিন্তু তিনি কামিয়াব বা সফল হতে পারেননি। তারপর যত মুজাদ্দিদের আগমন হয়েছে, তাদের প্রত্যেকে কোন না কোন একটা বিশেষ বিভাগ কিংবা কয়েকটি বিভাগে কাজ করেছেন। কামেল মুজাদ্দিদ বা পরিপূর্ণ সংস্কারকের স্থান এখনো শূন্য রয়েছে।” (নাঊযুবিল্লাহ) [তাজদীদ ও এহইয়ায়ে দ্বীন, ৩১ পৃষ্ঠা]
(চ) হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের সম্পর্কে বক্তব্যঃ
হযরত ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সমালোচনা প্রসঙ্গে মওদুদী বলেছে, “ইমাম গাজ্জালীর সংস্কারমূলক কাজে জ্ঞানগত ও চিন্তাগত দিক থেকে কয়েকটি ত্রুটিও ছিলো। এগুলো তিনটি শিরোনামে বিভক্ত করা যেতে পারে। প্রথমত ইলমে হাদীসে দুর্বলতার দরুন তাঁর গবেষণায় কতকগুলো ত্রুটি দেখা দেয়। দ্বিতীয়ত, তাঁর মধ্যে দর্শনের প্রাধান্য থাকায় কতকগুলো গবেষণায় ত্রুটি-বিচ্যুতি দেখা দেয়। তৃতীয়ত তাসাউফ বা আধ্যাত্মবাদের প্রতি তাঁর প্রয়োজনাতিরিক্ত আকর্ষণ থাকার দরুন সৃষ্ট ত্রুটি-বিচ্যুতি।” (নাঊযুবিল্লাহ) [তাজদীদ ও এহইয়ায়ে দ্বীন, ৪৫ পৃষ্ঠা]
হযরত ইমাম আবু হানিফা রহমতুল্লাহি আলাইহি প্রসঙ্গে, “ইমাম আবু হানিফার ‘ফিকাহ’ ইসলামকে একটি সি'তিশীল হিন্দু শাস্ত্রে রূপান্তরিত করেছে।” (নাঊযুবিল্লাহ) [তরজমানুল কোরআন, ১ম খণ্ড, ১৩৬ পৃষ্ঠা]
(৮) হযরত ওসমান যুন নুরাইন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে শহীদকারীদের বিচারের ব্যাপারে হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার দেওয়া বক্তব্যের সমালোচনা করে মওদুদী বলেছে, “ইনসাফ করো, তুমি যদি মায়াবিয়া (হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু) হতে কিংবা মায়াবিয়া না হও অন্তত সিরিয়ার একজন সাধারণ নাগরিক হত, তাহলে বর্ণিত পটভূমির প্রেক্ষিতে তুমি কি আলীর জবাবকে একটা বাহানা, গড়িমসি, ছলনা ও অস্বীকৃতি ছাড়া সৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মনে করতে?” (নাঊযুবিল্লাহ) [তাজাল্লী, দেওবন্দ, ডিসেম্বর ১৯৫৭]
(ঙ) মুজাদ্দিদ সম্পর্কে বক্তব্যঃ
মুজাদ্দিদের আগমন সম্পর্কে জনাব মওদুদীর বক্তব্য হচ্ছে, “ইতিহাসের প্রতি দৃষ্টিপাত করলে জানা যায়, এ পর্যন্ত কোন ‘কামেল মুজাদ্দিদের’ আবির্ভাব হয়নি। ওমর ইবনে আব্দুল আজিজের এই মর্যাদায় অধিষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা ছিলো। কিন্তু তিনি কামিয়াব বা সফল হতে পারেননি। তারপর যত মুজাদ্দিদের আগমন হয়েছে, তাদের প্রত্যেকে কোন না কোন একটা বিশেষ বিভাগ কিংবা কয়েকটি বিভাগে কাজ করেছেন। কামেল মুজাদ্দিদ বা পরিপূর্ণ সংস্কারকের স্থান এখনো শূন্য রয়েছে।” (নাঊযুবিল্লাহ) [তাজদীদ ও এহইয়ায়ে দ্বীন, ৩১ পৃষ্ঠা]
(চ) হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের সম্পর্কে বক্তব্যঃ
হযরত ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সমালোচনা প্রসঙ্গে মওদুদী বলেছে, “ইমাম গাজ্জালীর সংস্কারমূলক কাজে জ্ঞানগত ও চিন্তাগত দিক থেকে কয়েকটি ত্রুটিও ছিলো। এগুলো তিনটি শিরোনামে বিভক্ত করা যেতে পারে। প্রথমত ইলমে হাদীসে দুর্বলতার দরুন তাঁর গবেষণায় কতকগুলো ত্রুটি দেখা দেয়। দ্বিতীয়ত, তাঁর মধ্যে দর্শনের প্রাধান্য থাকায় কতকগুলো গবেষণায় ত্রুটি-বিচ্যুতি দেখা দেয়। তৃতীয়ত তাসাউফ বা আধ্যাত্মবাদের প্রতি তাঁর প্রয়োজনাতিরিক্ত আকর্ষণ থাকার দরুন সৃষ্ট ত্রুটি-বিচ্যুতি।” (নাঊযুবিল্লাহ) [তাজদীদ ও এহইয়ায়ে দ্বীন, ৪৫ পৃষ্ঠা]
হযরত ইমাম আবু হানিফা রহমতুল্লাহি আলাইহি প্রসঙ্গে, “ইমাম আবু হানিফার ‘ফিকাহ’ ইসলামকে একটি সি'তিশীল হিন্দু শাস্ত্রে রূপান্তরিত করেছে।” (নাঊযুবিল্লাহ) [তরজমানুল কোরআন, ১ম খণ্ড, ১৩৬ পৃষ্ঠা]
(ছ) তাফসীর সম্পর্কে বক্তব্য:
ইসলামের বিধান অনুযায়ী পবিত্র কুরআন শরীফ-এর মনগড়া তাফসীর করা হারাম। হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, “যে ব্যক্তি পবিত্র কুরআন শরীফ-এর মনগড়া ব্যাখ্যা করে সে যেন তার স্থান দোযখে তালাশ করে।” (তিরমিযী শরীফ)। বস্তুত পবিত্র কুরআন শরীফ-এর ব্যাখ্যা করার কতকগুলো নিয়ম-নীতি রয়েছে। আর এসব নিয়ম-নীতি জানতে হলে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম ও উনাদের পরবর্তীকালের হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের তাফসীর এবং আনুষঙ্গিক বিষয়াদি সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে হয়। কিন্তু মওদুদী বলেছে, “কোরআন ও রাসুলের সুন্নতের শিক্ষাই সবার আগে। তবে তফসীর ও হাদীসের পুরনো ভাণ্ডার থেকে নয়।” [তানকিহাত, ১১৪ পৃষ্ঠা]
(জ) ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে বক্তব্য:
“ইসলাম ধর্ম কেবল অস্ত্রবল প্রয়োগ করে মানুষকে মুসলমান বানায় একথা বলা যেমন ভুল, ঠিক তেমনি ইসলামের প্রচার ও প্রসারে অস্ত্রের কোন ভুমিকা নেই” একথা বলাও সঠিক নয়। প্রকৃত সত্য এই দুয়ের মাঝামাঝি অবসি'ত। আর তা হলো, অন্য সত্যতার ক্ষেত্রে যা ঘটেছে ইসলামের প্রচারে ও প্রসারে ঠিক একইভাবে মৌখিক তাবলীগ ও অস্ত্রের প্রয়োগ উভয়েরই ভূমিকা ছিল। তবলিগ বীজ বপনের কাজ করে আর তরবারি নিড়ানি দেয়। প্রথমে তরবারি মাটি নরম করে যেন এতে বীজ উৎগমের পরিবেশ সৃষ্টি হয়, এরপর তবলিগের মাধ্যমে বীজ বপন ও সেচ পরিচর্যার কাজ সম্পন্ন হয়।” [আল জিহাদ ফিল ইসলাম, ১৭৪-১৭৫ পৃষ্ঠা]
(ঝ) সত্য-মিথ্যা বলা সম্পর্কে বক্তব্য:
“বাস্তব জীবনে এমন কিছু চাহিদা রয়েছে যেগুলোর খাতিরে মিথ্যা বলা কেবল জায়েজই নয় বরং ওয়াজেব।” [তরজুমানুল কোরআন, ৫০তম খণ্ড, ২য় সংখ্যা, ১১৮ পৃষ্ঠা, শাবান ১৩৭৭ হিজরী]
ইসলামের বিধান অনুযায়ী পবিত্র কুরআন শরীফ-এর মনগড়া তাফসীর করা হারাম। হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, “যে ব্যক্তি পবিত্র কুরআন শরীফ-এর মনগড়া ব্যাখ্যা করে সে যেন তার স্থান দোযখে তালাশ করে।” (তিরমিযী শরীফ)। বস্তুত পবিত্র কুরআন শরীফ-এর ব্যাখ্যা করার কতকগুলো নিয়ম-নীতি রয়েছে। আর এসব নিয়ম-নীতি জানতে হলে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম ও উনাদের পরবর্তীকালের হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের তাফসীর এবং আনুষঙ্গিক বিষয়াদি সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে হয়। কিন্তু মওদুদী বলেছে, “কোরআন ও রাসুলের সুন্নতের শিক্ষাই সবার আগে। তবে তফসীর ও হাদীসের পুরনো ভাণ্ডার থেকে নয়।” [তানকিহাত, ১১৪ পৃষ্ঠা]
(জ) ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে বক্তব্য:
“ইসলাম ধর্ম কেবল অস্ত্রবল প্রয়োগ করে মানুষকে মুসলমান বানায় একথা বলা যেমন ভুল, ঠিক তেমনি ইসলামের প্রচার ও প্রসারে অস্ত্রের কোন ভুমিকা নেই” একথা বলাও সঠিক নয়। প্রকৃত সত্য এই দুয়ের মাঝামাঝি অবসি'ত। আর তা হলো, অন্য সত্যতার ক্ষেত্রে যা ঘটেছে ইসলামের প্রচারে ও প্রসারে ঠিক একইভাবে মৌখিক তাবলীগ ও অস্ত্রের প্রয়োগ উভয়েরই ভূমিকা ছিল। তবলিগ বীজ বপনের কাজ করে আর তরবারি নিড়ানি দেয়। প্রথমে তরবারি মাটি নরম করে যেন এতে বীজ উৎগমের পরিবেশ সৃষ্টি হয়, এরপর তবলিগের মাধ্যমে বীজ বপন ও সেচ পরিচর্যার কাজ সম্পন্ন হয়।” [আল জিহাদ ফিল ইসলাম, ১৭৪-১৭৫ পৃষ্ঠা]
(ঝ) সত্য-মিথ্যা বলা সম্পর্কে বক্তব্য:
“বাস্তব জীবনে এমন কিছু চাহিদা রয়েছে যেগুলোর খাতিরে মিথ্যা বলা কেবল জায়েজই নয় বরং ওয়াজেব।” [তরজুমানুল কোরআন, ৫০তম খণ্ড, ২য় সংখ্যা, ১১৮ পৃষ্ঠা, শাবান ১৩৭৭ হিজরী]
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন