সংবিধানে ‘বিসমিল্লাহ’ থাকবে, ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ থাকবে কিন্তু ‘সর্বশক্তিমান আল্লাহ পাক উনার প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস সেটা উঠে যাবে এটা সংবিধানসম্মত তো নয়ই বরং সম্পূর্ণ কুরআন-সুন্নাহ বিরোধীও। সংবিধান সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু আরো ভালো মন্তব্য চেয়েছিলেন; কিন্তু তখন সবাই দিতে ব্যর্থ হয়েছে। বিধানে মদ ও জুয়া নিষিদ্ধ করা এবং ইসলামী সংহতি প্রকাশ করা সংবিধানে বঙ্গবন্ধুর ইসলামী মূল্যবোধই সমুন্নত রাখার প্রতিফলন।
কাজেই ‘কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোন আইন পাস হবে না’- এ নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সরকারের উচিত হবে না ‘সর্বশক্তিমান আল্লাহ পাক উনার প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস্থ এ বাক্য সংবিধান থেকে উঠিয়ে দেয়া।
এটা করলে দেশের শতকরা ৯৫ ভাগ মুসলিম জনগোষ্ঠীর ধর্মমূলে আঘাত হানা হবে। আর মুসলমান তা যে কোন মূল্যে প্রতিহত করবে। কারণ, সাধারণ মুসলমান জীবনের চেয়েও আল্লাহ পাক উনাকেই সবচেয়ে বেশি মুহব্বত করে ।
যামানার খাছ লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুনা, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান সু-পরিবর্তনীয়, এটা একটা ইতিবাচক দিক।কাজেই ‘কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোন আইন পাস হবে না’- এ নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সরকারের উচিত হবে না ‘সর্বশক্তিমান আল্লাহ পাক উনার প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস্থ এ বাক্য সংবিধান থেকে উঠিয়ে দেয়া।
এটা করলে দেশের শতকরা ৯৫ ভাগ মুসলিম জনগোষ্ঠীর ধর্মমূলে আঘাত হানা হবে। আর মুসলমান তা যে কোন মূল্যে প্রতিহত করবে। কারণ, সাধারণ মুসলমান জীবনের চেয়েও আল্লাহ পাক উনাকেই সবচেয়ে বেশি মুহব্বত করে ।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, তবে স্বাধীনতা উত্তর বিধ্বস্ত দেশে বঙ্গবন্ধু যত সংক্ষিপ্ত সময়ে সংবিধান দিয়েছেন তা নজীরবিহীন। দুনিয়ার ইতিহাসে কোথাও দেখা যায় না যে, মাত্র দশ মাসের মাথায় সংবিধান দিতে পেরেছে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, ৪ঠা নভেম্বর, ১৯৭২ সাল, সকাল ১০.৪০ মিনিটে স্পিকার জনাব মুহম্মদুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংসদে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘... তখন দেশবাসীর কাছে আবেদন করেছিলাম যে, দলমত-নির্বিশেষে আপনাদের যে কোন পরামর্শ, যে কোন মতামত থাকলে মেহেরবানি করে কমিটির কাছে পাঠিয়ে দিবেন। যদিও দু’একটি কেউ কেউ দিয়েছেন, কিন্তু যারা খবরের কাগজে বক্তৃতা করেন তারা একখানও দেন নাই। তাদের কাছ থেকে যা পেয়েছি, অন্য কর্মীদের কাছে থেকে, অন্য মানুষের কাছ থেকে, প্রফেসরদের কাছ থেকে আরও অনেক পেয়েছি। তাতে অনেক সাহায্য হয়েছে। কিন্তু শাসনতন্ত্র যারা মানেন না, যারা গায়ে মানে না আপনি মোড়ল (ধর্মব্যবসায়ী মাওলানারা) তারা মেহেরবানি করে এক কলমও লিখে পাঠাননি।’
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, স্বাধীনতা উত্তর কথিত আলিম সমাজ তাদের রাজাকারী এবং যুদ্ধাপরাধী ভূমিকার জন্য সংবিধানে ইসলামী ভাবমর্যাদা ও ইসলামী রূপরেখা সন্নিবেশিত করার জন্য কোন ভূমিকা রাখতে পারেনি। তারা অন্যায় করেছিলো। তাদের ব্যক্তিত্ব হারিয়েছিলো এবং সর্বোপরি তারা অজ্ঞ ছিলো।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, তখন সংবিধানে বঙ্গবন্ধু নিজে যতটুকু বুঝেছিলেন ততটুকুই করেছিলেন। কারণ, তিনি মনেপ্রাণে একজন সুন্নী মুসলমান ছিলেন। তাই তিনি মদ-জুয়া নিষিদ্ধ করেছিলেন। ইসলামী সংহতির কথা উল্লেখ করেছিলেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়। কিন্তু কথা হচ্ছে, ৫ম সংশোধনী দ্বারা যখন ‘সর্বশক্তিমান আল্লাহ পাক উনার প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস্থ সংযোজিত হলো তখন তা উঠিয়ে দেয়াকে দেশের শতকরা ৯৫ ভাগ জনগোষ্ঠী ধর্ম উঠিয়ে দেয়া হিসাবে মনে করবে। কারণ, যা ছিল না তা ছিলনা । কিন্তু যা সংযোজন করা হয়েছে তা বিয়োজন করলে বাংলাদেশের সাধারণ মুসলমান সেভাবেই নিবে। যেমন একই কারণে সরকার রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ও বিসমিল্লাহ উঠাচ্ছেনা; সে রকমই তাদের উচিত নয়, ‘সর্বশক্তিমান আল্লাহ পাক উনার প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস্থ এ কথা উঠানো।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, বাংলাদেশের শতকরা ৯৫ ভাগ মুসলমানই গভীর ধর্মপ্রাণ। তারা পাপ কাজ করতে পারে; কিন্তু তারা সবাই ঈদের নামায আদায় করে, শবে বরাত পালন করে, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম করাতে খুশি হয়। বঙ্গবন্ধুর কাছে যদি মুসলিম প্রতিনিধিরা আরো বেশি ইসলামী রূপরেখার দাবি তুলতেন তবে তিনি তাই মেনে নিতেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, ওই সময় ব্যক্তিত্বহীনতা ও রাজাকারীর সাথে যুক্ত থাকার ফলে কোন ইসলামী প্রতিনিধি দল বঙ্গবন্ধুকে ইসলামের কথা সম্যক তুলে ধরতে পারেনি।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, আজ বঙ্গবন্ধু কন্যা ক্ষমতায় সমাসীন। যিনি ব্যক্তিগতভাবে সর্বদাই সর্বশক্তিমান আল্লাহ পাক উনার প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস রাখেন; তার মত প্রতিটি মুসলমানই রাখেন। তবে তার পক্ষে কীভাবে সম্ভব যে, ‘সর্বশক্তিমান আল্লাহ পাক উনার প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস্থ একথা উঠিয়ে দেয়া।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, তাছাড়া যেখানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম রয়েছে, আর ইসলামের মালিক আল্লাহ পাক। কাজেই ইসলাম থাকবে কিন্তু মালিক ‘আল্লাহ পাক’ উনার কথা উঠে যাবে এটা তো হতে পারে না।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, ‘সর্বশক্তিমান আল্লাহ পাক উনার প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস্থ এবং ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ থাকাতে এযাবৎ কোন বিধর্মীদের ধর্মপালনে কোন অসুবিধা হয়নি। বরং অভিযোগ রয়েছে, পার্বত্য এলাকা, দিনাজপুর, রংপুর প্রভৃতি এলাকায় পাইকারি হারে গরিব মুসলমানদের খ্রিস্টান বানানো হয়েছে। অর্থাৎ বিধর্মীরাই অতিরিক্ত সুবিধা নিয়েছে। কাজেই ‘সর্বশক্তিমান আল্লাহ পাক উনার প্রতি আস্থা ও পূর্ণ বিশ্বাস রাখতে’ কারো কোন ক্ষতি হবে না। সবাই যার যার ধর্ম পালন করতে পারবে। তবে এদেশে উপজাতীয় ভাষা চালু থাকলেও এমনকি বিহারী বা উর্দু চালু থাকলেও সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণে যেমন বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দেয়া হয়েছে তেমনি ৯৫ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমান থাকার কারণে ইসলামকেও রাষ্ট্রধর্মের মর্যাদা দেয়া হয়েছে। আর সেক্ষেত্রে ‘সর্বশক্তিমান আল্লাহ পাক উনার প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস্থ একথা অবশ্যই সংরক্ষণ করতে হবে। নচেৎ তা হবে কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী কথা। আর ‘কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোন আইন পাস হবে না’ এ প্রতিশ্রুতি দিয়েই সরকার ক্ষমতায় এসেছে। সুতরাং কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোন আইন পাস করলে শতকরা ৯৫ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমান তা মেনে নিবে না। বরদাশত করবে না। দেশের শৃঙ্খলা নষ্ট হবে। বিপক্ষ শক্তি তার সুযোগ নিবে। তারা গৃহযুদ্ধের দিকে দেশকে ঠেলে দিবে। সরকারের উচিত হবে না, বিপক্ষ শক্তিকে এ সুযোগ দেয়া এবং কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোন কাজ করে সাধারণ মুসলমানদের অন্তরে আঘাত দেয়া। কারণ, সাধারণ মানুষ জীবনের চেয়ে ধর্মকে বেশি ভালবাসে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন করার কারণ হলো পাকিস্তানীরা ইসলাম-এর নামে ইসলাম বিরোধী কাজ করে বাংলাদেশী মুসলমানদের উপর জুলূম করেছে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন করা হয়েছে ‘দ্বীন ইসলাম’ বাদ দেয়ার জন্য নয়; বরং ‘দ্বীন ইসলাম’ আরো দৃঢ়ভাবে পালন করার জন্য।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন