মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, হে ঈমানদারগণ! তোমাদের জন্য রমাদ্বান শরীফ-এর রোযাকে ফরয করা হলো যেরূপ পূর্ববর্তীদের জন্য ফরয করা হয়েছিলো। যাতে তোমরা তাক্বওয়া অর্জন করতে পার।
বিশেষ করে শতকরা ৯৭ ভাগ মুসলমানের দেশ বাংলাদেশ; এ দেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম, তাই তাক্বওয়া অর্জন করতে হলে-পবিত্র রমাদ্বান শরীফ-এর পবিত্রতা রক্ষার্থে বেপর্দা-বেহায়াপনা, অশ্লীল ও হারাম সিনেমা, নাটক ও টিভি চ্যানেলসহ সর্বপ্রকার শরীয়তবিরোধী কাজ সরকারিভাবে বন্ধ রাখতে হবে এবং ব্যক্তিগতভাবেও বিরত থাকতে হবে।পাশাপাশি প্রত্যেক মুসলিম ও অমুসলিম সরকারের দায়িত্ব কর্তব্য হচ্ছে- সর্বপ্রকার অশ্লীলতা, বেহায়াপনা ও শরীয়তবিরোধী কর্মকা- বন্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।যামানার খাছ লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, তামাম মাখলুকাতের মধ্যে খালিক্ব-মালিক আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি যেরূপ মর্যাদাবান- অন্যান্য মাসের তুলনায় রমাদ্বান শরীফ তদ্রুপ মর্যাদাবান। যেসব উসীলাকে কেন্দ্র করে মহান আল্লাহ পাক তিনি বান্দাকে ক্ষমা করেন; তাদের প্রতি রহমত, বরকত, সাকীনা নাযিল করেন এবং তাদেরকে জাহান্নাম থেকে নাযাত দিয়ে জান্নাতে দাখিল করেন- রমাদ্বান শরীফ তথা এ মাসের ইবাদত-বন্দেগী সেসবের মধ্যে এক অন্যতম উসীলা।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, এ মাসের প্রথম দশদিন রহমতের, দ্বিতীয় দশদিন মাগফিরাতের ও শেষ দশদিন নাযাতের। কাজেই রমাদ্বান শরীফ অশেষ রহমত, মাগফিরাত, নাযাত, বরকত ও ছাক্বীনাপূর্ণ মাস। তাক্বওয়া অর্জন ও অশ্লীলতা বর্জনের মাধ্যমে এ মাসের হক্ব আদায় করা প্রত্যেক উম্মতের দায়িত্ব-কর্তব্য।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, আজকাল মুসলমানেরাই পবিত্র রমাদ্বান শরীফ-এর গুরুত্ব, সম্মান ও পবিত্রতা বুঝে না ও মানে না। তারা রমাদ্বান শরীফ-এ প্রকাশ্যে খানাপিনা করে, বেপর্দা চলে, গান-বাজনা, সিনেমা-নাটক, নোবেল ও টিভি চ্যানেল নিয়ে ব্যস্ত থাকে। অথচ এ সমস্ত হারাম কাজ থেকে বেঁচে থেকে পবিত্র রমাদ্বান শরীফকে তা’যীম-তাকরীম করা ও এর পবিত্রতা রক্ষা করা সকলের জন্যই ফরয-ওয়াজিব।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের এদেশ সরকারিভাবেও রোযার পবিত্রতার কথা, মর্যাদার কথা স্বীকার করে ও প্রচার করে। কিন্তু কার্যত সরকার রোযার পবিত্রতা রক্ষায় কোনো ব্যবস্থাই গ্রহণ করে না। কোনো ভূমিকাই পালন করে না।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, বিনোদনের নামে দেশব্যাপী অশ্লীল থেকে অশ্লীলতর সিনেমা মুক্তি পায়। বিজ্ঞাপনের নামে দেশব্যাপী চরম অশ্লীল চিত্র ঝুলিয়ে রাখা হয়। ফ্যাশন হাউজগুলো ফ্যাশনের নামে খুবই সংক্ষিপ্ত ও পাতলা পোশাক বাজারজাত করে। বিশেষ করে ৯৭ ভাগ মুসলমানের এদেশে তারা হলিউড, বলিউডের অনুকরণে ও ঢংয়ে বা ডিজাইনে পোশাক বাজারজাত করে। যা এদেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম-এর আদর্শের সম্পূর্ণ খিলাফ এবং মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি চরম আঘাতস্বরূপ। কেননা হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত হয়েছে, যারা মিথ্যা বলা এবং অন্যান্য অশ্লীল ও অশালীন কাজ অর্থাৎ শরীয়তের নিষেধকৃত কাজ থেকে বিরত থাকে না মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট তাদের খাদ্য ও পানীয় থেকে বিরত থাকার কোনো প্রয়োজন নেই।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, এদিকে প্রত্যেক মিডিয়াতেই রমাদ্বান শরীফকে পবিত্র মাস, আত্মশুদ্ধির মাস বলা হয়। প্রায় প্রত্যেক প্রিন্ট মিডিয়া রমাদ্বান শরীফকে আত্মশুদ্ধির মাস বলে কলাম, নিবন্ধও প্রকাশ করে। পাশাপাশি প্রত্যেক ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায়ও রমাদ্বান শরীফ-এর পবিত্রতা ও মর্যাদা ঘোষণা করে এবং এ সম্পর্কিত প্রোগ্রামও হয়।
কিন্তু দেখা যায় যে, বিভিন্ন টিভি চ্যানেল ও সিনেমা হলগুলোতে শত শত সিনেমা, নাটক ও নাচ-গান ইত্যাদি অশ্লীল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পাশাপাশি প্রিন্ট মিডিয়াগুলো ঈদ ফ্যাশন, নানা ফ্যাশন ইত্যাদি নিয়ে হাজার হাজার অশ্লীল থেকে অশ্লীলতর পত্রিকা প্রকাশ করে। নাঊযুবিল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, তাই আসন্ন রোযার পবিত্রতা রক্ষার্থে সরকারকে এসব মিডিয়ার সর্বপ্রকার অশ্লীলতা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। কিন্তু তা শুধু রমাদ্বান শরীফ-এই বন্ধ রাখলে চলবে না, বরং রোযার শিক্ষা নিয়ে সারাবছরই পবিত্রতা বজায় রাখতে হবে। তবে রমাদ্বান মাসের যথাযথ পবিত্রতা বজায় রাখা সম্ভব ও সহজ হবে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, দেশের মুসলমানদের এমন অবস্থা হয়েছে যে, তাদের কতটুকু ঈমান আছে তা চিন্তার বিষয়। কাজেই দেশবাসী মুসলমানদের উচিত হবে রমাদ্বান শরীফ-এর চেতনা ও আদর্শের খিলাফ সব অশ্লীলতা ও অনৈসলামিক কাজের বিরুদ্ধে তা বন্ধের জন্য কঠিন চাপ সৃষ্টি করা। শুধু রমাদ্বান শরীফ-এ-ই নয়, বরং রমাদ্বান শরীফ থেকে তাক্বওয়া হাছিল করে সারা বছরই তা বন্ধ রাখতে সরকারকে বাধ্য করা।
সূত্র: দৈনিক আল ইহসান (২৮ জুলাই, ২০১১)
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন