মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, ‘তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনাকে অনুসরণ করো, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অনুসরণ করো এবং তোমাদের মধ্যে যাঁরা উলিল আমর অর্থাৎ যিনি বা যাঁরা মহান আল্লাহ পাক উনার মতে মত ও নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পথে পথ হয়েছেন উনাদেরকে অনুসরণ করো।’
অর্থাৎ আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিছাল শরীফ-এর পর যাঁরা উলীল আমর অর্থাৎ প্রকৃত নায়িব বা প্রতিনিধি তথা প্রকৃত ওলীআল্লাহ উনাদেরকে অনুসরণ করে চলা উম্মতের জন্য ফরয।
যামানার সত্যিকার ওলীআল্লাহগণ উনারা পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করেছেন এবং অন্যান্যদেরকেও পালন করার জন্য উৎসাহিত করেছেন।
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, ‘তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনাকে অনুসরণ করো, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অনুসরণ করো এবং তোমাদের মধ্যে যাঁরা উলিল আমর অর্থাৎ যিনি বা যাঁরা মহান আল্লাহ পাক উনার মতে মত ও নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পথে পথ হয়েছেন উনাদেরকে অনুসরণ করো।’
মূলত, উলিল আমর তথা আল্লাহওয়ালা উনাদেরকে অনুসরণ করা বা মেনে চলার অর্থ হলো- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মেনে চলা এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মেনে চলার অর্থ হলো- মহান আল্লাহ পাক উনাকে মেনে চলা। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, যামানার শ্রেষ্ঠতম ওলীআল্লাহ, যামানার মহান মুজাদ্দিদ ও ইমাম, সুলত্বানুল আরিফীন, মুসলমানদের মধ্যে যাঁরা সর্বাধিক কিতাব লিখেছেন উনাদের মধ্যে অন্যতম ব্যক্তিত্ব, ইমাম হযরত জালালুদ্দীন সুয়ূতী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করেছেন এবং সেই সাথে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ-এর ফযীলতও বর্ণনা করেছেন। যেমন তিনি বলেছেন- “যে কোনো ঘরে অথবা মসজিদে অথবা মহল্লায় খুশি প্রকাশ করে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন করা হয়, সে স্থান অবশ্যই মহান আল্লাহ পাক উনার হযরত ফেরেশ্তা আলাইহিমুস সালামগণ উনারা বেষ্টন করে নেন। আর উনারা সে স্থানের অধিবাসীগণের উপর ছলাত-সালাম পাঠ করতে থাকেন। আর মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাদেরকে স্বীয় রহমত ও সন্তুষ্টির আওতাভুক্ত করে নেন। আর নূর দ্বারা সজ্জিত প্রধান চার ফেরেশতা অর্থাৎ হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম, হযরত মীকায়ীল আলাইহিস সালাম, হযরত ইসরাফীল আলাইহিস সালাম ও হযরত আযরায়ীল আলাইহিস সালাম উনারা মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপনকারীগণের উপর ছলাত-সালাম পাঠ করেন। যখন উনারা ইন্তিকাল করেন তখন, মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাদের জন্য মুনকার-নাকীরের সুওয়াল-জাওয়াব সহজ করে দেন। আর উনাদের অবস্থান হয় আল্লাহ পাক উনার সন্নিধানে ছিদক্বের মাক্বামে।” সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, অনুরূপভাবে এ উপমহাদেশে যিনি হাদীছ শাস্ত্রের প্রচার-প্রসার করেছেন, যিনি ক্বাদিরিয়া তরীক্বার বিশিষ্ট বুযূর্গ, ইমামুল মুহাদ্দিছীন হযরত আব্দুল হক্ব মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনিও সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করেছেন। তিনি এর ফযীলত বর্ণনা করতে গিয়ে বলেছেন, “যে ব্যক্তি তার সাধ্য ও সামর্থ্য অনুযায়ী মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করবে, সে জান্নাতে বিরাট সফলতা লাভ করবে।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, অতএব, বান্দা ও উম্মত যদি সত্যিই মহান আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের তরফ থেকে রহমত, মাগফিরাত, নাজাত ও সুপারিশ লাভ করতে চায়, সর্বোপরি উনাদের সন্তুষ্টি হাছিল করতে চায়, তাহলে অবশ্যই তার অবস্থা ও তাওফীক অনুযায়ী নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করা দায়িত্ব ও কর্তব্য।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন