সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পবিত্র শবে বরাত পালন করা সুন্নত


পবিত্র শবে বরাত পালন করা সুন্নত ॥ আর সুন্নত পালন করা ফরয এবং তা অবজ্ঞা করা কুফরী

পবিত্র শবে বরাত হচ্ছে শা’বান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাত যা ১৫ তারিখের রাত্রি। যাকে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ-এ সূরা দুখান-এর শুরুতে ‘লাইলাতুম মুবারকা’ ও হাদীছ শরীফ-এ ‘লাইলাতুন নিসফি মিন শা’বান’ বলা হয়েছে। 
সুন্নত:
 আল্লাহ পাক উনার হাবীব, আখিরী নবী, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের এবং হযরত তাবেয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের কথা, কাজ ও মৌন সম্মতি। তাহলে পবিত্র শবে বরাত পালন করা সুন্নত-এর অর্থ হলো- স্বয়ং আল্লাহ পাক উনার হাবীব সাইয়্যিদুল খালায়িক্ব, নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের ও হযরত তাবেয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের এবং তৎপরবর্তী নির্ভরযোগ্য সমস্ত ইমাম মুজতাহিদ ও আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা পবিত্র শা’বান মাসের ১৫ তারিখের রাত্রিতে ইবাদত-বন্দেগী করেছেন।
এ মর্মে হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আল্লাহ পাক উনার হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে কোন এক রাত্রিতে রাত্রিযাপন করছিলাম। এক সময় উনাকে বিছানা মুবারক-এ না পেয়ে আমি মনে করলাম যে, উনি হয়ত অন্য কোন উম্মুল মু’মিনীন আলাইহাস সালাম উনার হুজরা শরীফ-এ তাশরীফ নিয়েছেন। অতঃপর আমি তালাশ করে উনাকে জান্নাতুল বাক্বীতে পেলাম। সেখানে উনি উম্মতের জন্য আল্লাহ পাক উনার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছেন। এ অবস্থা দেখে আমি স্বীয় হুজরা শরীফ-এ ফিরে আসলে উনিও ফিরে এসে আমাকে বললেন, আপনি কি মনে করেছেন, আল্লাহ পাক ও উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা আপনার সাথে আমানতের খিয়ানত করেছেন? আমি বললাম, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি ধারণা করেছিলাম যে, আপনি হয়তো অপর কোন উম্মুল মু’মিনীন আলাইহাস সালাম উনার হুজরা শরীফ-এ তাশরীফ নিয়েছেন।
 
অতঃপর হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, “নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক তিনি শা’বানের পনের তারিখ রাত্রিতে পৃথিবীর আকাশে অবতরণ করেন অর্থাৎ রহমতে খাছ নাযিল করেন। অতঃপর তিনি বনী কালবের মেষের গায়ে যত পশম রয়েছে তার চেয়ে অধিক সংখ্যক বান্দাকে ক্ষমা করে থাকেন।” (তিরমিযী, ইবনে মাজাহ্‌, রযীন, মিশকাত)
উপরোক্ত হাদীছ শরীফ দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, স্বয়ং আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র শবে বরাতে ইবাদত-বন্দেগী, দোয়া-ইস্তিগফার ইত্যাদি করেছেন উম্মতকে শিক্ষা দেয়ার জন্য। আর সেই সুন্নত পালনের লক্ষ্যেই পরবর্তী সমস্ত ইমাম-মুজতাহিদ ও আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা পবিত্র শবে বরাত পালন করেছেন ও বর্তমানে করছেন।
উল্লেখ্য যে, যে কোন সুন্নতকে অবজ্ঞা করা কুফরী। যেমন আক্বাইদের কিতাবে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘আল্লাহ পাক উনার হাবীব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কদুর তরকারি খেতে পছন্দ করতেন। কাজেই কদু খাওয়া সুন্নত। কেউ যদি সেই কদুকে তুচ্ছ বা অবজ্ঞা করে তাহলে সে কুফরী করল। আর যে কুফরী করে সে কাফির হয়ে যায়। যেহেতু আল্লাহ পাক উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সেটাকে পছন্দ করেছেন।
সুতরাং পবিত্র শবে বরাত- যা পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ ও অসংখ্য ছহীহ হাদীছ শরীফ দ্বারা প্রমাণিত সেখানে শবে বরাতকে অবজ্ঞা করা, সেটাকে বিদয়াত, নাজায়িয ইত্যাদি বলা কত বড় পর্যায়ের কুফরী তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কাজেই যারা শবে বরাতকে বিদয়াত, নাজায়িয ইত্যাদি বলবে তারা মূলত ইসলাম ও মুসলমানদের সর্বোপরি আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দুশমন। ইহুদী-খ্রিস্টানদের এজেন্ট। কাট্টা কাফির ও চির জাহান্নামী। আল্লাহ পাক তিনি সকলকে উলামায়ে ছূ’দের কুপ্ররোচনা থেকে হিফাজত করুন। (আমীন)

পবিত্র শবে বরাতে ইবাদত-বন্দিগী করা কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এরই নির্দেশ
কুরআন শরীফ-এর সূরা নজম-এর ৩ ও ৪ নম্বর আয়াত শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ওহী ব্যতীত নিজের থেকে কোন কথা বলেন না।” আরো ইরশাদ হয়েছে, “হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তোমাদের জন্য যা নিয়ে এসেছেন, তা আঁকড়ে ধরো অর্থাৎ তিনি তোমাদেরকে যা আদেশ করেছেন তোমরা তা পালন করো এবং যা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন, তা থেকে বিরত থাকো। এ বিষয়ে আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক কঠোর শাস্তিদাতা।”
এখন পবিত্র শবে বরাত-এ হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পক্ষ থেকে উম্মতের জন্য যে ফরমান ঘোষণা করা হয়েছে তা বিশিষ্ট ছাহাবী খুলাফায়ে রাশিদার চতুর্থ খলীফা হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “যখন শা’বানের পনের তারিখ রাত্রি অর্থাৎ শবে বরাত
 Dcw¯’Z হবে তখন উক্ত রাত্রিতে তোমরা নামায আদায় করবে এবং দিনে রোযা রাখবে। কেননা নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক উক্ত রাত্রিতে সূর্যাস্তের সময় পৃথিবীর আকাশে আসেন অর্থাৎ রহমতে খাছ নাযিল করেন; অতঃপর ঘোষণা করেন, কোন ক্ষমা প্র্রার্থনাকারী আছ কি? আমি তাকে ক্ষমা করে দিব। কোন রিযিক প্রার্থনাকারী আছ কি? আমি তাকে রিযিক দান করব। কোন মুছিবতগ্রস্ত ব্যক্তি আছ কি? আমি তার মুছিবত দূর করে দিব। এভাবে ফজর পর্যন্ত ঘোষণা করতে থাকেন।” (ইবনে মাজাহ, মিশকাত শরীফ)

পবিত্র শবে বরাত ও ইহুদীদের ষড়যন্ত্র

মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ-এ ‘সূরা দু’খান’-এর শুরুতে পবিত্র শবে বরাতকে ‘লাইলাতুম মুবারাকাহ্‌Õ বরকতময় রজনী বলে উল্লেখ করেছেন। আর আল্লাহ পাক উনার হাবীব সাইয়্যিদুল কাওনাইন, নূরে মুজাm&mv হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিও এ মহান রাত্রিকে ‘লাইলাতুম মুবারকা, লাইলাতুন নিসফি মিন শা’বান’ শাবানের মধ্য রাত্রি বলে উল্লেখ করেছেন। 
অসংখ্য হাদীছ শরীফ-এ এ বরকতময় রজনীতে ইবাদত-বন্দেগীর সীমাহীন ফযীলতের কথা বর্ণনা করা হয়েছে। এ মুবারক রাত্রিতে মহান আল্লাহ পাক তিনি কোটি কোটি বান্দাকে ক্ষমা করেন সে ঘোষণাও দেয়া হয়েছে। এ রাত্রিতে বান্দার সমস্ত দোয়া আল্লাহ পাক তিনি কবুল করেন তাও পবিত্র হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত হয়েছে। মোটকথা পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ-এর আয়াত শরীফ, অসংখ্য তাফসীর গ্রš’, অসংখ্য হাদীছ শরীফ ও তার অগণিত ব্যাখ্যাগ্রš’, ইজমা ও কিয়াসের লক্ষ লক্ষ দলীল-আদিল্লাতে পবিত্র শবে বরাত-এর ফযীলত ও তাতে সারারাত জাগ্রত থেকে ইবাদত বন্দেগী-করার জোর তাগিদ দেয়া হয়েছে। কিš‘ আফসুস ও পরিতাপের বিষয় হল, এত অসংখ্য অগণিত দলীল থাকার পরেও এক শ্রেণীর ধর্মব্যবসায়ী, ধর্মের নামে কলঙ্ক ওহাবী, খারিজী, লা-মাযহাবী তথা বিদয়াতী সম্প্রদায় ইহুদী-খ্রিস্টান কর্তৃক প্ররোচিত হয়ে পবিত্র শবে বরাতের বিরুদ্ধে বলে থাকে। এটাকে নাজায়িয, বিদয়াত ইত্যাদি বলে থাকে। নাঊযুবিল্লাহ!
সারাবিশ্বের সকল মুসলিম ও অমুসলিম সরকারের উচিত এ সকল ইহুদী-খ্রিস্টানের এজেন্টদের সমুচিত শাস্তি দিয়ে জাঁকজমকপূর্ণ তথা শান ও জৌলুসপূর্ণভাবে পবিত্র শবে বরাত পালন করা ও সকলকে পালন করার ব্যবস্থা করা। আর এর জন্য কমপক্ষে ৩ দিন সরকারিভাবে ছুটির ঘোষণা করা, যাতে মানুষ মহান আল্লাহ পাক এবং উনার পিয়ারা হাবীব, যিনি নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নৈকট্য, ইহসান, রহমত লাভ করতে 
পারে। (আমীন) 
কাজেই প্রত্যেক মুসলিম ও অমুসলিম অমুসলমান সরকারের দায়িত্ব-কর্তব্য হলো তারা যেন শবে বরাত উপলক্ষে কমপক্ষে ৩ দিন ছুটি ঘোষণা করে সরকারিভাবে সারাদেশে শবে বরাত পালন করার ব্যবস্থা গ্রহণ করে। (আমীন)

‘পবিত্র শবে বরাত’ ‘শবে বরাত কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ-এর কোথাও নেই’ এরূপ বক্তব্য চরম জিহালতি

‘শব’ ফার্সী শব্দ। যার অর্থ ‘রাত্র’। আর ‘বরাত’ আরবী শব্দ যা উর্দূ, ফার্সী, বাংলা ইত্যাদি ভাষাতে ব্যবহার হয়ে থাকে। যার অর্থ মুক্তি ও নাজাত। একত্রে ‘শবে বরাত’-এর A_© n‡”Q Ôgyw³i ivÎÕ ev bvRv‡Zi ivÎÕ| hv Bmjv‡gi we‡kl ivwÎmg~‡ni g‡a¨ GKwU we‡kl ivÎ| hv cweÎ kvÕevb gv‡mi †PŠÏ ZvwiL w`evMZ ivw·Z n‡q _v‡K| উল্লেখ্য, কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ-এর ভাষা যেহেতু আরবী তাই ফার্সী ‘শব’ শব্দটি কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ-এ না থাকাটাই স্বাভাবিক। প্রকাশ থাকে যে, পৃথিবীতে যত ভাষা রয়েছে তন্মধ্যে একমাত্র আরবী ভাষাই স্বয়ংসম্পূর্ণ। এছাড়া অন্যান্য প্রতিটি ভাষাই একটি আরেকটির পরিপূরক। তবে কোন ভাষাই শরীয়তের খিলাফ নয়। বরং প্রতিটি ভাষাই শরীয়তসম্মত। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ পাক কুরআন শরীফ-এ ইরশাদ করেন, “আমি প্রত্যেক নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে উনাদের নিজ নিজ ক্বওমের ভাষাভাষী করেই প্রেরণ করেছি। যাতে তাদেরকে স্পষ্টভাবে বোঝাতে পারেন।” (সূরা ইবরাহীম : আয়াত শরীফ ৪) তাফসীরে মাযহারীতে উল্লেখ রয়েছে, “হযরত আদম আলাইহিস সালাম তিনি সাত লক্ষ ভাষায় কথা বলতে পারতেন।” সুবহানাল্লাহ! তবে সর্বাধিক উত্তম ভাষা ও শ্রেষ্ঠ ভাষা আরবী। এর পর ফার্সী। যা অধিকাংশ ক্ষেত্রে আরবী ভাষার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। এ কারণে আরবী ভাষার সাথে ফার্সী ভাষা মিশ্রিত হয়ে বহু শব্দের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। যেমন, গুম্বাদে খাদ্বরা (সবুজ গম্বুজ), মাহে রমাদ্বান (রমাদ্বান মাস), শবে ক্বদর (ক্বদরের রাত), শবে মি’রাজ (মি’রাজের রাত), আবে যমযম (যমযম কূপের পানি), কোহেতুর (তুর পর্বত)। উপরোক্ত উদাহরণে গুম্বাদে, মাহে, শবে, আবে, কোহে শব্দসমূহ ফার্সী ভাষার শব্দ যা যথাক্রমে আরবী শব্দ খাদ্বরা, রমাদ্বান, ক্বদর, মি’রাজ, যমযম ও তুর শব্দের সাথে বা সহযোগে ব্যবহৃত হয়েছে এবং এ নামেই প্রসিদ্ধ লাভ করেছে। এক ভাষায় অপর ভাষার শব্দের মিশ্রণ মূলত একটি অনিবার্য ঐতিহ্য। প্রায় সব ভাষাতেই এর নিদর্শন রয়েছে। আমাদের বাংলা ভাষায়ও এর নিদর্শন অনেক। ব্যাকরণের ভাষায় একে বলা হয়, মিশ্র শব্দ। প্রতি ভাষাতেই মিশ্র শব্দের ব্যবহার রয়েছে। কাজেই যারা বলে কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ-এর কোথাও ‘শবে বরাতের’ উল্লেখ নেই মূলত এ উক্তি তাদের জিহালতি, অজ্ঞতা ও মূর্খতার নামান্তর। আর কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ-এর ভাষায় ‘শবে বরাতকে’ ‘লাইলাতুম মুবারাকাহ বা বরকতময় রজনী’ এবং হাদীছ শরীফ-এর ভাষায় শবে বরাতকে ‘লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান বা শা’বানের চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাত্রি’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, ‘নিশ্চয়ই আমি বরকতময় রজনীতে (শবে বরাতে) কুরআন শরীফ নাযিল করেছি। অর্থাৎ নাযিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আর আমিই ভয় প্রদর্শনকারী, উক্ত রাত্রিতে আমার পক্ষ থেকে সমস্ত প্রজ্ঞাময় কাজগুলো ফায়সালা করা হয়। আর নিশ্চয়ই আমি প্রেরণকারী।’ (সূরা দু’খান : আয়াত শরীফ ৩-৫)
এ আয়াত শরীফ-এর ব্যাখ্যায় হযরত মুফাসসিরীনে কিরাম বিশেষ করে রঈসুল মুফাসসিরীন হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু
 তায়ালা আনহু তিনি বলেন, “মহান আল্লাহ পাক তিনি ‘লাইলাতুম মুবারাকাহ’ অর্থাৎ বরকতময় রাত্রি বলতে শা’বান মাসের মধ্য রাত অর্থাৎ শবে বরাতকে বুঝিয়েছেন। আল্লাহ পাক এ রাতে সকল প্রজ্ঞাসম্পন্ন বিষয়ের ফায়সালা করে থাকেন।” (ছফওয়াতুত তাফসীর) (অসমাপ্ত)

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

প্রচলিত তাবলীগ জামায়াতের ভ্রান্ত আক্বীদা ও তার খন্ডন মূলক দাঁতভাঙ্গা জবাব

সম্মানিত পাঠক! প্রচলিত ৬ উছূলভিত্তিক তাবলীগ জামায়াতের বাস্তবতা সম্পর্কে যদি সত্যিই জানতে আগ্রহী হন তবে দলিল ভিত্তিক এই প্রতিবেদনটি পড়ুন। ========================================================== ভ্রান্ত আক্বীদা (১)   প্রচলিত ৬ উছূলভিত্তিক তাবলীগ জামায়াতের লোকদের লিখিত কিতাবে এ কথা উল্লেখ আছে যে, মূর্খ হোক, আলিম হোক, ধনী হোক, দরিদ্র হোক, সকল পেশার সকল মুসলমানের জন্য তাবলীগ করা ফরজে আইন। (হযরতজীর মালফুজাত-৪, পৃষ্ঠা-৭, অনুবাদক- মাওলানা ছাখাওয়াত উল্লাহ; তাবলীগ গোটা উম্মতের গুরু দায়িত্ব, পৃষ্ঠা-৫৬, অনুবাদক- ইসমাঈল হোসেন; তাবলীগে ইসলাম, পৃষ্ঠা-৩, লেখক- মাওলানা আব্দুস সাত্তার ত্রিশালী; পস্তী কা ওয়াহিদ এলাজ, লেখক- মাওলানা এহ্‌তেশামুল হাসান কান্দলবী, পৃষ্ঠা-২২) ——————————————————————————— জবাব : তাদের উপরোক্ত বক্তব্যের প্রেক্ষিতে প্রশ্ন জাগে, তাবলীগ করা কি- ফরজে আইন নাকি ফরজে কিফায়া? কেননা- যে ইবাদত প্রত্যেকের জন্য আলাদাভাবে পালন করা ফরজ তা  ফরজে আইন । যেমন- নামাজ, রোজা, ইত্যাদি। আর যে ইবাদত সমষ্টিগতভাবে পালন করা ফরজ অর্থাৎ যে ফরজ কাজ দেশবাসী, শহরবাসী,এলাকাবাসী ব...

*Coca-cola is Haram for Muslim

Because Coca-Cola and Other Soft Drinks may Contain ALCOHOL. Read Details here:~~~~ COCA-COLA: THE REAL THINGS? The proportions in the accompanying recipe are based on the analyses of Coke quoted above and Merory's recipes. The amount of caffeine agrees with that stated in Coca-Cola's So you asked about soft drinks... pamphlet; this is about a third of the caffeine found in the trial analyses. The following recipe produces a gallon of syrup very similar to Coca-Cola's. Mix 2,400 grams of sugar with just enough water to dissolve (high-fructose corn syrup may be substituted for half the sugar). Add 36 grams of caramel, 3.1 grams of caffeine, and 11 grams of phosphoric acid. Extract the cocaine from 1.1 grams of coca leaf ( Truxillo growth of coca preferred) with toluol; discard the cocaine extract. Soak the coca leaves and kola nuts (both finely powdered; 0.37 gram of kola nuts) in 22 grams of 20 percent alcohol. California white wine fortified to 20 percent strengt...

TABLEEGHI KUFRI AQEEDA--Exposed!!!

THE AQEEDA OF THE TABLEEGHI JAMAAT AND DEOBAND—EXPOSED!!! ===================================================== To have good and strong Imaan, one must have the proper Aqeeda. It is for this reason that we quote a few un-Islamic beliefs of the leaders of the Tableeghi Jamaat together with the proper Islamic answers. The present Molvis and devotees of the T. Jamaat refuse to condemn the persons who wrote such bad beliefs and to even disassociate themselves from such false beliefs. The un-Islamic beliefs which we have quoted below are quotations from those individuals who possess such beliefs and by writing them in this handbill, we have no intention of Kufr. FALSE BELIEF 1: “Allah can speak lies“. (“Barahine Qaatia” by Khaleel Ambetwi; “Yakrozi” by Ismaeel Dehlwi; “Fatawa Rasheedia” by Rasheed Ahmed Gangohi). NAUZ BILLAH ANSWER: Lies is a defect which is not worthy of the Zaat of Almighty Allah and is totally Muhaal (Impossible) for Almighty Allah. Allah is free from all shortages a...