সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

মুসলমানদের উপর নির্যাতনের ফলে গযব অব্যাহত...

মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী উনার দোয়া ও রোবের প্রতিফলন ॥ মুসলমানদেরকে জুলুম নির্যাতন করার ফলস্বরূপ- জুলুমবাজ কাফিরদের উপর বন্যা, তুষারপাত, ঘূর্ণিঝড়, দাবানল, ভূমিকম্প প্রভৃতি প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ বিভিন্ন প্রকার বিশৃঙ্খলা অস্বাভাবিক মৃত্যু এবং অর্থনৈতিক মন্দারূপে খোদায়ী গযব অব্যাহত

পৃথিবীর সমস্ত ইহুদী-নাছারা-মজুসী-মুশরিক তথা তাবৎ কাফির সমপ্রদায় পৃথিবীর আনাচে-কানাচে, অলিতে-গলিতে মুসলমানদের উপর জুলুম নির্যাতন করছে, তাঁদেরকে শহীদ করছে, মুসলমানদের সম্পদ লুণ্ঠন করছে, মুসলিম মহিলাদের সম্ভ্রমহরণ করছে, জঙ্গি সন্ত্রাসী অপবাদ দিয়ে হেয় প্রতিপন্ন করছে। জুলুম-নির্যাতনের পাশাপাশি ফরয-ওয়াজিব-সুন্নতে মুয়াক্কাদা পালনে তথা শরীয়ত পালনে বাধা প্রদান করছে। এতদ্‌প্রেক্ষিতে যামানার ইমাম ও মুজাদ্দিদ, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, কুতুবুল আলম, কাইয়্যুমুয যামান মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি পৃথিবীর সমস্ত নির্যাতিত মুসলমানদের পক্ষ থেকে যিনি মহান আল্লাহ পাক- উনার শাহী দরবারে কাবা শরীফকে যেভাবে জালিম কাফির আবরাহার হাত থেকে রক্ষা করেছেন সেভাবে মুসলমানদেরকে রক্ষা করার এবং এই কাফির সমপ্রদায়কে আবরাহার মতো ধ্বংস করে দেয়ার ফরিয়াদ জানান। উনার সেই মুবারক দোয়া ও ফরিয়াদের ফলে মহান আল্লাহ পাক কাফিরদের উপর বিভিন্ন আযাব-গযব নাযিল করে তাদেরকে নিস্তানাবুদ করে দিচ্ছেন। তার প্রমাণ হচ্ছে সামপ্রতিক সময়ে ইউরোপ-আমেরিকাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন কাফিরদের দেশগুলোতে ভয়াবহ ভূমিকম্প, সুনামি, ব্যাপক তুষারপাত, সাইক্লোন-টর্নেডো, ব্যাপক দাবানল ইত্যাদির প্রকোপ তথা অর্থনৈতিক মন্দার ভয়াবহ গযব। প্রসঙ্গত মহান মুজাদ্দিদে আ’যম মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, “ইহুদী-খ্রিস্টান, কাফির-মুশরিকরা যদি মুসলমানদের উপর যুলুম-অত্যাচার বন্ধ না করে তবে, তারা রাস্তার ফকির হয়ে যাবে। ডাস্টবিন থেকে খাবে। এক সময় ডাস্টবিন থেকেও খাবার পাবে না। ডাস্টবিনের খাবার নিয়ে কুকুরের সাথে কামড়া-কামড়ি করবে। এরপরও তারা (কাফিররা) যদি মুসলমানদের উপর নির্যাতন বন্ধ না করে, তবে তারা থাকার জায়গা না পেয়ে রাস্তায় গড়াগড়ি খাবে এবং এক পর্যায়ে গড়াগড়ি খেতে খেতে স্থলভাগে স্থান না পেয়ে পানিতে নামতে বাধ্য হবে। অর্থাৎ পানিতে হাবুডুবু খেয়ে মরবে।” প্রাপ্ত তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি যখন থেকেই এরকম দোয়া করছেন ও এসব ভবিষ্যদ্বাণী করছেন তখন থেকেই আমেরিকা, ইউরোপসহ জুলুমবাজ বিধর্মী বিশ্ব ধারাবাহিকভাবে অর্থনৈতিক মন্দাসহ বিভিন্ন প্রকৃতিক দুর্যোগরূপী গযবে প্রকটভাবে আক্রান্ত হচ্ছে।
পুড়ে গেল ২০০ অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানসহ ৩০ অস্ত্রগুদাম
রাশিয়ায় নৌ-বাহিনীর অত্যাধুনিক ২০০টি বিমান দাবানলের আগুনে পুড়ে ভষ্মিভূত হয়েছে। এতে ক্ষয়ক্ষতি দাবি করা হয় প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ইউরো বা ২০ বিলিয়ন রুবল। লাইফনিউজ ডট রাইউ এক রিপোর্টে গত মঙ্গলাবার জানায়, নৌ-বাহিনীর ব্যবহৃত এক ক্যান্টনমেন্টে এ আগুন লাগলে এই ক্ষয়ক্ষতি হয়। খবরে বলা হয়, কর্মকর্তারা এই আকষ্মিক দাবানলের জন্য প্রস্থত ছিল না। ফলে তেমন কোন অস্ত্রসস্ত্র সরিয়ে নেয়া সম্ভবপর হয়নি। খবরে বলা হয়, আগুন লাগে রাজধানী মস্কোর দক্ষিণ-পূর্বের কলোমনা এলাকায়। কলোমনার নৌ-বাহিনীর ক্যান্টমেন্টে আগুন লাগলে পুড়ে ছাই হয়ে যায় স্টাফ হেডকোয়ার্টার, ফিনানসিয়াল ডিপার্টমেন্ট এবং বিমান বাহিনীর অস্ত্র এবং বিভিন্ন সরঞ্জাম সম্বলিত ১৩টি গুদাম এবং আরো ১৭টি এলাকা যেখানে সেনা ব্যবহৃত গাড়ি ও যুদ্ধে ব্যবহৃত অন্যান্য মালামাল রাখা ছিল। ক্যান্টমেন্টটিতে আগুন লাগে গত ২৯শে জুলাই এবং দ্রুত তা ছড়িয়ে পড়ে। চেরনোবিলে তেজষ্ক্রিয় আক্রান্ত এলাকায় দাবানলের আগুন রাশিয়ার সরকার সতর্ক করে দিয়েছে ১৯৮৬ সালে চেরনোবিলে দুর্ঘটনায় তেজষ্ক্রিয় আক্রান্ত এলাকায় দাবানলের আগুন চলে আসায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা তৈরী হয়েছে। সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়, প্রায় ২ লক্ষ লোক এই দাবানল নিয়ন্ত্রণের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে আসছে, যদিও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার কোন লক্ষণ নেই। এদিকে, দেশটির প্রতিরক্ষা বিভাগ মিসাইলসহ অন্যান্য যুদ্ধাস্ত্র দাবানল আক্রান্ত এলাকাগুলো থেকে দ্রুত সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে।
২৫ বছরের মধ্যে ভয়াবহ খনি বিস্ফোরণ
ভার্জিনিয়ায় খনি শ্রমিকদের উদ্ধারের চেষ্টা আবারো ব্যর্থ
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার খনি শ্রমিকদের উদ্ধার চেষ্টা শুক্রবার সকালে তৃতীয়বারের মতো ব্যর্থ হয়েছে। সোমবার মন্টকোলের কয়লা খনিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে কয়েকশ’ শ্রমিক নিহত হয়। গত ২৫ বছরের মধ্যে এটিই যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বড় খনি বিস্ফোরণ।
শুক্রবার সকালে কর্তৃপক্ষ এক সংবাদ সম্মেলনে জানায়, সোমবারের বিস্ফোরণে নিখোঁজ ৪ শ্রমিককে উদ্ধারের জন্য উদ্ধারকর্মীরা খনিটির আন্ডার গ্রাউন্ডের দুটি চেম্বারের একটিতে প্রবেশ করে। কিন' সেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হয়েছিল এ চেম্বারগুলোতে নিখোঁজ শ্রমিকদের পাওয়া যেতে পারে। কিন' তা না পাওয়ায় তাদেরকে জীবিত উদ্ধারের আশা শেষ হয়ে আসছে।
মিথেন, কার্বন মনোক্সাইড ও হাইড্রোজেনের মিশ্রণে ক্ষতিকর গ্যাসের চাপে উদ্ধার কর্মীরা এর আগে দু’বার কাজ বন্ধ করতে বাধ্য হয়।
অর্থনৈতিক মন্দা:
মার্কিন সামরিক বাহিনী
থেকে লোক ছাঁটাই হচ্ছে
সামরিক খাতে ব্যয় কমাবে যুক্তরাষ্ট্র। এজন্য বিপুল সংখ্যক লোক ছাঁটাই করতে যাচ্ছে দেশটি। সেদেশর প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রবার্ট গেটস এ কথা জানান। তিনি বলেন, সামরিক ব্যয় কমাতে তিনি বিপুল সংখ্যক লোক ছাঁটাই করার সুপারিশ করেছেন। সোমবার পেন্টাগনে সংবাদ সম্মেলনে রবার্ট গেটস বলেন, যৌথ সেনা কমান্ড বন্ধ করে দেয়া হবে। এ ছাড়া সামরিক বাহিনীতে ঠিকাদারি ভিত্তিতে নিয়োগ করা জেনারেল ও এডমিরাল কমিয়ে আনা হবে। তিনি বলেন, পরবর্তী ৫ বছরে মার্কিন সামরিক বাজেট থেকে ১০০ বিলিয়ন ডলার বাঁচাতে চান তিনি। এছাড়া তিনি সীমান্তে ফ্রিস্টাইলের ব্যয়ও সংকোচন করতে চান। তিনি বলেন, ১/১১’র সন্ত্রাসী হামলার পর সামরিক বাহিনী ব্যাপকভাবে সমপ্রসারণ করা হয়। একই সঙ্গে ব্যাপকহারে বেড়ে যায় এর খরচ। গেটস বলেন, সামরিক বাহিনীতে ওই সব ভাড়াটে লোকের কাজে তিনি সন্তুষ্ট নন। ভার্জিনিয়া ভিত্তিক ট্রেন সার্ভিসে যৌথভাবে কাজ করতে বিভিন্ন সংস্থা থেকে ৫ হাজার লোক নিয়োগ করা হয়। ২০০৬ সালে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের শাসনামলে নিয়োগ পাওয়া গেটস তার সামরিক বাহিনীকে অত্যন্ত ব্যয় বহুল উল্লেখ করে বলেন, তিনি কমপক্ষে ৫০টি জেনারেল ও এডমিরাল পদ কমাতে চান। এ ছাড়া ঠিকাদারি ভিত্তিতে নিয়োগ পাওয়াদের সহায়তা ১০ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। গেটস বলেন, অর্থনৈতিক সঙ্কটকালে সামরিক বাহিনী পুনর্গঠনের সময় এসেছে।
বাঁচতে হলে আমাদের পৃথিবী 
ছাড়তে হবে :হকিংস
কাফির-মুশরিক কর্তৃক মুসলিম নির্যাতনের ফলস্বরূপ অব্যাহত খোদায়ী গযবে নিপতিত হয়ে ধ্বংস হচ্ছে কাফির-মুশরিকরা। আর এই খোদায়ী গযব থেকে বাচতেই কুখ্যাত ইসলাম বিদ্বেষী জ্যোতিপদার্থ বিজ্ঞানী দাবিদার স্টিফেন হকিংস বলেছে, আমাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হলে এই পৃথিবীর বাইরে কোথাও উপনিবেশ স্থাপন করতে হবে। এই পৃথিবী মানবজাতির অস্তিত্বের জন্য দিন দিন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। এই পৃথিবী মানুষের জন্য বসবাসের একেবারেই অনুপযোগী হতে কোটি কিংবা লক্ষ বছর লাগবে অনেকে এমন মনে করলেও হকিংস মনে করছে আরো দ্রুত এই ঘটনা ঘটতে পারে। এই সময়ের মধ্যেই পৃথিবীর বাইরে মহাশূন্যে অন্য কোথাও বসতি খোঁজা উচিত। বিজ্ঞান বিষয়ক সাময়িকী বিগ থিংক-এর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে হকিংস এ কথা বলেছে।
হকিংস এই জাতিকে অস্তিত্ব বিলীন হবার হাত থেকে বাঁচাতে পৃথিবী ছাড়ার বিকল্প নেই বলে মনে করছে। হকিংস বলেছে, এই জাতি ক্রমাগত বিপজ্জনক দিকে ধাবিত হচ্ছে।
নিউইয়র্ক এখন ছারপোকার রাজত্ব
এপি:যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক এখন ছারপোকাদের দখলে। নগরীর সর্বত্র তাদের অবাধ রাজত্ব। নিউইয়র্কের গণমাধ্যমগুলোতেও জায়গা করে নিয়েছে ছারপোকা। সন্ধ্যায় নিউইয়র্কের যেকোনো টিভি চ্যানেল খুললেই পোকা-মাকড় ধ্বংসকারি বিভিন্ন জিনিসের বিজ্ঞাপন দেখা এখন একটি সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুধু তাই নয়, এখন টিভি শোতেও আলোচনার বিষয় ছারপোকা। 
ছারপোকা সাধারণত ঘরের আনাচে-কানাচে লুকিয়ে থাকে। বেরিয়ে আসে রাতে। মানুষের রক্ত খেয়ে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটি বিছানার পাশেই পড়ে থাকে। শরীরের যেখানে এটি কামড় দেয় সেখানে দাগ হয়ে যায় ও চুলকাতে থাকে। কিন্তু নিউইয়র্কের ছারপোকাগুলোকে দেখা যাচ্ছে বাইরে ঘুরে বেড়াতে। শহরের দোকানগুলোতে মানুষের ওপর চড়াও হচ্ছে। সম্প্রতি এই হামলা থেকে নিষ্কৃতি পাওয়ার জন্য তিনটি দোকান বেশ কিছুদিন ধরে বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছেন মালিকরা।
 
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অ্যাবারকম্ব ও ফিচ কোম্পানির প্রধান মাইকেল এস জেফরিস নিউইয়র্কের মেয়র মাইকেল ব্লমবার্গকে এ বিষয়টি সমাধানের জন্য উদ্যোগ নিতে বলেছেন।
 
তাই বিশেষজ্ঞরা এসব তোশককে বায়ুরোধী ব্যাগে ভরে যতটাসম্ভব সেটা রোদে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন। আর বলছেন, বিছানার চাদরকে গরম পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে। কিন্তু ইউনিয়র্কবাসির জন্য যাদের বিভিন্ন সমস্যা মোকাবেলা করেই চলতে হয়-বাড়িতে এই পোকা নার্সারি বই-এর এই ছড়ার মতোই নতুন মাত্রা যোগ করেছে: ‘গুড নাইট স্লিপ টাইট। ডোন্ট লেট দ্য বেডবাগস বাইট।’
৯/১১ এ ‘পবিত্র কুরআন শরীফ পুড়ানো দিবস্থ পালন করার ঘোষণা দিয়ে
কাফিররা নিজেরাই খোদায়ী গযব দাবানল-তাপদাহে পুড়ছে
রাশিয়ায় দাবানল: নিঃশ্বাস নেয়ার বাতাস নেই, নেই কোন বাড়ি ফিরে আসার
অতি উচ্চ তাপমাত্রা এবং ভয়াবহ দাবানল কেড়ে নিয়েছে রাশিয়ায় বহু মানুষের প্রাণ। আহত হয়েছে অগণিত মানুষ। ৭টি প্রদেশে জরুরী অবস্থা জারি করেছে সরকার। এর মধ্যে রয়েছে গ্রেটার মস্কো এলাকা। আরটি’র সাংবাদিক নোভিকোভা জানিয়েছে, রাশিয়ার সমৃদ্ধশীল রাজধানী মস্কোর অবস্থা এখন করুন। সমগ্র এলাকা ঢেকে গেছে বিষাক্ত ধোয়ায়। বাতাস নেয়ার মত সেখানে কোন অক্সিজেন অবশিষ্ট নেই। রয়টার্স এক সংবাদে মস্কোর রাষ্ট্রীয় বায়ূ দূষণ পর্যবেক্ষণ সংস্থার বরাত দিয়ে জানিয়েছে, দাবানল ও কয়লার আগুনে সৃষ্ট ভারী ধোঁয়ায় রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় গত ৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বায়ূ দূষণ ঘটেছে। মস্কোর রাষ্ট্রীয় বায়ূ দূষণ পর্যবেক্ষণ সংস্থার বিশেষজ্ঞ এলেনা লেজিনা বলেছেন, ‘সকালের দিকে বায়ূ দূষণের মাত্রা ৪ থেকে ১০ গুণ বেড়ে গেছে।’ তিনি আরো বলেছেন, মেস্কোয় রাতের বাতাসে কার্বন মনোক্সাইডের ঘনত্ব নিরাপদ মাত্রার তুলনায় প্রায় ৫ দশমিক ৭ গুণ বেশি বেড়েছে।
আরটি’র সাংবাদিক নোভিকোভা আরো জানিয়েছে, মস্কোর আশেপাশের এলাকাগুলোতে ছাই ছাড়া আর কোন কিছুই অবশিষ্ট নেই। দাবানলের কারণে তাপমাত্রা এত উচ্চ হয় যে বাড়িঘরহ সবকিছু ছাই-ভষ্মে পরিণত হয়। সরকারি হিসেবেই পুড়ে গেছে প্রায় ২ হাজার ঘরবাড়ি। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খাচ্ছে ২ লক্ষ দমকল বাহিনীর সাথে ২ হাজার সেনা। । মস্কোর আশেপাশের ১৪টি অঞ্চলেও দাবানলের কারণে জরুরি অবস্থা জারি রয়েছে। আগুনে পোড়া যাওয়া এলাকাগুলোতে এমন ধ্বংসযজ্ঞ চলেছে যে, মানুষ জনের আর ফিরে আসার কোন পথ নেই। রুশ ইলেকট্রনিক মিডিয়াগুলোতে ২০-৩০ তলা উচু ভবনগুলোকে আরো উচু আগুনের শিখা কিভাবে গ্রাস করছে তার ভিডিওচিত্র দেখানো হয়েছে । এদিকে, সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, প্রতি ঘন্টায় গড়ে ৩০০-৪০০টি নতুন করে দাবানলের সৃষ্টি হচ্ছে এবং অতি উচ্চ তাপমাত্রার কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।
যুক্তরাষ্ট্রে দাবানল অব্যাহত ৭ মাসে ২০ লক্ষ একরের বেশি এলাকা পুড়ে ছাই
যুক্তরাষ্ট্রে এখনও বেশ কয়েকটি এলাকায় দাবানল অব্যাহত রয়েছে। এদিকে, ন্যাশনাল ইন্টারজেন্সি ফায়ার সেন্টার এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সরকারি হিসেবেই গত ৭ মাসে প্রায় ২০ লক্ষ একরের বেশি এলাকা আগুনে পুড়ে ছাই হয়েছে। এ সময় দাবানলের সৃষ্টি হয় প্রায় ৩৮ হাজার এর মত। এদিকে, সরকারি তথ্য মতে যুক্তরাষ্ট্রের আইডাহো অঙ্গরাজ্যে স্যালমন চ্যালিস ন্যাশনাল ফরেস্টে নতুন করে দাবানলের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া ইয়োমিং এবং ওরিগন অঙ্গরাজ্যেও নতুন নতুন দাবানল এর সৃষ্টি হচ্ছে। এদিকে ক্যালিফোর্নিয়া, নেভাডা, ওয়াশিংটন এবং মনটানা অঙ্গরাজ্যেও দাবানলের আগুন অব্যাহত রয়েছে।
খোদায়ী গযব দাবানলে নিস্তানাবুদ মুসলিম বিদ্বেষী ইউরোপ পর্তুগালে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ॥ সাড়ে ৪শ’ দাবানল অব্যাহত
উত্তর এবং মধ্য পর্তুগালে এখনও কয়েকশ’ দাবানলের আগুন অব্যাহত রয়েছে। সরকারি সংবাদ সংস্থাগুলো জানায়, প্রায় ৭ হাজার দমকল কর্মী দাবানল নিয়ন্ত্রণে আনতে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। দেশটির সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, গত মাস থেকে দেশটিতে প্রচণ্ড গরম আবহাওয়া বিরাজ করছে। বিশেষ করে তাপমাত্রা গত কয়েকদিন ধরে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে নামছে না।
এদিকে, সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়, প্রায় সাড়ে ৪শ’ দাবালন রেকর্ড করা হয়েছে এবং প্রতিনিয়ত এর সংখ্যা বাড়ছে।
এদিকে পর্তুগালে দাবানল পরিস্থিতি সংকটজনক রূপ নিলে সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি এবং অর্থের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে সাহায্য চাওয়া হয়েছে।
তাপমাত্রা ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস! গ্রীসে দাবানল: জরুরী অবস্থা জারি
 গ্রীস জুড়ে বিশেষ করে সামোস দ্বীপে ভয়াবহ দাবানল ছড়িয়ে পড়লে সরকারের তরফ থেকে জরুরী অবস্থা জারি করা হয়েছে। ২শ’ দমকল কমী চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দাবানল নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য। এদিকে, মারাথোকাম্পোস এবং কারলোভাসিতে দাবানলের আগুন ছড়িয়ে পড়লে এলাকার প্রায় ৪০০ পর্যটকে সরিয়ে নেয়া হয়। প্রচণ্ড বাতাসের কারণে আগুন দ্রুত প্রসারতা লাভ করছিল। এদিকে, অর্থনৈতিক ভাবে ভেঙ্গে পড়া গ্রীস মাত্র ৪টি হেলিকপ্টার বরাদ্দ করেছে দাবানল নিয়ন্ত্রণে জন্য। উল্লেখ্য, বেশকয়েকদিন ধরে গ্রিসে চলতে থাকা দাবানল গত ২দিন ধরে ব্যাপক বিস্তার লাভ করে।
এদিকে সংবাদ সংস্থাগুলো জানিয়েছে, গ্রীক সাইপ্রাসে তাপমাত্রা ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উন্নিত হয়েছে। ১৯৫৬ সালের পর থেকে এত উচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড।
দক্ষিণ ফ্রান্সে ভয়াবহ দাবানলে হাজার হাজার বাড়িঘর পুড়ে ছাই
দক্ষিণ ফ্রান্সে ৯ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ভয়াবহ দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। দাবানলের কারণে ইতিমধ্যেই হাজার হাজার বাড়িঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে এবং আরো হাজার হাজার বাড়িঘর হুমকির মধ্যে রয়েছে। দাবানলের কারণে আক্রান্ত এলাকার মানুষজন এলাকা ছেড়ে পালাচ্ছে বলে জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যমগুলো। খবরে বলা হয়, বন্দর শহর মারসেইলি এর পশ্চিমে একটি তেল পরিশোধনাগারকে দাবানলের আগুন ঘিরে ধরলে হাজার হাজার মানুষ ভয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয় যায়। দেশটির জরুরী বিভাগ জানিয়েছে, দাবানল নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সরকারের তরফ থেকে কয়েকশ’ দমকল কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে তবে অতি উচ্চ বাতাসের প্রবাহ এবং স্মরণকালের ভয়াবহ তাপদাহের কারণে আগুনের মাত্রা বেড়েই চলেছে। জরুরী বিভাগ আরো জানায়, ঐ এলাকায় প্রায় ২ হাজার পর্যটক অবস্থান করছিল যাদের জরুরী ভিত্তিতে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এই পর্যটকদের মধ্যে ৩০০ জন ব্রিটিশ পর্যটক রয়েছে।্‌ উল্লেখ্য, গত জুন মাসেই এই দক্ষিণ ফ্‌্রান্সে ২০০ বছরের মধ্যে রেকর্ড বন্যায় হাজার হাজার লোক প্রাণহানী ঘটে।
জর্জিয়ায় তাপদাহের কারণে দাবানল
 গত সোমবার জর্জিয়া কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে দেশটির মধ্য এলাকায় প্রায় ১৫০ হেক্টর এলাকা জুড়ে দাবানলের আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। অতি উচ্চ তাপমাত্রার কারণে জর্জিয়া জুড়ে গত ৩১ জুলাই বরজোরমি ন্যাচার রিজার্ভে এই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। সরকারি হিসেবে প্রায় ৪০০ লোক এবং সেনাবাহিনী সম্মিলিতভাবে এই আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে যাচ্ছে। উল্লেখ্য, জর্জিয়া গত মাস থেকে অস্বাভাবিক তাপদাহের শিকার। দেশটিতে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠছে। উচ্চ তাপমাত্রার কারণেই দেশটির রাজধানী টিবলিসি এবং অন্যান্য এলাকাতে এই দাবানল ছড়িয়ে পড়ে|
রাশিয়ায় প্রতিদিন গড়ে ৩০০-৪০০ নতুন দাবানল সৃষ্টি
আল ইহসান ডেস্ক: উচ্চ তাপমাত্রা এবং প্রচণ্ড বাতাসের কারণে রাশিয়ায় প্রতি ২৪ ঘন্টায় গড়ে ৩০০-৪০০টি নতুন দাবানলের সৃষ্টি হয়েছে। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো এই তথ্য জানায়। এদিকে দাবানলের কারণে প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ রাজধানী মস্কোসহ দেশটির ৭টি প্রদেশে জরুরী অবস্থা জারি করেছে। রাশিয়ার সংবাদ সংস্থাগুলো সরকারের জরুরী বিভাগের বরাত দিয়ে জানায়, দাবানলগুলো প্রায় ১ লক্ষ ৭০ হাজার হেক্টর এলাকা জুড়ে অবস্থা করছিল। এদিকে রাশিয়ায় শতাব্দীর ভয়াবহ খরার কারণে মারাত্মক ফসলহানীর সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দেশটির কৃষি অধিদফতর জানায়, ‘এবার খরার কারণে মিলিয়ন মিলিয়ন টন ফসল উৎপাদন কম হয়েছে।’
ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের নতুন নতুন এলাকায় দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের নতুন নতুন এলাকায় দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। সরকারী ওয়েব সাইট ‘ন্যাশনাল ইন্টারজেন্সি ফায়ার সার্ভিস্থ এর পক্ষ থেকে জানানো হয়- ক্যালিফোর্নিয়া পুরাতন পাঁচ এলাকার দাবানলের সাথে আরো নতুন করে ২ এলাকায় দাবানলের আগুন লেগেছে। এলাকাগুলো হল- লস অ্যাঞ্জেলস কাউন্টির ক্রাউন এবং অ্যাঞ্জেলস ন্যাশনাল ফরেস্টের ব্রিগস। সরকারি হিসেবে গত ৩০ জুলাই ক্যালিফোর্র্নিয়ায় মোট ৭ এলাকায় ৩০ হাজার একর এলাকা জুড়ে দাবানলের আগুন জ্বলছিল। কানাডায় দাবানল অব্যাহত কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়াতে লিলোয়েট এলাকাতে ‘ইয়ালাকোম দাবানল’ ছবি ২৭শে জুলাই, ২০১০।
কানাডায় ২৮ এলাকায় ভয়াবহ দাবানল
কানাডার বিট্রিশ কলম্বিয়া প্রদেশে ২৮টি স্পটে দাবানলের আগুন জ্বলছে। গত মে মাস থেকে শুরু হওয়া এই দাবানল এখনও নিয়ন্ত্রণের বাইরে রয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়। সরকারি সংবাদ মাধ্যমগুলো দাবি করেছে, আগুনগুলো প্রায় ৩০ হাজার হেক্টরের বেশি এলাকা জুড়ে অবস্থান করছে। তবে স্থানীয়রা জানায় আগুনের পরিধি আরো অনেক বেশি। শুধু ইয়ালাকোম ভ্যালিতেই ৬ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে একটি দাবানল অবস্থান করছিল। ইতিমধ্যে দাবানলের কারণে হাজার হাজার লোককে সরিয়ে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে দাবানলের ফলে উৎপন্ন বিষাক্ত ধোয়ায় অনেক দূরে অবস্থানকারীরাও অসুস্থ্য হয়ে পড়ছে।
কানাডায় ভয়াবহ দাবানল, পালাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ
ভানকোভার, ব্রিটিশ কলাম্বিয়া, জুলাই ২০ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/রয়টার্স)> কানাডার পশ্চিমাঞ্চলে দাবানল ছড়িয়ে পড়ায় ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। জরুরি দুর্যোগ মোকাবেলা কর্মীরা রোববার দাবানল নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হওয়ায় লোকজন এলাকা ছেড়ে পালাতে বাধ্য হচ্ছে। ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার কেলোওনা শহরের পশ্চিমে ওকাসাগান লেক বরাবর পাহাড়ি বনে শনিবার শুরু হওয়া দাবানল বাতাস ও শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে। সম্প্রতি কয়েক বছরে এ এলাকার চারপাশের বনে বসতি গড়ে উঠেছে। ব্রিটিশ কলাম্বিয়া বন বিভাগের মুখপাত্র এলিস রিডলিঙ্গার বলেন, "বাতাস আগুন বাড়িয়ে দিচ্ছে।" এ দাবানল কখন নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে সে সম্পর্কে তিনি কোনো ধারণা দিতে পারেননি। দাবানলে এ পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তবে তিনটি বাড়ি দাবানলে পুড়ে গেছে এবং আরও বাড়ি পুড়ে গিয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। 
প্রায় ১৭ হাজার লোককে বাড়িঘর ছেড়ে চলে যাওয়া বা জরুরি কর্তৃপক্ষের নির্দেশে যেকোন সময় বাড়ি খালি করে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।         http://bdnews24.com/bangla/details.php?id=106262&cid=1

রাশিয়ায় ১১শ দাবানল জ্বলছে প্রায় দেড় লক্ষ হেক্টর এলাকা জুড়ে | ১৪ অঞ্চলে জরুরি অবস্থা জারি
এখনও ভয়াবহ পরিসি'তিতে রয়েছে রাশিয়ার দাবানল। গতকাল রোববার সরকারি হিসেবেই প্রায় ১১শ দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। এর মধ্যে ৩৬৯টি নতুন। দাবানলগুলো প্রায় দেড় লক্ষ হেক্টর এলাকা জুড়ে অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে ‘রাশিয়ান ইমারজেন্সি মিনিস্ট্রি’। খবরে বলা হয়, দাবানলগুলোর মধ্যে ২৭৩টি মারাত্মক রূপ ধারণ করছে এবং দ্রুত পরিধি বিস্তার করছে। সরকারি খবরে বলা হয়, ভরোনেজাহ, রাইজান, ভ্লাদিমির, ইভানোভো, মস্কো, নিযনাই, নভগোরড এলাকাগুলোতে দাবানল ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এছাড়া মরডোভিয়াতে দাবানল মারাত্মক রূপ ধারণ করেছে। ফেডারেল ম্যানেজমেন্ট সেন্টার এর পক্ষ থেকে গত ২৯শে জুলাই থেকে দাবানল নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে নজর দেয়া হয়। প্রায় ৩০,০০০ হাজার দমকল কর্মী আপ্রাণ চেষ্টা করলেও দাবানল নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। রাশিয়ায় ভয়াবহ দাবানলে বেশ কয়েকজন দমকল কর্মী নিহত হয়েছে। এদিকে, এরইমধ্যে দেশটির ১৪টি অঞ্চলে জরুরি অবস্থা জারি করেছে রাশিয়ার সরকার।
উল্লেখ্য, রাশিয়ায় গত ১৩১ বছরের মধ্যে রেকর্ড তাপদাহ চলছে। প্রচণ্ড গরমের কারণে দাবানল আরো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। দাবানলের ফলে উৎপন্ন বিষাক্ত কার্বন মনোক্সাইডের কারণে কয়েক লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা করছে বিজ্ঞানীরা।
পেরুতে ৫০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম তাপমাত্রা ॥ জরুরি Ae¯’v জারি
তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কমে যাওয়ায় জরুরি Ae¯’v  জারি করেছে পেরু। দেশটির ইতিহাসে গত ৫০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম তাপমাত্রা বিরাজ করছে এখন। প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় ৪০৯ জন মারা গেছে। তাদের অধিকাংশই শিশু। ২৫টি অঞ্চলের ১৬টিতে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস নিচে নেমে গেছে।
সংবাদমাধ্যম জানায়, আন্দিজ পর্বতমালার আশপাশে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে তিন হাজার মিটারেরও বেশি উচ্চতায় প্রত্যন্ত গ্রামগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দেশটির সবচেয়ে গরিব এ এলাকায় মারা যাওয়ার সংখ্যাও বেশি। সামনের সপ্তাহগুলোতে তাপমাত্রা আরো কমতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এত উচ্চতার এ দেশটিতে তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রির নিচে নামতে পারে বলে আগেই ধারণা করা হয়েছিল। তা ছাড়া দক্ষিণ আমেরিকার এ দেশটির মানুষজন কম তাপমাত্রায় বসবাস করতে অভ্যস্ত। তবে এনজিও এবং সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, এর আগে তারা এত কম তাপমাত্রার মুখোমুখি হয়নি। সূত্র : গার্ডিয়ান।
hy³iv‡ó« Av‡iv 5 e¨vsK ‡`Dwjqv
hy³iv‡ó« Av‡iv 5 e¨vsK ‡`Dwjqv ‡NvwlZ n‡q‡Q| MZ 30 ‡k RyjvB e¨vsK¸‡jv ‡`Dwjqv ‡NvwlZ nq| e¨vsK¸‡jv nj- wjevwU© e¨vsK, IwiMb; KvDwjUR e¨vsK, IqvwksUb; ‡Kv÷vj KwgDwbwU e¨vsK, ‡d¬vwiWv; ‡e mvBW ‡mwfs e¨vsK, ‡d¬vwiWv Ges b_© I‡q÷ e¨vsK U«v÷, RwR©qv| 2007 mvj _‡K ïinIqv A_©‰bwZK g›`vq hy³iv‡ó« G ch©š276wU e¨vsK ‡`Dwjqv nj| Ges PjwZ eQi ‡`Dwjqv nj 108wU e¨vsK| ïay RyjvB gv‡mB ‡`Dwjqv nIqv e¨vs‡Ki msL¨v 22wU|
ব্রিটেনে ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়ছে বিষাক্ত মাকড়সা
ব্রিটেনে ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়ছে ‘টারানটুলা’ নামক বিষাক্ত মাকড়সা। ইতিমধ্যেই দেশটির বেশ কয়েকটি স্থানে এর প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রাণী বিশেষজ্ঞরা এই বিষয়ে মানুষকে সতর্ক করে দিয়েছেন। প্রাণী সংরক্ষণবাদী গ্রুপ আরএসপিসিএ জানায়, ব্রিটেনের উত্তর অংশে একটি বিশাল পরিমাপে এই মাকড়সার বিস্তার ঘটেছে। বিষাক্ত মাকড়সা ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি নজরে আসে যখন বোল্টন এবং গ্রেটার ম্যানচেস্টার এ ১০ সেন্টিমিটার প্রশস্থ বিশিষ্ট ‘চিলিয়ান রোজ টারানটুলা’ মাকড়সা দেখা যায়। প্রাণী বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছে এই বিরল প্রজাতির মাকড়সাগুলো মারাত্মক বিষাক্ত। লোমশ এই মাকড়সাটি মানুষের চোখের মধ্যে লোম ছড়িয়ে দেয়ার মাধ্যমে মানুষকে অন্ধ করে দিতে পারে।

বণী ইসরাইলীদের অনুরূপ উকুনের গযব যুক্তরাষ্ট্রের শিশুদের মাথায় ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়েছে উকুন
যুক্তরাষ্ট্রের শিশুদের মাথায় ব্যাপক ভাবে উকুন ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষকরে স্কুলগুলোতে উকুন এখন এক আতঙ্ক অভিভাবকরা বাধ্য হয়ে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়েছে কিভাবে এই সমস্যার সমাধান করা যায়।
খবরে বলা হয়, স্কুলগুলোর কর্তৃপক্ষ বার বার শিশুদের বাসায় চিঠি পাঠিয়েছে এই মর্মে যে, ‘আপনি দ্রুত আপনার সন্তানের ব্যাপারে পদক্ষেপ নেন।’ স্কুল কর্তৃপক্ষ পিতা-মাতাদের সর্তক হতে বললেও অভিভাবকরা জানিয়েছে, তাদের সন্তানদের মাথায় উকুন ছড়িয়ে পরার জন্য স্কুলই দায়ি।
 
স্কুল কর্তৃপক্ষও এই সমস্যার জন্য শিশুদের লকারসহ সমগ্র স্কুলবিল্ডিং পরিষ্কার করছে।
খবরে বলা হয়, ওহাইয়ো অঙ্গরাজ্যের আপার আর্লিংটন সিটি স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক ভাবে উকুন দেখা দিয়েছে। অভিভাবকরা জানায়, উকুন ভীতি এখন সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বলে জানায় তারা।
 
ক্যালিফোর্নিয়ার সান বেনিটো কাউন্টির স্কুলগুলোর অভিভাবকরা জানিয়েছে, যতই তাদের শিশুদের মাথা পরিস্কার করা হোক না কেন তা কিছু দিনের মধ্যেই উকুন আবার ফেরৎ চলে আসে। এদিকে, ক্যালিফোর্নিয়ার মারসড সিটি এবং টেক্সাসের সাউথ লেকেও একই সমস্যা মারাত্মক রূপ ধারণ করেছে বলে জানিয়েছে ওয়েবসাইটগুলো।
নিউইয়র্কের ওয়াল স্ট্রিটে কোটি কোটি মৌমাছির আক্রমণ
বর্তমানে সারা বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের প্রতি ইহুদী-খ্রিস্টান, কাফির-মুশরিকরা যে ঘৃণ্যতম জঙ্গি তৎপরতা চালিয়ে, মুসলমানদের দেশ থেকে সমপদ লুটপাট করে, নির্মমভাবে জুলুম-নির্যাতন ও নির্বিচারে শহীদ করছে তার কাফফারাস্বরূপ আমেরিকার ইতিহাসের স্মরণকালের ভয়াবহ মৌমাছির আক্রমণ দেখা দিয়েছে। এমনই এক নতুন অভিনব কায়দায় গযব নাযিলের ঘটনা প্রকাশ করেছে ওয়েবসাইটে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমগুলো, গত ১লা জুন নিউইয়র্কে ওয়াল স্ট্রিটে হঠাৎ করেই কোটি কোটি মৌমাছির আক্রমণে মানুষ ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে এবং এদিক সেদিক পালাতে শুরু করে। বন্ধ হয়ে যায় ওয়াল স্ট্রিটের ব্যবসা ও দোকানপাট। প্রথমে রেস্টুরেন্ট সিপ্রিয়ানি’র প্রধান দরজায় জমা হতে থাকে অগণিত মৌমাছি এবং রাস্তার মধ্যে উড়তে থাকে কোটি কোটি মৌমাছি। মৌমাছির আক্রমণ থেকে বাঁচতে দোকানপাটের ভিতর দরজা বন্ধ করে আশ্রয় নেয় মানুষ। 
পূর্ববর্তী হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের উম্মতগণের সাথে কাফির-মুশরিকদের অসৎ আচরণ ও বেয়াদবী করার কারণে বিভিন্ন প্রকার খোদায়ী আযাব-গযব নাযিল হয়ে কাফির-মুশরিকরা যেমন নিস্তানাবুত হয়েছিল। ঠিক তেমনি বর্তমানে মুসলমানদের প্রতি ইহুদী-খ্রিস্টান, কাফির-মুশরিক তথা যবন, ম্লেচ্ছদের ইতিহাসের জঘন্যতম যে জঙ্গি তৎপরতা চালান, সম্পদ লুটপাট করা, নির্মমভাবে নির্বিচারে জুলুম-নির্যাতন ও শহীদ করার কাফফারাস্বরূপ উপরোক্ত ঘটনাই যথেষ্ট নয়। সামনে আসছে এদের জন্য আরো কঠিন ভয়ঙ্কর খোদায়ী হাজারো আযাব-গযব। যার দরুন ভয়াবহভাবে অস্তিত্ব বিলীন করে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া ছাড়া এদের কোন গত্যন্তর নেই। কেননা বর্তমান যামানার নির্যাতিত মুসলমানগন হচ্ছেন- যিনি নবী আলাইহিস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিস সালাম উনাদের রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত উম্মত।
গ্রীসে ব্যাঙের বন্যা বন্ধ করে দিল গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক
গ্রীসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন ব্যাঙ এর স্রোতে দেশটির উত্তরের একটি গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক বন্ধ করে দিয়েছে। থেসালোনিকির ট্রাফিক পুলিশ চিফ জানায়, গত বুধবার গ্রিসের লাংগাদা শহর থেকে ১২ মাইল দূরের ব্যাঙ-বন্যায় প্লাবিত দিমানিকি মহাসড়কে প্রথমদিকে তিনটি গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়েছিল ৷ লানডাস শহরের নিকটে কোটি কোটি ব্যাঙ এর স্রোত গুরুত্বপূর্ণ একটি মহাসড়ক ২ ঘন্টার জন্য বন্ধ করে দেয়। পুলিশ চিফ বলেন ‘এটি ছিল ব্যাঙের কার্পেট।’ ব্যাঙের উপর দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে ৩টি গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়ে। ৷পুলিশের জেরার মুখে এক গাড়িচালক জানায়:, গাড়ি চালাচ্ছি, হঠাত্ সামনে তাকিয়ে দেখি পুরো রাস্তা জুড়ে কি যেন এগিয়ে যাচ্ছে ৷ দেখলাম অসংখ্য ব্যাঙ ৷ কড়া ব্রেক কষতে হলো ৷ আর তাতেই ঘটলো দুর্ঘটনা ৷ এরপর কর্তৃপক্ষ সড়কটি বন্ধ করে দেয়। খবর ডয়শে ভেলের।
আর্থিক মন্দা, তাপদাহ, ঝড়, সিঙ্কহোল এবং বন্যার গযবে দিশেহারা যুক্তরাষ্ট্র
সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র চলছে একের পর খোদায়ী গযব। গযবের যেন আর শেষ নেই। একটি শেষ হতে না হতেই আরেকটি শুরু। মুসলমানদের ধ্বংস করার পরিকল্পনাকারী যুক্তরাষ্ট্র আজ খোদায়ী গযবে নিজেই ধ্বংস হতে চলেছে। ২৪শে জুলাই ছিল ভয়াবহ তাপদাহের দিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিরাট অংশ জুড়ে চলছে ভয়াবহ তাপদাহ। গত ২৪শে জুলাই রোববার ছিল একটি রেকর্ড উষ্ণতম দিন। দেশটির রাজধানী এবং দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলীয় এলাকায় ছিল প্রচণ্ড তাপদাহ। ঐ এলাকায় তাপমাত্রা ছিল প্রায় ১০০ ডিগ্রি ফারহানহাইট বা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ধেয়ে আসছে বজ্রসহ শক্তিশালী ঝড় যুক্তরাষ্ট্রের ডেলাওয়্যার, মেরিল্যান্ড এবং ভার্জিনিয়া স্টেট থেকে শুরু করে কেনটাকির আটলান্টিক উপকূল পর্যন্ত এলাকায় বেশ কয়েকটি ঝড় ধেয়ে আসছে। ঝড়ের সাথে ভয়াবহ বজ্রপাত হওয়ার সম্ভবনা আছে। এদিকে, উইসকোসিনের মিলওয়াওকি শহরের প্রধান এয়ারপোর্ট প্রচণ্ড বৃষ্টিপাতের কারণে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বন্যায় ভেসে চলেছে একের পর এক স্টেট যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপশ্চিমের অনেকগুলো শহর শুক্রবার এবং শনিবার বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে। খবরে বলা হয়েছে, ইলিনয়েস স্টেটের হাফ ডজন এলাকা এখন বন্যার ঝুকির মধ্যে রয়েছে। ইলিনয়েস এবং আইওয়া স্টেটে বন্যার কারণে বহু ফসল নষ্ট হয়েছে এবং অনেক গবাদী পশু ভেসে যায়। ইলিনয়েস, ইনডিয়ানা, ইউসকোসিন এবং মিনেসটা অঙ্গরাজ্যগুলোতে ‘নাশনাল ওয়েদার সার্ভিস্থ এর পক্ষ থেকে বিরুপ আবহওয়া এবং বন্যার কারণে সর্তকতা জারি করা হয়েছে। এদিকে আকস্মিক বন্যার প্রবল স্রোত আইওয়া এবং উইসকোসিন অঙ্গরাজ্যে বহু মানুষ এবং বাড়িঘর ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রে আবারও রহস্যময় গর্ত শাদ্দাত এবং কারুন যেমন তাদের অর্থ সম্পদসহ মাটির নীচে তলিয়ে যায়, সেইরূপ গযবেই পরে মার্কিনীরা তাদের অর্থসম্পদসহ মাটির নীচে তলিয়ে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় উইসকোসিন অঙ্গরাজ্যের মিলওয়াওকি শহরে আবারও রহস্যময় গর্ত তথা সিঙ্কহোলের সৃষ্টি হয়েছে। সিঙ্কহোলটি গাড়িসহ রাস্তার সিগনাল লাইটগুলো পর্যন্ত গ্রাস করে নেয়। সিঙ্কহোলটির গভীরতা ছিল ২০ ফুট এবং পাশে ৪০ ফুট। কিছুদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় একটি টয়োটা গাড়িকে গ্রাস করে নেয় এক সিঙ্কহোল। এরও আগে চীনে প্রায় ৮০ মিটার ব্যাস বিশিষ্ট সিঙ্কহোলের সৃষ্টি হয়েছিল । এছাড়া গুয়াতেমালায় ৩ তলা বিশিষ্ট এক বাড়িকে গিলে ফেলে সুগভীর এক সিঙ্কহোল । অর্থনৈকিত মন্দায় যুক্তরাষ্ট্রের আরো ৭ ব্যাংকের পতন যুক্তরাষ্ট্রে আরো দেউলিয়া ঘোষিত হল। গত ২৩শে জুন এই ব্যাংকগুলোর পতন হয়। ব্যাংকগুলো হল- হোম ভ্যালি ব্যাংক, ওরিগন; সাউথওয়েস্ট ইউএসএ ব্যাংক, নেভাডা; কমিউনিটি সিকিউরিটি ব্যাংক, মিনেসটা; থানডার ব্যাংক, কানসাস; ইউলিয়াম বার্গ ফার্স্ট ন্যাশনাল ব্যাংক, সাউথ ক্যারোলিনা; ক্রিসেন্ট ব্যাংক এন্ড ট্রাস্ট কোম্পানি, জর্জিয়া এবং স্টেয়ার লিং, ফ্লোরিডা। ২০০৭ সালে দেশটিতে অর্থনৈতিক মন্দা শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ২৭১টি ব্যাংকের পতন ঘটল। তার মধ্যে ২০১০ সালেই পতন ঘটেছে ১০৩টি ব্যাংকের। এবং চলতি মাসেই পতন হয়েছে ১৭টি ব্যাংকের।
চীনে ভূমিধসে ২১ জন নিখোঁজ
চীনে মঙ্গলবার প্রবল বর্ষণে সৃষ্ট ভূমিধসের পর ২১ জন নিখোঁজ রয়েছে। বেইজিংয়ে এটি আবহাওয়া সংশ্লিষ্ট সর্বশেষ দুর্যোগের ঘটনা। স্থানীয় সরকার তার ওয়েব সাইটে জানায়, মিচুয়ান প্রদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে ভূমিধসের সৃষ্টি হলে গ্রামবাসীরা নিখোঁজ হন। কয়েক ডজন বাড়ীঘর ধ্বংস কিংবা ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়। ইউয়ান নগরীর কাছে হানইউপন কাউন্টিতে এ ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। কয়েক সপ্তাহের প্রবল বর্ষণে চীনের বিশাল এলাকায় পুনরায় ভয়াবহ ভূমিধসের সৃষ্টি হয় এবং দেশে গত এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক বন্যার সৃষ্টি করে। বিশেষ করে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের অর্ধেক এলাকা বন্যায় ডুবে গেছে। এ বছর বন্যায় কমপক্ষে ৮২৩ জনের প্রাণহানি ঘটেছে এবং ৪৩৭ জন নিখোঁজ হয়েছে। দেশের সর্বশেষ সরকারি এ সংখ্যা সোমবার প্রকাশ করা হয়।
এবার যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানে তেল বিপর্যয় ॥ জরুরী অবস্থা জারি
যু্‌ক্তরাষ্ট্র যখন মেক্সিকো উপসাগরে স্মরণকালের ভয়াবহ তেল বিপর্যয়ের শিকার তখন দেশটির মধ্য পশ্চিমে নতুন করে তেল বিপর্যয় আরো দুঃখ বয়ে আনল। তেল বিপর্যয় এর কারণে মিশিগানের কালামানজো কাউন্টিতে ইতিমধ্যে জরুরী অবস্থা জারি করা হয়েছে। প্রায় ৮ লক্ষাধিক গ্যালন তেল জলাশয়ের মাধ্যমে কালামানজো নদীতে চলে আসলে ব্যাপক পরিবেশ বিপর্যয় দেখা দেয়, কালামানজো গেজেট এই তথ্য জানায়। সমস্য শুরু হয়, গত সোমবার সকাল পৌনে ১০ টায়। কানাডার কোম্পানি এনব্রিজ এনার্জির একটি পাইপলাইনে ছিদ্র হলে এই দুর্ঘটনার সূত্রপাত হয়। পাইপলাইনে ছিদ্র হওয়ার কারণ বের করার জন্য তদন্ত চলছে। যদিও কোম্পানি দাবি করেছে তেল পাইপ লাইনে ছিদ্র বন্ধ হয়ে গেছে, কিন' ছিদ্র বন্ধ হওয়ার আগেই ভয়াবহ ক্ষতি সংগঠিত হয়ে যায়। সরকারের প্রতিনিধি মার্ক স্কাউয়ের বলে, ‘এটি হচ্ছে ১২স্টেটের সমন্বয়ে গঠিত মিডওয়েস্টে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় তেল দুর্ঘটনা।’ এই তেল দুর্ঘটনার কারণে কালামানজো নদীসহ আশেপাশের জলাশয়গুলোর পানি মারাত্মক ভাবে দুষিত হয়ে পড়েছে। ফলে হুমকির মুখে পড়েছে ঐ এলাকার প্রাণী বৈচিত্র্য। ৩০ ইঞ্চি ছিদ্র হওয়া পাইপটি ১৯৬৯ সালে তৈরী হয় এবং দৈনিক ৮০ লক্ষ গ্যালন তেল ইনডিয়ানার গ্রিফিথ থেকে ওনটারিও’র সারনিয়াতে পরিবহন করে থাকে।
নতুন গযব : যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানায় তেল বৃষ্টি!
যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানায় তেল বৃষ্টি হওয়ার মত এক বিস্ময়কর ঘটনা ঘটেছে। নিউ অরলিন্স এর বাইরে রিভার রিজ-এ এই ঘটনা ঘটে। ভিডিওতে দেখা যায়, বৃষ্টির মাধ্যমে রাস্তা-ঘাট ঘরবাড়িসহ ডোবা নালা ও জলাশয় গুলোতে এই তেল জমা হচ্ছে। স্থানীয়রা জানিয়েছে, শুধু দেখতেই নয় এর গন্ধই প্রমাণ করে এটি তেল। তেল বৃষ্টি হওয়ার বিষয়টি স্বাভাবিক নয়। কারণ তেলের পক্ষে পানির মত বাষ্পীভবন হওয়া সম্ভব নয়। তবে অনেকে ধারনা করছে মেক্সিকো উপসাগরে তেল ছড়িয়ে দিতে বা জনসাধারণের চোখে অদৃশ্য করতে বিপি এবং মার্কিন সরকার সম্মিলিত ভাবে যে করজিট-৯৫০০ এবং করজিট-৯৫২৭ নামক বিষাক্ত রায়ায়নিক পদার্থ দুইটি বিপুল পরিমাণে (প্রায় ১ কোটি গ্যালন) ব্যবহার করে তাদের সংস্পর্ষে এসেই তেলের ধর্ম পরিবর্তন হয়ে তা বাষ্প হয়ে বৃষ্টির সৃষ্টি করছে। তবে আরো বিপদের কথা হল, কোন বড় ধরণের ঝড় বা হ্যারিকেন আঘাত করলে তেল সহ এই বিষাক্ত পদার্থটি সমগ্র উত্তর আমেরিকা মহাদেশে ছড়িয়ে যেতে পারে। এক্ষেত্রে তেল যতটুকু পর্যন্ত পৌছাবে হোক মাটি বা পানি সেখানেই সকল প্রকার অনুজীবের নিশ্চিত মৃত্যু ঘটবে। ফলস্রুতিতে আমেরিকাতে কোনরূপ ফসল ফলানো সম্ভব হবে না।
জাপানে তাপদাহে ৬৬ জনের প্রাণহানি
 জাপানে গত দুই মাসের প্রচণ্ড তাপদাহে অন্তত ৬৬ জন মারা গেছে এবং ১৫ হাজার লোক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। জাপানের আবহাওয়া দফতর জানায়, জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে বর্ষা মৌসুমের পর থেকে জাপান প্রচন্ড রোদে পুড়ছে। রোববার দেশব্যাপী তাপমাত্রা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসে যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৯০ শতাংশ বেশি। অগ্নি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানায়, গত সপ্তাহে রোববার পর্যন্ত প্রচন্ড গরমে দেশব্যাপী ৯ হাজার ৪৩৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে এবং এদের মধ্যে হিট স্টোকে আক্রান্ত হয়ে ৫৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
জার্মানির বাজেটে ঋণ ও অর্থসংকট
জার্মানির চলতি বছরের বাজেট অনুমোদন করেছে সংসদের নিম্নকক্ষ বুন্দেসটাগ ৷ মোট ৩২০ বিলিয়ন ইউরোর এই বাজেটে এবার ঋণের পরিমাণ ধরা হয়েছে ৮০ বিলিয়ন ইউরোরও বেশি৷সরকারের প্রস্তাবিত এই বাজেট৷ এবার বাজেটে যে পরিমাণ ঋণ গ্রহণের কথা বলা হয়েছে তা গত বছরের তুলনায় দ্বিগুন৷ কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে আগে থেকেই বলা হচ্ছিল যে বিশ্ব আর্থিক মন্দার যে ধাক্কা লেগেছে অর্থনীতিতে তা থেকে উত্তরণের জন্য এই ঋণ গ্রহণ খুবই প্রয়োজনীয়৷ জার্মান অর্থমন্ত্রী ভোল্ফগাং শ্যোয়েবলে সংসদেও সেকথাই বলেছেন৷ তিনি বর্তমান পরিস্থিতিকে ‘ব্যতিক্রমী জটিল' বলে উল্লেখ করেছেন৷ এর আগে চলতি বছরের শুরুতে ম্যার্কেল সরকারের মন্ত্রিসভা ঋণের পরিমাণ ধরেছিল প্রায় ৮৬ বিলিয়ন ইউরো৷ তবে সংসদে তা কিছুটা কমে আসছে৷ এখন এই বাজেট সংসদের উচ্চ কক্ষ বুন্দেসরাটে অনুমোদিত হতে হবে৷স্বাভাবিক ভাবেই বিরোধী দল এই বাজেটের বিরোধিতা করেছে৷ তারা অভিযোগ করেছে যে আগামী মে মাসের নর্থ রাইন ওয়েস্টফেলিয়া রাজ্যের নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার বাজেটের তথ্য এদিক সেদিক করছে৷ সামাজিক গণতন্ত্রী দল এসপিডির নেতা ইওয়াখিম পোস এই ব্যাপারে বলেন, আগামী কয়েক বছরে কি হবে তার একটি ধারণা কেবল তাদের রয়েছে৷ কিন্তু মিউনিসিপ্যাল, কর নীতি এবং আর্থিক বাজারে কি হতে যাচ্ছে তার কোন ধারণা তাদের নেই৷ এদিকে জানা গেছে, আর্থিক মন্দা কাটাতে প্রনোদনা প্যাকেজ এবং ব্যাংকগুলোর উদ্ধার প্যাকেজ সামনে রাখলে সরকারি ঋণের পরিমাণ বেড়ে ১০০ বিলিয়ন ইউরোতে দাঁড়াতে পারে৷ জার্মান সরকারের এই ঋণ গ্রহণের সমালোচনা করেছে ইউরোপীয় কমিশনও৷ ব্রাসেলস আশংকা করছে জার্মানির ঋণের পরিমাণ আগামী ২০১৩ সালের মধ্যে অভ্যন্তরীণ সামষ্টিক উৎপাদন বা জিডিপির ৮২ শতাংশে গিয়ে পৌঁছতে পারে৷ বর্তমানে এর হার জিডিপির ৭৬ শতাংশ৷
মেক্সিকো উপসাগরে ধেয়ে আসছে নতুন ঝড় ॥ তেল বিপর্যয়ে ক্ষয়ক্ষতি আরো বাড়বে
মেক্সিকো উপসাগরের তেল বিপর্যয়ে আরো বাড়িয়ে তুলতে ধেয়ে আরেকটি নতুন ঝড়। ঝড়টি বর্তমানে ডোমিনিকান রিপাবলিক এবং হাইতির উপর দিয়ে প্রচণ্ড বৃষ্টি ও বজ্রপাতসহ অতিক্রম করছে। আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে নতুন এ ঝড়টি কয়েক দিনের মধ্যে মেক্সিকো উপসাগর অতিক্রম করবে এবং শতকরা ৫০ ভাগ নিশ্চিত করা গেছে যে এটি শক্তিশালী মৌসুমি ঝড়ে রূপান্তরিত হতে পারে। তেল পরিষ্কারের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তরা জানিয়েছে, তারা উপকূলী এলাকায় তেল পরিষ্কারের যে উদ্যোগ নিয়েছিল তা নতুন ঝড়ের কারণে মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
এদিকে, ধারণা করা হচ্ছে কয়েকদিন আগে বিপি তেল নিঃসরণ বন্ধ করতে যে ক্যাপ পড়িয়েছিল তা প্রচণ্ড চাপের কারনে খুলে গেছে এবং পুনরায় তেল বের হওয়া শুরু হয়েছে। তবে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছে, তেল শুধুমাত্র নির্দ্দিষ্ট ছিদ্র দিয়ে না বরং মেক্সিকো উপসাগরের তলদেশে সৃষ্ট হওয়া বিভিন্ন অনেকগুলো ফাটল দিয়ে অনেক বেশি পরিমাণে বের হচ্ছে। উল্লেখ্য, তেল কূপের অভ্যন্তরে সৃষ্ট হওয়া মিথেন গ্যাসের প্রচণ্ড চাপের কারণে তলদেশে এই ফাটলগুলো সৃষ্ট হয়।
বেলজিয়ামে প্রচণ্ড গরমে ৫২০ জনের মৃত্যু
আল ইহসান ডেস্ক: বেলজিয়ামে প্রচন্ড গরমে পাচঁ শতাধিক লোকের মৃত্যু ঘটেছে। গত এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া তাপদাহে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। গত মঙ্গলবার দেশটির স্বাস্থ্য অধিদফতর এই তথ্য জানায়।
গত এপ্রিলের ১ তারিখ থেকে ৪ ই জুলাই পর্যন্ত কমপক্ষে ৫২০ জনের মৃত্যুর খবর সরকাারি হিসেবে নিশ্চিত করা হলেও মৃতের প্রকৃত সংখ্যা আরো বেশি বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। উল্লেখ্য সাধারণভারে দেশটিতে এই সময় তাপমাত্রা ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকলেও ইউরোপ জুড়ে চলা প্রচণ্ড তাপদাহের কারণে বর্তমানে তা বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠছে।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

প্রচলিত তাবলীগ জামায়াতের ভ্রান্ত আক্বীদা ও তার খন্ডন মূলক দাঁতভাঙ্গা জবাব

সম্মানিত পাঠক! প্রচলিত ৬ উছূলভিত্তিক তাবলীগ জামায়াতের বাস্তবতা সম্পর্কে যদি সত্যিই জানতে আগ্রহী হন তবে দলিল ভিত্তিক এই প্রতিবেদনটি পড়ুন। ========================================================== ভ্রান্ত আক্বীদা (১)   প্রচলিত ৬ উছূলভিত্তিক তাবলীগ জামায়াতের লোকদের লিখিত কিতাবে এ কথা উল্লেখ আছে যে, মূর্খ হোক, আলিম হোক, ধনী হোক, দরিদ্র হোক, সকল পেশার সকল মুসলমানের জন্য তাবলীগ করা ফরজে আইন। (হযরতজীর মালফুজাত-৪, পৃষ্ঠা-৭, অনুবাদক- মাওলানা ছাখাওয়াত উল্লাহ; তাবলীগ গোটা উম্মতের গুরু দায়িত্ব, পৃষ্ঠা-৫৬, অনুবাদক- ইসমাঈল হোসেন; তাবলীগে ইসলাম, পৃষ্ঠা-৩, লেখক- মাওলানা আব্দুস সাত্তার ত্রিশালী; পস্তী কা ওয়াহিদ এলাজ, লেখক- মাওলানা এহ্‌তেশামুল হাসান কান্দলবী, পৃষ্ঠা-২২) ——————————————————————————— জবাব : তাদের উপরোক্ত বক্তব্যের প্রেক্ষিতে প্রশ্ন জাগে, তাবলীগ করা কি- ফরজে আইন নাকি ফরজে কিফায়া? কেননা- যে ইবাদত প্রত্যেকের জন্য আলাদাভাবে পালন করা ফরজ তা  ফরজে আইন । যেমন- নামাজ, রোজা, ইত্যাদি। আর যে ইবাদত সমষ্টিগতভাবে পালন করা ফরজ অর্থাৎ যে ফরজ কাজ দেশবাসী, শহরবাসী,এলাকাবাসী ব...

*Coca-cola is Haram for Muslim

Because Coca-Cola and Other Soft Drinks may Contain ALCOHOL. Read Details here:~~~~ COCA-COLA: THE REAL THINGS? The proportions in the accompanying recipe are based on the analyses of Coke quoted above and Merory's recipes. The amount of caffeine agrees with that stated in Coca-Cola's So you asked about soft drinks... pamphlet; this is about a third of the caffeine found in the trial analyses. The following recipe produces a gallon of syrup very similar to Coca-Cola's. Mix 2,400 grams of sugar with just enough water to dissolve (high-fructose corn syrup may be substituted for half the sugar). Add 36 grams of caramel, 3.1 grams of caffeine, and 11 grams of phosphoric acid. Extract the cocaine from 1.1 grams of coca leaf ( Truxillo growth of coca preferred) with toluol; discard the cocaine extract. Soak the coca leaves and kola nuts (both finely powdered; 0.37 gram of kola nuts) in 22 grams of 20 percent alcohol. California white wine fortified to 20 percent strengt...

TABLEEGHI KUFRI AQEEDA--Exposed!!!

THE AQEEDA OF THE TABLEEGHI JAMAAT AND DEOBAND—EXPOSED!!! ===================================================== To have good and strong Imaan, one must have the proper Aqeeda. It is for this reason that we quote a few un-Islamic beliefs of the leaders of the Tableeghi Jamaat together with the proper Islamic answers. The present Molvis and devotees of the T. Jamaat refuse to condemn the persons who wrote such bad beliefs and to even disassociate themselves from such false beliefs. The un-Islamic beliefs which we have quoted below are quotations from those individuals who possess such beliefs and by writing them in this handbill, we have no intention of Kufr. FALSE BELIEF 1: “Allah can speak lies“. (“Barahine Qaatia” by Khaleel Ambetwi; “Yakrozi” by Ismaeel Dehlwi; “Fatawa Rasheedia” by Rasheed Ahmed Gangohi). NAUZ BILLAH ANSWER: Lies is a defect which is not worthy of the Zaat of Almighty Allah and is totally Muhaal (Impossible) for Almighty Allah. Allah is free from all shortages a...