মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, হে ঈমানদারগণ! তোমরা ঈমান আনো। অর্থাৎ আক্বীদাকে বিশুদ্ধ করো।
আক্বীদা শুদ্ধ করার মাস হচ্ছে ‘ছফর মাস্থ। আক্বীদার শুদ্ধতাই ঈমানের শুদ্ধতা।
যার আক্বীদা শুদ্ধ সেই মু’মিন বা মুসলমান। আর যার আক্বীদা শুদ্ধ নয়, সে কস্মিনকালেও মু’মিন ও মুসলমান হিসেবে গণ্য হবে না। বরং কাফির ও চির জাহান্নামী হবে। এর মেছাল হচ্ছে কাদিয়ানী।
আক্বীদা শুদ্ধ করার মাস হচ্ছে ‘ছফর মাস্থ। আক্বীদার শুদ্ধতাই ঈমানের শুদ্ধতা।
যার আক্বীদা শুদ্ধ সেই মু’মিন বা মুসলমান। আর যার আক্বীদা শুদ্ধ নয়, সে কস্মিনকালেও মু’মিন ও মুসলমান হিসেবে গণ্য হবে না। বরং কাফির ও চির জাহান্নামী হবে। এর মেছাল হচ্ছে কাদিয়ানী।
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, ছুরতান হাজারো ইসলামী কাজ করলেও বা দ্বীনি খিদমতের আঞ্জাম দিলেও ঈমান ব্যতীত কেউ ঈমানদার হিসেবে গণ্য হবে না। তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ হলো- ‘গিরিশ চন্দ্র সেন’ যাকে কলিকাতা আলিয়া মাদরাসা থেকে অনুষ্ঠান করে মাওলানা উপাধি দেয়া হয়েছিল। সে বাংলা ভাষায় প্রথম ‘কুরআন শরীফ’-এর অনুবাদ করে, হাদীছ শরীফ-এর প্রসিদ্ধ কিতাব ‘মিশকাত শরীফ’-এর অনুবাদ করে, আউলিয়ায়ে কিরামের জীবনীগ্রন' ‘তাযকিরাতুল আউলিয়া’ কিতাবের অনুবাদ করে ইত্যাদি বেশ কিছু দ্বীনি খিদমত বা আমল করা সত্ত্বেও সে কুফরীর গ্লানি নিয়ে মৃত্যু মুখে পতিত হয় এবং তার চির আবাসস্থল হয় জাহান্নাম। কারণ, সে ঈমানদার ছিলো না।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, গিরিশ চন্দ্রের ঘটনা থেকে ইবরত-নছীহত হাছিল করার বিষয় রয়েছে; তাহলো- কেউ কুরআন শরীফ-এর তাফসীর করলেই, তাফসীর পড়ালেই, তাফসীর লিখলেই, কিংবা হাদীছ শরীফ-এর কিতাব বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ ইত্যাদি পড়লেই, পড়ালেই, অনুবাদ করলেই এবং মুহাদ্দিছ, মুফাসসির, শাইখুল হাদীছ, শায়খুত তাফসীর, মুফতী, মাওলানা, পীর, ছূফী, দরবেশ, আমীর, মুরুব্বী, আল্লামা ইত্যাদি যশ-খ্যাতি লাভ করলেই সে নাজাত পাবে না,গরিশ চন্দ্রের ঘটনা য়া মাদ্ষ্ট উদাহা যদি তার আক্বীদা বিশুদ্ধ না থাকে। অর্থাৎ যতোই নেক আমল করুক না কেন, যদি আক্বীদা বিশুদ্ধ না থাকে তবে চির জাহান্নামী হবে। এর আরেক মেছাল হচ্ছে ‘কাদিয়ানী’।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, সকলকে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের যে আক্বীদা (বিশ্বাস) বর্ণিত রয়েছে সে আক্বীদা মুতাবিক আক্বীদা পোষণ করতে হবে। যেমন- আইয়্যামে জাহিলীয়াতের যুগে “ছফর” মাসকে কাফির-মুশরিকরা অশুভ ও কুলক্ষণে মনে করতো। এ আক্বীদা-বিশ্বাস তাদের অন্তরে বদ্ধমূল ছিল যে, সর্বপ্রকার আপদ-বিপদ, বালা-মুছিবত, রোগ-শোক, মহামারি এ ছফর মাসেই আগমন করে থাকে। ফলে এ ছফর মাসকে ঘিরে তাদের নানা প্রকার ভ্রান্ত আক্বীদা এবং কুসংস্কারমূলক কর্মকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। তাই তারা সুবিধানুযায়ী, খেয়াল-খুশির প্রেক্ষিতে এ মাসটি আগে-পিছে করতো। শরীয়তের দৃষ্টিতে যা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, বর্তমানেও ছফর মাসকে ঘিরে কিছু ভ্রান্ত আক্বীদা লোক সমাজে প্রচলিত রয়েছে। সে ভ্রান্ত আক্বীদা-বিশ্বাসের মূলোৎপাটনকল্পে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “সংক্রামক বা ছোঁয়াচে রোগ বলতে কিছু নেই, পেঁচার মধ্যে কুলক্ষণের কিছুই নেই, তারকার (উদয় বা অস্ত যাওয়ার) দ্বারা ভাগ্য নির্ধারণ ও বৃষ্টি হওয়া বা না হওয়াও ভিত্তিহীন এবং ছফর মাসে অশুভ বলতে কিছু নেই।” (মুসলিম, মিশকাত শরীফ)
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, চিকিৎসা শাস্ত্রের পাঠ্যসূচিতে অদ্যাবধি ইসলামী আক্বীদা সংক্রান্ত ইলম না থাকার কারণে অনেক সময় কোন কোন চিকিৎসক কিছু কিছু রোগ সম্পর্কে যেমন- চর্মরোগ, খুজলী-পাঁচড়া, কুষ্ঠ, কলেরা-বসন্ত ইত্যাদিকে সংক্রামক বা ছোঁয়াচে বলে অভিমত ব্যক্ত করে থাকে। যা শরীয়তে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। সুতরাং এরূপ ভ্রান্ত আক্বীদা হতে বিরত থাকা ফরয-ওয়াজিবের অন্তর্ভুক্ত।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, ঈমান-আক্বীদা ধ্বংসকারী বহু কুফরীমূলক ভ্রান্ত আক্বীদা ও কুসংস্কার আমাদের সমাজে প্রচলিত আছে যেমন-
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, গিরিশ চন্দ্রের ঘটনা থেকে ইবরত-নছীহত হাছিল করার বিষয় রয়েছে; তাহলো- কেউ কুরআন শরীফ-এর তাফসীর করলেই, তাফসীর পড়ালেই, তাফসীর লিখলেই, কিংবা হাদীছ শরীফ-এর কিতাব বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ ইত্যাদি পড়লেই, পড়ালেই, অনুবাদ করলেই এবং মুহাদ্দিছ, মুফাসসির, শাইখুল হাদীছ, শায়খুত তাফসীর, মুফতী, মাওলানা, পীর, ছূফী, দরবেশ, আমীর, মুরুব্বী, আল্লামা ইত্যাদি যশ-খ্যাতি লাভ করলেই সে নাজাত পাবে না,গরিশ চন্দ্রের ঘটনা য়া মাদ্ষ্ট উদাহা যদি তার আক্বীদা বিশুদ্ধ না থাকে। অর্থাৎ যতোই নেক আমল করুক না কেন, যদি আক্বীদা বিশুদ্ধ না থাকে তবে চির জাহান্নামী হবে। এর আরেক মেছাল হচ্ছে ‘কাদিয়ানী’।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, সকলকে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের যে আক্বীদা (বিশ্বাস) বর্ণিত রয়েছে সে আক্বীদা মুতাবিক আক্বীদা পোষণ করতে হবে। যেমন- আইয়্যামে জাহিলীয়াতের যুগে “ছফর” মাসকে কাফির-মুশরিকরা অশুভ ও কুলক্ষণে মনে করতো। এ আক্বীদা-বিশ্বাস তাদের অন্তরে বদ্ধমূল ছিল যে, সর্বপ্রকার আপদ-বিপদ, বালা-মুছিবত, রোগ-শোক, মহামারি এ ছফর মাসেই আগমন করে থাকে। ফলে এ ছফর মাসকে ঘিরে তাদের নানা প্রকার ভ্রান্ত আক্বীদা এবং কুসংস্কারমূলক কর্মকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। তাই তারা সুবিধানুযায়ী, খেয়াল-খুশির প্রেক্ষিতে এ মাসটি আগে-পিছে করতো। শরীয়তের দৃষ্টিতে যা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, বর্তমানেও ছফর মাসকে ঘিরে কিছু ভ্রান্ত আক্বীদা লোক সমাজে প্রচলিত রয়েছে। সে ভ্রান্ত আক্বীদা-বিশ্বাসের মূলোৎপাটনকল্পে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “সংক্রামক বা ছোঁয়াচে রোগ বলতে কিছু নেই, পেঁচার মধ্যে কুলক্ষণের কিছুই নেই, তারকার (উদয় বা অস্ত যাওয়ার) দ্বারা ভাগ্য নির্ধারণ ও বৃষ্টি হওয়া বা না হওয়াও ভিত্তিহীন এবং ছফর মাসে অশুভ বলতে কিছু নেই।” (মুসলিম, মিশকাত শরীফ)
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, চিকিৎসা শাস্ত্রের পাঠ্যসূচিতে অদ্যাবধি ইসলামী আক্বীদা সংক্রান্ত ইলম না থাকার কারণে অনেক সময় কোন কোন চিকিৎসক কিছু কিছু রোগ সম্পর্কে যেমন- চর্মরোগ, খুজলী-পাঁচড়া, কুষ্ঠ, কলেরা-বসন্ত ইত্যাদিকে সংক্রামক বা ছোঁয়াচে বলে অভিমত ব্যক্ত করে থাকে। যা শরীয়তে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। সুতরাং এরূপ ভ্রান্ত আক্বীদা হতে বিরত থাকা ফরয-ওয়াজিবের অন্তর্ভুক্ত।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, ঈমান-আক্বীদা ধ্বংসকারী বহু কুফরীমূলক ভ্রান্ত আক্বীদা ও কুসংস্কার আমাদের সমাজে প্রচলিত আছে যেমন-
* রাস্তা চলার সময় কোন প্রাণী যদি ডান থেকে রাস্তা অতিক্রম করে বাম দিকে যায় তাহলে যাত্রা শুভ, কল্যাণকর হবে। আর যদি বিপরীত দিকে যায় তাহলে কুলক্ষণে বা অমঙ্গল হবে, এরূপ বিশ্বাস করা।
* শান্তির প্রতীক বা শান্তি লাভের আশায় পাখি উড়িয়ে দেয়া।
* সকালে ঘুম থেকে উঠে যদি কোন বন্ধ্যা ব্যক্তিকে দেখতে পায়, কিংবা খালি কলস দেখতে পায় তাহলে সারাদিন অমঙ্গলে অতিবাহিত হবে বা কোন কল্যাণ অর্জিত হবে না বলে ধারণা করা।
* শনিবার এবং মঙ্গলবার ইন্তিকাল করাকে কুলক্ষণ এবং জাহান্নামী হওয়ার আলামত বলে মনে করা। নাঊযুবিল্লাহ! যা সম্পূর্ণ ভ্রান্ত ধারণা বা কুসংস্কারের অন্তর্ভুক্ত। কেননা নবী আলাইহিমুস সালামগণ উনাদের পরে শ্রেষ্ঠ মানুষ ছিদ্দীকে আকবর হযরত আবু বকর ছিদ্দীক্ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি মঙ্গলবার বিছাল শরীফ লাভ করেন। আর দ্বিতীয় ও চতুর্থ খলীফা সাইয়্যিদুনা হযরত উমর ফারূক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি এবং সাইয়্যিদুনা হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি শনিবার বিছাল শরীফ লাভ করেন।
* পরীক্ষার পূর্বক্ষণে ডিম বা কলা খাওয়াকে পরীক্ষা পাসের প্রতিবন্ধক মনে করা।
* সময়কে গালি দেয়া।
* জোরে বাতাস প্রবাহিত হতে দেখলে বাতাসকে গালি দেয়া।
* আকাশে দীর্ঘ সময় মেঘ থাকতে দেখলে মেঘকে গালি দেয়া।
* ঘুম থেকে উঠে পেঁচা দেখা কিংবা রাতে পেঁচার ডাক শোনাকে কুলক্ষণে মনে করা।
* বিশেষ তারকা বা গ্রহ-নক্ষত্রের প্রভাবে বৃষ্টিপাত হয় বলে মনে করা। নাঊযুবিল্লাহ!
ইত্যাদি সবই শরীয়তবিরোধী ও কুফরী আক্বীদা। এ সকল কুফরী আক্বীদা হতে বেঁচে থাকা সকলের জন্যই ফরয-ওয়াজিব।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মূলকথা হলো- আক্বীদা শুদ্ধ করার মাস হচ্ছে ‘ছফর মাস্থ। আক্বীদার শুদ্ধতাই ঈমানের শুদ্ধতা। যার আক্বীদা শুদ্ধ সেই মু’মিন বা মুসলমান। যার আক্বীদা শুদ্ধ নয়, সে কস্মিনকালেও মু’মিন ও মুসলমান হিসেবে গণ্য হবে না।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মূলকথা হলো- আক্বীদা শুদ্ধ করার মাস হচ্ছে ‘ছফর মাস্থ। আক্বীদার শুদ্ধতাই ঈমানের শুদ্ধতা। যার আক্বীদা শুদ্ধ সেই মু’মিন বা মুসলমান। যার আক্বীদা শুদ্ধ নয়, সে কস্মিনকালেও মু’মিন ও মুসলমান হিসেবে গণ্য হবে না।
Source: The Daily Al Ihsan, 7 Jan,2011
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন