Click for English
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, যে ঘরে বা স্থানে প্রকাশ্যে প্রাণীর ছবি, মূর্তি, ভাস্কর্য, ম্যানিকিন থাকে সেখানে রহমতের ফেরেশতা থাকেন না।
উল্লেখ্য সিনেমার অশ্লীল পোস্টার, নারী-পুরুষের অশ্লীল ছবিযুক্ত বিলবোর্ড, মূর্তি বা ভাস্কর্য ও ম্যানিকিনগুলো এক দিকে ৯৭ ভাগ মুসলমান-এর দেশকে করছে রহমতশূন্য অপরদিকে ৯৭ ভাগ মুসলমানদ-এর ঈমান ও দ্বীনি পবিত্রতা বিনষ্ট করার সাথে নৈতিক চরিত্রও বিনষ্ট করছে।
তাই “কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর বিরোধী কোন আইন পাস হবে না” এ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সরকারের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হলো- ৯৭ ভাগ মুসলমানের ঈমান হিফাযত, রহমত, নাজাত লাভ ও নৈতিক পবিত্রতা রক্ষার্থে অশ্লীল পোস্টার, বিলবোর্ড, মূর্তি-ভাস্কর্য বা ম্যানিকিনগুলো অতিসত্বর মিটিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
কারণ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, আমি বাদ্যযন্ত্র ও মূর্তি বা ভাস্কর্য ধ্বংস করার বা মিটিয়ে দেয়ার জন্য প্রেরিত হয়েছি।
উল্লেখ্য সিনেমার অশ্লীল পোস্টার, নারী-পুরুষের অশ্লীল ছবিযুক্ত বিলবোর্ড, মূর্তি বা ভাস্কর্য ও ম্যানিকিনগুলো এক দিকে ৯৭ ভাগ মুসলমান-এর দেশকে করছে রহমতশূন্য অপরদিকে ৯৭ ভাগ মুসলমানদ-এর ঈমান ও দ্বীনি পবিত্রতা বিনষ্ট করার সাথে নৈতিক চরিত্রও বিনষ্ট করছে।
তাই “কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর বিরোধী কোন আইন পাস হবে না” এ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সরকারের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হলো- ৯৭ ভাগ মুসলমানের ঈমান হিফাযত, রহমত, নাজাত লাভ ও নৈতিক পবিত্রতা রক্ষার্থে অশ্লীল পোস্টার, বিলবোর্ড, মূর্তি-ভাস্কর্য বা ম্যানিকিনগুলো অতিসত্বর মিটিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
কারণ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, আমি বাদ্যযন্ত্র ও মূর্তি বা ভাস্কর্য ধ্বংস করার বা মিটিয়ে দেয়ার জন্য প্রেরিত হয়েছি।
যামানার খাছ লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, “আমার হাবীব যা আদেশ করেন তা পালন করো, আর যা নিষেধ করেন তা থেকে বিরত থাকো, আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক তিনি কঠিন শাস্তিদাতা।” (সূরা হাশর-৭)
কাজেই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতিটি আদেশ-নির্দেশ পালন করা হচ্ছে ফরয আর তার খিলাফ করাই হচ্ছে হারাম। সুতরাং প্রাণীর ছবি, মূর্তি, ভাস্কর্য ও ম্যানিকিন প্রকাশ্যে রাখাও হারাম। যেহেতু হাদীছ শরীফ-এ তা নিষেধ করা হয়েছে। যেমন এ প্রসঙ্গে হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, হযরত আবু তালহা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, “ওই ঘরে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করেন না, যে ঘরে প্রাণীর ছবি, মূর্তি, ভাস্কর্য, ম্যানিকিন বা কুকুর থাকে।” (বুখারী শরীফ ২য় জিলদ ৮৮০ পৃষ্ঠা)
হাদীছ শরীফ-এ আরো ইরশাদ হয়েছে, হযরত যায়িদ ইবনে আসলাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি উনার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন উনার পিতা উনার ভাই উনার জন্য একখানা ঘর নির্মাণ করেন। অতঃপর হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি ওই ঘরে প্রবেশ করে প্রাণীর ছবি দেখতে পেলেন, অতঃপর তিনি ওটাকে ধ্বংস করে ফেললেন অথবা নিশ্চিহ্ন করে ফেললেন এবং বললেন, আমি হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, “ওই ঘরে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করেন না, যে ঘরে প্রাণীর ছবি, মূর্তি, ভাস্কর্য, ম্যানিকিন বা কুকুর থাকে।” (মুছান্নেফ ইবনে আবী শায়বা ৮ম জিলদ পৃষ্ঠা ২৯২)
হাদীছ শরীফ-এ আরো ইরশাদ হয়েছে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “আমি বাদ্যযন্ত্র, গান-বাজনা ও মূর্তি বা ভাস্কর্য, ম্যানিকিন ধ্বংস করার জন্য প্রেরিত হয়েছি।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, বিনোদনের নামে দেশব্যাপী অশ্লীল থেকে অশ্লীলতর সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে। সেগুলোর অশ্লীল পোস্টারে অলি-গলি ছেয়ে ফেলা হচ্ছে। বিজ্ঞাপনের নামে রাস্তার দুই পাশে বাড়ি ঘরের ছাদের উপরে দেশব্যাপী চরম অশ্লীল চিত্রযুক্ত বিলবোর্ড ঝুলিয়ে রাখা হচ্ছে এবং শহরের সৌন্দর্য বর্ধনের নামে রাস্তার মোড়ে মোড়ে স্থাপিত করা হচ্ছে প্রাণীর মূর্তি বা ভাস্কর্য এবং মার্কেটের দোকানে দোকানে সাজিয়ে রাখা হচ্ছে ম্যানিকিন মূর্তি। যা রাষ্ট্রধর্ম ইসলামী আদর্শের খিলাফ এবং শতকরা ৯৭ ভাগ মুসলমান-এর ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি চরম আঘাতস্বরূপ। সাথে সাথে মুসলমান দেশকে রহমতশূন্য এবং মুসলমানদের ঈমান ও নৈতিক চরিত্র বিনষ্ট করার অন্যতম ষড়যন্ত্র। তাই রহমত, নাজাত লাভ এবং মুসলমানদের ঈমান ও নৈতিক পবিত্রতা রক্ষার্থে সরকারকে এসব শরীয়ত বিরোধী কাজ ও অশ্লীলতা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, সিনেমার অশ্লীল পোস্টার, বিলবোর্ড ও মূর্তি-ভাস্কর্য বা ম্যানিকিনগুলো যে অবাধে ও ব্যাপকভাবে মুসলমানদের ঈমান ও নৈতিক পবিত্রতা বিনষ্ট করছে, ইসলামের ভাবগাম্ভীর্যতা ও মর্যাদা ক্ষুণ্ন করছে সে ব্যাপারে দেশের ৯৭ ভাগ অধিবাসী মুসলমানদের সচেতন হওয়া ও শক্ত প্রতিবাদ করা উচিত। কারণ, হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “তোমরা যখন কোনো অন্যায় কাজ হতে দেখ তখন হাত দিয়ে বাধা দাও। না পারলে মুখে বলো। না পারলে অন্তর থেকে ঘৃণা করো এবং এরপরে আর কোনো ঈমানের স্তর নেই।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, ৯৭ ভাগ মুসলমান-এর দেশ বাংলাদেশের মধ্যে আজ যে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে, তাতে কতোটুকু ঈমান রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে তা চিন্তার বিষয়। কাজেই, ঈমান রক্ষার্থে দেশবাসী মুসলমানদের উচিত হবে ইসলামী চেতনা ও আদর্শের খিলাফ সব অশ্লীলতা ও অনৈসলামিক কাজের বিরুদ্ধে কঠিন চাপ সৃষ্টি করা এবং সারা বছরই তা বন্ধ রাখতে সরকারকে বাধ্য করা। অন্যথায় ঈমানহারা হয়ে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নাঊযুবিল্লাহ! পাশাপাশি, “কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর বিরোধী কোন আইন পাস হবে না” এ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সরকারের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হলো- ৯৭ ভাগ মুসলমানের ঈমান হিফাযত, রহমত, নাজাত লাভ ও নৈতিক পবিত্রতা রক্ষার্থে অশ্লীল পোস্টার, বিলবোর্ড, মূর্তি-ভাস্কর্য বা ম্যানিকিনগুলো অতিসত্বর অপসারণে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
Source: The Daily Al Ihsan, 8 January, 2011
Click title to read from source page
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন