World cup is not for Muslims |
Click for English
সূরা ফাতিহা শরীফ-এ নবী, ছিদ্দীক্ব, শহীদ, ছলেহ উনাদের পথ চাওয়া হয় এবং ইহুদী-নাছারা, কাফির-মুশরিক তথা বিধর্মীদের তর্জ-তরীক্বা থেকে পানাহ চাওয়া হয়।
ক্রিকেট, ফুটবল তথা সমস্ত খেলাধুলা হচ্ছে কাফির, মুশরিকদের তর্জ-তরীক্বা।
তাই কোনোভাবেই মুসলমান হারাম ও নাজায়িয বিশ্বকাপ ক্রিকেটে সম্পৃক্ত হতে পারে না; একইভাবে শতকরা ৯৭ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত এ দেশের সরকারও তা অনুষ্ঠিত হতে দিতে পারে না।
আর নামায শেষে মুনাজাতে ইহকাল ও পরকালের ভালাই চাওয়া হয় এবং দোযখের আগুন থেকে পানাহ চাওয়া হয়।
যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সুলতানুল নাছির, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, এদেশের ৯৭ ভাগ অধিবাসী মুসলমান। তারা সবাই আমলদার না হলেও ঈমানদার। তারা কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ যথাযথ পালন না করলেও পরিপূর্ণ বিশ্বাস করে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, এদেশে প্রায় পাঁচ লাখ জুমুয়ার মসজিদ রয়েছে। ঢাকা শহরের এবং জেলা শহরের অধিকাংশ মসজিদেই হাজারেরও বেশি লোক জুমুয়ার নামায আদায় করেন। থানা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের অধিকাংশ মসজিদগুলোতেও শতাধিক লোক জুমুয়ার নামায আদায় করেন। এছাড়া গ্রাম পর্যায়ে যেখানে জুমুয়ার মসজিদ রয়েছে সেখানেও প্রায় প্রতি মসজিদে শত লোক নামায আদায় করেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, হিসাব অনুযায়ী প্রতি জুমুয়ার নামাযে সব জুমুয়ার মসজিদ মিলিয়ে প্রায় ৫-৬ কোটি মুছল্লীর এক বিরাট সমাবেশ এদেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আর জুমুয়ার নামাযে ৫-৬ কোটি মুছল্লী সবাই সূরা ফাতিহা শরীফ-এ শরীক হচ্ছে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, এছাড়া আরো ৫-৬ কোটি মুসলিম মহিলারাও ঘরে নামায আদায় করছেন এবং তারা সবাই সূরা ফাতিহা পাঠ করছেন। এছাড়া ২-৩ কোটি শিশু-কিশোরও নামায আদায় করছেন অথবা কমপক্ষে সূরা ফাতিহা পাঠ করছেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, বিষয়বস্থর আঙ্গিকে, গুরুত্বের বিচারে সূরা ফাতিহা এক অনন্য মযার্দাসম্পন্ন সূরা। কুরআন শরীফ আরম্ভ হয়েছে সূরা ফাতিহা দ্বারা। অবতরণের দিক দিয়ে এটিই প্রথম পূর্ণাঙ্গ সূরা। বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে এটি সমগ্র কুরআন শরীফ-এর সংক্ষিপ্ত সারমর্ম। কুরআন শরীফ-এর অবশিষ্ট সূরাগুলো মূলত সূরা ফাতিহারই বিস্তৃত ব্যাখ্যা। গুমরাহীর পথ ছেড়ে ‘সিরাতুল মুস্তাক্বীম’-এর পথে পরিচালিত হওয়াই সমগ্র কুরআন শরীফ-এর মূল কথা। আর সূরা ফাতিহাতে সে বিষয়টিই দোয়ারূপে সন্নিবেশিত করা হয়েছে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণরূপে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, কুরআন শরীফ-এর সর্বাধিক পঠিত সূরা হিসেবে সে দোয়া সারা মুসলিম জাহান উচ্চারণ করছেন প্রতিনিয়ত, অহরহ- “আমাদেরকে সরল পথ দান করুন, ওই সমস্ত লোকের পথ, যাঁদের নিয়ামত দান করা হয়েছে। তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি গযব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, নিয়ামতপ্রাপ্ত ও গযবপ্রাপ্তদের বর্ণনা কিন' কুরআনে কারীমায়ই রয়ে গেছে। যাঁদেরকে নিয়ামত দেয়া হয়েছে, উনাদের প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, মহান আল্লাহ পাক উনার অনুগ্রহপ্রাপ্ত উনারা হচ্ছেন- নবী, ছিদ্দীক্ব, শহীদ এবং ছালিহীন।
গযবপ্রাপ্ত বলতে ইহুদী-নাছারা, কাফির-মুশরিক তথা বিধর্মীদেরকেই নির্দিষ্ট করা হয়েছে। সুতরাং ইহুদী-নাছারা, কাফির-মুশরিক তথা বিধর্মীদের পথ পরিহার করে নবী, ছিদ্দীক্ব, শহীদ এবং ছালিহীনগণ উনাদের পথে পরিচালিত হওয়াই সূরা ফাতিহার কথা, কুরআন শরীফ-এর শিক্ষা।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, বিশ্বকাপ ক্রিকেট বিজাতীয় ও বিধর্মীদের প্রবর্তিত খেলা। সূরা ফাতিহা পাঠকারী কোনো মুসলমান এ খেলা দেখতে পারে না। এ খেলার সমর্থনে কোনো আলোচনা করতে পারে না। এ খেলা সমর্থন করতে পারে না এবং ঈমানের আলোকে বরদাশতও করতে পারে না। কারণ, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “আকাশ পৃথিবী ও এতদুভয়ের মধ্যে যা আছে, তা আমি ক্রীড়াচ্ছলে সৃষ্টি করিনি। আমি যদি ক্রীড়া উপকরণ সৃষ্টি করতে চাইতাম, তবে আমি আমার কাছে যা আছে তা দ্বারাই তা করতাম, যদি আমাকে করতে হতো।” (সূরা আম্বিয়া : আয়াত শরীফ- ১৬, ১৭)
আর হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “সমস্ত খেলাধুলা হারাম।” (মুস্তাদরেকে হাকিম) অর্থাৎ কুরআন শরীফ, সুন্নাহ শরীফ তথা শরীয়ত সর্বপ্রকার খেলাধুলাকে হারাম ঘোষণা করেছে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, জুমুয়ার নামায শেষে পাঁচ কোটিরও বেশি মুছল্লী এবং প্রত্যেক মুসলমান পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায়ের পর দোয়া করে থাকেন, ‘আয় আল্লাহ পাক! আমাদেরকে ইহলাক ও পরকালের ভালাই দান করুন এবং দোযখের আযাব থেকে রক্ষা করুন।’
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, এই দোয়ার অভিপ্রায় অনুযায়ী শতকরা ৯৭ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশের সরকারের তথা রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের দেশের সরকারের উচিত- ৯৭ ভাগ অধিবাসী মুসলমানদের পরকালের ভালাইয়ের জন্য কাজ করা। পারলৌকিক ক্ষতির পথ বন্ধ করা। দোযখের আগুনে প্রজ্বলিত হওয়ার পথ রুদ্ধ করা।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, বিশ্বকাপ ক্রিকেটসহ সব খেলাধুলা, গান-বাজনা, বেপর্দা, বেহায়াসহ সব হারাম কাজ দেশের ৯৭ ভাগ মুসলমানদের জন্য পরকালের ক্ষতির কারণ। জাহান্নামের আগুনে জ্বলার কারণ। কাজেই এগুলোতে সরকার কোনোরূপ পৃষ্ঠপোষকতা করতে পারে না। সর্বোপরি তা অনুষ্ঠিত হতে দিতে পারে না। দিলে তা ৯৭ ভাগ মুসলমানদের চরম ক্ষতি করা হয়।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, ‘কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ বিরোধী কোনো আইন পাস হবে না’- এ প্রতিশ্রুতির সরকারকেও কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ বিরোধী বিশ্বকাপ খেলার আয়োজন অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। নচেৎ তারা ওয়াদা খিলাপকারী ও সংবিধান খেলাপকারী বলে বিবেচিত হবে। করণ, সংবিধানের ২(ক) ধারায় উল্লেখ রয়েছে, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। আর বিশ্বকাপ ক্রিকেট সরাসরি ইসলামবিরোধী।
Source: The Daily Al Ihsan10 January, 2011
Click title to read from source page
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন