উশর কি? পবিত্র ‘উশর’ শব্দটি আরবী আশরাতুন (দশ) শব্দ হতে উৎসরিত বা উৎকলিত হয়েছে। উনার আভিধানিক বা শাব্দিক অর্থ হলেন এক দশমাংশ। আর সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার পরিভাষায় কৃষিজাত পণ্য- ফল ও ফসলের পবিত্র যাকাত উনাকে পবিত্র উশর বলে। এক কথায়, উৎপাদিত ফল ফসলের যাকাতই হচ্ছেন পবিত্র উশর। পবিত্র উশর সম্পর্কে পবিত্র কুরআন শরীফ থেকে দলীলঃ পবিত্র উশর সম্পর্কে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার একাধিক পবিত্র আয়াত শরীফ উনাদের মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে। মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- وانفقوا من طيبات ماكسبتم ومـما اخرجنا لكم من الارض. অর্থ : “তোমরা তোমাদের উপার্জিত হালাল সম্পদ হতে এবং যা আমি তোমাদের জন্য যমীন হতে উৎপন্ন করিয়েছি তা হতে দান করো।” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ২৬৭) তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন- واتوا حقه يوم حصاده অর্থ : “ফসল কাটার সময় তার হক (পবিত্র উশর) আদায় করো।” (পবিত্র সূরা আনআম শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১৪১) উশর সম্পর্কে পবিত্র হাদিস শরীফে যা বর্ণিত রয়েছে: এ প্রসঙ্গে অনেক হাদিস শরীফ পাওয়া যায়। তার মধ্যে ২টি পবিত্র হাদীছ শরীফ উল্লেখ
ইসরাইলি পন্য বয়কট করতে চাইলে ভোক্তা পর্যায়ে নয় আগে মুসলিম উদ্দোক্তাদের উদ্দোগ নিতে হবে। আর ভোক্তাদের জানতে হবে অমুসলিমদের প্রতারণা ও পন্যের ক্ষতিকর বিষয়গুলো সম্পর্কে। পৃথিবীর কোথাও যখন কোন দেশ মুসলমানদের উপর আঘাত হানে (ঈমানে অথবা স্বশরীরে) তখন সে দেশের পন্য বয়কটের প্রচারণা চাউর হয়। যেমন ফ্রান্স, নেদারল্যান্ড, ইন্ডিয়া ইত্যাদি দেশগুলো প্রায়ই এমন ঘটনা ঘটায়। তখন এ দেশগুলোর পন্য বয়কট করার আহবান সোশ্যাল মিডিয়া খুব প্রচার হয়। যদিও সেই আহবান খুব বেশি ফলপ্রসু হয়না। সম্প্রতি গাজার মুসলমানদের উপর দখলদার ইসরায়েলী হামলার নিন্দা ওঠেছে বিশ্বজুড়ে। মুসলিম দেশগুলোতে ইসরায়েলী পন্য বয়কটের ডাক উঠেছে। কিন্তু এ ডাক কতটা সফল হবে তা নির্ভর করছে ব্যবসায়ীদের উপর, ভোক্তাদের উপর নয়। মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতে যত পণ্য সামগ্রী প্রয়োজন তার সব কিছুই বাজারজাত করেছে ইহুদীরা। যার কারণে তারা সংখ্যায় কম হলেও গোটা বিশ্ব বাজার তাদের দখলে। কিন্তু তাই বলে এমন নয় যে বাজারের সমস্ত পণ্য ইহুদীদের। বাজারে খ্রিস্টান, হিন্দু, বৌদ্ধ, মুসলমান সবার পণ্যই আছে। ইসরাইলি পন্য বয়কট করতে হলে মুসলমানদেরকে ব্যবসা সম্প্রসারণ ক