যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, শরীয়ত সর্বপ্রকার খেলাধুলাকে হারাম ঘোষণা করেছে। যেমন, হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “সমস্ত খেলাধুলা হারাম।” (মুস্তাদরেকে হাকিম) মূলত ক্রিকেট, ফুটবল এবং এ জাতীয় সকল খেলাধুলার উদ্ভাবক হচ্ছে বিধর্মীরা। অর্থাৎ বর্তমানে প্রচলিত সমস্ত খেলাধুলাই বিধর্মীদের দ্বারা প্রবর্তিত তাহলে মুসলমানদের জন্য তা অনুসরণ ও সমর্থন করা কি করে জায়িয হতে পারে? ২০১১ সালে বাংলাদেশে আয়োজিত বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রসঙ্গে আলোচনাকালে তিনি এসব কথা বলেন। মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মুসলমানদের ঈমান-আমল নষ্ট করে কুফরীতে নিমজ্জিত করার জন্য ইহুদী-খ্রিস্টানরা বিশ্বকাপ ক্রিকেট, ফুটবল, অলিম্পিক ইত্যাদি নানা প্রকার হুজুগ দ্বারা মুসলমানদেরকে হারাম আনন্দে মশগুল করে দিচ্ছে। নাঊযুবিল্লাহ! মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, এ প্রসঙ্গে কালামুল্লাহ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “ইহুদী-নাছারা তথা আহলে কিতাবদের মধ্যে অনেকেই প্রতিহিংসাবশত চায় যে, মুসলমান হওয়ার পর তোমাদের যে কোন রকমে কাফিরে পরিণত করতে।” (সূরা বাক্বারা : আয়াত শরীফ ১০৯) তাই তারা বিভিন্নভাবে চেষ্টা করে থাকে, মুসলমানদেরকে ঈমানহারা করার জন্য। যেমন একদিকে খেলার সাথে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে চেষ্টা করছে, অপরদিকে টেলিভিশনে খেলা ও হাজারো অশ্লীলতা দেখিয়ে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতি নষ্ট করে চরম পাপাচারে মত্ত করার কোশেশ করে যাচ্ছে। মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মাঠে গিয়ে হোক আর টিভিতে হোক সর্বাবস্থায়ই খেলা দেখা হারাম ও কবীরা গুনাহর অন্তর্ভুক্ত। তবে টিভিতে খেলা দেখা বা অন্যান্য অনুষ্ঠান দেখা আরো কঠিন ও অধিক গুনাহর কারণ। কেননা, শরীয়তের দৃষ্টিতে টিভি তথা ছবি দেখা, রাখা ইত্যাদি সবই হারাম। খেলা সম্পর্কিত কোন দেশকে, দলকে বা ব্যক্তিকে সমর্থন করা, প্রশংসা করা, খেলা দেখার ব্যাপারে সাহায্য করা, পতাকা উড়ানো, দেশের, দলের, ব্যক্তির জয় কামনা করে দোয়া করা, রোযা রাখা, দেশের, দলের, ব্যক্তির জয়ে খুশি প্রকাশ করা, হাতে তালি দেয়া, রং ছিটানো ও শুকরিয়া আদায় করা সম্পূর্ণ হারাম ও কুফরী। কারণ আক্বাইদের কিতাবে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে যে, ‘হারামকে হালাল বা জায়িয বলা কুফরী।’ আর যে কুফরী করে সে মুরতাদ হয়ে যায়। মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, ইহুদী-খ্রিস্টানরা মুসলমানদের আমল নষ্ট করার উদ্দেশ্যে ধর্মব্যবসায়ী বা উলামায়ে ‘ছূ’দেরকে ব্যবহার করছে। উলামায়ে ছূ’ বা ধর্মব্যবসায়ীরা খেলাধুলাকে শুধু যে জায়িয ফতওয়া দিচ্ছে তা নয় বরং নিজেরা খেলা দেখে এবং অন্যদেরকেও উৎসাহিত করে। নাঊযুবিল্লাহ! তাই তাদের সবার ষড়যন্ত্র ও ধোঁকা থেকে প্রত্যেক মুসলমানদের ঈমান আমল হিফাযত করা ফরয-ওয়াজিব। মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মূলকথা হলো- ইসলামের দৃষ্টিতে কথিত বিশ্বকাপ ক্রিকেট, ফুটবলসহ সমস্ত খেলাধুলাই হারাম। এছাড়া মুসলমানদের ঈমান-আমল নষ্ট করে কুফরীতে নিমজ্জিত করার ক্ষেত্রে ইহুদী-খ্রিস্টানদের প্রবর্তিত বিশ্বকাপ ক্রিকেট, ফুটবল খেলা এক ধরনের কূটকৌশল তাই সকল মুসলমানের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে- কথিত বিশ্বকাপ ক্রিকেট, ফুটবলসহ সকল প্রকার খেলাধুলা থেকে সম্পূর্ণভাবে বিরত থাকা।
সূত্র: দৈনিক আল ইহসান২৮ নভেম্বর, ২০১০
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন