মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, নাপাক থেকে নাপাকি ব্যতীত অন্যকিছু বের হয়না। তাই শুধু আইন করলেই চলবে না; যেতে হবে সমস্যা তৈরির উৎসমূলে। দেশী সিনেমা, ভারতীয় সিনেমা, টিভি চ্যানেলে প্রদর্শিত অবাধ অশ্লীল ছবি, মোবাইল পর্নো, অশ্লীল প্রিন্ট মিডিয়া; বিশেষত বাস্তবে সংক্ষিপ্ত, পাতলা পোশাকসহ ব্যাপক বেপর্দা-বেহায়ার অনুশীলনই নারী টিজিংয়ের আসল কারণ। কাজেই যতক্ষণ পর্যন্ত অশ্লীলতা বন্ধ করে ইসলাম-এ বর্ণিত পর্দার আহকাম মেনে না চলবে ততক্ষণ পর্যন্ত শুধু কথিত নারী টিজিং বন্ধ কেন? মূলত নারীর কোন অধিকারই সমুন্নত হবে না। অতএব, শতকরা ৯৭ ভাগ মুসলমান অধিবাসীর সরকারের উচিত- কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এ ফরয ঘোষিত ‘পর্দা’ সবার জন্যই ফরয ঘোষণা করা এবং ফরয হিসেবে তা পালনে বাধ্য করা।
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, কুরআন শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, ‘যমীনে এবং পানিতে যত ফিৎনা-ফাসাদ (কথিত নারী টিজিং, নারী অধিকার হরণ, নারী সম্ভ্রম লুন্ঠন, দুর্ভিক্ষ, খাদ্যাভাব, সহিংসতা, সামাজিক অস্থিরতা) তথা আযাব-গযব সব মানুষের হাতের কামাই।’ মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, এক শ্রেণীর লোক রয়েছে, তারা পর্দা পালন করাকে খারাপ মনে করে থাকে। পাশাপাশি তারা বেপর্দা-বেশরা হওয়া, সিনেমা-টিভি তথা তথাকথিত সংস্কৃতিতে মেতে উঠাকে ভাল মনে করে থাকে। প্রকৃতপক্ষে এসব অশ্লীলতার কারণেই সমাজে মহামারির মত নারী টিজিং বাড়ছে। বাড়ছে খুন-খারাবীর মত ঘটনার সংখ্যা। মহান আল্লাহ পাক তিনি এ প্রসঙ্গে ইরশাদ করেন, ‘তোমরা যা খারাপ মনে কর মূলত তা ভালো। আর তোমরা যা ভাল মনে করো মূলত তা খারাপ। বরং আল্লাহ পাক তিনি জানেন ভালমন্দ সম্পর্কে, আর তোমরা তা জানো না।’ মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, প্রাপ্ত সংবাদ অনুযায়ী গত ৬ মাসে কথিত নারী টিজিংয়ের কারণে ২১ তরুণী আত্মহত্যা করেছে। একজন অধ্যাপককেও প্রাণ দিতে হয়েছে। ঘটেছে বাবা-মেয়ে একসাথে আত্মহত্যার ঘটনাও। পুলিশ বলেছে, অন্তত তিনজন মানুষ মারা গেছে কথিত নারী টিজিংয়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে। মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, গত অক্টোবর মাসে টিজিংয়ের শিকার হয়েছেন ৪০ জন। এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে নিহত হন ৪ জন। আহত হয়েছেন আরো ১৫ জন। এছাড়া চলতি মাসের প্রথম দিকেই ঘটেছে বেশ কয়েকটি সহিংস ঘটনা। বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার সূত্র জানিয়েছে, চলতি বছর মে থেকে অক্টোবর পর্যন্ত টিজিংয়ের শিকার হয়েছে ১৭৮ জন। এর মধ্যে মে মাসে ১৬ জন। জুনে ২৭ জন। জুলাইয়ে ৩১ জন। আগস্টে ২৮ জন। সেপ্টেম্বরে ৩৬ জন ও অক্টোবরে টিজিংয়ের শিকার হন ৪০ জন। এ সময়ে টিজিংয়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে নিহত হন ১০ ও আহত হন ৪৭ জন। মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, সমাজে কথিত নারী টিজিং নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বাড়ছে। সরকার এটা রোধে কথিত কঠোর আইন প্রয়োগ করেছে। সর্বোচ্চ আইন ও তার কঠোর প্রয়োগ করেও যদি ফল পাওয়া যেত তাহলে আমেরিকায় প্রতি ২ মিনিটে একটি অশ্লীল নির্যাতনের ঘটনা ঘটতো না। মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, আজকে কথিত ইসলামী মহল ছাড়াও তথাকথিত সাধারণ শিক্ষিত সমাজেও টিভি চ্যানেলের অশ্লীলতার বিরুদ্ধে কথা উঠেছে। পেপার-পত্রিকায় কবি-সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবীরাও অপকটে স্বীকার করেছে। তাদের ভাষ্য: * “বর্তমানে নারী টিজিং সমাজের একটা মারাত্মক সমস্যা। আমাদের দেশ এমন পর্যায়ে ছিল না। আমাদের সমাজে নারীর প্রতি যে সদ্ব্যবহার ছিল তা কমে যাচ্ছে। বিজাতীয় সংস্কৃতির প্রভাবে এমন হচ্ছে। হিন্দি সিনেমা, ইংরেজি ছবির অশ্লীল দৃশ্য ছোট-বড় পর্দায় প্রদর্শন করা হচ্ছে। হিন্দি, ইংরেজি এমনকি বাংলা সিনেমাতেও নারী টিজিংয়ের দৃশ্য এমনভাবে প্রদর্শন করা হচ্ছে যেন এটা খুবই ভাল কাজ। এ ধরনের প্রদর্শনী বন্ধ করতে হবে।” * “পশ্চিমা ছবির বদৌলতে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনকেই বলা হচ্ছে প্রেম। আসলে সেটা তো প্রেম নয়, বরং অশ্লীলতা। সমাজে অনাচার ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য হিন্দি এবং পশ্চিমা ছবির রগরগে ওই সব দৃশ্যই যথেষ্ট। এর বদৌলতে আমরা দেখতে পাচ্ছি, জোরজবরদস্তি করে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করতে চায় তরুণরা।” মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, পর্যালোচনায় জানা গেছে, আমাদের আধুনিক কবিতা গল্প সাহিত্য নাটক সিনেমার ৯০ ভাগ জুড়ে এখন তরুণ-তরুণীর অশ্লীলতা প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে বীরদর্পে নায়িকার উপর হামলে পড়া। নারী টিজিংকে তথাকথিত বড় এক শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছে বিভ্রান্ত তরুণ নির্মাতারা। আর পর্দায় এসব দেখেই কোমলমতি ছেলেরা নারী টিজিং শিখে। মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, হারাম ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া দেখে ছেলেরা নারী টিজার হচ্ছে আবার মিডিয়ার ফলে মেয়েরা যেভাবে সংক্ষিপ্ত ও পাতলা পোশাক পরে রাস্তায় হাঁটছে অর্থাৎ বেপর্দা-বেহায়া হচ্ছে তাও কথিত নারী টিজিংয়ের অন্যতম কারণ। মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, সমাজে শুধু নারী টিজিং নয়- পরকীয়া, ধর্ষণ, খুন, নারী অধিকার হরণ, নারী সম্ভ্রম লুন্ঠন ইত্যাদি সব সামাজিক অস্থিরতা কখনই দূর হবে না; যতক্ষণ পর্যন্ত কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এ ঘোষিত ‘পর্দা ফরয’- এ মূল্যবোধের জাগরণ না ঘটবে। প্রকৃতপক্ষে যারা পর্দা পালন করে না তারাই নারী টিজিংয়ের শিকার হয়। কাজেই এদেশের ৯৭ ভাগ মুসলমানের মৌলিক অধিকার যে, সরকার তাদেরকে এমন একটা পরিবেশ দিবে, যেখানে বেপর্দাজনিত কবীরা গুনাহর সুযোগ থাকবে না। চর্চা থাকবে না। বেপর্দা আবহ থাকবে না। মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, পাশাপাশি মুসলমান যেহেতু পরকালে বিশ্বাসী; সেহেতু মুসলমানের পারলৌকিক কল্যাণ সাধনের দায়িত্বও সরকারের। এক্ষেত্রে সরকারের অনিবার্য কর্তব্য, কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ ঘোষিত পর্দা সবার জন্যই ফরয ঘোষণা করা এবং ফরয হিসেবে তা পালনে বাধ্য করা। শুধু কথিত নারী টিজারদের জন্যই আইন প্রণয়ন নয়; সব বেপর্দাদের জন্য পর্দা পালনে বাধ্য করার জন্য শরঈ হুকুম জারি করা।
সূত্র: দৈনিক আল ইহসান ২৫/১১/২০১০
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, কুরআন শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, ‘যমীনে এবং পানিতে যত ফিৎনা-ফাসাদ (কথিত নারী টিজিং, নারী অধিকার হরণ, নারী সম্ভ্রম লুন্ঠন, দুর্ভিক্ষ, খাদ্যাভাব, সহিংসতা, সামাজিক অস্থিরতা) তথা আযাব-গযব সব মানুষের হাতের কামাই।’ মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, এক শ্রেণীর লোক রয়েছে, তারা পর্দা পালন করাকে খারাপ মনে করে থাকে। পাশাপাশি তারা বেপর্দা-বেশরা হওয়া, সিনেমা-টিভি তথা তথাকথিত সংস্কৃতিতে মেতে উঠাকে ভাল মনে করে থাকে। প্রকৃতপক্ষে এসব অশ্লীলতার কারণেই সমাজে মহামারির মত নারী টিজিং বাড়ছে। বাড়ছে খুন-খারাবীর মত ঘটনার সংখ্যা। মহান আল্লাহ পাক তিনি এ প্রসঙ্গে ইরশাদ করেন, ‘তোমরা যা খারাপ মনে কর মূলত তা ভালো। আর তোমরা যা ভাল মনে করো মূলত তা খারাপ। বরং আল্লাহ পাক তিনি জানেন ভালমন্দ সম্পর্কে, আর তোমরা তা জানো না।’ মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, প্রাপ্ত সংবাদ অনুযায়ী গত ৬ মাসে কথিত নারী টিজিংয়ের কারণে ২১ তরুণী আত্মহত্যা করেছে। একজন অধ্যাপককেও প্রাণ দিতে হয়েছে। ঘটেছে বাবা-মেয়ে একসাথে আত্মহত্যার ঘটনাও। পুলিশ বলেছে, অন্তত তিনজন মানুষ মারা গেছে কথিত নারী টিজিংয়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে। মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, গত অক্টোবর মাসে টিজিংয়ের শিকার হয়েছেন ৪০ জন। এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে নিহত হন ৪ জন। আহত হয়েছেন আরো ১৫ জন। এছাড়া চলতি মাসের প্রথম দিকেই ঘটেছে বেশ কয়েকটি সহিংস ঘটনা। বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার সূত্র জানিয়েছে, চলতি বছর মে থেকে অক্টোবর পর্যন্ত টিজিংয়ের শিকার হয়েছে ১৭৮ জন। এর মধ্যে মে মাসে ১৬ জন। জুনে ২৭ জন। জুলাইয়ে ৩১ জন। আগস্টে ২৮ জন। সেপ্টেম্বরে ৩৬ জন ও অক্টোবরে টিজিংয়ের শিকার হন ৪০ জন। এ সময়ে টিজিংয়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে নিহত হন ১০ ও আহত হন ৪৭ জন। মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, সমাজে কথিত নারী টিজিং নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বাড়ছে। সরকার এটা রোধে কথিত কঠোর আইন প্রয়োগ করেছে। সর্বোচ্চ আইন ও তার কঠোর প্রয়োগ করেও যদি ফল পাওয়া যেত তাহলে আমেরিকায় প্রতি ২ মিনিটে একটি অশ্লীল নির্যাতনের ঘটনা ঘটতো না। মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, আজকে কথিত ইসলামী মহল ছাড়াও তথাকথিত সাধারণ শিক্ষিত সমাজেও টিভি চ্যানেলের অশ্লীলতার বিরুদ্ধে কথা উঠেছে। পেপার-পত্রিকায় কবি-সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবীরাও অপকটে স্বীকার করেছে। তাদের ভাষ্য: * “বর্তমানে নারী টিজিং সমাজের একটা মারাত্মক সমস্যা। আমাদের দেশ এমন পর্যায়ে ছিল না। আমাদের সমাজে নারীর প্রতি যে সদ্ব্যবহার ছিল তা কমে যাচ্ছে। বিজাতীয় সংস্কৃতির প্রভাবে এমন হচ্ছে। হিন্দি সিনেমা, ইংরেজি ছবির অশ্লীল দৃশ্য ছোট-বড় পর্দায় প্রদর্শন করা হচ্ছে। হিন্দি, ইংরেজি এমনকি বাংলা সিনেমাতেও নারী টিজিংয়ের দৃশ্য এমনভাবে প্রদর্শন করা হচ্ছে যেন এটা খুবই ভাল কাজ। এ ধরনের প্রদর্শনী বন্ধ করতে হবে।” * “পশ্চিমা ছবির বদৌলতে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনকেই বলা হচ্ছে প্রেম। আসলে সেটা তো প্রেম নয়, বরং অশ্লীলতা। সমাজে অনাচার ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য হিন্দি এবং পশ্চিমা ছবির রগরগে ওই সব দৃশ্যই যথেষ্ট। এর বদৌলতে আমরা দেখতে পাচ্ছি, জোরজবরদস্তি করে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করতে চায় তরুণরা।” মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, পর্যালোচনায় জানা গেছে, আমাদের আধুনিক কবিতা গল্প সাহিত্য নাটক সিনেমার ৯০ ভাগ জুড়ে এখন তরুণ-তরুণীর অশ্লীলতা প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে বীরদর্পে নায়িকার উপর হামলে পড়া। নারী টিজিংকে তথাকথিত বড় এক শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছে বিভ্রান্ত তরুণ নির্মাতারা। আর পর্দায় এসব দেখেই কোমলমতি ছেলেরা নারী টিজিং শিখে। মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, হারাম ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া দেখে ছেলেরা নারী টিজার হচ্ছে আবার মিডিয়ার ফলে মেয়েরা যেভাবে সংক্ষিপ্ত ও পাতলা পোশাক পরে রাস্তায় হাঁটছে অর্থাৎ বেপর্দা-বেহায়া হচ্ছে তাও কথিত নারী টিজিংয়ের অন্যতম কারণ। মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, সমাজে শুধু নারী টিজিং নয়- পরকীয়া, ধর্ষণ, খুন, নারী অধিকার হরণ, নারী সম্ভ্রম লুন্ঠন ইত্যাদি সব সামাজিক অস্থিরতা কখনই দূর হবে না; যতক্ষণ পর্যন্ত কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এ ঘোষিত ‘পর্দা ফরয’- এ মূল্যবোধের জাগরণ না ঘটবে। প্রকৃতপক্ষে যারা পর্দা পালন করে না তারাই নারী টিজিংয়ের শিকার হয়। কাজেই এদেশের ৯৭ ভাগ মুসলমানের মৌলিক অধিকার যে, সরকার তাদেরকে এমন একটা পরিবেশ দিবে, যেখানে বেপর্দাজনিত কবীরা গুনাহর সুযোগ থাকবে না। চর্চা থাকবে না। বেপর্দা আবহ থাকবে না। মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, পাশাপাশি মুসলমান যেহেতু পরকালে বিশ্বাসী; সেহেতু মুসলমানের পারলৌকিক কল্যাণ সাধনের দায়িত্বও সরকারের। এক্ষেত্রে সরকারের অনিবার্য কর্তব্য, কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ ঘোষিত পর্দা সবার জন্যই ফরয ঘোষণা করা এবং ফরয হিসেবে তা পালনে বাধ্য করা। শুধু কথিত নারী টিজারদের জন্যই আইন প্রণয়ন নয়; সব বেপর্দাদের জন্য পর্দা পালনে বাধ্য করার জন্য শরঈ হুকুম জারি করা।
সূত্র: দৈনিক আল ইহসান ২৫/১১/২০১০
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন