সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ধর্মব্যবসায়ী ওহাবী, খারিজী, তাবলীগি জামাতীদের থেকে সাবধান!

নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, উলামায়ে ‘ছূ’রা হচ্ছে সৃষ্টির নিকৃষ্ট থেকে নিকৃষ্টতম। যে সকল মাওলানারা প্রকাশ্যে বেপর্দা হয়, ছবি তোলে, ভিডিও করে, টিভি চ্যানেলে প্রোগ্রাম করে, খেলাধুলা করে ও দেখে, ইসলামের নামে গণতন্ত্র তথা ভোট, নির্বাচন করে এবং এগুলো জায়িয বলে ফতওয়া দেয় অর্থাৎ যারা দ্বীনের বিনিময়ে দুনিয়া গ্রহণ করে তারাই উলামায়ে ‘ছূ’ বা ধর্মব্যবসায়ী। এদের থেকে দূরে থাকা মুসলমানদের জন্য ফরয কেননা এদের কারণেই মুসলমান ঈমান আমল নষ্ট করে গোমরাহীতে নিমজ্জিত হয়। তাই উলামায়ে ছূ’ বা ধর্মব্যবসায়ী মাওলানাদের চিহ্নিত ও প্রতিহত করা সকল মুসলমানদের জন্যই ফরয-ওয়াজিব।

যামানার খাছ লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “নিশ্চয়ই কেবল মাত্র আলিমগণই আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করে থাকেন।”

আর হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “হযরত উমর ইবনুল খত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি হযরত কা’ব ইবনুল আহবার রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে জিজ্ঞাসা করেন- আলিম কে? জবাবে তিনি বলেন, যে ব্যক্তি অর্জিত ইলম অনুযায়ী আমল করেন তিনিই আলিম। কোন জিনিস আলিমের অন্তর থেকে ইলম বের করে দেয়? দুনিয়ার লোভ।”

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ দ্বারা প্রমাণিত হলো যে, যার মধ্যে আল্লাহভীতি নেই এবং যে ইলম অনুযায়ী আমলও করে না বরং হারাম-নাজায়িয কাজে মশগুল থাকে এবং দুনিয়া বা টাকার লোভে হারামকে হালাল ও হালালকে হারাম বলে; তারাই উলামায়ে ‘ছূ’ বা ধর্মব্যবসায়ী অর্থাৎ দুনিয়াদার মাওলানা। এদের সম্পর্কেই হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত হয়েছে, “আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, আমার উম্মতের উলামায়ে ‘ছূ’দের জন্য জাহান্নাম; যারা ইলমকে ব্যবসা হিসেবে গ্রহণ করে তাদের যামানার আমীর-উমরা বা রাজা-বাদশাহদের কাছে অর্থ ও পদ লাভের জন্য তা বিক্রি করে থাকে। তাদের এ ধর্মব্যবসায় আল্লাহ পাক তিনি কখনো বরকত দিবেন না।”

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি উলামায়ে ‘ছূ’দের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, যারা দুনিয়াবী ফায়দা হাছিলের উদ্দেশ্যে আমীর-উমরা, রাজা-বাদশাহ, মন্ত্রী-মিনিস্টার এমনকি মহিলাদের সাথে একত্রে চলাফেরা করে, উঠাবসা করে, যাওয়া-আসা করে, মিটিং-মিছিল করে, তাদের ছানা-ছিফত ও গুণ বর্ণনা করে প্রকাশ্যে বেপর্দা হয়, ছবি তোলে, ভিডিও করে, টিভি চ্যানেলে প্রোগ্রাম করে, ইসলামের নামে গণতন্ত্র তথা ভোট-নির্বাচন করে, হরতাল করে, লংমার্চ করে, মৌলবাদী দাবি করে, কুশপুত্তলিকা দাহ করে, ব্লাসফেমী আইন চায় এবং এগুলোকে জায়িয বলে ফতওয়া দেয়, তারা আলিম তো নয়ই বরং সর্বনিকৃষ্ট শ্রেণীর মাওলানা তথা উলামায়ে ‘ছূ’। এদের প্রসঙ্গেই হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, “নিশ্চয়ই (সৃষ্টির মধ্যে) সর্বাপেক্ষা নিকৃষ্ট জীব হচ্ছে উলামায়ে ‘ছূ’ তথা দুনিয়াদার ধর্মব্যবসায়ী মাওলানা।”

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, শরীয়তের ফায়ছালা হলো উলামায়ে ‘ছূ’ বা ধর্মব্যবসায়ীদের ওয়াজ শোনা তাদের ফতওয়া মানা, তাদেরকে অনুসরণ করা হারাম আর তাদের ছোহবত থেকে দূরে থাকা ফরয-ওয়াজিব। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি সূরা কাহাফ-এ ইরশাদ করেন, “তোমরা ওই ব্যক্তিকে অনুসরণ করোনা যার ক্বালব আমার যিকির থেকে গাফিল। সে নফসের পায়রবী করে আর তার কাজগুলো শরীয়তের খিলাফ।” অর্থাৎ যারা শরীয়তের খিলাফ কাজ করে তাদেরকে আল্লাহ পাক অনুসরণ করতে নিষেধ করেছেন।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, আর হাদীছ শরীফ-এ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “তোমরা কার থেকে দ্বীন গ্রহণ করছো অর্থাৎ ইলম হাছিল করছো তা লক্ষ্য করো।” অর্থাৎ যাদের আক্বীদা ও আমল শরীয়তের খিলাফ তাদের থেকে ইলম হাছিল করোনা, তাদের ওয়াজ শুনোনা, তাদের ফতওয়া মেনোনা, তাদের পিছনে নামায পড়োনা।

হাদীছ শরীফ-এ আরো ইরশাদ হয়েছে, “আখিরী যামানায় কিছু মিথ্যাবাদী দাজ্জাল তথা উলামায়ে ‘ছূ’ বের হবে তারা এমন কথা বলবে ও আমল করবে যা তোমরা তো দূরের কথাই তোমাদের বাপ-দাদারাও শুনে নাই দেখে নাই; (অর্থাৎ তারা শরীয়ত বিরোধী কথা বলবে আমল করবে) তোমরা তাদেরকে দূরে রাখ, তাদের থেকে দূরে থাক তবে তারা তোমাদের (আক্বীদা ও আমল নষ্ট করে) ফিৎনায় ফেলতে ও গুমরাহ করতে পারবে না। এ হাদীছ শরীফ দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, উলামায়ে ‘ছূ’দের ছোহবত থেকে দূরে থাকা ফরয-ওয়াজিব।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মূলকথা হলো- যে সকল মাওলানারা প্রকাশ্যে বেপর্দা হয়, ছবি তোলে, ভিডিও করে, টিভি চ্যানেলে প্রোগ্রাম করে, ইসলামের নামে গণতন্ত্র তথা ভোট, নির্বাচন করে এবং এগুলো জায়িয বলে তারা উলামায়ে ‘ছূ’ বা ধর্মব্যবসায়ী। এদের কথা শোনা, এদেরকে অনুসরণ করা ও এদের পিছনে নামায পড়া হারাম। আর এদের ছোহবত থেকে দূরে থাকা সকলের জন্যই ফরয-ওয়াজিব।

সূত্র: দৈনিক আল ইহসান ১৩/১১/২০১০

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

*Coca-cola is Haram for Muslim

Because Coca-Cola and Other Soft Drinks may Contain ALCOHOL. Read Details here:~~~~ COCA-COLA: THE REAL THINGS? The proportions in the accompanying recipe are based on the analyses of Coke quoted above and Merory's recipes. The amount of caffeine agrees with that stated in Coca-Cola's So you asked about soft drinks... pamphlet; this is about a third of the caffeine found in the trial analyses. The following recipe produces a gallon of syrup very similar to Coca-Cola's. Mix 2,400 grams of sugar with just enough water to dissolve (high-fructose corn syrup may be substituted for half the sugar). Add 36 grams of caramel, 3.1 grams of caffeine, and 11 grams of phosphoric acid. Extract the cocaine from 1.1 grams of coca leaf ( Truxillo growth of coca preferred) with toluol; discard the cocaine extract. Soak the coca leaves and kola nuts (both finely powdered; 0.37 gram of kola nuts) in 22 grams of 20 percent alcohol. California white wine fortified to 20 percent strengt...

যে সকল শব্দ মুসলমানদের ব্যবহার করা উচিত নয়

শব্দ ব্যবহারের কুচিন্তায় যোগসাধনের ষড়যন্ত্র ইহুদী খ্রিস্টানদের ঐতিহ্যগত প্রবৃত্তি। স্বয়ং হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সময়ও ইহুদী খ্রিস্টানদের এরূপ ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার ছিল। কুরআন শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “হে ঈমানদারগণ! তোমরা রঈনা বলো না উনজুরনা বলো এবং শ্রবণ কর (বা শুনতে থাক) আর কাফিরদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি।” (সূরা বাক্বারা ১০৪) আয়াতের শানে নযুলে বলা হয়েছে, ইহুদীরা রসুলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কষ্ট দেবার জন্য ‘রঈনা’ শব্দ ব্যবহার করত, যার একাধিক অর্থ। একটি অর্থ হল ‘আমাদের দিকে লক্ষ্য করুন’ যা ভাল অর্থে ব্যবহার হয় আর খারাপ অর্থ হল ‘হে মূর্খ, হে মেষ শাবক’ এবং হিব্রু ভাষায় একটি বদদোয়া। ইহুদীরা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে রঈনা বলে সম্বোধন করত। যাতে প্রকৃতপক্ষে তাদের উদ্দেশ্য ছিল খারাপ অর্থের প্রতি ইঙ্গিত করা। আর হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ ‘রঈনা’ শব্দের ভাল অর্থের প্রতি ইঙ্গিত করে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সম্বোধন করলে ইহুদীরা খারাপ অর্থ চিন্তা করে হাসাহাসি করত। এতে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলা...

উশরযোগ্য ফল-ফসলের বিধান

উশর কি?  পবিত্র ‘উশর’ শব্দটি আরবী আশরাতুন (দশ) শব্দ হতে উৎসরিত বা উৎকলিত হয়েছে। উনার আভিধানিক বা শাব্দিক অর্থ হলেন এক দশমাংশ। আর সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার পরিভাষায় কৃষিজাত পণ্য- ফল ও ফসলের পবিত্র যাকাত উনাকে পবিত্র উশর বলে। এক কথায়, উৎপাদিত ফল ফসলের যাকাতই হচ্ছেন পবিত্র উশর। পবিত্র উশর সম্পর্কে পবিত্র কুরআন শরীফ থেকে দলীলঃ পবিত্র উশর সম্পর্কে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার একাধিক পবিত্র আয়াত শরীফ উনাদের মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে। মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- وانفقوا من طيبات ماكسبتم ومـما اخرجنا لكم من الارض. অর্থ : “তোমরা তোমাদের উপার্জিত হালাল সম্পদ হতে এবং যা আমি তোমাদের জন্য যমীন হতে উৎপন্ন করিয়েছি তা হতে দান করো।” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ২৬৭) তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-  واتوا حقه يوم حصاده অর্থ : “ফসল কাটার সময় তার হক (পবিত্র উশর) আদায় করো।” (পবিত্র সূরা আনআম শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১৪১) উশর সম্পর্কে পবিত্র হাদিস শরীফে যা বর্ণিত রয়েছে:  এ প্রসঙ্গে অনেক হাদিস শরীফ পাওয়া যায়। তার মধ্যে ২টি পবিত্র হাদী...