যামানার খাছ লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “নিশ্চয়ই কেবল মাত্র আলিমগণই আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করে থাকেন।”
আর হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “হযরত উমর ইবনুল খত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি হযরত কা’ব ইবনুল আহবার রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে জিজ্ঞাসা করেন- আলিম কে? জবাবে তিনি বলেন, যে ব্যক্তি অর্জিত ইলম অনুযায়ী আমল করেন তিনিই আলিম। কোন জিনিস আলিমের অন্তর থেকে ইলম বের করে দেয়? দুনিয়ার লোভ।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ দ্বারা প্রমাণিত হলো যে, যার মধ্যে আল্লাহভীতি নেই এবং যে ইলম অনুযায়ী আমলও করে না বরং হারাম-নাজায়িয কাজে মশগুল থাকে এবং দুনিয়া বা টাকার লোভে হারামকে হালাল ও হালালকে হারাম বলে; তারাই উলামায়ে ‘ছূ’ বা ধর্মব্যবসায়ী অর্থাৎ দুনিয়াদার মাওলানা। এদের সম্পর্কেই হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত হয়েছে, “আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, আমার উম্মতের উলামায়ে ‘ছূ’দের জন্য জাহান্নাম; যারা ইলমকে ব্যবসা হিসেবে গ্রহণ করে তাদের যামানার আমীর-উমরা বা রাজা-বাদশাহদের কাছে অর্থ ও পদ লাভের জন্য তা বিক্রি করে থাকে। তাদের এ ধর্মব্যবসায় আল্লাহ পাক তিনি কখনো বরকত দিবেন না।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি উলামায়ে ‘ছূ’দের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, যারা দুনিয়াবী ফায়দা হাছিলের উদ্দেশ্যে আমীর-উমরা, রাজা-বাদশাহ, মন্ত্রী-মিনিস্টার এমনকি মহিলাদের সাথে একত্রে চলাফেরা করে, উঠাবসা করে, যাওয়া-আসা করে, মিটিং-মিছিল করে, তাদের ছানা-ছিফত ও গুণ বর্ণনা করে প্রকাশ্যে বেপর্দা হয়, ছবি তোলে, ভিডিও করে, টিভি চ্যানেলে প্রোগ্রাম করে, ইসলামের নামে গণতন্ত্র তথা ভোট-নির্বাচন করে, হরতাল করে, লংমার্চ করে, মৌলবাদী দাবি করে, কুশপুত্তলিকা দাহ করে, ব্লাসফেমী আইন চায় এবং এগুলোকে জায়িয বলে ফতওয়া দেয়, তারা আলিম তো নয়ই বরং সর্বনিকৃষ্ট শ্রেণীর মাওলানা তথা উলামায়ে ‘ছূ’। এদের প্রসঙ্গেই হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, “নিশ্চয়ই (সৃষ্টির মধ্যে) সর্বাপেক্ষা নিকৃষ্ট জীব হচ্ছে উলামায়ে ‘ছূ’ তথা দুনিয়াদার ধর্মব্যবসায়ী মাওলানা।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, শরীয়তের ফায়ছালা হলো উলামায়ে ‘ছূ’ বা ধর্মব্যবসায়ীদের ওয়াজ শোনা তাদের ফতওয়া মানা, তাদেরকে অনুসরণ করা হারাম আর তাদের ছোহবত থেকে দূরে থাকা ফরয-ওয়াজিব। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি সূরা কাহাফ-এ ইরশাদ করেন, “তোমরা ওই ব্যক্তিকে অনুসরণ করোনা যার ক্বালব আমার যিকির থেকে গাফিল। সে নফসের পায়রবী করে আর তার কাজগুলো শরীয়তের খিলাফ।” অর্থাৎ যারা শরীয়তের খিলাফ কাজ করে তাদেরকে আল্লাহ পাক অনুসরণ করতে নিষেধ করেছেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, আর হাদীছ শরীফ-এ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “তোমরা কার থেকে দ্বীন গ্রহণ করছো অর্থাৎ ইলম হাছিল করছো তা লক্ষ্য করো।” অর্থাৎ যাদের আক্বীদা ও আমল শরীয়তের খিলাফ তাদের থেকে ইলম হাছিল করোনা, তাদের ওয়াজ শুনোনা, তাদের ফতওয়া মেনোনা, তাদের পিছনে নামায পড়োনা।
হাদীছ শরীফ-এ আরো ইরশাদ হয়েছে, “আখিরী যামানায় কিছু মিথ্যাবাদী দাজ্জাল তথা উলামায়ে ‘ছূ’ বের হবে তারা এমন কথা বলবে ও আমল করবে যা তোমরা তো দূরের কথাই তোমাদের বাপ-দাদারাও শুনে নাই দেখে নাই; (অর্থাৎ তারা শরীয়ত বিরোধী কথা বলবে আমল করবে) তোমরা তাদেরকে দূরে রাখ, তাদের থেকে দূরে থাক তবে তারা তোমাদের (আক্বীদা ও আমল নষ্ট করে) ফিৎনায় ফেলতে ও গুমরাহ করতে পারবে না। এ হাদীছ শরীফ দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, উলামায়ে ‘ছূ’দের ছোহবত থেকে দূরে থাকা ফরয-ওয়াজিব।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মূলকথা হলো- যে সকল মাওলানারা প্রকাশ্যে বেপর্দা হয়, ছবি তোলে, ভিডিও করে, টিভি চ্যানেলে প্রোগ্রাম করে, ইসলামের নামে গণতন্ত্র তথা ভোট, নির্বাচন করে এবং এগুলো জায়িয বলে তারা উলামায়ে ‘ছূ’ বা ধর্মব্যবসায়ী। এদের কথা শোনা, এদেরকে অনুসরণ করা ও এদের পিছনে নামায পড়া হারাম। আর এদের ছোহবত থেকে দূরে থাকা সকলের জন্যই ফরয-ওয়াজিব।
সূত্র: দৈনিক আল ইহসান ১৩/১১/২০১০
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন