মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি (উম্মতদেরকে) বলুন, আমি তোমাদের নিকট কোনো প্রতিদান চাই না। তবে আমার নিকটজন তথা হযরত আহলে বাইত শরীফ উনাদের প্রতি সদাচরণ করবে।” (সূরা শূরা: আয়াত শরীফ ২৩)
‘মুসলিম শরীফ’ ও ‘মিশকাত শরীফ’-এ বর্ণিত আছে, হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, “একদা ভোর বেলা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি একখানা কালো বর্ণের পশমী নকশী কম্বল মুবারক শরীর মুবারকে জড়িয়ে বের হলেন। এমন সময় হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম তিনি সেখানে আসলে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাকে কম্বলের ভিতরে প্রবেশ করিয়ে নিলেন। তারপর হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম তিনি আসলে উনাকেও ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম উনার সহিত প্রবেশ করিয়ে নিলেন। অতঃপর হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি আসলে উনাকেও তাতে প্রবেশ করিয়ে নিলেন। তারপর হযরত আলী আলাইহিস সালাম তিনি আসলে উনাকেও তার ভিতরে প্রবেশ করিয়ে নিলেন। অতঃপর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কুরআন শরীফ-এর এই আয়াত শরীফখানা তিলাওয়াত করলেন, “হে আমার আহলে বাইত! মহান আল্লাহ তায়ালা তিনি চান আপনাদের থেকে সকল প্রকার অপবিত্রতা দুর করে দিতে এবং পবিত্র করার মতো পবিত্র করতে অর্থাৎ আপনাদেরকে পবিত্র করার মত পবিত্র করেই সৃষ্টি করেছেন।”
‘তিরমিযী শরীফ’ ও ‘মিশকাত শরীফ’-এ বর্ণিত আছে, “হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, আমি সাইয়্যিদুনা রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দেখেছি, তিনি (বিদায়) হজ্জে আরাফার দিন উনার ‘কাসওয়া’ নামক উষ্ট্রীর উপর সওয়ার অবস্থায় খুতবা দান করছেন। আমি শুনেছি, তিনি খুতবায় বলেছেন, হে লোক সকল! আমি তোমাদের মাঝে এমন বিষয় রেখে যাচ্ছি, তোমরা যদি শক্তভাবে ধরে রাখো, তবে কখনো গুমরাহ হবে না। তাহলো মহান আল্লাহ পাক উনার কিতাব ও আমার ইতরাত তথা হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা।” সুবহানাল্লাহ!
‘মুসনাদু আহমদ বিন হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি’ ও ‘মিশকাত শরীফ’-এ বর্ণিত আছে, হযরত আবূ যর গিফারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত, তিনি কা’বা শরীফ-এর দরজা ধরে বলেন, আমি হযরত নবী পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, সাবধান! আমার আহলে বাইত শরীফ হলেন তোমাদের জন্য হযরত নূহ আলাইহিস্ সালাম উনার নৌকার মতো। যে তাতে আরোহণ করবে, সে নাজাত পাবে। আর যে তা হতে পশ্চাতে থাকবে সে ধ্বংস হবে।”
হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত করা ঈমান। আর উনাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা কুফরী।
আয় মহান আল্লাহ পাক! হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মুহব্বত সকলের অন্তরে পরিপূর্ণভাবে কানায় কানায় ভরিয়ে দিন। (আমীন)
আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত সম্পর্কে আরো জানতে ক্লিক করুন
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন