সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

যারা ‘এপ্রিল ফুল’ পালন করবে তারা কুফরী করবে

নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, ‘যে ধোঁকা দেয় সে আমার উম্মত নয়।’ আরো ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সাথে মিল রাখবে তার হাশর-নশর তাদের সাথে হবে।’ আজ যারা ‘এপ্রিল ফুল’ পালন করবে তারা কুফরী করবে। কারণ মুসলমানদের জন্য ‘পহেলা এপ্রিল’ বা ‘এপ্রিল ফুল’ পালন করা হারাম ও কুফরী। কেননা এদিন কাফির-মুশরিকরা মুসলমানদেরকে চরম মিথ্যা, প্রতারণা ও ধোঁকা দিয়ে নির্মমভাবে শহীদ করেছে। মুসলমান নিজেদের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে গাফিল থাকার কারণেই আজকে বিধর্মীদের ষড়যন্ত্রে চরমভাবে নির্যাতিত হচ্ছে। তাই প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ ও মহিলা সকলের জন্যই ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে, নিজেদের ঐতিহ্য ও ইতিহাস সম্পর্কে অবগত হওয়া এবং পহেলা এপ্রিল বা এপ্রিল ফুলসহ সর্বপ্রকার বিজাতীয় নিয়মনীতি পালন করা থেকে বিরত থাকা। যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, প্রতি বৎসর ১লা এপ্রিলের নামে বাড়িতে-বাড়িতে, পাড়া-মহল্লায়, শি...

ইসলামের বাতিল ৭২ দল ও তাদের কুফরী আক্বীদা

হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে, "আমার উম্মত ৭৩ দলে বিভক্ত হবে, একটি দল ব্যতীত ৭২টি দলই জাহান্নামে যাবে। তখন হযরত সাহাবা-ই-কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! যে একটি দল নাযাত প্রাপ্ত, সে দলটি কোন দল? হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আমি এবং আমার সাহাবা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণের মত ও পথের উপর যারা কায়েম থাকবে,(তারাই নাযাত প্রাপ্ত দল)।" ( তিরমিযী শরীফ) এ প্রসঙ্গে হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে, "হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত আছে যে, ৭২টি দল জাহান্নামে যাবে, আর ১টি দল জান্নাতে যাবে। (আবূ দাউদ, মসনদে আহমদ,মিশকাত শরীফ, মিরকাত শরীফ) উক্ত হাদীস শরীফের ব্যাখ্যায় মিরকাত শরীফে আরো উল্লেখ আছে যে, "জেনে রাখ ! (উক্ত ৭৩টি দল) প্রধানতঃ ৮টি দলে বিভক্ত যা "মাওয়াক্বিফ" কিতাবে বর্ণিত রয়েছে-  (১) মু'তাযিলাহ---------------এরা ২০ দলে বিভক্ত  (২) শিয়া---------------------এরা ২২ দলে বিভক্ত  (৩) খারেজী-------------------এরা ২০ দলে বিভক্ত  (৪) মরজিয়্যাহ----------------এর...

বাংলাদেশে মার্কিন বাহিনীর মোতায়েন আদৌ গ্রহণযোগ্য নয়।

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, হে ঈমানদারগণ তোমরা ইহুদী এবং নাছারা বা খৃস্টানদেরকে বন্ধু বা সাহায্যকারী হিসেবে গ্রহণ করোনা। বরং তারা (তোমাদের বন্ধু নয়) পরষ্পর পরষ্পরের বন্ধু। অতএব বাংলাদেশে মার্কিন বাহিনীর মোতায়েন আদৌ গ্রহণযোগ্য নয়। আশ্চর্যের বিষয়, মার্কিনীরা চাচ্ছে বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় ও বন্যার মত দুর্যোগে সহযোগীতা করতে, অথচ তারা নিজেদের দেশকেই নিজেরা দুর্যোগ থেকে বাঁচাতে পারছেনা। ফলশ্রুতিতে তারা নিজেরাই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে। তাহলে তারা বাংলাদেশকে কি করে সাহায্য করবে! যা একটা হাস্যস্পদ কথা। প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাথে মার্কিন সেনাবাহিনীর সরাসরি যোগাযোগ চাওয়ার ইচ্ছা গভীর উদ্দেশ্যমূলক এবং দুরভিসন্ধিজনক। তার মধ্যে একটা দুরভিসন্ধি হলো- বাংলাদেশ থেকে খাদ্যদ্রব্য, মাল-সম্পদ নিয়ে নিজেদের দুর্যোগ মিটিয়ে অস্তিত্ব রক্ষা করা। স্মরণীয়, বাংলাদেশের ভূমি অথবা সমুদ্রসীমায় মার্কিন ঘাঁটি এদেশের স্বাধীনতার পক্ষের মানুষ কখনো মেনে নিবেনা। কারণ ৭১ সনে আমেরিকা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে। বাংলাদেশে মার্কিন বাহিনীর উপস্থিতি সংবিধানেরও খিলাফ। কাজেই অবিলম্বে বাংলাদেশ থেকে মার্কিন সেনাবাহিনী...

যে সকল শব্দ মুসলমানদের ব্যবহার করা উচিত নয়

শব্দ ব্যবহারের কুচিন্তায় যোগসাধনের ষড়যন্ত্র ইহুদী খ্রিস্টানদের ঐতিহ্যগত প্রবৃত্তি। স্বয়ং হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সময়ও ইহুদী খ্রিস্টানদের এরূপ ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার ছিল। কুরআন শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “হে ঈমানদারগণ! তোমরা রঈনা বলো না উনজুরনা বলো এবং শ্রবণ কর (বা শুনতে থাক) আর কাফিরদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি।” (সূরা বাক্বারা ১০৪) আয়াতের শানে নযুলে বলা হয়েছে, ইহুদীরা রসুলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কষ্ট দেবার জন্য ‘রঈনা’ শব্দ ব্যবহার করত, যার একাধিক অর্থ। একটি অর্থ হল ‘আমাদের দিকে লক্ষ্য করুন’ যা ভাল অর্থে ব্যবহার হয় আর খারাপ অর্থ হল ‘হে মূর্খ, হে মেষ শাবক’ এবং হিব্রু ভাষায় একটি বদদোয়া। ইহুদীরা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে রঈনা বলে সম্বোধন করত। যাতে প্রকৃতপক্ষে তাদের উদ্দেশ্য ছিল খারাপ অর্থের প্রতি ইঙ্গিত করা। আর হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ ‘রঈনা’ শব্দের ভাল অর্থের প্রতি ইঙ্গিত করে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সম্বোধন করলে ইহুদীরা খারাপ অর্থ চিন্তা করে হাসাহাসি করত। এতে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলা...

‘পবিত্র ফাতিহায়ে ইয়াযদাহম’

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, ‘সাবধান! নিশ্চয় যাঁরা মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী উনাদের কোনো ভয় নেই এবং চিন্তা-পেরেশানীও নেই।’ মহান আল্লাহ পাক উনার খালিছ ওলী গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পবিত্র বিছাল শরীফ হচ্ছে ‘১১ই রবীউছ ছানী’ যা ‘পবিত্র ফাতিহায়ে ইয়াযদাহম’ নামে মশহুর। এ বছরের জন্য আগামী ৬ই আশির-১৩৭৯ শামসী সন, ৫ই মার্চ-২০১২ ঈসায়ী সন ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীমি বা সোমবার শরীফ পবিত্র ফাতিহায়ে ইয়াযদাহম। তাই প্রত্যেক মুসলমান এবং বাংলাদেশ সরকারসহ পৃথিবীর সকল দেশের সরকারের উচিত- যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যতার সাথে এ দিনটি পালন করা এবং এ দিনের সম্মানার্থে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা। রবীউছ ছানী মাস অত্যন্ত বরকত ও ফযীলতপূর্ণ মাস। এই মাসেই মাহবুবে সুবহানী, কুতুবে রব্বানী, গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া হযরত শায়েখ সাইয়্যিদ মুহিউদ্দীন আব্দুল কাদির জিলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বিছাল শরীফ লাভ করেন। গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া হযরত শায়েখ সাইয়্যিদ মুহিউদ্দীন আব্দুল কাদির জিলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিলাদত শরীফ থেকে বিছাল শরীফ পর্যন্ত আমরা যে ওয়াকিয়...

পর্দা বা বোরকার বিরোধিতাকারীরা কাট্টা কাফির ও চিরজাহান্নামী

স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফ এবং স্বয়ং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হাদীছ শরীফ-এর মাধ্যমে পর্দা বা বোরকা ফরয করেছেন। সুতরাং পর্দা বা বোরকার বিরোধিতাকারীরা মুসলমানের অন্তর্ভুক্ত নয়। তারা কাট্টা কাফির ও চিরজাহান্নামী।পর্দা বা বোরকা মুসলমানদের ধর্মীয় অধিকার আর খাছ করে মহিলাদের সম্মান এবং ব্যক্তিত্বেরও প্রতীক। অতএব, ৯৭% মুসলমানের দেশ এবং রাষ্ট্রীয় দ্বীন ইসলাম-এর এদেশ বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশে রাষ্ট্র কখনো এবং কোনো মতেই ‘বেপর্দাকে স্বীকৃতি দিতে বা উৎসাহিত করতে পারে না’। এবং কোনো কর্তৃপক্ষ বা প্রতিষ্ঠানও বলতে পারে না যে, ‘পর্দা বা বোরকা পরতে বাধ্য করা যাবে না’।এছাড়া বর্তমান সরকারের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি হলো, ‘কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর বিরোধি কোনো আইন পাশ হবে না’।কাজেই কোনো কর্তৃপক্ষ বা প্রতিষ্ঠান যদি পর্দা বা বোরকার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়; তাহলে, সরকারের দায়িত্ব ও কর্তব্য হলো- সে কর্তৃপক্ষ ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শক্ত ব্যবস্থা অর্থাৎ তাদের প্রতি উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা। যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার লক্ষ্যস্থল আও...

‘ভ্যালেন্টাইন ডে’পালন করা সম্পূর্ণরূপে নাজায়িয, হারাম ও কুফরী

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, ‘তোমরা কাফির ও মুনাফিকদের অনুসরণ করো না।’ আজ যারা ‘ভ্যালেন্টাইন ডে’ পালন করবে তারা ইহুদী-নাছারাদের অনুসরণ করার কারণে কুফরী করবে। কারণ, ইসলামের দৃষ্টিতে মুসলমানদের জন্য ‘ভ্যালেন্টাইন ডে’ বা ‘ভালোবাসা দিবস’ পালন করা সম্পূর্ণরূপে নাজায়িয, হারাম ও কুফরী। আর হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে, যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সাথে মিল রাখবে সে ব্যক্তি সে সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য হবে অর্থাৎ তার হাশর-নশর তাদের সাথে তথা ইহুদী-নাছারাদের সাথেই হবে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশে ‘ভ্যালেন্টাইন ডে’র প্রবর্তক হলো- যুদ্ধাপরাধী, দুর্নীতিবাজ, মুসলমান নামধারী মুনাফিক, নীতিভ্রষ্ট এক সাংবাদিক। তাই মুসলমানদের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে, কাফির, মুনাফিক ও বিধর্মীদের দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে; ভ্যালেন্টাইন ডে’সহ সর্বপ্রকার কুফরী ও হারাম প্রথা থেকে বিরত থাকা ও বিরত রাখা। যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ...

...উলীল আমর তথা প্রকৃত ওলীআল্লাহ উনাদেরকে অনুসরণ করে চলা উম্মতের জন্য ফরয

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, ‘তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনাকে অনুসরণ করো, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অনুসরণ করো এবং তোমাদের মধ্যে যাঁরা উলিল আমর অর্থাৎ যিনি বা যাঁরা মহান আল্লাহ পাক উনার মতে মত ও নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পথে পথ হয়েছেন উনাদেরকে অনুসরণ করো।’ অর্থাৎ আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিছাল শরীফ-এর পর যাঁরা উলীল আমর অর্থাৎ প্রকৃত নায়িব বা প্রতিনিধি তথা প্রকৃত ওলীআল্লাহ উনাদেরকে অনুসরণ করে চলা উম্মতের জন্য ফরয। যামানার সত্যিকার ওলীআল্লাহগণ উনারা পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করেছেন এবং অন্যান্যদেরকেও পালন করার জন্য উৎসাহিত করেছেন। যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, ‘তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনাকে অনুসরণ করো, মহান আল্লাহ পাক...

স্বয়ংনূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে উম্মতের খুশি প্রকাশ করার কারণে নিজ শাফায়াতের সুসংবাদ দান করেছেন

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, ‘তোমরা যদি নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অনুসরণ করো বা মেনে চলো তবেই তোমরা হিদায়েত লাভ করবে।’ স্বয়ং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে উম্মতের খুশি প্রকাশ করার কারণে তাদের জন্য নিজ শাফায়াতের সুসংবাদ দান করেছেন এবং আরো সুসংবাদ দিয়েছেন যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি তাদের জন্য রহমতের দরজা খুলে দিবেন এবং সমস্ত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা তাদের জন্য মাগফিরাত কামনা করবেন। সুবহানাল্লাহ! অতএব, প্রত্যেক বান্দা-বান্দী ও উম্মতের জন্য অপরিহার্য কর্তব্য হলো, স্বীয় নবী ও রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শাফায়াত তথা নাজাত লাভের জন্য উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করা। যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সাল...

হযরত খুলাফায়ে রাশিদীন আলাইহিমুস সালাম উনারা প্রত্যেকেই ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করেছেন

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা যেভাবে ঈমান এনেছেন, জ্বিন-ইনসান যদি সেভাবে ঈমান আনে তাহলে তারা অবশ্যই হিদায়েত লাভ করবে।” নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, ‘আমার সুন্নতসমূহ এবং সুপথপ্রাপ্ত খুলাফায়ে রাশিদীন উনাদের সুন্নতসমূহ পালন করা তোমাদের উপর ওয়াজিব।’ হযরত খুলাফায়ে রাশিদীন আলাইহিমুস সালাম উনারা প্রত্যেকেই সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করেছেন এবং অন্যদেরকেও পালন করার ব্যাপারে উৎসাহ প্রদান করেছেন। অতএব, প্রত্যেক মুসলমান নর-নারী জ্বিন-ইনসানের জন্য হযরত খুলাফায়ে রাশিদীন আলাইহিমুস সালাম উনাদের অনুসরণে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ অর্থাৎ ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-ওয়াজিবের অন্তর্ভুক্ত। যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ...

সৃষ্টিকুলের সর্বশ্রেষ্ঠ ঈদের দিন- পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, ‘হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি উম্মাহকে জানিয়ে দিন, আল্লাহ পাক তিনি ফযল-করম এবং রহমত হিসেবে উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাঠিয়েছেন, সেজন্য তারা যেনো খুশি প্রকাশ করে। এই খুশি প্রকাশ করাটা সবকিছু থেকে উত্তম, যা তারা দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য সঞ্চয় করে।’ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তাশরীফ আনার কারণেই ১২ই রবীউল আউয়াল শরীফ মহা পবিত্র, মহা সম্মানিত ও মহা ফযীলতপূর্ণ দিন হিসেবে কায়িনাতে সাব্যস্ত হয়েছে এবং থাকবে।   আজ সেই মহাপবিত্র ১২ই রবীউল আউয়াল শরীফ। যা কুল-কায়িনাতের সকলের জন্যই- সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর অর্থাৎ পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।  যা সৃষ্টিকুলের সর্বশ্রেষ্ঠ ঈদের দিন। তাই কুল-কায়িনাতের সকলের জন্যই ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে, সর্বোচ্চ তা’যীম-তাকরীম, মুহব্বত ও ভাবগাম্ভীর্যতার সাথে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করা। আর সকল দেশের সরকারের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে, রাষ্ট্রীয়ভাবে সর্বোচ্চ আয়োজ...

হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজ কান মুবারকে উম্মতের ছলাত বা দুরূদ শরীফ ও সালাম শুনেন

নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, ‘কোনো ব্যক্তি আমার প্রতি দুরূদ শরীফ পাঠ করলে তা আমার কানে পৌঁছে।’ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজ কান মুবারকে উম্মতের ছলাত বা দুরূদ শরীফ ও সালাম শুনেন। যা উনার বেমেছাল ফাযায়িল-ফযীলতের মধ্যে একটা বিশেষ ফযীলত। যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, হযরত আবু হুরাইরা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনার থেকে বর্ণিত- রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার ছলাত (দুরূদ শরীফ) পাঠ করবে, মহান আল্লাহ পাক তিনি তার প্রতি দশটি রহমত নাযিল করবেন। (মুসলিম শরীফ) আসন্ন সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর অর্থাৎ কুল-কায়িনাতের সর্বশ্রেষ্ঠ ঈদ পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ১৪৩৩ হিজরী-এর গুরুত্ব ও নূরে ম...