সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

  আমরা সবাই ওয়াজিব কুরবানীর কথাই জানি, কিন্তু ফরজ কুরবানীর বিষয়ে জানি না। আসুন আজকে জেনে নেই ফরজ কুরবানী কোনটি? আমাদের প্রিয় নবী এবং রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্রতম ওছিয়ত মুবারক অনুযায়ী "উনার পক্ষ থেকে" একটি কুরবানী করাই হচ্ছে ফরয কুরবানী। কোথায় আছে এই ফরজ কুরবানীর কথা? পবিত্র হাদীছ শরীফে বর্ণিত রয়েছে। حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ أَبِي الْحَسْنَاءِ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ حَنَشٍ، قَالَ رَأَيْتُ عَلِيًّا يُضَحِّي بِكَبْشَيْنِ فَقُلْتُ مَا هَذَا فَقَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَوْصَانِي أَنْ أُضَحِّيَ عَنْهُ فَأَنَا أُضَحِّي عَنْهُ . অর্থ : “হযরত হানাশ রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনাকে দুটি দুম্বা কুরবানী করতে দেখলাম এবং জিজ্ঞাসা করলাম, এটা কি? (দুটি কেন?) পবিত্র জবাবে তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাকে ওছিয়ত মুবারক করে গিয়েছেন যে, আমি যেন উনার পবিত্রতম পক্ষ হতে কুরবানী করি। সুতরাং আম...

বিশ্ব পর্দা দিবস কবে?

৮ই যিলক্বদ শরীফ ‘বিশ্ব পর্দা দিবস’। এ দিনেই প্রথম পর্দার আয়াত শরীফ নাযিল হয়। পবিত্র সুরা আহযাব শরীফ উনার ৫৩ তম আয়াত শরীফ নায়িল হওয়ার মাধ্যমে পর্দা ফরয হয়।  প্রথম পর্দার বিধান জারী করা হয় ৫ম হিজরীতে। তখন হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ইবনে হযরত উম্মু সুলাইম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ১৫ বৎসরের যুবক, উনার সামনে প্রথম পর্দার আয়াত নাযিল হয়। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَدْخُلُوا بُيُوتَ النَّبِيِّ...الخ অর্থ: হে ঈমানদারগণ! তোমরা হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্রতম হুজরা শরীফে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করোনা....। হযরত আনাস রাদিআল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, "আমাদের নবী হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, উম্মুল মু’মিনীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত যয়নব বিনতে জাহাশ আলাইহাস সালাম উনাদের নিসবতে আযীম শরীফের (নিকাহ মুবারক ) পর ওলীমা স্বরুপ কিছু রুটি, গোশত এবং হারিছার ব্যবস্থা করা হয়। আমাকে, লোকদেরকে খাওয়ার জন্যে ডেকে আনতে পাঠানো হয়। তারপর একদল লোক এসে খেয়...

নেট দুনিয়ায় নতুন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আবির্ভাব

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের দুনিয়ায় আবির্ভাব ঘটেছে একটি অসাধারণ নতুন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের। নতুন এই সামাজিক প্লাটফর্মের নাম সিরাতুল মুস্তাকিম। আধুনিক সব ফিচার, অর্থ উপার্জন ও ব্যবসা করার অত্যাধুনিক ফিচার নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে এই নতুন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি।  ওয়েবসাইট:  sm40.com উৎপত্তি: বাংলাদেশ কেন “সিরাতুল মুস্তাক্বীম” তথা SM40.COM প্ল্যাটফর্মে জয়েন করবেন? - প্রচলিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সকল সুযোগ সুবিধা আছে - অশালীন ও হারাম বিষয়মুক্ত ডিজিটাল মিডিয়া প্রতিষ্ঠা করতে - প্রচলিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ক্ষতি থেকে বাঁচতে এবং সমাজকে বাঁচাতে - সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্যবহৃত সময়কে পজিটিভলি কাজে লাগাতে - শিশু, কিশোর, শিক্ষার্থী, বয়স্ক এবং সমাজের সব শ্রেণীর মানুষের জন্য উপযোগী প্রচলিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাথে উল্লেখযোগ্য পার্থক্যসমূহ- ১. ব্যবহারকারীর সময়কে মূল্যায়ন করা হয় ২. অসামাজিক দূষণমুক্ত ৩. ব্যবহারকারীর তথ্যের উচ্চ নিরাপদ ৪. নিরাপত্তার স্বার্থে ব্যাক্তিগত ছবি অনুমোদিত নয় ৫. প্রয়োজনীয় সবধরনের জ্ঞান চর্চা, অভিজ্ঞতা, মতামত, আর্টিকেল শেয়ার ব্যবস্থা ৬. ব্যাক্তি আইডি দিয়ে পেইজ, ...

খেলাধুলা করা হারাম নাকি জায়েজ? ইসলামে কোন খেলায় কি হুকুম? জেনে নিন কিছু প্রশ্ন ও উত্তর।

★প্রশ্ন-(১) খেলাধুলা সম্পর্কে শরীয়তের ফায়ছালা কি? অনেকে বলে, ‘কিছু কিছু খেলা জায়িয।’ তা কোন কোন খেলা? উত্তর-(১) এর জবাবে বলতে হয় যে, হাদীছ শরীফের বিখ্যাত কিতাব, “মুস্তাদরিকে হাকিম”-এর মধ্যে হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত আছে যে, রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “সব প্রকার খেলা নিষিদ্ধ, তিনটি বিষয় ব্যতীত- (১) তীর ধনুক চালনা করা, (২) অশ্বকে প্রশিক্ষণ দান করা, (৩) নিজ স্ত্রীর সাথে শরীয়তসম্মত হাসি-খুশী করা।” আবু দাউদ শরীফ, তিরমিযী শরীফ, নাসাঈ শরীফ, ইবনে মাজাহ্ শরীফ ইত্যাদি হাদীছ শরীফের কিতাবেও হযরত ওকবা ইবনে আমির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে অনুরূপ হাদীছ শরীফ বর্ণিত রয়েছে। তবে শব্দের কিছু তারতম্য রয়েছে। হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে রেওয়ায়েত আছে, নবী করিম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “মু’মিনের শ্রেষ্ঠ খেলা অর্থাৎ প্রশিক্ষণ হচ্ছে সাঁতার কাটা, আর নারীর শ্রেষ্ঠ খেলা অর্থাৎ কাজ হচ্ছে সূতা কাটা।” “সহীহ্ মুসলিম” ও “মুসনদে আহমদ শরীফে” হযরত সালমান ইবনে আকওয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত আছে, “নবী করিম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ...

খুশির দিনে রোজা রাখার হুকুম

বাতিল ফিরকার ধর্ম ব্যবসায়ীদের একটা বিভ্রান্তিকর অপপ্রচার হচ্ছে- জন্ম উপলক্ষে নবীজী রাখলেন রোজা আপনারা করেন ঈদ। তিনি পালন করলেন 'বার' আপনারা করেন 'তারিখ'।  এখানে তাদের দুইটা আপত্তি। আজকে প্রথম আপত্তি নিয়ে কিছু বলবো। যে হাদীছ শরীফ দিয়ে সে রোজা পালন করার কথা বলছে তা হলো-  “হযরত আবূ ক্বতাদা আনছারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা হুযূর পাক  ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সোমবার রোযা রাখার ব্যাপারে জিজ্ঞাসিত হলেন, তখন তিনি ইরশাদ মুবারক করেন যে, এদিন আমি পবিত্র বিলাদত শরীফ গ্রহন করেছি, আর এ দিনেই আমার উপর পবিত্র ওহী বা পবিত্র কুরআন শরীফ নাযিল হয়েছে।” (মুসলিম শরীফ : হাদীছ শরীফ নং ২৮০৭) প্রথম কথা হচ্ছে এ হাদীছ শরীফ পেশ করার মাধ্যম দিয়ে ধরা যাক তারা ‘মীলাদুন্নবী পালন’ করাকে মেনে নিলো। যাক আগেতো মীলাদুন্নবী পালন অস্বীকার করতো এখন কিছুটা উন্নতি হয়েছে। এখন বাকি থাকলো, রোজা না রেখে ঈদ করা নিয়ে। সম্ভবত এই বিভ্রান্তি প্রচারকরা রোজা এবং ঈদকে সাংঘর্ষিক মনে করে। আসুন আমরা কিছু হাদীছ শরীফ দেখবো যেখানে রোজার মাধ্যম দিয়ে ঈদ পালন করার ব্যাপারে বলা হয়েছে। পবিত্র হাদ...

দরুদ শরীফ ছানা ছিফত কতক্ষণ করতে হবে?

  ২৪ ঘন্টা নবীজীর প্রতি দরূদ শরীফ পাঠ করলেই সকল নেক মকছুদ পূর্ণ হবে, এবং জীবনের সকল গুনাহ খতা ক্ষমা হবে। অর্থাৎ সদা সর্বদা নবীজীর ধ্যানে খেয়ালে স্মরনে থাকতে হবে।  সহীহ হাদীছ শরীফে বর্ণিত আছে, قَالَ أُبَىٌّ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أُكْثِرُ الصَّلاَةَ عَلَيْكَ فَكَمْ أَجْعَلُ لَكَ مِنْ صَلاَتِي فَقَالَ ‏"‏ مَا شِئْتَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ الرُّبُعَ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ مَا شِئْتَ فَإِنْ زِدْتَ فَهُوَ خَيْرٌ لَكَ ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ النِّصْفَ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ مَا شِئْتَ فَإِنْ زِدْتَ فَهُوَ خَيْرٌ لَكَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ فَالثُّلُثَيْنِ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ مَا شِئْتَ فَإِنْ زِدْتَ فَهُوَ خَيْرٌ لَكَ ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ أَجْعَلُ لَكَ صَلاَتِي كُلَّهَا ‏.‏ قَالَ ‏"‏ إِذًا تُكْفَى هَمَّكَ وَيُغْفَرُ لَكَ ذَنْبُكَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏ হযরত উবাই ইবনু কা’ব রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- আমি বললাম, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি তো খুব অধিক হারে আপনার প্রতি দরুদ শরীফ পাঠ করি। আপনার প্রতি দরুদ পাঠে...

সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার পরিচিতি মুবারক

এক নজরে সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার পরিচিতি মুবারক বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সায়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার সবচেয়ে বড় মহাসম্মানিত পরিচয় মুবারক হচ্ছেন, তিনি হলেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিতা বানাত (মেয়ে) আলাইহাস সালাম। সুবহানাল্লাহ! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিতা হযরত বানাত (মেয়ে) আলাইহিমাস সালাম উনাদের মধ্যে তিনি হচ্ছেন ‘ছানিয়াহ’ তথা দ্বিতীয়া। তাই উনাকে বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সায়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম বলা হয়। সুবহানাল্লাহ! #90daysmahfil www.sm40.com 🌹মহাসম্মানিত নাম মুবারক: সাইয়্যিদাতুনা হযরত রুক্বইয়্যাহ আলাইহাস সালাম। 🌹যেভাবে সম্বোধন করা আদব মুবারক: সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম। 🌹বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ: আনুষ্ঠানিকভাবে রিসালাত মুবারক মুবারক প্রকাশের প্রায় ৭ বছর পূর্বে পবিত্র ৩রা রবী‘উছ ছানী শরীফ ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ। 🌹নিসবাত...

৩৯৪ হিজরীতে মাস ব্যাপী ঈদে মীলাদুন নবী পালনের ইতিহাস

মিশরে ৩৯৪ হিজরীতে মাস ব্যাপী ব্যপক জাকজমকের সাথে ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা হয়। এক শ্রেনীর লোক প্রচার করে পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ(ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নাকি চালু হয়েছে ৬শত হিজরীতে। অথচ কথাটি মোটেও সত্য না, খলীফা হারুনুর রশীদের (১৪৮-১৯৩ হিজরী) মাতা আল খায়জুরান (ইন্তেকাল ৭৮৬ ঈসায়ী সন) পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করার জন্য ব্যবস্থা করেন।  ইতিহাসটি বর্ণনা করোন হিজরী ৩য় শতকের পবিত্র মক্কা শরীফের মুসলিম ইতিহাসবিদ আল আজরাকী রহমতুল্লাহি আলাইহি (ওফাত ২১৯ হিজরী)। পবিত্র মক্কা শরীফ উনার ইতিহাস লিখতে গিয়ে তিনি এই ঘটনাটি উল্লেখ করেন- فَمِنْهَا الْبَيْتُ الَّذِي وُلِدَ فِيهِ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي دَارِ أَبِي يُوسُفَ، وَلَمْ يَزَلْ هَذَا الْبَيْتُ فِي الدَّارِ حَتَّى قَدِمَتِ الْخَيْزُرَانُ أُمُّ الْخَلِيفَتَيْنِ مُوسَى، وَهَارُونَ، فَجَعَلَتْهُ مَسْجِدًا يُصَلَّى فِيهِ، “হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেখানে পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন সেখান...

বাইবেল থেকে গসপেল অফ বার্নাবাস (The Gospel of Barnabas) কেন নিষিদ্ধ করা হয়েছিলো?

জানেন কি, বাইবেল থেকে গসপেল অফ বার্নাবাস (The Gospel of Barnabas) কেন নিষিদ্ধ করা হয়েছিলো? সেইন্ট বার্নাবাস, প্রকৃত নাম জোসেফ (ইউসুফ) ছিলেন হজরত ঈসা আলাইহিস সালাম (খ্রিস্টানরা বলে যীশু) উনার সবচেয়ে বিশ্বস্ত সহচর ও ওহী লেখক। তিনি হজরত ঈসা আলাইহিস সালাম উনার ধর্মপ্রচার স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করে সরাসরি অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান লাভ করেন যা বর্তমানে চারটি স্বীকৃত গসপেলের রচয়িতাদের কারও ছিল না। বর্তমান খ্রিষ্টান জগতে বার্নাবাসের বাইবেলের কোন পরিচিতি নেই, বরং নিষিদ্ধ। সংগত কারনেই খ্রিষ্টান ধর্মযাজকরা এই বাইবেলের ঘোর বিরোধী কারণ এই বাইবেল ছিল আখেরী রাসূল হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আগমন এবং উনার প্রশংসা মুবারকে পরিপূর্ণ। ঐতিহাসিকদের মতে ৩২৫ খৃষ্টাব্দ পর্যন্ত এন্টিওক এবং আলেকজান্দ্রিয়ার গীর্জা সমূহে বার্নাবাসের বাইবেল আইন সম্মত গ্রন্থ হিসাবে পরিচিত ছিলো। কিন্তু ৪৯৬ খৃষ্টাব্দে এটি নিষিদ্ধ করা হয়। কেন তারা এই বাইবেল নিষিদ্ধ করেছিলো? ১। পুরো গসপেল অফ বার্নাবাস জুড়ে আছে পবিত্র কুরআন শরীফের সাথে সামঞ্জস্যশীল উপদেশবাণী এবং আখেরী রাসূল হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয...

পবিত্র নসবনামা মুবারক

আখেরী নবী হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার পূর্বপুরুষ (অর্থাৎ হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনার থেকে শুরু করে আবু রসুলিল্লাহ সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার পর্যন্ত) সকলেই ছিলেন উনাদের যামানার নবী রসূল অথবা যামানার লক্ষ্যস্থল অলি আল্লাহ। যে বিষয়টি ওহী নাজিদের মাধ্যমে কেয়ামত পর্যন্ত আগত জগতবাসী সকলকে জানিয়ে দিয়েছেন স্বয়ং খালিক মালিক রব মহান আল্লাহ পাক।  কালামুল্লাহ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- وتقلبك فى السجدين অর্থ : “(হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনার স্থানান্তরিত হওয়ার বিষয়টিও ছিল সিজদাকারী উনাদের মাধ্যমে।” (পবিত্র সূরা শুয়ারা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ২১৯) পবিত্র আয়াত শরীফ উনার তাফসীরে আল্লামা হযরত ইমাম ইবনে হিববান রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন- لازال نوره صلى الله عليه وسلم ينقل من ساجد الى ساجد. অর্থ: “আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র নূর মুবারক সিজদাকারীগণের মাধ্যমে স্থানান্তরিত হয়েছিলেন।” (সীরাতুল হালাবিয়া- ১/৪৫) ان اباء النبى ص...

নবীজীর শানে যে নাত রচনা করেছিলেন চীনের মিং ডাইনেস্টির সম্রাট

চীনের মিং ডাইনেস্টির ( Ming Dynasty) প্রতিষ্ঠাতা ইম্পেরর ঝু ইউয়ানঝাং (Emperor Zhu Yuanzhang)  আখেরী নবী হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার শানে একটি কবিতা রচনা করেছিলেন। তাঁর সময়কাল ছিল: ১৩২৮-১৩৯৮ (প্রায় সাড়ে ৬ শত বছর আগে)।  নাত: "Since the creation of the universe God had already appointed his great faith-preaching man, From the West he was born, And received the holy scripture And book made of 30 parts (Juz) To guide all creations, Master of all rulers, Leader of the holy ones,  With support from the Heavens, To protect his nation, With five daily prayers,  Silently hoping for peace, His heart directed towards Allah,  Giving power to the poor, Saving them from calamity, Seeing through the Unseen,  Pulling the souls and the spirits away from all wrongdoings, Mercy to the world,  Transversing to the ancient, Majestic path vanquished away all evil, His religion Pure and True,  Muhammad, The Noble High One. যার  বাংলা অনুব...

প্রিয় নবীজি উনার পবিত্রতম শৈশব কাল একদিনের ঘটনা

উনার পবিত্রতম বয়স মুবারক তখন ২ (দুই) বছর। একবার উনার দুধবোন উনাকে নিয়ে প্রখর রৌদ্রের মধ্যে মাঠে যান। হযরত হালীমা সা’দিয়া আলাইহাস সালাম তিনি হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ঘর মুবারকে দেখতে না পেয়ে বেচৈন হয়ে বাইরে বের হন। মাঠে গিয়ে উনাদের উভয়কে দেখতে পান। হযরত হালীমা সা’দিয়া আলাইহাস সালাম তিনি আশ্চর্য হয়ে জিজ্ঞাসা করলেন : এ রৌদ্রের মধ্যে আপনারা বের হয়েছেন? হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দুধ বোন তিনি বললেন, মা! আমাদের এ সম্মানিত ভাই উনার পবিত্র জসিম মুবারকে রোদ লাগেনা, তিনি সেখানেই যান এক খন্ড মেঘ উনাকে ছায়া দিয়ে থাকে। সুবহানাল্লাহ! (ইবনে কাছীর) সেই সম্মানিত হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ মাস মোহে রবিউল আউয়াল শরীফ উনার সম্মানার্থে আয়োজিত ৯০দিন ব্যাপি মাহফিল চলমান।  মাহফিলে আসুন, খিদমতে শরীক হওন। #90daysmahfil Sm40.com