ঢাকা নর্থ সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)-এর নব নির্বাচিত মেয়র আনিসুল বলেছেন,
“কুরবানীর জন্য ৪৯৩টির মতো স্থানে রয়েছে। এতে ৩ থেকে ৪ লাখ পশু কুরবানী
সম্ভব, সেখানেই যেন সবাই পশু কুরবানী করেন। এতে পরিবেশ দূষণ যেমন কম হবে,
তেমনি ব্যবস্থাপনাও সহজ হবে।” (সূত্র: বাংলানিউজ২৪ডটকম, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৫
ঈসায়ী)
নতুন নির্বাচিত মেয়র আনিসুল সাহবের উক্ত বক্তব্যকে কেন্দ্র করে আমি ৯৮ ভাগ মুসলমানের পক্ষ থেকে নীতি নির্ধারকদেরকে কিছু বলতে চাই-
১) ৪ লক্ষ গরু প্রায় ৪৯৩ স্পটে জবাই করলে প্রতি স্পটে হয় ৮১১ গরু। এখানে প্রশ্ন হচ্ছে- ঢাকায় নির্ধারিত স্পটগুলো কি এত বড়, যেখানে একসাথে ৮১১টি গরু জবাই করা যাবে?
২) ঢাকা শহরে কুরবানী হয় প্রায় ৩০ লক্ষ কিন্তু নির্ধারিত স্পটগুলোর ক্যাপাসিটি বলা হচ্ছে ৩ থেকে ৪ লক্ষ এবং বলা হয়েছে নির্ধারিত স্পটে কুরবানী করতে বাধ্য করা হবে। তাহলে বাকি ২৫ লক্ষ পশু কোথায় কুরবানী হবে? নাকি আগামী বছরের জন্য রেখে দিতে হবে?
৩) ৪ লক্ষ পশুর চামড়া ছাড়াতে বা গোশত কাটতে কম করে হলেও ১০ লক্ষ কসাই দরকার। সরকারি ব্যবস্থাপনায় কি ১০ লক্ষ কসাই আছে?
৫) কসাইদের গোশত বানানোর জন্য আলাদা স্থান ও ব্যবস্থা প্রয়োজন, সেটার জন্য কি ব্যবস্থা আছে?
৬) কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর সেই গোশত বাসায় নিয়ে যাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত যানবাহনের প্রয়োজন, সুষ্ঠু ও নিরাপদে স্থানান্তরের জন্য সরকারি কোনো সহযোগিতা থাকবে কি?
৭) ‘নির্দ্দিষ্ট স্থানে কোরবানী দিলে কারো গরু বদল কিংবা গোশত পাওয়া নিয়ে বিশৃঙ্খলা হবে না’-এমন সরকার এমন কোনো নিশ্চয়তা দিবে কি?
৮) স্পটগুলোতে চামড়া নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডারদের মারামারি-গুলাগুলি করবে না -এমন নিশ্চয়তা কি দিতে পারবে?
৯) স্পটগুলোর বাইরে ভিক্ষুক বা গোশত টোকাইদের ভিড় হবে না, গোশত নিতে কাড়াকাড়ি করবে না, মারামারি-হুড়োহুড়ি লাগবে না কিংবা যাকাতের কাপড় আনতে গিয়ে পদদলিত হওয়ার মতো ঘটনা ঘটবে না -এমন নিশ্চয়তা সরকার দিতে পারবে কি?
১০) ৪৯৩টি স্পটে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কয়েক লক্ষ পুলিশ দরকার। স্পট থেকে কুরবানীদাতার বাড়ি পর্যন্ত নিরাপত্তা, ছিনতাই, লুট ইত্যাদি থেকে নিরাপত্তা দিতে প্রচুর পুলিশ দরকার; সেই পুলিশের ব্যবস্থা থাকবে কি?
১১) পুরো সিস্টেম মেইনটেইনের জন্য লক্ষ লক্ষ সেচ্ছাসেবক দরকার। সেগুলোর আয়োজন কি আছে?
নতুন নির্বাচিত মেয়র আনিসুল সাহবের উক্ত বক্তব্যকে কেন্দ্র করে আমি ৯৮ ভাগ মুসলমানের পক্ষ থেকে নীতি নির্ধারকদেরকে কিছু বলতে চাই-
১) ৪ লক্ষ গরু প্রায় ৪৯৩ স্পটে জবাই করলে প্রতি স্পটে হয় ৮১১ গরু। এখানে প্রশ্ন হচ্ছে- ঢাকায় নির্ধারিত স্পটগুলো কি এত বড়, যেখানে একসাথে ৮১১টি গরু জবাই করা যাবে?
২) ঢাকা শহরে কুরবানী হয় প্রায় ৩০ লক্ষ কিন্তু নির্ধারিত স্পটগুলোর ক্যাপাসিটি বলা হচ্ছে ৩ থেকে ৪ লক্ষ এবং বলা হয়েছে নির্ধারিত স্পটে কুরবানী করতে বাধ্য করা হবে। তাহলে বাকি ২৫ লক্ষ পশু কোথায় কুরবানী হবে? নাকি আগামী বছরের জন্য রেখে দিতে হবে?
৩) ৪ লক্ষ পশুর চামড়া ছাড়াতে বা গোশত কাটতে কম করে হলেও ১০ লক্ষ কসাই দরকার। সরকারি ব্যবস্থাপনায় কি ১০ লক্ষ কসাই আছে?
৫) কসাইদের গোশত বানানোর জন্য আলাদা স্থান ও ব্যবস্থা প্রয়োজন, সেটার জন্য কি ব্যবস্থা আছে?
৬) কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর সেই গোশত বাসায় নিয়ে যাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত যানবাহনের প্রয়োজন, সুষ্ঠু ও নিরাপদে স্থানান্তরের জন্য সরকারি কোনো সহযোগিতা থাকবে কি?
৭) ‘নির্দ্দিষ্ট স্থানে কোরবানী দিলে কারো গরু বদল কিংবা গোশত পাওয়া নিয়ে বিশৃঙ্খলা হবে না’-এমন সরকার এমন কোনো নিশ্চয়তা দিবে কি?
৮) স্পটগুলোতে চামড়া নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডারদের মারামারি-গুলাগুলি করবে না -এমন নিশ্চয়তা কি দিতে পারবে?
৯) স্পটগুলোর বাইরে ভিক্ষুক বা গোশত টোকাইদের ভিড় হবে না, গোশত নিতে কাড়াকাড়ি করবে না, মারামারি-হুড়োহুড়ি লাগবে না কিংবা যাকাতের কাপড় আনতে গিয়ে পদদলিত হওয়ার মতো ঘটনা ঘটবে না -এমন নিশ্চয়তা সরকার দিতে পারবে কি?
১০) ৪৯৩টি স্পটে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কয়েক লক্ষ পুলিশ দরকার। স্পট থেকে কুরবানীদাতার বাড়ি পর্যন্ত নিরাপত্তা, ছিনতাই, লুট ইত্যাদি থেকে নিরাপত্তা দিতে প্রচুর পুলিশ দরকার; সেই পুলিশের ব্যবস্থা থাকবে কি?
১১) পুরো সিস্টেম মেইনটেইনের জন্য লক্ষ লক্ষ সেচ্ছাসেবক দরকার। সেগুলোর আয়োজন কি আছে?
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন