সরকার চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেটে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ
এবং ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি’র উপর ৭.৫% হারে ভ্যাট
আরোপ করেছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড গত ৪ জুলাই (২০১৫ঈ.) এ বিষয়ে আদেশ জারি
করে। এরপর থেকেই চলছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের লাগাতার আন্দোলন। এব্যাপারে
সরকারও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভ্যাট আদায়ে অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে।
ভ্যাটম্যান খ্যাত অর্থমন্ত্রী সাফ বলে দিয়েছে, ‘যত আন্দোলনই হোক, বেসরকারি
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর আরোপিত ভ্যাট কমানো হবে না।’ (সূত্র: বিডিনিউজ
টোয়েন্টিফোর ডটকম, ১৪-০৮-২০১৫ঈসায়ী)
সরকারের প্রতিটি কার্যক্রম কিংবা আদেশের পেছনে একটি দীর্ঘমেয়াদি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকে। তাহলে প্রশ্ন উঠে যে, বেসরকারি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার উপর ভ্যাট কেন? এ প্রশ্নের জবাবে কিছু সম্ভাবনার কথা উঠে আসে। যেমন- এই প্রাথমিক স্টেপে ভ্যাট আদায়ে সরকার সফল হলে কিছু দিন পর বেসরকারি স্কুল-কলেজের টিউশন ফি’র উপর ভ্যাট বসানো হবে। তারপর মাদরাসা শিক্ষা তথা দ্বীন শিক্ষার উপর ভ্যাট বসানো হবে। এরপর থেকে জারি হয়ে যাবে সরকারি-বেসরকারি সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভ্যাট আদায়।
এর সম্ভাব্য পরিণতি যা হবে-
১) শিক্ষার ব্যয় বাড়বে।
২) গরিব শ্রেণী শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবে।
৩) সন্তানের শিক্ষার ব্যয় মেটানোর জন্য অভিভাবকরা অবৈধভাবে উপার্জনের দিকে ঝুঁকে যাবে।
৪) শিক্ষার্থীরা বহু খরচ করে পড়াশোনা শেষ করার পর কর্মজীবনে অধিক অর্থ কামাইয়ের ধান্ধায় অত্যধিক ব্যস্ত হয়ে পড়বে।
১) শিক্ষার ব্যয় বাড়বে।
২) গরিব শ্রেণী শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবে।
৩) সন্তানের শিক্ষার ব্যয় মেটানোর জন্য অভিভাবকরা অবৈধভাবে উপার্জনের দিকে ঝুঁকে যাবে।
৪) শিক্ষার্থীরা বহু খরচ করে পড়াশোনা শেষ করার পর কর্মজীবনে অধিক অর্থ কামাইয়ের ধান্ধায় অত্যধিক ব্যস্ত হয়ে পড়বে।
শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভ্যাট আদায়ে কঠোরতা দেখে মনে হচ্ছে- সরকারের উদ্দেশ্যই হচ্ছে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ডিমোরালাইজড ও মেরুদ-হীন করে গড়ে তোলা।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন