কিন্তু এই সৃজনশীল পদ্ধতিটা যে আদতে নাস্তিক্যবাদী পাঠ্যপুস্তকে ভালোভাবে মগজ ধোলাইর জন্য একটি সুগঠিত পূর্বপরিকল্পনা, সেটা ধরা পড়ে নতুন সিলেবাস প্রণয়ন হওয়ার পর।
নতুন পাঠ্যপুস্তকগুলোতে দেখা যায়- শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত হিন্দুয়ানী শব্দের ঝংকারে ভরপুর, সেই সাথে নাস্তিক্যবাদী মতবাদে দূষিত। উদাহরণস্বরূপ উল্লেখ করা যায়- ১ম শ্রেণীর ‘আমার বাংলা বই’তে হিন্দুত্ববাদী শিক্ষা দিতে গিয়ে অক্ষর পরিচয় করা হয়েছে এভাবে- ঋ-তে ঋষি, ও-তে ওঝা। এছাড়া হিন্দুদের পূজার ঢাক, হিন্দুদের রথ এসব শব্দমালা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
অষ্টম শ্রেণীতে আনন্দপাঠ (দ্রুত বাংলপঠন) বইতে অন্তর্ভক্ত করা হয়েছে রামায়ন (সংক্ষেপিত)। নাস্তিক্যবাদ শিক্ষা দিতে ৫ম শ্রেণীর পাঠ্যপুস্তকে ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিক হুমায়ূন আজাদের ‘বই’ কবিতাটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
সেখানে বলা হয়েছে-
“যে বই তোমায় দেখায় ভয়
সেগুলো কোনো বই-ই নয়
সে বই তুমি পড়বে না।
যে বই তোমায় অন্ধ করে
সে বই তুমি ধরবে না।”
অর্থাৎ পবিত্র কুরআন শরীফ যে পরকালের শাস্তির ভয় দেখায়, হারাম কাজ থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দেয়, এ বিষয়টি ইঙ্গিত করেই নাস্তিক হুমায়ূন আজাদ লিখেছে তার ইসলামবিদ্বেষী ‘বই’ কবিতাটি।
এখন সৃজনশীল পদ্ধতিতে ভালো রেজাল্ট করতে হলে এসব শিক্ষা খুব ভালো করে শিখতে হবে অর্থাৎ বুঝে বুঝে উপলব্ধি করতে হবে। নাউযুবিল্লাহ! যেটা ৯৮ ভাগ মুসলমানের ঘরে ৯৮ ভাগ ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিক বানানোর ভয়াবহ ষড়যন্ত্র।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন