রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে ৫ দিনব্যাপী উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত! ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর তৎপরতা নিয়ে প্রশ্ন
১৯৯১ সালের পর প্রায়শই ভারতীয় দূতাবাসের উদ্যোগে ভারতের ঐতিহ্যবাহী কথক
নাচের আয়োজন করা হতো। তখন বাংলাদেশে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর
দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছিলো মি. মহাপাত্র। কূটনীতিকের ছদ্মাবরণে সে ছিলো
ইন্টেলিজেন্স ক্যাডারের কর্মকর্তা। সেইসব নাচের আয়োজনে মি. মহাপাত্র’র
সুপ্রশিক্ষিত স্ত্রী থাকতো আসরের মধ্যমণি। এসব অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো
হতো দেশবরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব থেকে শুরু করে বিরোধী দল এমনিক
সরকারের বহু হোমরা-চোমরা মন্ত্রীদের। আপাত দৃষ্টিতে নাচ দেখার জন্য সেখানে
দাওয়াত কবুল করতে কোনো মন্ত্রী আপত্তির কিছু দেখতো না। সরল বিশ্বাসে
উপস্থিত হতো কথক নাচ দেখার জন্য।
অথচ এই নাচ দেখার ফাঁকে ফাঁকে বা আপ্যায়নের সময় মি. মহাপাত্রসহ বিভিন্ন ছদ্মাবরণে থাকা ‘র’ অপারেটিভরা মন্ত্রী, এমপিদের কাছ থেকে আলাপছলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যেমন বের করে নিতো; তেমনি ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসঙ্গেও ভারতের অনুকূলে আদায় করে নিতো অনেক সুবিধা। এভাবে অনেককাল অতিবাহিত হওয়ার পর বিষয়টা একসময় বাংলাদেশী গোয়েন্দা সংস্থাসমূহের নজরে আসে। একপর্যায়ে এ ধরনের অনুষ্ঠানে সরকারি দলের সদস্যদের যোগদান বন্ধ হয়ে যায়। তবে তাই বলে যে কথক নাচের আসরসহ বিভিন্নরূপ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আড়ালে র’ তার কার্যক্রম স্থগিত করে দিয়েছিলো তা কিন্তু নয়। বরং অসংখ্য নাট্যশিল্পী, সঙ্গীতশিল্পী, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, কলামিস্ট যারা জ্ঞাতসারে বা অবচেতনভাবে ‘র’-এর চক্রে জড়িয়ে গিয়েছিলো তাদের আনাগোনা এসব অনুষ্ঠানে মোটেও হ্রাস পায়নি। তথ্য আদান-প্রদান করণীয় সম্পর্কিত নির্দেশ লেনদেন রুটিন ওয়ার্ক চলেছে স্বাভাবিকভাবে। (তথ্যসূত্র: “গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক প্রধানদের কথা: বাংলাদেশে র”)
উপরোক্ত তথ্য-দলিলের আলোকে দেখা যাচ্ছে, ১৯৯১ সালের পর ভারতীয় দূতাবাসের উদ্যোগে ভারতীয় কথক নৃত্যের আয়োজন ছিলো মূলত ‘র’-এর সদস্য রিক্রুট করা এবং বিভিন্ন এজেন্ডা বাস্তবায়নের একটি উপলক্ষ মাত্র।
সময় পাল্টেছে, এখন সবকিছুই ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার অনুকূলে। এখন আরো বড় পরিসরে আর্মি স্টেডিয়ামে আয়োজন করা হয়েছে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের অনুষ্ঠান। ২০১৩ সালে হয়েছে ৪দিন, এবার বেড়ে হয়েছে ৫দিন। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে দিয়েছে খোদ বর্তমান সরকারের অর্থমন্ত্রী-সংস্কৃতিমন্ত্রী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলো ভারতীয় রাষ্ট্রদূত, আমেরিকান রাষ্ট্রদূত। অনুষ্ঠানের স্পন্সর পশ্চিমা নিয়ন্ত্রিত এনজিও ব্র্যাক, ধর্মান্তরিত স্কয়ার। প্রচারের দায়িত্ব বিতর্কিত প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, মাছরাঙা টিভির মতো চিহ্নিত বিদেশী মদদপুষ্ট মিডিয়া। আর অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিলো ভারত থেকে আসা একঝাঁক গায়ক-বাদক-নর্তকী।
অথচ এই নাচ দেখার ফাঁকে ফাঁকে বা আপ্যায়নের সময় মি. মহাপাত্রসহ বিভিন্ন ছদ্মাবরণে থাকা ‘র’ অপারেটিভরা মন্ত্রী, এমপিদের কাছ থেকে আলাপছলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যেমন বের করে নিতো; তেমনি ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসঙ্গেও ভারতের অনুকূলে আদায় করে নিতো অনেক সুবিধা। এভাবে অনেককাল অতিবাহিত হওয়ার পর বিষয়টা একসময় বাংলাদেশী গোয়েন্দা সংস্থাসমূহের নজরে আসে। একপর্যায়ে এ ধরনের অনুষ্ঠানে সরকারি দলের সদস্যদের যোগদান বন্ধ হয়ে যায়। তবে তাই বলে যে কথক নাচের আসরসহ বিভিন্নরূপ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আড়ালে র’ তার কার্যক্রম স্থগিত করে দিয়েছিলো তা কিন্তু নয়। বরং অসংখ্য নাট্যশিল্পী, সঙ্গীতশিল্পী, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, কলামিস্ট যারা জ্ঞাতসারে বা অবচেতনভাবে ‘র’-এর চক্রে জড়িয়ে গিয়েছিলো তাদের আনাগোনা এসব অনুষ্ঠানে মোটেও হ্রাস পায়নি। তথ্য আদান-প্রদান করণীয় সম্পর্কিত নির্দেশ লেনদেন রুটিন ওয়ার্ক চলেছে স্বাভাবিকভাবে। (তথ্যসূত্র: “গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক প্রধানদের কথা: বাংলাদেশে র”)
উপরোক্ত তথ্য-দলিলের আলোকে দেখা যাচ্ছে, ১৯৯১ সালের পর ভারতীয় দূতাবাসের উদ্যোগে ভারতীয় কথক নৃত্যের আয়োজন ছিলো মূলত ‘র’-এর সদস্য রিক্রুট করা এবং বিভিন্ন এজেন্ডা বাস্তবায়নের একটি উপলক্ষ মাত্র।
সময় পাল্টেছে, এখন সবকিছুই ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার অনুকূলে। এখন আরো বড় পরিসরে আর্মি স্টেডিয়ামে আয়োজন করা হয়েছে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের অনুষ্ঠান। ২০১৩ সালে হয়েছে ৪দিন, এবার বেড়ে হয়েছে ৫দিন। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে দিয়েছে খোদ বর্তমান সরকারের অর্থমন্ত্রী-সংস্কৃতিমন্ত্রী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলো ভারতীয় রাষ্ট্রদূত, আমেরিকান রাষ্ট্রদূত। অনুষ্ঠানের স্পন্সর পশ্চিমা নিয়ন্ত্রিত এনজিও ব্র্যাক, ধর্মান্তরিত স্কয়ার। প্রচারের দায়িত্ব বিতর্কিত প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, মাছরাঙা টিভির মতো চিহ্নিত বিদেশী মদদপুষ্ট মিডিয়া। আর অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিলো ভারত থেকে আসা একঝাঁক গায়ক-বাদক-নর্তকী।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন