বাংলাদেশে অরাজকতা সৃষ্টি করে লুটপাট করতেই যুক্তরাষ্ট্র ‘গণতন্ত্র শক্তিশালী’ করার নামে আন্দোলনের উস্কানি দিয়ে যাচ্ছে
গত ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ঈ. তারিখ সন্ত্রাসবাদী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ
পূর্ব-এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্র মন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়াল বাংলাদেশ
প্রধান দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপি’র চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার
সঙ্গে বৈঠক করে। বৈঠকে আলোচনার বিষয় প্রসঙ্গে গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে,
‘গণতন্ত্র শক্তিশালী করার আহ্বান নিশার।’ অর্থাৎ বাংলাদেশের আর্থসামাজিক
উন্নয়নে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী (!) করার পরামর্শ দিয়েছে নিশা দেশাই। এখানে
নিশা’র নির্দেশিত ‘গণতন্ত্র’ ও ‘শক্তিশালী’ দুটি বিষয়ই আলাদাভাবে কিছু
ইঙ্গিত প্রকাশ করে। তবে সেই ‘ইঙ্গিত’ বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের জনগণের
জন্য মোটেও সুখকর হবে না।
বিষয়টি সহজে উপলব্ধি করতে হলে দেখতে হবে খোদ যুক্তরাষ্ট্রে গণতন্ত্রের কী হাল হাক্বীক্বত? আমেরিকার গণতন্ত্রের সুরতহাল রিপোর্ট হচ্ছে, ‘যুক্তরাষ্ট্রে গণতন্ত্র নেই, আছে গোষ্ঠীতন্ত্র।’ (যুগান্তর, ২০ এপ্রিল, ২০১৪ঈ., মূল প্রতিবেদন: বিবিসি)। বিবিসি নিউজে শিরোনাম ছিলো, `Study: US is an oligarchy, not a democracy' (১৭ এপ্রিল, ২০১৪ঈ.)
অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রে তাদের কথিত গণতন্ত্রের অস্তিত্ব নেই; কিন্তু তারাই গণতন্ত্রের পাহারাদার সেজে দেশে দেশে নাক গলাচ্ছে। আসলে তারা গণতন্ত্রের নামে কী প্রতিষ্ঠা করতে চায়? প্রতিষ্ঠিত সত্য যে, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে যে দেশগুলো মাথা নুইয়েছে সে দেশগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র লুটেপুটে খেয়েছে। সে দেশগুলোর রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, প্রশাসনিক সমস্ত নিয়ন্ত্রণ সাম্রাজ্যবাদী যুক্তরাষ্ট্রের হাতে। কিন্তু যে দেশগুলোকে যুক্তরাষ্ট্র বাগে আনতে পারেনি বা সুবিধা আদায় করতে পারছে না, সেই দেশগুলোতে তারা একটা বিরোধী বা বিদ্রোহী দল সৃষ্টি করে অথবা কোনো ক্ষমতাশীন ব্যক্তি বা দলকে নানা কৌশলে নিয়ন্ত্রণে নেয়। অতপর তাদেরকে দিয়ে একটা অরাজকতা, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে লুটপাট করার নীলনকশা বাস্তবায়নের কার্যক্রম চালায়। যেমন তারা অনেক দেশে বিদ্রোহ সৃষ্টি করে কিংবা গৃহযুদ্ধ লাগিয়ে দিয়ে অস্ত্র বিক্রি করেছে, নিজেদের পছন্দমত দল বা ব্যক্তিকে ক্ষমতায় বসিয়েছে, বহু দাবি আদায় করে নিয়েছে ইত্যাদি নীলনকশা বাস্তবায়ন করেছে।
বাংলাদেশেও নির্বাচনের সময় এবং নির্বাচন পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ ছফরে এসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, সংগঠনের নেতা, ধর্মীয় দলের নেতা, সুশীল সমাজ খ্যাত ইত্যাদি ব্যক্তিদের সাথে বৈঠক করে। আসলে তাদের মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে, যেহেতু ক্ষমতাশীন সরকারের দ্বারা তারা ফায়দা লুটতে পারছে না, তাই বিরোধীদলকে অথবা তাঁবেদার কোন দলকে ক্ষমতা দেয়ার লোভ দেখিয়ে আন্দোলনে উস্কে দিয়ে অরাজকতা বা কোন্দল বাধিয়ে দিয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করা।
বিষয়টি সহজে উপলব্ধি করতে হলে দেখতে হবে খোদ যুক্তরাষ্ট্রে গণতন্ত্রের কী হাল হাক্বীক্বত? আমেরিকার গণতন্ত্রের সুরতহাল রিপোর্ট হচ্ছে, ‘যুক্তরাষ্ট্রে গণতন্ত্র নেই, আছে গোষ্ঠীতন্ত্র।’ (যুগান্তর, ২০ এপ্রিল, ২০১৪ঈ., মূল প্রতিবেদন: বিবিসি)। বিবিসি নিউজে শিরোনাম ছিলো, `Study: US is an oligarchy, not a democracy' (১৭ এপ্রিল, ২০১৪ঈ.)
অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রে তাদের কথিত গণতন্ত্রের অস্তিত্ব নেই; কিন্তু তারাই গণতন্ত্রের পাহারাদার সেজে দেশে দেশে নাক গলাচ্ছে। আসলে তারা গণতন্ত্রের নামে কী প্রতিষ্ঠা করতে চায়? প্রতিষ্ঠিত সত্য যে, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে যে দেশগুলো মাথা নুইয়েছে সে দেশগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র লুটেপুটে খেয়েছে। সে দেশগুলোর রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, প্রশাসনিক সমস্ত নিয়ন্ত্রণ সাম্রাজ্যবাদী যুক্তরাষ্ট্রের হাতে। কিন্তু যে দেশগুলোকে যুক্তরাষ্ট্র বাগে আনতে পারেনি বা সুবিধা আদায় করতে পারছে না, সেই দেশগুলোতে তারা একটা বিরোধী বা বিদ্রোহী দল সৃষ্টি করে অথবা কোনো ক্ষমতাশীন ব্যক্তি বা দলকে নানা কৌশলে নিয়ন্ত্রণে নেয়। অতপর তাদেরকে দিয়ে একটা অরাজকতা, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে লুটপাট করার নীলনকশা বাস্তবায়নের কার্যক্রম চালায়। যেমন তারা অনেক দেশে বিদ্রোহ সৃষ্টি করে কিংবা গৃহযুদ্ধ লাগিয়ে দিয়ে অস্ত্র বিক্রি করেছে, নিজেদের পছন্দমত দল বা ব্যক্তিকে ক্ষমতায় বসিয়েছে, বহু দাবি আদায় করে নিয়েছে ইত্যাদি নীলনকশা বাস্তবায়ন করেছে।
বাংলাদেশেও নির্বাচনের সময় এবং নির্বাচন পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ ছফরে এসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, সংগঠনের নেতা, ধর্মীয় দলের নেতা, সুশীল সমাজ খ্যাত ইত্যাদি ব্যক্তিদের সাথে বৈঠক করে। আসলে তাদের মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে, যেহেতু ক্ষমতাশীন সরকারের দ্বারা তারা ফায়দা লুটতে পারছে না, তাই বিরোধীদলকে অথবা তাঁবেদার কোন দলকে ক্ষমতা দেয়ার লোভ দেখিয়ে আন্দোলনে উস্কে দিয়ে অরাজকতা বা কোন্দল বাধিয়ে দিয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করা।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন