যে সাম্রাজ্যবাদী যুক্তরাষ্ট্রে গণতন্ত্র নামক দুষ্ট যন্ত্রটির উদ্ভাবন
হয়েছে এবং আজ অবধি যারা নিজেদের গণতন্ত্রের পাহারাদার বলে প্রচার করে, খোদ
সেই দেশেই গণতন্ত্র নেই। অনেক দেরিতে হলেও এই চরম বাস্তবতাটি প্রকাশিত
হয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি’র এক রিপোর্টে। প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির
অধ্যাপক মার্টিন গিলেনস ও নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক বেঞ্জামিন
আই পেইজ-এর গবেষণায় এটি বের হয়ে আসে।
তারা বিশ্লেষণ করে দেখিয়েছে যে, সরকারের নীতি নির্ধারণে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী অংশটি কিভাবে প্রভাব রাখছে বা সংঘবদ্ধ বিভিন্ন গোষ্ঠী তাদের ব্যবসায়িক স্বার্থরক্ষায় সরকারকে প্রভাবিত করছে। অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্র ধনী ও ক্ষমতাবানদের দ্বারা পরিচালিত হয়। আর সাধারণ জনগণ সর্বক্ষেত্রে উপেক্ষিত। সেখানে ধনী-গরিবে, নারী-পুরুষে, ধর্মে, বর্ণে, চাকরী-ব্যবসায়, বিচারব্যবস্থায় ইত্যাদি সর্বস্তরের মানুষ চরম বৈষম্যের শিকার হয়, নিপীড়নের শিকার হয়, অধিকার বঞ্চিত হয়, অবিচার-যুলুমের শিকার হয়। যেমন- মিসৌরী স্টেটের ফার্গুসনে কৃষ্ণাঙ্গ হত্যা ও তার রায়কে কেন্দ্র করে এখনো দাঙ্গা চলছে। একটা লোকের রং কালো দেখে তার উপর এত নির্যাতন! এটা কেমন গণতন্ত্র? কোথায় তাদের গণতন্ত্র? কোথায় মানবাধিকার? কোথায় তাদের নারী অধিকার? কোথায় তাদের শ্রমিক অধিকার?
মূলত, যুক্তরাষ্ট্র তাদের কথিত গণতন্ত্র কখনোই নিজ দেশে প্রতিফলিত করেনি। যেমন- ধনী গরিবের বৈষম্য যুক্তরাষ্ট্রের আজন্ম লালিত সমস্যা। ধনী শ্রেণী দিনে দিনে আরো ধনী হয়েছে কিন্তু গরিব ও শ্রমিক শ্রেণীর অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। মার্কিন কংগ্রেসের ৬০ শতাংশ সদস্য ধনিক-বণিকদের থেকে প্রাপ্ত ঘুষের টাকায় এক একজন কোটিপতি হয়েছিলো।
এছাড়াও ২০১১ ঈসায়ী সালে যুক্তরাষ্ট্রে বৈষম্যের শিকার ও বিপুলসংখ্যক বেকার শ্রেণীসহ অধিকার বঞ্চিতরা সম্মিলিতভাবে গণ আন্দোলনে রাজপথে নামে, যার নাম হয় ‘ওকুপাই ওয়ালস্ট্রীট মুভমেন্ট।’ এই ওকুপাই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বের অনেকগুলো কথিত গণতন্ত্রের দেশে।
এই যুক্তরাষ্ট্র কী করে বাংলাদেশের গণতন্ত্র নিয়ে, এদেশের মানবাধিকার নিয়ে, নারী অধিকার-শ্রমিক অধিকার নিয়ে, পোশাক শিল্পের পরিবেশ নিয়ে কথা বলে? কী করে তারা গণতন্ত্র শক্তিশালী করতে তাগিদ দিতে পারে?
তাদেরকে বলা উচিত, আগে নিজের দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করো, তারপর এদেশে এসো মাতবরি করতে? তোমাদের জিএসপি-টিএসপি আমাদের দরকার নাই। আমাদের দেশেও তোমাদের সহযোগিতার নামে আসার কোনো দরকার নাই। আমরা সব দিক থেকে স্বয়ংসম্পূর্ণ ও স্বনির্ভর।
তারা বিশ্লেষণ করে দেখিয়েছে যে, সরকারের নীতি নির্ধারণে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী অংশটি কিভাবে প্রভাব রাখছে বা সংঘবদ্ধ বিভিন্ন গোষ্ঠী তাদের ব্যবসায়িক স্বার্থরক্ষায় সরকারকে প্রভাবিত করছে। অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্র ধনী ও ক্ষমতাবানদের দ্বারা পরিচালিত হয়। আর সাধারণ জনগণ সর্বক্ষেত্রে উপেক্ষিত। সেখানে ধনী-গরিবে, নারী-পুরুষে, ধর্মে, বর্ণে, চাকরী-ব্যবসায়, বিচারব্যবস্থায় ইত্যাদি সর্বস্তরের মানুষ চরম বৈষম্যের শিকার হয়, নিপীড়নের শিকার হয়, অধিকার বঞ্চিত হয়, অবিচার-যুলুমের শিকার হয়। যেমন- মিসৌরী স্টেটের ফার্গুসনে কৃষ্ণাঙ্গ হত্যা ও তার রায়কে কেন্দ্র করে এখনো দাঙ্গা চলছে। একটা লোকের রং কালো দেখে তার উপর এত নির্যাতন! এটা কেমন গণতন্ত্র? কোথায় তাদের গণতন্ত্র? কোথায় মানবাধিকার? কোথায় তাদের নারী অধিকার? কোথায় তাদের শ্রমিক অধিকার?
মূলত, যুক্তরাষ্ট্র তাদের কথিত গণতন্ত্র কখনোই নিজ দেশে প্রতিফলিত করেনি। যেমন- ধনী গরিবের বৈষম্য যুক্তরাষ্ট্রের আজন্ম লালিত সমস্যা। ধনী শ্রেণী দিনে দিনে আরো ধনী হয়েছে কিন্তু গরিব ও শ্রমিক শ্রেণীর অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। মার্কিন কংগ্রেসের ৬০ শতাংশ সদস্য ধনিক-বণিকদের থেকে প্রাপ্ত ঘুষের টাকায় এক একজন কোটিপতি হয়েছিলো।
এছাড়াও ২০১১ ঈসায়ী সালে যুক্তরাষ্ট্রে বৈষম্যের শিকার ও বিপুলসংখ্যক বেকার শ্রেণীসহ অধিকার বঞ্চিতরা সম্মিলিতভাবে গণ আন্দোলনে রাজপথে নামে, যার নাম হয় ‘ওকুপাই ওয়ালস্ট্রীট মুভমেন্ট।’ এই ওকুপাই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বের অনেকগুলো কথিত গণতন্ত্রের দেশে।
এই যুক্তরাষ্ট্র কী করে বাংলাদেশের গণতন্ত্র নিয়ে, এদেশের মানবাধিকার নিয়ে, নারী অধিকার-শ্রমিক অধিকার নিয়ে, পোশাক শিল্পের পরিবেশ নিয়ে কথা বলে? কী করে তারা গণতন্ত্র শক্তিশালী করতে তাগিদ দিতে পারে?
তাদেরকে বলা উচিত, আগে নিজের দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করো, তারপর এদেশে এসো মাতবরি করতে? তোমাদের জিএসপি-টিএসপি আমাদের দরকার নাই। আমাদের দেশেও তোমাদের সহযোগিতার নামে আসার কোনো দরকার নাই। আমরা সব দিক থেকে স্বয়ংসম্পূর্ণ ও স্বনির্ভর।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন