চির জাহান্নামী হিন্দু মালউন, নাস্তিকসহ অনেকেই অজ্ঞতার দরুন হযরত তিতুমীর
রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে ‘ওহাবী’ বলে থাকে, উনার বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করে;
যদিও তাদের বিরোধিতায় অবাক হওয়ার কিছু নেই। কারণ একজন হক্বানী ওলীআল্লাহ
উনার দ্বারা শয়তান পূজারিদের (মুশরিক), কাফিরদের চক্রান্ত ধ্বংস হয়, হযরত
তিতুমীর রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনিও কাফির-মুশরিকদের চক্রান্ত ধ্বংস করে
দিয়ে, কাফিরদের নিস্তানাবুদ করে দিয়েছিলেন। আর সে কারণেই সকল হিন্দু
মুশরিক, নাস্তিক, কাফিররা উনার বিরোধিতা করে। মুসলমানদের বিভ্রান্ত করতে
উনাকে ‘ওহাবী’ (ওহাবী মতবাদের অনুসারী) বলে মিথ্যা তোহমত দেয়।
নাউযুবিল্লাহ! ইতিহাস বিকৃত করা কাফির-মুশরিকদের চিরাচরিত বদস্বভাব। যেমন-
কুখ্যাত ইতিহাস বিকৃতকারী ইসলামবিদ্বেষী ব্রিটিশ লেখক উইলিয়াম হান্টার তার
‘দ্যা ইন্ডিয়ান মুসলমান্স’ বইয়ে হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলভী
রহমতুল্লাহি আলাইহি এবং উনার মুরীদ (অনুসারীদের) ওহাবী বলে তোহমত দিয়েছে।
উনাকে নিয়ে অপপ্রচারকারী, মিথ্যা তোহমতকারীদের দাঁতভাঙ্গা কিছু জবাব এখানে দেয়া হলো-
(১) প্রথমত বলতে হয়, ওহাবী মতবাদের জনক হচ্ছে ইবনে ওহাব নজদী। মুসলিম জাতির মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করতে একে তৈরি করেছিলো ব্রিটিশ গুপ্তচর হ্যামপার। হ্যামপার তার ডায়রীতে দঈড়হভবংংরড়হং ড়ভ ধ ইৎরঃরংয ঝঢ়ু ধহফ ইৎরঃরংয ঊহসরঃু অমধরহংঃ ওংষধস’ একটি স্বীকারোক্তিমূলক রচনায় পুরোপুরিভাবে বর্ণনা করেছে- কিভাবে সে ওহাবী মতবাদের জনক ইবণে ওহাব নজদী নামক লোকটিকে সৃষ্টি করলো, আর কিভাবে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে ওহাবী মতবাদ নামে নতুন একটি ফেরক্বার জন্ম দিলো। অর্থাৎ ওহাবী মতবাদের জন্মদাতা ব্রিটিশরা, এটা এখানেই পরিষ্কর।
২) ব্রিটিশরা সবসময়ই তাদের প্রবর্তিত ওহাবী মতবাদের অনুসারীদের প্রতিষ্ঠিত করতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে। এমনকি ১৯২৫ সালে সউদী ওহাবীরা যে জাজিরাতুল আরবের ক্ষমতায় বসেছে সেটাও পুরোপুরি ব্রিটিশদের সহযোগিতায়। এর পেছনেও কাজ করেছে আরেক ব্রিটিশ গোয়েন্দা টি ই লরেন্স। বেশিদিন আগের না হওয়ায় বহু কিতাবে এর দলিল আছে। বিশেষ করে খধৎিবহপব ড়ভ অৎধনরধ বইতে এ বিষয়ে বিস্তর বর্ণনা আছে।
৩) এবার দেখুন, হযরত তিতুমীর রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বাঁশেরকেল্লায় ব্রিটিশ বিরোধী জিহাদে শহীদ হয়েছেন। তিনি যদি ওহাবী-ই হতেন তবে তিনি ব্রিটিশ বিরোধী জিহাদ করবেনইবা কেন, আর শহীদ-ই হবেন কেন? উনাকে তো ব্রিটিশদের মাথায় তুলে রাখার কথা।
প্রকৃতপক্ষে হযরত তিতুমীর রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ছিলেন একজন সূফি, ওলীআল্লাহ। উনার সম্মানিত পীর সাহেব হচ্ছেন তের হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলভী রহমতুল্লাহি। আবার হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সম্মানিত পীর সাহেব ছিলেন হযরত মাওলানা শাহ্ আব্দুল আজীজ মুহাদ্দীস দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি। অর্থাৎ উনার পূর্বে ও পরে সকলেই ছিলেন ইলমে তাছাউফ ও মা’রিফত জগতের তারকা। উনাদের মধ্যে হযরত তিতুমীর রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনিও ছিলেন একজন। কিন্তু ব্রিটিশ সৃষ্ট ওহাবীরা কখনই ওলীআল্লাহ, পীর-সাহেব বা তরীকতে বিশ্বাসী নয়।
সুতরাং উপরোক্ত সংক্ষিপ্ত আলোচনায় স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় যে, হযরত তিতুমীর রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদের অনুসারী ছিলেন না। যারা উনাকে ওহাবী বলে প্রচার করে তাদের হাক্বীকী পরিচয় হচ্ছে- তারা হিন্দু, নাস্তিক, কাফির কিংবা বাহাত্তুর বাতিল ফিরক্বার অন্তর্ভুক্ত।
উনাকে নিয়ে অপপ্রচারকারী, মিথ্যা তোহমতকারীদের দাঁতভাঙ্গা কিছু জবাব এখানে দেয়া হলো-
(১) প্রথমত বলতে হয়, ওহাবী মতবাদের জনক হচ্ছে ইবনে ওহাব নজদী। মুসলিম জাতির মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করতে একে তৈরি করেছিলো ব্রিটিশ গুপ্তচর হ্যামপার। হ্যামপার তার ডায়রীতে দঈড়হভবংংরড়হং ড়ভ ধ ইৎরঃরংয ঝঢ়ু ধহফ ইৎরঃরংয ঊহসরঃু অমধরহংঃ ওংষধস’ একটি স্বীকারোক্তিমূলক রচনায় পুরোপুরিভাবে বর্ণনা করেছে- কিভাবে সে ওহাবী মতবাদের জনক ইবণে ওহাব নজদী নামক লোকটিকে সৃষ্টি করলো, আর কিভাবে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে ওহাবী মতবাদ নামে নতুন একটি ফেরক্বার জন্ম দিলো। অর্থাৎ ওহাবী মতবাদের জন্মদাতা ব্রিটিশরা, এটা এখানেই পরিষ্কর।
২) ব্রিটিশরা সবসময়ই তাদের প্রবর্তিত ওহাবী মতবাদের অনুসারীদের প্রতিষ্ঠিত করতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে। এমনকি ১৯২৫ সালে সউদী ওহাবীরা যে জাজিরাতুল আরবের ক্ষমতায় বসেছে সেটাও পুরোপুরি ব্রিটিশদের সহযোগিতায়। এর পেছনেও কাজ করেছে আরেক ব্রিটিশ গোয়েন্দা টি ই লরেন্স। বেশিদিন আগের না হওয়ায় বহু কিতাবে এর দলিল আছে। বিশেষ করে খধৎিবহপব ড়ভ অৎধনরধ বইতে এ বিষয়ে বিস্তর বর্ণনা আছে।
৩) এবার দেখুন, হযরত তিতুমীর রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বাঁশেরকেল্লায় ব্রিটিশ বিরোধী জিহাদে শহীদ হয়েছেন। তিনি যদি ওহাবী-ই হতেন তবে তিনি ব্রিটিশ বিরোধী জিহাদ করবেনইবা কেন, আর শহীদ-ই হবেন কেন? উনাকে তো ব্রিটিশদের মাথায় তুলে রাখার কথা।
প্রকৃতপক্ষে হযরত তিতুমীর রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ছিলেন একজন সূফি, ওলীআল্লাহ। উনার সম্মানিত পীর সাহেব হচ্ছেন তের হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলভী রহমতুল্লাহি। আবার হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সম্মানিত পীর সাহেব ছিলেন হযরত মাওলানা শাহ্ আব্দুল আজীজ মুহাদ্দীস দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি। অর্থাৎ উনার পূর্বে ও পরে সকলেই ছিলেন ইলমে তাছাউফ ও মা’রিফত জগতের তারকা। উনাদের মধ্যে হযরত তিতুমীর রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনিও ছিলেন একজন। কিন্তু ব্রিটিশ সৃষ্ট ওহাবীরা কখনই ওলীআল্লাহ, পীর-সাহেব বা তরীকতে বিশ্বাসী নয়।
সুতরাং উপরোক্ত সংক্ষিপ্ত আলোচনায় স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় যে, হযরত তিতুমীর রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদের অনুসারী ছিলেন না। যারা উনাকে ওহাবী বলে প্রচার করে তাদের হাক্বীকী পরিচয় হচ্ছে- তারা হিন্দু, নাস্তিক, কাফির কিংবা বাহাত্তুর বাতিল ফিরক্বার অন্তর্ভুক্ত।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন