সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

পবিত্র সুন্নত কি এবং কেন?

পবিত্র সুন্নত অর্থ ও পরিচয়ঃ السنة (সুন্নত) শব্দটি আরবী, একবচন। বহুবচনে السنن (সুনান)। আভিধানিক অর্থ হল, الطريقة والسيرة অর্থাৎ পথ, পন্থা, পদ্ধতি, রীতি, নিয়ম ইত্যাদি; (লিসানুল আরব১৩/২২৪-২২৫) মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে উক্ত অর্থে সুন্নত শব্দটি ব্যবহার করেছেন। তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,  يُرِيْدُ اللهُ لِيُبَيِّنَ لَكُمْ وَيَهْدِيَكُمْ سُنَنَ الَّذِيْنَ مِنْ قَبْلِكُمْ وَيَتُوْبَ عَلَيْكُمْ وَاللهُ عَلِيْمٌ حَكِيْمٌ তথা মহান আল্লাহ পাক তিনি ইচ্ছা করেন তোমাদের নিকট বিশদভাবে বিবৃত করতে, তোমাদের পূর্ববর্তীদের রীতি-নীতি এবং তোমাদেরকে ক্ষমা করতে। মহান আল্লাহ পাক সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়’ (পবিত্র সূরা নিসা শরীফ, পবিত্র আয়াত শরীফ ২৬) মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন- سُنَّةَ اللهِ فِيْ الَّذِيْنَ خَلَوْا مِنْ قَبْلُ وَلَنْ تَجِدَ لِسُنَّةِ اللهِ تَبْدِيْلاً অর্থ: মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজের বিধান বা নিয়ম জারী রেখেছেন ঐ সকল লোকদের মধ্যেও যারা পূর্বে অতীত হয়ে গেছে। আপনি কখনো মহান আল্লাহ পাক উনার নিয়ম বা বিধানে কোন পরিবর্তন পাবেন না’ (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ; পবিত্র আয়াত শ...

আন্তর্জাতিক সুন্নত প্রচার কেন্দ্র কি ও কেন?

প্রশ্ন: আন্তর্জাতিক সুন্নত প্রচার কেন্দ্র কি? উত্তর: আমাদের প্রাণাধিক প্রিয় নবী ও রসুল সাইয়্যিদুল মুরসালিন, ইমামুল মুরসালিন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ব্যবহৃত সুন্নতী সামগ্রী (খাদ্য, বস্ত্র, ব্যবহৃত সামগ্রী ইত্যাদি) বিক্রয় ও প্রচার কেন্দ্র। প্রশ্ন: আন্তর্জাতিক সুন্নত প্রচার কেন্দ্রের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কি? উত্তর: মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক পালন করা প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর জন্য ফরয এবং নাযাতের কারণ। তাই বিশ্বের প্রতিটি মুসলমান উনাদের ঘরে ঘরে পবিত্র সুন্নতী সামগ্রী পৌঁছে দেয়ার উদ্দেশ্যেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ‘আন্তর্জাতিক সুন্নত প্রচার কেন্দ্র’। প্রশ্ন: আন্তর্জাতিক সুন্নত প্রচার কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও পৃষ্ঠপোষক কে? উত্তর: বর্তমান পনের হিজরী শতকের যিনি মহান মুজাদ্দিদ খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, মুহ্ইউস সুন্নাহ্, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, আওলাদু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা, রাজারবাগ শরীফ উনার সম্মানিত মুর্শিদ ক্বিবলাহ্‌ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম আ‌ল হাসানী ওয়াল হুসাইনী ওয়াল কুরাইশী- মুর্শিদ ক্বি...

অতিসত্ত্বর দেবোত্তর সম্পত্তি আইন বাতিল করা হউক! দুই শতাংশ জনগোষ্ঠীর জন্য কি ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী নিজভূমে পরবাসী হবে? দেবোত্তর সম্পত্তির নামে জমি ছিনিয়ে নেয়া কি জনগণ বরদাশত করবে?

সিলেটের তারাপুর চা বাগান, রাগীব রাবেয়া মেডিকলে কলেজ, মসজিদ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ প্রায় ৩০০০ পরিবারকে উচ্ছেদ করার পক্ষে রায় দিয়েছে উচ্চ আদালত। প্রশাসন নোটিশ দিয়ে এলাকাবাসীকে বলেছে- এলাকা ছেড়ে দ্রুত চলে যেতে হবে, অন্যথায় কয়েকদিনের মধ্যে গ্যাস পানি বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়া হবে। সেখানে প্রায় ৪৪৪ একর বা ১৩৩২ বিঘা জমি হিন্দুদের দিয়ে দেয়া হবে। সেখানে হিন্দুরা দেবতার মূর্তি স্থাপন করবে। এটা নাকি হিন্দুদের কথিত দেবোত্তর সম্পত্তি। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের মুসলমানদের ‘চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত’র ইতিহাস ভুলে গেলে চলবেনা। এই বাংলার প্রায় সব জমির মালিক এক সময় মুসলমানরাই ছিলো। কিন্তু ১৭৯৩ সালে ব্রিটিশ কর্নওয়ালিশ ‘চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত’ আইন পাশ করে মুসলমানদের থেকে জমি কেড়ে নিয়ে হিন্দুুদের দিয়ে দেয়। ফলে এক সময়কার সম্ভ্রান্ত মুসলমানরা পথে বসে যায় এবং কর্মচারি হিন্দুরা জমিদার বনে যায়। ফলে হঠাৎ দরিদ্র হওয়া মুসলমান তাদের কর্মচারি হিন্দুদের অধিনে চাকুরী করতে বাধ্য হয়। বর্তমানে বাংলাদেশেও কিন্তু একই ধরনের চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত আইন পাশ হয়েছে। ‘অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পন আইন’ ও ‘দেবোত্তর সম্পত্তি আইন’ হচ্ছে চিরস্থায়ী বন্...

শুধু পিস টিভি-পিস স্কুল বন্ধ নয়, বরং সন্ত্রাসবাদ চেতনা বিস্তারকারী ওহাবী-ছালাফীদের সিলেবাস ও প্রকাশনা, ওয়েবসাইটসমূহও নিষিদ্ধ করতে হবে

মুসলিম তরুণ প্রজন্মকে বিভ্রান্তকারী বিতর্কিত ইসলামী বক্তা জাকির নায়েকের পিস টিভি, পিস স্কুল বন্ধ করার জন্য সচেতন মহল বহুদিন ধরেই দাবি জানিয়ে আসছিলো। দেরিতে হলেও সরকার এটি কার্যকর করেছে বলে সরকারকে মুবারকবাদ জানাই। তবে পিস টিভি, পিস স্কুলের কার্যক্রম বন্ধতেই সব সমস্যার সমাধান নয়। কারণ পিস টিভির মাধ্যমে জাকির নায়েক বা তার অনুসারিদের প্রোগ্রাম বা ব্রেইন ওয়াশ কার্যক্রম বন্ধ হলেও এদেশে পিস পাবলিকেশনের মতো ওহাবী-সালাফী, জামাত-শিবিরের ভ্রান্ত মতাদর্শ প্রচারকারী বহু প্রকাশনা, আত তাহরিকের মতো অনেক মাসিক পত্রিকা, বহু ওয়েবসাইট, বহু মাল্টিমিডিয়া পাবলিকেশন্স বাজারে সয়লাব রয়েছে। এসব পাবলিকেশন্স-এর বই কিংবা সিডি, ভিডিও, ইন্টারনেটে ওয়েবসাইট, ফেসবুক পেইজ ইত্যাদি প্রচারণা তরুণ প্রজন্মকে সন্ত্রাসবাদের দিকে উস্কে দিচ্ছে। সূতরাং ভ্রান্ত মতবাদ প্রচারকারী ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠান নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি এসব প্রচার মাধ্যমগুলোও কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে।

কাফির-মুশরিকদের সাথে বন্ধুত্ব নীতি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত; বিষাক্ত সাপের সাথে বন্ধুত্ব করা আত্মহত্যারই শামিল

মানুষ ভুলের ঊর্ধ্বে নয়। কিন্তু মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র কালাম অর্থাৎ পবিত্র কুরআন শরীফ কিয়ামত পর্যন্ত সত্য এবং কিয়ামত পর্যন্ত কেউ ভুল কিংবা মিথ্যা প্রমাণ করতে পারবে না। যার সত্যতা মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই জানিয়ে দিয়ে ইরশাদ মুবারক করেছেন- “এটি এমন একটি কিতাব, যাতে কোনো প্রকার সন্দেহ নেই।” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ) সেই পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “হে ঈমানদারগণ! তোমরা মু’মিন ব্যতীত অন্য কাউকে অন্তরঙ্গ বন্ধু বা উপদেষ্টা হিসেবে গ্রহণ করো না, তারা (হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, ইহুদী) তোমাদের অকল্যাণ সাধনে কোনো ক্রটি করে না- তোমরা কষ্টে থাক, তাতেই তাদের আনন্দ। শত্রুতাপ্রসূত বিদ্বেষ তাদের মুখেই ফুটে বেরোয়। আর যা কিছু তাদের মনে লুকিয়ে রয়েছে, তা আরো অনেকগুণ বেশি জঘন্য। দেখ! তোমরাই তাদের (অমুসলিমদের) ভালোবাসো, কিন্তু তারা তোমাদের প্রতি মোটেও সদভাব পোষণ করে না।” (পবিত্র সূরা আল ইমরান শরীফ, পবিত্র আয়াত শরীফ ১১৮-১১৯) তারপরেও কোনো মুসলমান কিংবা শাসকগোষ্ঠী যদি অমুসলিমদের সাথে সম্প্রীতির নামে বন্ধুত্ব করতে চায় কিংবা সহযোগিতার নামে পরস্পর চুক্তিতে আ...

পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উদযাপনে মুসলিম উম্মাহর প্রতি খোলা চিঠি

বড় করে দেখতে ক্লিক করুন আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ মুহতারাম, আপনি নিশ্চয়ই অবহিত আছেন যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক বিলাদত শরীফ অর্থাৎ দুনিয়াতে আগমন উনার দিবস হচ্ছে সম্মানিত ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ, যা সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ  শরীফ বা সর্বশ্রেষ্ঠ ঈদের দিন। এ প্রসঙ্গে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- “হে মানবজাতি! মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে এসেছেন তোমাদের প্রতি সুমহান নছীহতকারী, অন্তরের সকল ব্যাধিসমূহ শিফাদানকারী, কুল-কায়িনাতের মহান হিদায়েত দানকারী এবং ঈমানদারদের জন্য মহান রহমতস্বরূপ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি বলে দিন, মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত ফযল-করম মুবারক ও সম্মানিত রহমত মুবারক হিসেবে আপনাকে যে লাভ করতে পেরেছে সেজন্যে তারা যেন খুশি প্রকাশ করে তথা ঈদ উদযাপন করে। এই খুশি প্রকাশ করাটা তাদের সঞ্চিত সমস্ত নেক আমল থেকে উত্তম।”  [পবিত্র সূরা ইউনূছ শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৭-৫৮] উপরোক...

বাংলাদেশে জিএমও ফুড (GMO Food) নিষিদ্ধ করতে হবে

বর্তমান বিশ্বের প্রায় সব দেশই বিষাক্ত বিকৃত জিন বা জিএম (জেনেটিক্যাল মডিফাইড) শস্য কঠোরভাবে নিষেধাজ্ঞা করছে। ইউরোপের ২৬টি দেশের মধ্যে ১৯টি দেশে জিএম শস্য চাষ নিষিদ্ধ। ফিলিপাইনে গোল্ডেন রাইস ব্যান্ড করার জন্য সাধারণ জনগণ আন্দোলন পর্যন্ত করেছে। ভারতে প্রবল বিতর্ক এবং জনরোষের মুখে দেশটির পরিবেশ মন্ত্রী জয়রাম রমেশ ২০১০ সালে জিএম শস্য (বিটি বেগুন) বাণিজ্যিকিকরণে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ভারতের সবক’টি রাজ্য এইসব শস্য বাজারজাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। চীন সরকার গোল্ডেন রাইস-এর বীজ তার দেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এমনকি চোরাই পথেও যেন এ ধানের বীজ তার দেশে প্রবেশ করতে না পারে এ নিয়েও সতর্ক থাকছে চীন। অথচ বাংলাদেশের মতো সবজি উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে থাকা এবং খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনকারী দেশে ভিটামিন-এ’র জন্য গোল্ডেন রাইস উৎপাদনে স্বীকৃত দেওয়া সত্যিই আশ্চর্যজনক! গোল্ডেন রাইস কি? একধরণের চাল, যেটা সরাসরি প্রকৃতির দান নয়। ল্যাবরেটরিতে ‍কৃত্রিমভাবে চালের প্রজনন পরিবর্তন করে এক ধরণের মোডিফাইড চাল। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বিটি বেগুন ও গোল্ডেন রাইস জাতীয় শস্য খেলে মানবদেহের উপকৃত ব...

দশচক্রে ভগবান ভূত; ঐতিহাসিক মুসলিমবাগ ঈদগাহ এখন ঢাকেশ্বরী মন্দির!

     শায়েস্তা খাঁ, মোঘল আমলের একজন বিখ্যাত সুবাদার বা প্রাদেশিক শাসক ছিলেন। তার খ্যাতি মূলত বাংলার সুবাদার হিসাবে। তিনি বাংলা শাসন করেন প্রথমবার ১৬৬৪ থেকে ১৬৭৮ সাল এবং দ্বিতীয়বার ১৬৮০ থেকে ১৬৮৮ সাল। তাঁর শাসনামলে ঢাকায় ব্যাপক উন্নতি সাধিত হয় এবং এ সময় তিনি বহু মসজিদ, ঈদগাহ নির্মাণ করেন। তার মধ্যে বর্তমান পুরনো ঢাকার অভ্যন্তরে পলাশী ব্যারাক এলাকায় বুয়েট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসসমূহের দক্ষিণে একটি ঈদগাহ প্রতিষ্ঠা করেন, যার পার্শে একটি মসজিদও ছিলো বলে ইতিহাসে পাওয়া যায়। এটি অত্যন্ত বড় একটি ঈদগাহ হিসেবে বিখ্যাত ছিলো। ঐ স্থানটির তৎকালীন নাম ছিলো মুসলিমবাগ। এটি ছিলো তৎকালীন সময়ের ঐ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় ঈদগাহ। নাম ছিলো মুসলিমবাগ সুন্নি ঈদগাহ। বিভিন্ন ইতিহাসে বর্ণিত, এখানে একটি বিশেষ কূপ ছিলো। যে কূপের পানি ছিলো অত্যন্ত সুমিষ্ট। যে পানি পান করলে অনেক কঠিন দুরারোগও ভালো হয়ে যেতো। এই কুপটির সুনাম ভারত বর্ষসহ বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছিলো। এর পানি খাওয়ার জন্য হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন ও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকেরাও এখানে আসতো। যেহেতু কূপটি মুসলমানদের ছিলো তাই অনেক...

পবিত্র কুরবানীর হাটের সংখ্যা কমিয়ে আনলে তা সরকারের অজ্ঞতা ও ব্যর্থতার নজির হয়ে থাকবে ॥ প্রয়োজন হাটের সংখ্যা দ্বিগুণ হারে বাড়ানো

      রাজধানী ঢাকায় প্রতিবছর বাড়ছে মানুষ, বাড়ছে ঈদে বাড়ি ফেরাদের সংখ্যা এবং সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রাজধানীতে কুরবানীদাতার সংখ্যা। এছাড়াও অবিশ্বাস্য হারে ঢাকায় বাড়ছে ধনী লোকের সংখ্যা। সুতরাং সেই সাথে কুরবানীর পশুর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে সমান হারে। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে সবকিছু বাড়লেও এবার বাড়ছে না কুরবানীর হাট। সরকারি মহলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবার রাজধানীতে কুরবানীর পশুর হাটের সংখ্যা কমিয়ে আনা হচ্ছে। যদিও হওয়া উচিত ছিলো বিপরীতটি। হাট কমানো হলে স্বাভাবিকভাবেই কমবে কুরবানীর পশুও। কুরবানীর পশুর হাট কেন বাড়ানো প্রয়োজন তার একটি সহজ হিসাব আমরা দেখতে পারি। এতে স্পষ্টভাবেই বোঝা যাবে সরকারের গৃহিত সিদ্ধান্ত কতোটা অজ্ঞতা ও ব্যর্থতার নামান্তর। কুরবানীর হাটে গরুর জন্য নিম্নোক্ত বিধি ব্যবস্থা থাকা একান্ত প্রয়োজন।      প্রতিটি গরুর জন্য কমপক্ষে ৫০ বর্গ ফুট ও প্রতিটি ছাগলের জন্য ২৫ বর্গফুট জায়গার প্রয়োজন। কারণ গরুর অবস্থান স্থল, দুটি গরুর মধ্যবর্তী জায়গা, গো’খাবারের জন্য পৃথক জায়গা, গরু ব্যাপারীর থাকার জায়গা, দুই গরুর সারির মধ্যখানে...

শিক্ষা নিয়ে এতো ষড়যন্ত্র কেন? সরকারের ভেতরে থেকে শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে কারা কলকাঠি নাড়ছে?

একটি জাতিকে হাতের মুঠোয় আনার সবচেয়ে বড় অস্ত্র হচ্ছে শিক্ষাব্যবস্থা। যেমন রাশিয়ায় কমিউনিস্টরা ক্ষমতায় আসার পর সেদেশে ৫ বছর শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রেখেছিল। ৫ বছর পরে তারা সিলেবাসে ৩৩ শতাংশেরও বেশি কমিউনিজম ও নাস্তিক্যবাদ মিশ্রণ করে রাশিয়ার শিক্ষাব্যবস্থা তৈরি করেছিল। ঐ নাস্তিক্যতাবিদ্যায় পাস করেই রাশিয়ায় সবাইকে ডিগ্রি নিতে হতো। অর্থাৎ কমিউনিস্ট ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতে তথা এদেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নাস্তিক বা ধর্মহীন বানাতেই কট্টর কমিউনিস্ট ও নাস্তিক শিক্ষামন্ত্রী এদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় একের পর এক একতরফা নীতি নির্ধারণ করে চলেছে, যা ব্যাপক সমালোচিত হওয়ার পরেও অব্যাহত থাকছে। হিন্দুঘেঁষা বামপন্থী এই শিক্ষামন্ত্রীর অধীনে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা এখন ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে।  বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর হতে শিক্ষায় হাইব্রীড ফলনের মতো পাসের বৃদ্ধি ছাড়া তেমন কোন উন্নতি হয়নি। বরং শিক্ষাব্যবস্থায় এমন সব নীতি নির্ধারণ হয়েছে, যা ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত এদেশের নতুন প্রজন্মকে ভবিষ্যতের জন্য একটি ধর্মবিমুখ, দেশপ্রেমহীন ও ভারতের প্রতি নতজানু জাতি হিসেবে তৈরি করবে। শুধু তাই...

মুসলমানের দেশে যবন হিন্দুদের বাড়াবাড়ি বরদাশত যোগ্য নয়, গণমানুষের ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটলে আচানক দেশে হিন্দু বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে

মুসলমানের রক্ত বলে কথা। বীরের জাতি। কতোদিন সহ্য করবে হিন্দুদের বাড়াবাড়ি। যবন ম্লেচ্ছ অস্পৃশ্য হিন্দুরা সরকারের নাকে দড়ি বেঁধে দেশে ইসলামবিরোধী ষড়যন্ত্র করছে। ফায়দা লুটছে শাসকগোষ্ঠীর মধ্যে থাকা কিছু গাদ্দার। তারা ভারতের ক্রীড়নক হয়ে হিন্দুদের স্বার্থ রক্ষা করে চলেছে। এরাই আজ মুসলমানদের স্বাধীন উন্মুক্ত হাতে শেকল পরানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। একের পর এক আঘাত হানছে ধর্মীয় অনুভূতিতে। ওরা মুসলমানদের কুরবানী বন্ধ করে দিতে চায়। ওদের কথা মতো শাসকগোষ্ঠীও উদ্ভট নীতি নির্ধারণ করে জনগণের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে। সারাদেশ জুড়ে হিন্দুরা পূজা করতে চায়, শত শত মন্দির গড়তে চায়। বাংলাদেশে থেকে এরা বাবরি মসজিদের মতো করে পবিত্র মসজিদগুলো ভেঙ্গে দিতে চায়। আর শাসকগোষ্ঠী তাদের খুশি করতে বুড়িগঙ্গার তীরে সরকারি (জনগণের) জায়গায় স্থাপিত মসজিদগুলো ভাঙার নোটিশ দিয়ে যাচ্ছে। কতো বড় দুঃসাহস হলে এই ম্লেচ্ছ যবন হিন্দুরা বাংলাদেশের মসজিদ ভাঙতে চায়? কতো বড় দুঃসাহস হলে এরা এদেশের হাইকোর্টে দেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম উনাকে চ্যালেঞ্জ করে অর্থাৎ ইসলাম বাদ দেয়ার জন্য রিট করে। কত বেশি স্বাধীনতা পেলে এরা শিল্পকলা একাডেমিতে...

প্রসঙ্গ: বুড়িগঙ্গার তীরে মসজিদ উচ্ছেদ ॥

প্রতিবাদ-প্রতিরোধ কখনো মনে মনে হয় না; অন্যায়-অবিচার রুখতে হলে চাই ঐক্যবদ্ধ ক্ষোভের বিস্ফোর। অবৈধ স্থাপনা, নদীর নাব্যতা হ্রাস, পরিবেশ দূষণ ইত্যাদি উদ্ভট কারণ দেখিয়ে বুড়িগঙ্গা নদীর পার্শ¦বর্তী পবিত্র মসজিদসমূহ ভেঙ্গে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকারি মহল। নাউযুবিল্লাহ! এরমধ্যে আগানগর এলাকার একটি মসজিদ ভেঙে দিয়েছে আমাদের ইসলামবান্ধব(!) সরকার। (সংবাদ সূত্র: ভোরের কাগজ, ১৩ আগস্ট ২০১৫) বাকী মসজিদগুলোতেও ভেঙ্গে ফেলার নোটিশ পাঠানোর পর্যায় শেষ। এখন যেকোনো সময় ভাঙ্গার পালা। যদিও স্থানীয়ভাবে দেখা গেছে মসজিদ এলাকার স্থানীয় জনগণ যারপরনাই ক্ষিপ্ত ও প্রতিবাদী মনোভাব ধারণ করে প্রস্তুত হয়ে আছে মসজিদের জন্য যান দিয়ে দেয়ার জন্য। কিন্তু তাদের এই পুঞ্জিভুত ক্ষোভকে এক ফু’তেই নিভিয়ে দিতে পারে প্রশাসনের ছল-চাতুরি কিংবা কোনো উলামায়ে সূ’র বিভ্রান্তিকর বক্তব্য। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার উপর সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট আদায়ে কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো সরকার। কিন্তু শিক্ষার্থীদের লাগাতার প্রতিবাদ-প্রতিরোধে বেসামাল হয়ে শেষ পর্যন্ত সরকারের কঠোরতা বাষ্প হয়ে উড়ে যা...