সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: জাতি গঠনে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিদ্যাপীঠ কিন্তু বর্তমান শিক্ষা পরিবেশ জাতির জন্য লজ্জাজনক

১৯২১ সালে প্রতিষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ হিসেবে স্বীকৃত। প্রতিষ্ঠানটি ‘প্রাচ্যের অক্সফোর্ড’ নামেও খ্যাত। গত ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ঈ. জাপানের প্রধানমন্ত্রীও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আসে দেখার জন্য। এখান থেকে সাফল্য অর্জন করে অনেক শিক্ষার্থী দেশে ও বহির্বিশ্বে কর্মস্থলে সাফল্যতার নজির স্থাপন করে বাংলাদেশের সুনাম অর্জন করেছে। এখানকার শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেশের প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি, অনেকে বিচারকও হয়েছে। ভবিষ্যতেও দেশ পরিচালনায় ঢাবির ভূমিকা থাকবে বলে জাতির আশা পোষণ করে। বলাবাহুল্য, এসকল নজির স্থাপনকারী সফল ব্যক্তিরা যখন এখানে পড়াশোনা করেছিলো তখনকার শিক্ষা পরিবেশ আর বর্তমান শিক্ষা পরিবেশের মধ্যে রয়েছে আকাশ-পাতাল ব্যবধান। তখনকার শিক্ষকদের মধ্যে যে আদর্শ, দেশপ্রেম চেতনা, নৈতিকতা, মূল্যবোধ ছিলো তার মধ্যেও বর্তমান শিক্ষকদের রয়েছে অনেক পার্থক্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমান পরিবেশ এতোটা নাজুক যে, এটা কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, নাকি সরকারি কোনো বিনোদন কেন্দ্র সেটা বোঝার কোনো উপায় থাকে না। এখানকার রোমান্টিক পরিবেশ ফ্রান্সের প্যারিস কিংবা ইতালির ভেনিসকেও হার মানাবে। শহীদুল্লাহ হ...

প্রসঙ্গ: সরকার কর্তৃক হিজরাদের তৃতীয় লিঙ্গ ও পিতৃপরিচয়হীন (জারজ) সন্তানদের বৈধতা প্রদান ॥ আসলে কি করা উচিত ছিলো ?

হিজরারা এক প্রকার শারীরিক প্রতিবন্ধী। সরকারের উচিত এদেরকে প্রতিবন্ধী হিসেবে বিবেচনায় এনে পুণর্বাসন ও কর্মক্ষেত্রের ব্যবস্থা করা, যেন তারা হালাল উপায়ে রুজি রোজগার করে সমাজে সম্মানের সাথে বাস করতে পারে। প্রয়োজনে সরকার তাদেরকে ভাতা দিতে পারে। কিন্তু হিজরাকে পৃথক লিঙ্গ হিসেবে আলাদা স্বীকৃতি দিলে সমাজে নতুন ফিতনা সৃষ্টি হবে। বিদেশী এনজিও’র অর্থায়ন ও পরামর্শে হিজরাদের তৃতীয় লিঙ্গের আইনি স্বীকৃতি দান করা কখনোই উচিত হবে না। অন্যদিকে পিতৃপরিচয়হীনদের আইনি স্বীকৃতি দানের অর্থ হচ্ছে হারাম বা অবৈধ কাজে স্বীকৃতি প্রদান করা, এটা শরীয়ত অনুযায়ী কুফরী। এছাড়া অবৈধভাবে জন্ম হওয়া (জারজ) সন্তানকে আইনী বৈধতা দিলে ঐ সন্তানটিরও ভবিষ্যতে মানহানী সম্ভাবনা থাকে। তবে কোনো বিশেষ প্রয়োজনে, জারজ সন্তানের পক্ষ থেকে গোপনীয় আবেদনে সরকার গোপনে তার স্বার্থ রক্ষা করতে পারে। কিন্তু প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়ে আইনি স্বীকৃতি দিয়ে সব কাজ করা শরীয়ত অনুসারে কখনোই ঠিক হবে না। এতে সমাজে ব্যভিচার, পাপকর্ম বৃদ্ধি পাবে। অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনকারী নারী-পুরুষরা অবৈধ মেলামেশায় উৎসাহ পাবে এবং সবচেয়ে ভয়াবহ যে সমস্যাটা সৃষ্টি হবে তা হচ্ছে- ৯৭ ভাগ ম...

ছাগল নাচে খুঁটির জোরে, প্রমোদ মানকিন নাচছে কিসের জোরে?

কিছুদিন ইসলামবিদ্বেষী বক্তব্য দিয়ে মন্ত্রিপরিষদ থেকে বহিষ্কার হয়েছে মুরতাদ লতিফ কাজ্জাবী। লতিফ কাজ্জাবীর বক্তব্যের সমালোচনা সরকারের সবাই করেছে। কিন্তু একমাত্র সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী খ্রিস্টান-গারো সম্প্রদায়ের প্রমোদ মানকিন মায়া কন্না করে তার পক্ষে বলেছিলো, “বয়স-প্রতিবন্ধীত্বের কারণে হয়তো অমন কথা বলেছে লতিফ।” (সকালের খবর, ১৫ অক্টোবর, ২০১৪ঈ.) এই ইসলামবিদ্বেষী প্রমোদ মানকিনই সম্প্রতি বলেছে, ‘যারা জয় বাংলা বলতে পারছেন না, এখনো জিন্দাবাদের মধ্যে আছেন, তাদের জন্য এটা দুর্ভাগ্য। অন্তত একবার জয় বাংলা বলুন, জিন্দাবাদ ছাড়ুন।...এই দেশ থাকবে, জয়বাংলা থাকবে। এখানে জিন্দাবাদের কোনো স্থান নেই। একদিন জিন্দাবাদ বিদায় হবেই, হবে।” নাউযুবিল্লাহ! (যুগান্তর, ইত্তেফাক, বাংলাদেশ প্রতিদিন/১৮ নভেম্বর, ২০১৪ঈ.) এখানে তার প্রত্যেকটি কথা পবিত্র দ্বীন ইসলাম ও মুসলমানদের কটাক্ষ করে। ‘জিন্দাবাদ’ শব্দটি ইসলামী। মুসলমানদের ঈমানী চেতনা জাগ্রতকারী শব্দ। অর্থাৎ এটি ইসলাম ও মুসলমানদের সাথে সম্পৃক্ত একটি শব্দ। অথচ এই কাট্টা কাফির, মালউন উপজাতি প্রমোদ মানকিন দেশের ৯৭ ভাগ অধিবাসী মুসলমানদের মাঝে থেকে বলেছে, ‘এখানে জিন্দাব...

বাংলাদেশকে ‘সন্ত্রাসবাদী’ তকমা লাগাতে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র চলছে

বাংলাদেশে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-র‌্যাব-পুলিশের সাথে মিটিং করেছে ভারতীয় গোয়েন্দারা। এর অর্থ এটা পরিষ্কার যে, ‘ভারতের বর্ধমান বিস্ফোরণে বাংলাদেশের সন্ত্রাসবাদী জড়িত’ ভারতের এমন দাবি মেনে নিয়েছে সরকার? এদিকে অস্ট্রেলিয়া থেকে নিয়ন্ত্রিত ‘ইনস্টিটিউট ফর ইকোনোমিক্স এন্ড পিস’ নামক একটি সংস্থা নতুন করে একটি তালিকা প্রকাশ করেছে, যার মধ্যে ১৩টি দেশকে সন্ত্রাসবাদের বড় ধরনের ঝুঁকির তালিকায় দেখিয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বাংলাদেশ। (তথ্যসূত্র: বিবিসি বাংলা, ১৮ নভেম্বর ২০১৪ঈ.)। বলাবাহুল্য, ‘ইনস্টিটিউট ফর ইকোনোমিক্স এন্ড পিস’ নামক সংস্থাটি স্টীভ কিলেলী নামের এক ব্যবসায়ী ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠা করে। প্রতিষ্ঠার এক বছর পরেই এই ইহুদীবাদী সংস্থাটি এমন বিতর্কিত একটি তালিকা প্রকাশ করে ফেললো! যেখানে বাংলাদেশকে সন্ত্রাসবাদের বড় ধরনের ঝুঁকির তালিকায় রেখেছে ২৩ নম্বরে। অথচ এরাই বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের ম্যাসাকার করছে, আর এখন মুসলমানদেরই সন্ত্রাসবাদী বলে আক্রমণের বাহানা তৈরি করছে। এরা এতোটা পরিকল্পিতভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে যে, বহির্বিশ্ব থেকে তারা বাংলাদেশের মাটিতে নিজেদের তৈরি এজেন্ট দিয়ে বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী কার্যক্রম ...

পশ্চিমা নিয়ন্ত্রিত এনজিওগুলোর সেনাবাহিনী বিরোধী মনোভাব দেশের জন্য হুমকিস্বরূপ

সম্প্রতি দেশের আটটি এনজিও সংগঠন বাংলাদেশে পাঁচটি স্থানে সেনানিবাসসহ স্থাপনা নির্মাণে নাক গলাচ্ছে। তারা দাবি করছে সেনানিবাসের জন্য বেআইনিভাবে ভূমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে। মূলত, এনজিগুলো ভূমি অধিগ্রহণের যে ঢালাও অভিযোগ করেছে, তা সঠিক নয়। এসব এনজিও কোনো পরিসংখ্যান ছাড়াই এমন বক্তব্য দিয়েছে। এনজিও সংগঠনগুলো হলো, আইন ও সালিশ কেন্দ্র, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি), বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা), নিজেরা করি, অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি), আদিবাসী ফোরাম ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)। এরমধ্যে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক পার্বত্য চট্টগ্রামকে দ্বিখণ্ডিত করার চক্রান্তে সক্রিয় সদস্য সুলতানা কামাল বলেছে, রাজধানীর একটা বড় অংশ সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তাদের এই পরিধি ক্রমেই বাড়ছে। আর রাষ্ট্র তাদের এই মনোভাবকে সমর্থন জুগিয়ে চলেছে।’ (দৈনিক ইত্তেফাক, ১৪ নভেম্বর, ২০১৪ঈ.) এই সুলতানা কামাল এতোটা সেনা বিদ্বেষী যে, ১৯৯৬ সালে রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে কল্পনা চাকমা নামক এক ...

বাংলাদেশকে ‘সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র’ হিসেবে প্রচার করতে তৎপর কিছু মিডিয়া

বাংলাদেশকে ‘সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র’ বানানোর জন্য বিদেশ থেকে নিয়ন্ত্রিত কিছু মিডিয়া এতোটা তৎপর যে- সন্ত্রাসবাদের সাথে সংশ্লিষ্ট এমন সামান্য কোনো বাহানা পেলেই সেটাকে কেন্দ্র করেই জোর প্রচারণা শুরু করে দেয়। সম্প্রতি রাবি শিক্ষক এ কে এম শফিউল ইসলাম হত্যার পর তারা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে- উক্ত শিক্ষককে ‘আনসার আল ইসলাম বাংলদেশ’ নামক একটি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হত্যা করেছে। এ খবরটির জন্য তাদের মূল তথ্যভিত্তি হচ্ছে ফেইসবুকের একটি পেইজ। আর এ খবরটিকেই যায়যায়দিন, সমকাল, বাংলাদেশ প্রতিদিন, ইত্তেফাক, অনলাইন সংবাদমাধ্যম বিডিনিউজ২৪, বাংলানিউজ২৪সহ বেশকয়েকটি গণমাধ্যম প্রচার করে। অথচ ‘আনসার আল ইসলাম বাংলদেশ’ নামক কোনো সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের তৎপরতা আদৌ কোনোা যায়নি। নামসর্বস্ব এ সংগঠনটির অস্তিত্ব কেবল ফেইসবুক পেইজেই। এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যারা সন্ত্রাসবাদ নিয়ে কাজ করছেন তাদের মধ্যে উপ-কমিশনার পদমর্যাদার একজন বলেছেন, “এই নামের কোনো সংগঠনের কথা আমাদের জানা নাই।” (বিডিনিউজ২৪.কম, ১৬ নভেম্বর, ২০১৪ঈ.) উল্লেখ্য, বাংলাদেশকে সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র হিসেবে প্রচার করার কাজে তৎপর মিডিয়াগুলোর...

বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের কুফল: গর্ভপাতের নামে সমাজে চলছে হাজার হাজার শিশু হত্যাকাণ্ড

গত ১৯ অক্টোবর (২০১৪) বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়, ‘ভয়াবহ আকারে বাড়ছে গর্ভপাত; মিরপুর ও শ্যামলীতেই দিনে ১৫০ গর্ভপাত’। বিগত কয়েক বছরে রাজধানীতে গর্ভপাতের সংখ্যা ভয়াবহ আকারে বেড়েছে। এসব গর্ভপাতের মধ্যে বেশিরভাগই (অবিবাহিত ছেলেমেয়েদের) অবৈধ মেলামেশার ফসল। এগুলো সঠিক সংখ্যা কত হবে তা আসলে নির্দিষ্ট করে বলা মুশকিল। গত ১৭ অক্টোবর (২০১৪) রাজধানীর বিভিন্ন গর্ভবতী নারীদের স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র ও বিভিন্ন নারী অধিকার সংগঠনের দেয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমগুলোতে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজধানীর শ্যামলী ও মিরপুর এলাকায় প্রতিদিন ১৫০টিরও বেশি গর্ভপাতের ঘটনা ঘটে। এ সংখ্যা গত দুই বছরে অর্ধেক ছিল। গর্ভপাতকারীদের মধ্যে বেশিরভাগই উঠতি বয়সি কিশোরী। যাদের বয়স ১৮-এর নিচে কিন্তু বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের কারণে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারে না। অথচ এ বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে তথাকথিত মানবতাবাদীরা অনেক উচ্চবাচ্য করে, কিন্তু বাল্যবিবাহ বন্ধ করলে যে সমাজে অবৈধ মেলামেশা বেড়ে যায়, সম্ভ্রমহরণ বেড়ে যায়, গর্ভপাত বেড়ে যায়, সেটা নিয়ে তারা কোনো কথা বলে না। একটা অপরিপক...

অভিজাত রেস্টুরেন্টগুলোর ‘প্রাইভেট কেবিন’ সুবিধা বন্ধ করতে হবে

অনেক রেস্টুরেন্টে ‘ভিআইপ কেবিন’, ‘লাউঞ্চ’ ইত্যাদি নামে প্রাইভেট কেবিন দেখা যায়, যার ভেতরে কী হচ্ছে তা বাইরে থেকে দেখা যায় না। রাজধানীর বেইলি রোড, ধানমন্ডি, গুলশান, বারিধারা এসব অভিজাত এলাকাগুলোতে এসব রেস্টুরেন্টের সংখ্যা বেশি। কাঠের, দেয়ালের কিংবা থাই পার্টিশন দেয়া ছোট-ছোট বাক্সের মতো করে তৈরি করা হয় এসব কেবিন। এসব কেবিনে নিয়মিত যারা আসে তাদের অধিকাংশই ধনী ও মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে মেয়েরা অর্থাৎ স্কুল কলেজ কিংবা ইউনিভার্সিটির ছাত্র-ছাত্রী। লাউঞ্জগুলো চারদিক দিয়ে এমনভাবে ঘেরা যেন ভেতরে বসে বসে কি করা হচ্ছে তা বাইরে থেকে বোঝার কারো সাধ্য নেই। এসব জায়গায় আবার একটা বিশেষ নিয়ম থাকে, যতক্ষণ লাউঞ্চ থেকে ওয়েটারকে না ডাকা হবে ততক্ষণ লাউঞ্চে ওয়েটার প্রবেশ করতে পারবে না। আর ওয়েটারকে ভেতরে ঢোকার আগে দরজায় নক করতে হবে। এসব সুযোগের কারণে, এ ধরনের রেস্টুরেন্টগুলো সন্ধ্যার পর মিনি পতিতালয়ে পরিণত হয়। এছাড়া সারা দিনে অপকর্ম কম হয় না। রেস্টুরেন্টে এ সব প্রকাশ্য পতিতালয় বানিয়ে এক শ্রেণীর মুনাফালোভী অসৎ ব্যবসায়ী ছেলে-মেয়েদের চরিত্র নষ্ট হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করছে। এর বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিবাদ করা প্রত্যেক মুস...

সামান্য অযুহাতে কানাডার মুসলমানগণ হয়রানির শিকার হচ্ছেন॥ প্রকৃতপক্ষেই কাফিররা মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু

সম্প্রতি কানাডায় দুই সেনা হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুসলিম বিরোধী কর্মকা- তুঙ্গে উঠেছে। কানাডা সরকারের পক্ষ থেকে প্রচার করা হচ্ছে, কথিত আইএসএস দুই সেনাকে হত্যা করেছে। এমন খবর প্রকাশ করার পরপরই কানাডায় মুসলিম বিদ্বেষী কর্মকা- দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। যেমন- সেখানকার মসজিদগুলোতে কাফিররা ‘গো ব্যাক মুসলিমস’ ইত্যাদি নানা অবমাননামূলক কটূ্িক্ত করে যাচ্ছে। গণপরিবহণ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য লোকালয়গুলোতে মুসলিম বিরোধী সেøাগান লেখা হচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে মুসলমানদের সাথে দুর্ব্যবহার ও হয়রানি করা হচ্ছে। মসজিদ সংস্কারে ও মসজিদে ইবাদত বন্দেগীতে বাধা দিচ্ছে কাফিররা। গত সপ্তাহে ইসলাম বিরোধী এমন ৩০টি ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে। (তথ্যসূত্র: ‘হয়রানিতে কানাডার মুসলিমরা’ শিরোনামে ৩ নভেম্বর, ২০১৪ ঈ. তারিখে বাংলাদেশ প্রতিদিন-এ প্রকাশিত খবর) মুসলমানদের চাপের মুখে রাখতে, নির্যাতন-নিপীড়ন করতে, বৈষম্যের শিকার করতে কাফিররা সামান্য একটু অযুহাত তালাশ করে, আর তা মিলে গেলেই শুরু করে দেয় অবর্ণনীয় যুলুম-নিপীড়ন। আল কায়দার মতো পশ্চিমা নিয়ন্ত্রিত আইএসএস গ্রুপ কানাডার দুই সেনাকে হত্যা করেছে এমন খবর প্রচার করে এখন পুরো কানাডাজুড়ে চ...

লাক্স সুন্দরীর নামে ‘চামড়া ব্যবসা’ প্রতিযোগীতা ৯৭ ভাগ মুসলমানের দেশে চলবে না, অতিসত্ত্বর এসব দুষ্কর্ম বন্ধ করতে হবে

লাক্স ফটো সুন্দরীর নামে যা হচ্ছে তা মেনে নেয়া সত্যিই কষ্টকর। বিশেষ করে ইউনিলিভারের মত একটি ইহুদী কোম্পানি মুসলমান মেয়েদের চামড়া ব্যবসায়ীদের মত উপস্থাপন করছে, আর সাধারণ মানুষ আক্বল জ্ঞ্যানহীনদের মতো ঐসব মেয়েদের প্রতি লোলুপ দৃষ্টি দিচ্ছে। অথচ লাক্সের এই ‘চামড়া ব্যবসা’ প্রতিযোগীতা ৯৭ ভাগ মুসলমানের দেশে অনেক নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করে যাচ্ছে। সাধারণত পতিতারা থাকে আত্মগোপন করে। কিন্তু সেই পতিতাদের যদি বাইরে এনে উন্ম্ক্তু শো করা হয় আর জনপ্রিয় করে তোলা হয় তবে একদিক দিয়ে সামাজিক অবক্ষয় সৃষ্টি হবে অপরদিকে মুসলিম জাতি কলুষিত হবে। এতদিন সমাজ এ উন্মুক্ত শরীর প্রদর্শনীকে খারাপ জানতো। কিন্তু বার বার চোখের সামনে তার কার্যক্রম করে সেটাকে স্বাভাবিক করে দেয়ার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। পতিতাদের পুরুষ্কার প্রদানের মাধ্যমে তাদের অপকর্ম উঁচুদরে নেয়ার চেষ্টা চলছে। এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী মেয়েরা এমন সব পোশাক পরছে যেগুলো আগে মানুষ কল্পনাও করেনি। এদের দেখাদেখি হুজুগে লাফানো বাঙালি মেয়েরা হাটু বের করা পোশাক, কিংবা হাফ টপলেস পোশাক পরে বের হওয়া হালের ফ্যাশন হিসেবে নিবে। আগে এ ধরনের অনুষ্ঠান হতো খুব কম সময়ের...

স্বাধীন দেশে রাজাকারদের নিষিদ্ধ করে ও তাদের পক্ষে অবস্থানকারীদের বিরুদ্ধে আইন প্রণয়ন করা জরুরী

মুক্তিযুদ্ধে নয় মাস রক্তঝরা যুদ্ধের পরই আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে দেশকে স্বাধীন করতে গিয়ে ত্রিশ লক্ষ বাঙালি নিজের জীবন বিলিয়ে দিয়েছে। যুদ্ধে অসংখ্য মা-বোনের ইজ্জত-সম্ভ্রমহানী হয়েছে। এসব ক্ষয়ক্ষতিই যে পাক বাহিনী করেছে তা নয়। বরং নিজ দেশের মীরজাফর বিশ্বাসঘাতক, রাজাকাররা যদি পাক বাহিনীকে সহায়তা না করতো তবে হয়তো নয় মাসের অনেক আগেই আমাদের স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব হতো, এছাড়া এসব ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও অনেক কম হতো। কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে, স্বাধীনতার পর থেকে ওইসব স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার গং আজো খুব আরাম আয়েশে বসবাস করছে, ব্যবসা বাণিজ্য করছে, দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, এসব রাজাকারদের বিচারে তাদের পক্ষ নিয়ে, তাদের বাঁচাতে কিছু আইনজীবি আইনী লড়াইও লড়ছে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে। এক্ষেত্রে আমাদের স্বাধীন দেশের সংবিধানও তাদের অস্তিত্বের বৈধতা দিচ্ছে, তাদের পক্ষে আইনী লড়াইয়ের অনুমতি দিচ্ছে। এখানে বলার বিষয় হচ্ছে, বাংলাদেশের সংবিধানে এ বিষয়টি সংশোধন আনা জরুরী। বাংলাদেশ বার কাউন্সিল কিংবা সুপ্রীম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের কোন সদস্য মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীনতার বিপক্...

মওদুদীবাদী জামাত-শিবির তাদের নেতাদের নির্দোষ প্রমাণ করতে হাজারো মিথ্যা বলতে পারে কিন্তু দলিলতো আর মিথ্য হতে পারেনা

সম্প্রতি শেরপুর জেলার সোহাগপুর গ্রামের বিধবাপল্লীর খবরটাতে জামাত শিবিরের কর্মীরা গায়ের জোরে একতরফা মিথ্যা গুজব বলে প্রচার করছে। বিধবাপল্লীর খবরটি যদি মিথ্যাই হয়ে থাকে। তাহলে ওই এলাকায় ‘৭১ এ নিহত স্মৃতিস্তম্ভের মধ্যে যে তালিকা আছে সেটা কি মিথ্যা? এ প্রশ্নের জবাবে এক শিবির কর্মী বলেছে, ‘হতে পারে, কিন্তু কামারুজ্জামান যে ঐ ঘটনা ঘটিয়েছে তার প্রমাণ কি? এটা ওই এলাকার কেউ জানে না।’ অথচ ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে, ওই ঘটনা আল-বাদর ঘটিয়েছিলো যা ১৯৭১ সালের ১৬ আগস্টের দৈনিক সংগ্রামেই এসেছে এবং সেখানে কামারুজ্জামানের নাম এসেছে মোমেনশাহী’র আলবাদরের প্রধান সংগঠক হিসেবে। এই দলিল যখন তাদের দেয়া হয় তখন তারা চলে যায় আরেক মিথ্যার আশ্রয়ে। তখন তারা দাবি করে ওই কামরুজ্জামান বর্তমানে লন্ডনে থাকে। এগুলো আ’লীগ ট্রাইব্যুনালের বানানো গল্প।’ কিন্তু ১৯৮৭ সালে লিখিত বইতেও তো কামারুজ্জামানের স্পষ্ট নাম পেলাম, তখন তো আওয়ামী ট্রাইব্যুনাল ছিলো না। তখন কেন এসব নাম আসলো? এছাড়া ওই সময় সমস্ত পত্রিকায় তো গো’আযম, নিজামী’র স্পষ্ট ছবি-বক্তব্য আছে। তাহলে কি তারাও নির্দোষ, সেই দলিলগুলোও কি মিথ্যা? এমন প্রশ্নের মুখে পড়ে জামাত-শি...