সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

কট্টর ইসলামবিদ্বেষী রোদেলা প্রকাশনীর শুধু বইমেলার স্টল বন্ধ নয়, তাদের প্রকাশনীর লাইসেন্স বাতিল করতে হবে, প্রকাশিত সমস্ত ইসলামবিদ্বেষী বই নিষিদ্ধ করতে হবে, মুরতাদদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে

কট্টর ইসলামবিদ্বেষী কাফিরের অনুচর হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে প্রকাশনা সংস্থা ‘রোদেলা প্রকাশনী’। এরা বিভিন্ন বিদেশী ইসলামবিদ্বেষী, কটূক্তিকারী, মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতকারী বই অনুবাদ করে এদেশে প্রকাশ করে। এছাড়াও অনলাইন মুক্তমনা, ধর্মকারী, নবযুগ, সামহোয়্যার ইন ব্লগ, নাগরিক ব্লগ, সচলায়তন, মতিকন্ঠের মতো কুখ্যাত নাস্তিক্যবাদীদের ব্লগের লেখকদের রচিত, অনুদিত, সম্পাদিত বইসমূহ এই বিতর্কিত ‘রোদেলা প্রকাশনী’ প্রকাশ করে থাকে। হয়তো এবারের বই মেলায় ১৪১-১৪২নং স্টলে ‘নবি মুহাম্মদের ২৩ বছর’ নামে জঘন্য বইটি নিয়ে অনলাইনে তীব্র প্রতিবাদ করায় কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে, ফলে বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ বই মেলায় প্রকাশনীর স্টলটি বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু এ ধরনের ইসলামবিদ্বেষী ও কুখ্যাত নাস্তিকদের বই তাদের প্রকাশনীতে আরো অনেক আছে, যেগুলো কারো নজরে আসেনি কিংবা প্রতিবাদ হয়নি। প্রতিবাদ হয়নি বলে এসমস্ত ইসলামবিদ্বেষী বই রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের দেশে চলতে পারে না। সরকার যদি এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়, তবে দেশের জনগণ তাদেরও ছাড়বে না, সরকারকেও কোনো প্রকার ছাড় দিবে না। উল্লেখ্য, ইরানের নিষিদ্ধ ও মৃত্যুদ-প্রাপ্ত...

দেশের চলমান সহিংসতা, জনগণের বিপদ এসব মূলত নিজেদের হাতের কামাই ॥ ইসলামবিদ্বেষী কর্মকাণ্ডে এবং হারাম কাজে মুসলমানদের প্রতিবাদ বিমুখ হওয়া এবং মৌন সমর্থনই এর মূল কারণ

পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে, “যমীনে ও পানিতে যত ফিতনা সব মানুষের হাতের কামাই।” (পবিত্র সুরা রুম শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৪১) দেশের চলমান পরিবেশ ও পরিস্থিতিতে দেখা যাচ্ছে, মানুষ আগুনে পুড়ছে, অর্থনীতি ধ্বংস হচ্ছে, ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, বহু পরিবহন, ভবন, প্রোপার্টি আগুন লেগে জ্বলেপুড়ে কয়লা হচ্ছে- এসব ধ্বংসযজ্ঞ মূলত মানুষের পাপের ফসল। যে জাতি সারাদিন গুনাহ’য় লিপ্ত থাকে, ঠিকমতো যাকাত আদায় করে না, ব্যভিচার ও অবৈধ মেলামেশায় লিপ্ত থাকে, যালিম শাসকদের (ভোট দিয়ে) সমর্থন করে, মহান আল্লাহ পাক উনার শত্রু কাফির-মুশরিক (হিন্দু)দের সাথে মেলামেশা করে, তাদের সাথে বন্ধুত্ব করে ও তাদের অপসংস্কৃতি, রীতি-রেওয়াজকে আপন করে নেয় তাদের পরিণতি এর চেয়ে ভালো কি হতে পারে? মুসলমানরা এখন বিজাতির অনুসরণে হারাম পহেলা ফাগুন-পহেলা বৈশাখ পালন করে, হারাম ভ্যালেন্টাইন ডে পালন করে, হারাম খেলাধুলায়, গানবাজনায় মজে থাকে, থার্টি ফার্স্ট নাইট পালন করে। কিন্তু এসব কর্মকা- সম্পর্কে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার হুকুম কী তা আদৌ কেউ তালাশ করে না। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ...

পার্বত্যাঞ্চল নিয়ে দেশবিরোধী চক্রান্ত করে যাচ্ছে প্রথম আলো; নব্যরাজাকার সম্পাদক মতিউরকে গ্রেফতার করে অবিলম্বে ফাঁসিতে ঝুলানো হোক

সম্প্রতি সরকার আইন করেছে, কোনো বিদেশী সংস্থা বা ব্যক্তি পার্বত্য এলাকায় প্রবেশ করতে চাইলে প্রশাসনের অনুমতি নিতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম বাঁচাতে সরকারের এই আইন কুচক্রীদের বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে এই আইন অবশ্যই সময়োপযোগী এবং রাষ্ট্রের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কেননা বেশ কিছুদিন যাবৎ দেশী-বিদেশী কিছু কুচক্রী মহল বিভিন্ন এনজিও ও মানবাধিকার সংস্থার মুখোশে পার্বত্য এলাকায় প্রবেশ করে বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তারা বিচ্ছিন্নতাবাদী উগ্র উপজাতি সন্ত্রাসীদের বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার উস্কানি দিয়ে যাচ্ছে। উদ্দেশ্য হচ্ছে, পূর্ব-তিমুর কিংবা দক্ষিণ সুদানের মতো তিন পার্বত্য জেলাকেও বাংলাদেশ থেকে পৃথক করে একটি নতুন খ্রিস্টান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। মূলত, এ চক্রান্ত রুখতেই নতুন আইন করতে বাধ্য হয় সরকার। সরকার কুচক্রী বিদেশীদের যাতায়াতের পথে প্রতিবন্ধকতা করতে পারলেও পারেনি প্রথম আলোর মতো বিদেশীদের এজেন্টদের চক্রান্ত বন্ধ করতে। এই প্রথম আলো (ওরফে প্রথম কালো) সূচনা লগ্ন থেকেই এ সকল বিদেশী কুচক্রীদের প্রকাশ্য সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি সরকারের উ...

পবিত্র দ্বীন ইসলাম নিয়ে কটূক্তিকারী প্রকাশনার সাথে জড়িত এবং এর স্বপক্ষে আন্দোলনকারীদের সকলকে চিহ্নিত করা, গ্রেফতার করা এবং তাদের মৃত্যুদ- দেয়া সরকারের ফরয দায়িত্ব, অন্যথায় সরকার সহযোগী বলে প্রমাণিত হবে

গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ঈসায়ী তারিখে ‘নবি মুহম্মদের ২৩ বছর’ নামক ইসলামবিরোধী একটি জঘন্য ও বিতর্কিত বইয়ের স্বপক্ষে এবং বই মেলায় উক্ত বইয়ের প্রকাশনীর স্টল খুলে দেয়ার জন্য ঢাবিতে প্রকাশ্যে সমাবেশ করলো একদল ইসলামবিদ্বেষী মুরতাদ। (সংবাদ সূত্র: বিবিসি বাংলা, ১৭/০২/২০১৫ ঈসায়ী) যেসব কুলাঙ্গার আজকে এ জঘন্য বইয়ের পক্ষে সাফাই গেয়ে রোদেলা প্রকাশনী খুলে দিতে বলছে এবং যেসমস্ত নাস্তিক, ইসলামবিদ্বেষী লেখক, প্রকাশক, পরিবেশক ইত্যাদি এর সাথে জড়িত তাদের এক এক করে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করতে হবে। এদেরকে হাজতে নিয়ে ইসলামবিদ্বেষী বক্তব্যের অপরাধে তাদের জিহ্বাগুলো কেটে দিতে হবে, লেখনির মাধ্যমে ইসলামবিদ্বেষ ছড়ানোর অপরাধে হাতের আঙ্গুলগুলো কেটে ফেলতে হবে এবং শরীয়া মোতাবেক মুরতাদের শাস্তি হিসেবে তাদের প্রত্যেককে মৃত্যুদ- দিতে হবে। সরকার যদি তাদেরকে গ্রেফতার না করে, মৃত্যুদ- না দেয় তবে, এদেশের ৯৮ ভাগ মুসলিম জনগণের কাছে এটা পরিষ্কার হয়ে যাবে যে, খোদ সরকার নিজেই তাদের প্রশ্রয়দাতা এবং তাদের সহযোগী। আর এমনটি প্রমাণিত হলে দেশের বিক্ষুব্ধ জনগণের চাপিয়ে রাখা ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটবে। এতে সরকারসহ সমস্ত ইসলামবিদ্ব...

প্রাণপ্রিয় নবীজী উনাকে নিয়ে কটূক্তি করে বই প্রকাশ এদেশের মুসলমানগণ বরদাশত করবে না, অতিসত্বর এসমস্ত বইয়ের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করে তাদের মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে

কুখ্যাত ইসলামবিদ্বেষী ও নাস্তিক লেখকদের বই প্রকাশকারী রোদেলা প্রকাশনীর ‘নবী মুহাম্মদের ২৩ বছর’ নামক বইটির প্রতিটি পৃষ্ঠায় চরমভাবে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ও মুসলমানদের পবিত্র বিষয়সমূহ নিয়ে কটূক্তি, ব্যঙ্গ-বিদ্রƒপ, অবমাননা করা হয়েছে। উক্ত বইয়ের ২৮ পৃষ্ঠায় লেখা রয়েছে, ‘তিনি আগে মূর্তিপূজা করতেন।’ নাউযুবিল্লাহ অথচ আমাদের প্রাণপ্রিয় নবীজী তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, “আমি প্রেরিত হয়েছি বাদ্যযন্ত্র এবং মূর্তি ধ্বংস করার জন্য।” আখিরী নবী নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তো দূরের কথা উনার মহাসম্মানিত পূর্বপূরুষগণ উনাদের মধ্যেও কেউ মূর্তিপূজারী বা মুশরিক ছিলেন না, বরং উনাদের প্রত্যেকেই সিজদাকারী বান্দা অর্থাৎ উনারা অনেকে নবী ও রসূল আলাইহিমুস সালাম ছিলেন। আর বাকি যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ ছিলেন। এ সম্পর্কে পবিত্র কুরআন পাকে আছে, “তিনি (মহান আল্লাহ পাক) আপনাকে সিজদাকারীগণদের মধ্যে স্থানান্তরিত করেছেন।” সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা শুয়ারা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ২৯, তাফসীরে কবীর ১৩/৩৮) বইটির ১৭৯ পৃষ্ঠায় ইফকের ঘটনা নিয়ে হযরত উম্মুল মু’মিনীন হযরত ছিদ্...

ইসলামবিদ্বেষী বই প্রকাশ করে কোনো প্রকাশক ক্ষমা চাইলেই তাকে ক্ষমা করা যাবে না; বরং প্রকাশক, লেখক, স্বত্বাধিকারীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে গ্রেফতার করে ইসলাম অবমাননার কারণে মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে

প্রধানমন্ত্রী কিংবা বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে কেউ লেখালেখি কিংবা ব্যঙ্গ ছবি প্রকাশ করলে তাকে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করতে সরকারের সময় লাগে না। লেখক কিংবা ব্যঙ্গ প্রকাশকের কোনো প্রকার ক্ষমা প্রার্থনাও গ্রহণযোগ্য হয় না। বরং তাকে সরাসরি জেল হাজতে ঢুকানো হয়। তাহলে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের দেশে যেখানে ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমান সেখানে কিভাবে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার বিরুদ্ধে, মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে লেখালেখি, প্রকাশনা, ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ হতে পারে? এটা কি করে সরকার বরদাশত করতে পারে? যেখানে খোদ প্রধানমন্ত্রী নিজে নামায পড়েন, পবিত্র কুরআন শরীফ তেলাওয়াত করেন, সেখানে তিনি কি করে এসব বরদাশত করেন- তা বোধগম্য নয়। প্রসঙ্গত, এবারের বইমেলায় আগামী প্রকাশনী থেকে কুখ্যাত ও বিতাড়িত লেখিকা তসলিমা নাসরিনের ‘গদ্য পদ্য’ নামক একটি বই বেরিয়েছে। বইটিতে ১২৭ পৃষ্ঠায় ‘যৌনাঙ্গ’ শিরোনামে পবিত্র ইসলাম ধর্মকে নারীর গোপনাঙ্গের সাথে তুলনা দেয়া হয়েছে। নাউযুবিল্লাহ। সে লিখেছে, “মেয়েদের শরীর ইসলামের বড় সম্পদ, মেয়েদের ... ঝুলে আছে যাবতীয় ইসলাম। ... নড়লে চড়লে ইসলাম খসে পড়ে। আল্লাহ’র পেয়ারা নবী এ কারণেই মেয়েদের বল...

ইসলামবিদ্বেষী ও নাস্তিকদের শেকড় খোদ সরকার ও প্রশাসনের মধ্যেই; সরকারের জন্য ফরয এদেরকে চিহ্নিত করে শরঈ শাস্তি দেয়া। অন্যথায় মুসলমানগণ ক্ষিপ্ত হলে তার দায়-দায়িত্ব সরকারের

সম্প্রতি দেশে কিছু ইসলামবিদ্বেষী মহল মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। বিদেশী এজেন্ট গণমাধ্যম আর কিছু গ্রন্থ প্রকাশনা সংস্থার উপর ভর করে এসব অবাঞ্চিত মহল ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত এদেশে নাস্তিক্যবাদ, সমকামিতা, নারী স্বাধীনতা আর প্রগতিশীলতার নামে বেপরোয়াভাবে ইসলামবিদ্বেষমূলক কর্মযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে। এরা মুসলমান সমাজে বাস করে, মুসলমানদেরটা খেয়ে-পরে আবার মুসলমানদের চেতনাতেই অবিরত কুঠারাঘাত করে যাচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এরা এতো বড় দুঃসাহস কোথায় পাচ্ছে? এদের শেকড় কোথায়? বলাবাহুল্য, আমাদের দেশের শাসকগোষ্ঠীর ভারতের প্রতি অস্বাভাবিক রকম দুর্বলতা থাকার কারণে প্রশাসনে ও গুরুত্বপূর্ণ পদ দখলে যেরূপ হিন্দুরা আধিপত্য করে রেখেছে, তদ্রুপ শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি, মিডিয়া, প্রকাশনাতেও তারা তাদের বেপরোয়া কর্মকা- পরিচালনা করছে। বলার অপেক্ষা রাখে না, প্রতিটা হিন্দুই কট্টর ইসলামবিদ্বেষী, অনেকে প্রকাশ্যে নাস্তিক ছূরতে ইসলামবিদ্বেষ ছড়ায়, যেন হিন্দুদের উপর আঘাত না আসে। আসলে অধিকাংশ নাস্তিকই কট্টর হিন্দু। প্রসঙ্গত, প্রশাসনের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা হিন্দু কিংবা নাস্তিকরাই যে সারা দেশে নাস্তিক্যবাদের কিংবা ইস...

ভারতবর্ষে মুসলিম সভ্যতা থেকে শিক্ষা নিয়েই যবন হিন্দুরা লেজ বিশিষ্ট মানুষ হওয়ার চেষ্টা করেছিলো॥ হিন্দু লেখকদের হিংসাত্মক লেখনিতেও এই ইতিহাস প্রমাণিত হয়

১৭৫৭ সাল থেকে ১৯১১ সাল পর্যন্ত কলকাতায় ব্রিটিশদের রাজধানী থাকায় শুধু এ অঞ্চলেই হিন্দুদের প্রভাব বেশি ছিল। কিন্তু ভারতের অন্যান্য অঞ্চল, বিশেষ করে উত্তরপ্রদেশে তা ছিল না। ফলে সাতচল্লিশে ভারত বিভাগের পরও সেসব জায়গায় মুসলিমপ্রধান সমাজব্যবস্থা বিদ্যমান ছিল। এ নিয়ে আক্ষেপ করে নীরদ সি চৌধুরী ১৯৬৬ সালে ‘দেশ’ পত্রিকাতে প্রকাশিত ‘হিন্দুর মুসলমানী পরিচ্ছদ কেন?’ শীর্ষক প্রবন্ধে উল্লেখ করেছে- “বাংলাদেশের সঙ্গে হিন্দুস্তানের (উত্তরভারতের) যে বড় সামাজিক ও সংস্কৃতিগত প্রভেদ গত দুই-তিন শত বৎসর ধরিয়া দেখা গিয়াছে তাহা এই- আমাদের (হিন্দুদের) মধ্যে নাগরিক, সভ্য ও বিদগ্ধ জনরা হিন্দু; আর মুসলমানরা প্রধানত গ্রামবাসী, কৃষক। আর আগে হিন্দুস্তানে ছিল ইহার উল্টা- হিন্দুরা প্রধানত গ্রামবাসী, কৃষক, খুব বেশি হইলে দোকানদার; আর মুসলমানরা ছিল নাগরিক সভ্যতার অবলম্বন। তাই হিন্দুস্তানে হিন্দু মাত্রেই সভ্য বলিয়া গৃহীত হইতে চাহিলে মুসলমানী রীতি ধরিত, অর্থাৎ তাহাদের (হিন্দুদের) ভাষা হইত উর্দু-ফার্সী, পোশাক হইত আচকান ইত্যাদি, আদব-কায়দাও হইত মুসলমানসুলভ। এখন যেমন সামাজিক প্রতিষ্ঠা জন্য লোকে ‘সাহেব’ হইতে চায়, তখ...

ভারতে ওয়াহাবীপন্থী দেওবন্দীরা হিন্দুত্ববাদে ঈমান এনে মুশরিক হয়ে গেছে, এখন থেকে তাদের হিন্দু দেওবন্দী বলতে হবে॥ তাদের অনুসারী কওমী খারিজীরাও তাদের অন্তর্ভুক্ত

বাংলাদেশের কওমী মাদরাসাগুলোর গুরু ভারতের জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ-এর নেতা মুফতে ইলিয়াস বলেছে- “শিব মুসলমানদের পিতা, তাকে আপনারা আদম, নবী বলতে পারেন। আমি জোর গলায় তা বলতে পারি, এটাই বাস্তবতা। অনেকে মনে করেন- আমাদের ধর্ম আরব থেকে এসেছে। কিন্তু এটা সত্য নয়। আমাদের ধর্মের সৃষ্টি হয়েছে হিন্দুস্থান থেকে। হিন্দুস্থান আমাদের জন্মভূমি ও ধর্মভূমি- এতে কোনো সন্দেহ নেই। হিন্দুস্থানে বসবাস করা সকল মানুষ হিন্দু। হিন্দু আমাদের জাতির নাম আর আমাদের ধর্ম হলো ‘সনাতন’। মুসলিম ও হিন্দু বলে কোনো ধর্ম নেই। আমাদের একটাই ধর্ম, তা হলো ‘সনাতন’। আর হিন্দুস্থানকে হিন্দু রাষ্ট্র হিসাবে প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে আমি একমত। আমিও হিন্দু।” (সূত্র: ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ঈ.; সাহারা সময়, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ঈ; এবিপিলাইভ, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫ ঈ) এখানে হিন্দু মুফতে ইলিয়াস নিজেকে শুধু হিন্দু বলে ঘোষণা দেয়নি, সে পুরো মুসলিম জাতিকে হিন্দু বানিয়েছে। এমনকি আমাদের আদি পিতা হযরত আদম ছফিউল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে অস্বীকার করে হিন্দুদের কাল্পনিক দেবতা শিবাকে নবী হিসেবে মেনে নিয়েছে। নাউযুবিল্লাহ! একই সাথে সে...

স্বঘোষিত হিন্দু দেওবন্দী মুফতে ইলিয়াস কর্তৃক হিন্দুত্ববাদের শ্রেষ্ঠত্বের ঘোষণা ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম নিয়ে বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের খন্ডন

বাংলাদেশের কওমী মাদরাসাগুলোর গুরু ভারতের জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ-এর নেতা মুফতে ইলিয়াস সম্প্রতি নিজেকে হিন্দু বলে পরিচয় দিয়ে হিন্দুত্ববাদের শ্রেষ্ঠত্বের কথা বলেছে। পাশাপাশি পবিত্র দ্বীন ইসলাম নিয়ে প্রকাশ্য মিথ্যচার করেছে। তার বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের দাঁতভাঙা জবাব দেয়ার আগে তার কুফরী বক্তব্যগুলো হুবহু এখানে তুলে ধরা হলো- সে তার বক্তব্যে বলেছে, “শিব মুসলমানদের পিতা, তাকে আপনারা আদম, নবী বলতে পারেন। আমি জোর গলায় তা বলতে পারি, এটাই বাস্তবতা। অনেকে মনে করেন- আমাদের ধর্ম আরব থেকে এসেছে; কিন্তু এটা সত্য নয়। আমাদের ধর্মের সৃষ্টি হয়েছে হিন্দুস্থান থেকে। হিন্দুস্থান আমাদের জন্মভূমি ও ধর্মভূমি- এতে কোনো সন্দেহ নেই। হিন্দুস্থানে বসবাস করা সকল মানুষ হিন্দু, হিন্দু আমাদের জাতির নাম আর আমাদের ধর্ম হলো ‘সনাতন’। মুসলিম ও হিন্দু বলে কোনো ধর্ম নেই, আমাদের একটাই ধর্ম, তা হচ্ছে ‘সনাতন’। আর হিন্দুস্থানকে হিন্দুরাষ্ট্র হিসাবে প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে আমি একমত। আমিও হিন্দু।” [সূত্র: ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস (ভারত), ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ঈসায়ী; সাহারা সময় (ভারতীয় চ্যানেল), ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ঈসায়ী; এবিপি...

যারাই পবিত্র দ্বীন ইসলাম অবমাননাকারী বই কিংবা প্রকাশনীর পক্ষে কথা বলবে, লেখালেখি করবে, মানববন্ধন-সভা করবে তাদের গ্রেফতার করতে হবে, অতঃপর সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড দিতে হবে

একটি ভালো খবর হচ্ছে, ধর্মপ্রাণ মুসলমান উনাদের প্রতিবাদের মুখে বই মেলায় কট্টর ইসলামবিদ্বেষী, ইসলাম অবমাননাকারী বই প্রকাশক রোদেলা প্রকাশনী বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এবং কট্টর ইসলামবিদ্বেষী, বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিনের বই বাজার থেকে তুলে দেয়া হয়েছে। এজন্য সরকার ও সংশ্লিষ্ট মহলকে মোবারকবাদ জানাই। কিন্তু দুঃখজনক খবর হচ্ছে, কুখ্যাত রোদেলা প্রকাশনী খুলে দেয়ার জন্য, ইসলামবিদ্বেষী বই বাজারে প্রকাশের পক্ষে সভা-মানববন্ধন করার দুঃসাহস দেখাচ্ছে কিছু কুলাঙ্গার নাস্তিক। রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের দেশে থেকে, ৯৮ ভাগ মুসলমানের সাথে থেকে তারা এতো বড় দুঃসাহস কোথায় পাচ্ছে? তারা প্রকাশ্যে নাস্তিক্যবাদ প্রচারকারী, ইসলাম অবমাননাকারী বই প্রকাশক রোদেলা প্রকাশনী খুলে দেয়ার দাবি জানাচ্ছে, এসব জঘন্য বই আরো বেশি করে প্রকাশ করার ঊদ্ধত্য দেখাচ্ছে। তাদের এসব ঊদ্ধতপনা প্রকাশ্যে পবিত্র দ্বীন ইসলাম অবমাননা করার কথিত অধিকার আদায়ের জন্য। তাদের এ ঐক্যজোট দেশের ৯৮ ভাগ মুসলমানের অন্তরে কুঠরাঘাত করার কথিত বাক স্বাধীনতার জন্য। যেটা এদেশের জনগণ কষ্মিনকালেও বরদাশত করবেনা। এসমস্ত কর্মকা-ের প্রতিক্রিয়ায় দেশে সৃষ্টি হবে অস্থ...

নবীজি ও ইসলামকে নিয়ে সমালোচনা চলতেই পারে : নাস্তিক লেখক ও প্রকাশক

নবীজি ও ইসলামকে নিয়ে সমালোচনা চলতেই পারে : নাস্তিক লেখক ও প্রকাশক গত ১৮ই ফেব্রুয়ারী রোদেলা প্রকাশনী খুলে দেওয়ার দাবিতে টিএসসিতে একদল নাস্তিক লেখক ও প্রকাশক সমাবেশ করে। ঐ সমাবেশে তারা দাবি করে, নবীজি ও ইসলামকে নিয়ে নাকি সমালোচনা চলতেই পারে। নাউযুবিল্লাহ। ঐ দিনের আলোচনার কিছু অংশের অডিও ক্লিপ এ লিঙ্ক ( http://goo.gl/tDbxc7 ) থেকে ডাউনলোড করতে পারেন। ঐ অংশটুকু লিখিত আকারে নিচে দেওয়া হলো: “........আমরা মনে করি, আজকে এই প্রকাশক, রোদেলা প্রকাশনীর স্টল অবিলম্বে খুলে দিতে হবে,অতিসত্ব র সমস্ত বই বিক্রী করার সুযোগ দিতে হবে। বাংলা একাডেমিতে আজকে যে নৈরাজ্য চলছে, আমরা মনে করি, বাংলা একাডেমির বই মেলাকে কোন ভাবেই বায়তুল মোকাররমের সংস্করন করতে আমরা দেবনা। আজকে আপনারা জানেন, ফেব্রুয়ারী মাসের শুরুতেই এখানে আমরা বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা করতে আসি। এখানে হুমায়ুন আজাদের বই আছে,এখানে আহমেদ শরীফের বই আছে,এখানে বাংলাদেশের বিখ্যাত সবধরণের বই থাকে। আজকে সেই প্রকাশনা, সেই বইপত্র, সমস্ত কিছু নিষিদ্ধ করে বাংলাদেশ সরকার কাদের স্বার্থ দেখতে চায়? আমরা মনে করি,আজ থেকে হেফাজতের হুমকিতে কোন ধরনের নিষিদ্...