যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার রাতে জাগ্রত থেকে ইবাদতে মশগুল থাকবে, যেদিন অন্য সমস্ত দিল মরবে, সেদিন তার দিল মরবে না।’ এর অর্থ হলো, ক্বিয়ামতের দিন অন্যান্য দিল পেরেশানীতে থাকলেও দু’ঈদের রাতে জাগরণকারী ব্যক্তির দিল শান্তিতে থাকবে। হাদীছ শরীফ-এ আরো ইরশাদ হয়েছে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “পাঁচ রাতে নিশ্চিতভাবে দোয়া কবুল হয়- এক. রজব মাসের পহেলা রাত, দুই. বরাতের রাত, তিন. ক্বদরের রাত, চার. ঈদুল ফিতর ও পাঁচ. ঈদুল আযহার রাত।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, পবিত্র শাওওয়াল মাসের পহেলা তারিখ পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন। রমাদ্বান শরীফ-এর এক মাস রোযা রাখার পর মুসলমানগণ ঈদুল ফিতরের মাধ্যমে আনন্দ উদযাপন করেন। ঈদের দিনগুলোতে আল্লাহ পাক অগণিত নিয়ামত বর্ষণ করেন। এ কারণে মুসলমানগণ এদিনগুলোর জন্যে অধীর আগ্রহে অপেক্ষমান থাকেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে এ মুবারক দিনটি নেককারগণের জন্য খুশির দিন। আর যারা পাপিষ্ঠ তাদের জন্য এ দিনটি খুশির নয় বরং দুঃখের। যেমন কিতাবে বর্ণিত রয়েছে, ‘যে ব্যক্তি এ মাস (রমাদ্বান শরীফ) ইবাদত-বন্দিগীতে কাটিয়ে দিয়েছে তার জন্য এদিন আনন্দ ও খুশির। আর যে অন্যায় কাজে অতিবাহিত করেছে তার জন্য দুঃখ। যে ব্যক্তি ভাল ভাল পানাহার করেছে ঈদ তার জন্য নয়। ঈদ হলো, আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি লাভের জন্য যে ইবাদত করেছে। নতুন পোশাক-পরিচ্ছদ পরিধানকারীর জন্যও ঈদ নয়। ঈদ হলো, যে বিচার দিবসকে ভয় করে। উদ-সুগন্ধি কাষ্ঠে নিজেকে সুগন্ধি করেছে তার জনও ঈদ নয়। বরং ঈদ হলো ওই ব্যক্তির জন্য, যে একনিষ্ঠভাবে তওবা-ইস্তিগফার করেছে। খাদ্য পাকানো ডেগচি যে উনানে দিয়েছে তার জন্যও ঈদ নয়। ঈদ হলো, যে সাধ্যমত পরিশ্রম করেছে। এভাবে যানবাহনে আরোহণকারীর জন্যও ঈদ নয়। প্রকৃত ঈদ হচ্ছে ওই ব্যক্তির জন্য, যে গুনাহকে চিরতরে বর্জন করতে পেরেছে।’
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার ক্বওল শরীফ উল্লেখ করে বলেন, একদা ঈদুল ফিতরের দিনে হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হযরত উমর ফারুক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার নিকট গেলেন। গিয়ে দেখলেন, ঘরের দরজা বন্ধ করে তিনি কাঁদছেন। হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি আরজ করলেন, হে আমীরুল মুমিনীন! আপনি কাঁদছেন অথচ লোকেরা ঈদের আনন্দে মুখর! হযরত উমর ফারুক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বললেন, “আনন্দে মুখর ব্যক্তিরা যদি জানতো, তাহলে তারা আনন্দ-উৎসব করতো না। অতঃপর পুনরায় তিনি কাঁদতে কাঁদতে বললেন, তাদের আমল যদি কবুল হয়ে থাকে তবে তারা আনন্দ করুক। আর যদি কবুল না হয়ে থাকে তথা বর্জিত হয়ে থাকে তবে তারা কাঁদুক। কিন্তু আমি জানি না, আমার আমল কবুলের পর্যায়ভুক্ত না বর্জিতের অন্তর্ভুক্ত।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, ঈদের দিন অতিশয় সম্মান ও মর্যাদার দিন। এদিন হতে কা’বা শরীফ-এ হজ্জের প্রস্তুতি শুরু হয়। এদিনে রোযার পূর্ণতার জন্য নির্ধারিত পন্থায় হামদ-তাকবীর পাঠ করার আর হালাল উপার্জিত মাল হতে ব্যয় করার নির্দেশ হয়েছে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, কাজেই পাঁচ বিশেষ রাতের মধ্যে ঈদের রাত একটি। দিনও অশেষ রহমত, বরকত, ছাকীনাপূর্ণ। তাই প্রত্যেকের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- ঈদের রাতে ও দিনে দোয়া-দুরূদ শরীফ, মীলাদ শরীফ-ক্বিয়াম শরীফ, যিকির-ফিকির, তওবা-ইস্তিগফার ইত্যাদি ইবাদত বন্দেগীর মাধ্যমে মহান আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের খাছ রেযামন্দী হাছিলের কোশেশ করা।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি সকলকে ঈদের রাত ও দিনের পবিত্রতা রক্ষাপূর্বক এর যথাযথ হক্ব আদায় করার আহ্বান জানান।
২৯ আগস্ট, ২০১১
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন