নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, আমি তোমাদের জন্য তারাবীহ নামাযকে সুন্নত করে দিয়েছি।
তারাবীহ নামায আদায় করা ব্যক্তিগতভাবে সকলের জন্যই সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ।
কিন্তু তারাবীহ নামাযের জামায়াত ও খতমে তারাবীহ কোনটিই সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ নয়;
বরং উভয়টিই সুন্নতে মুয়াক্কাদায়ে কিফায়া।
কাজেই, যারা খতমে তারাবীহকে শুধু সুন্নতে মুয়াক্কাদা বলে, তাদের কথা সম্পূর্ণই ভুল এবং দলীলবিহীন।
তারাবীহ নামায আদায় করা ব্যক্তিগতভাবে সকলের জন্যই সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ।
কিন্তু তারাবীহ নামাযের জামায়াত ও খতমে তারাবীহ কোনটিই সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ নয়;
বরং উভয়টিই সুন্নতে মুয়াক্কাদায়ে কিফায়া।
কাজেই, যারা খতমে তারাবীহকে শুধু সুন্নতে মুয়াক্কাদা বলে, তাদের কথা সম্পূর্ণই ভুল এবং দলীলবিহীন।
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, হাবীবুল্লাহ, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, তারাবীহ নামায পড়া খাছ সুন্নতের অন্তর্ভুক্ত। কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ-এর অসংখ্য স্থানে সুন্নত পালন করার প্রতি বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। মহান আল্লাহ পাক উনার মা’রিফত-মুহব্বত ও উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের উভয়-এর রেযামন্দি হাছিলের প্রধান ও একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে ‘সুন্নতে রসূল’ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পরিপূর্ণ বা সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম অনুসরণ-অনুকরণ করা।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি কালামুল্লাহ শরীফ-এর বরাত দিয়ে বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি বলে দিন, যদি তোমরা আল্লাহ পাক উনাকে মুহব্বত করো বা আল্লাহ পাক উনার মুহব্বত হাছিল করতে চাও, তবে তোমরা আমার অনুসরণ করো। তবেই আল্লাহ পাক তিনি তোমাদেরকে মুহব্বত করবেন এবং তোমাদের গুনাহখাতা ক্ষমা করবেন। আর আল্লাহ পাক তিনি অত্যধিক ক্ষমাশীল ও দয়ালু।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পুঙ্খানুপুঙ্খ ইতায়াত অর্থাৎ অনুসরণ ও অনুকরণ করতে হবে। কারণ হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অনুসরণ করার অর্থই হলো আল্লাহ পাক উনার অনুসরণ করা। তাই আল্লাহ পাক তিনি বলেন, “যে ব্যক্তি হাবীবুল্লাহু হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অনুসরণ করলো, সে আল্লাহ পাক উনারই অনুসরণ করলো।” (সুবহানাল্লাহ)
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, প্রত্যেক পুরুষ ও মহিলার জন্য তারাবীহ-এর নামায পড়া ব্যক্তিগতভাবে সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ। কারণ, স্বয়ং আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “আমি তোমাদের জন্য তারাবীহ-এর নামাযকে সুন্নত করে দিয়েছি।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, আজকাল কিছু লোক রয়েছে তারা খতমে তারাবীহকে ‘সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ’ বলে থাকে। কিন্তু তাদের এ বক্তব্য মোটেও শুদ্ধ ও গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ, খতমে তারাবীহ যদি সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ হয় তবে সকলকেই তা আদায় করতে হবে। অর্থাৎ যারা জামায়াতে না পড়ে একাকি নামায পড়বে তাদেরকেও খতমে তারাবীহ পড়তে হবে। মূলত: প্রত্যেককেই হাফিযে কুরআন হতে হবে। অথচ শরীয়তের ফতওয়া হচ্ছে হাফিযে কুরআন হওয়া ফরযে কিফায়া। অর্থাৎ একটা শহরে একজন লোকও যদি হাফিযে কুরআন হয় তাহলে সকলের হক্ব আদায় হয়ে যাবে। এখন হাফিয হওয়া যদি ফরযে কিফায়া হয় এবং তারাবীহ নামাযের জামায়াত যদি সুন্নতে মুয়াক্কাদায়ে কিফায়া হয়, একটা মহল্লার মধ্যে পাঁচ/দশজন লোকও যদি তারাবীহ-এর নামায জামায়াতে পড়ে তাহলে সকলের হক্ব আদায় হয়ে যাবে। অন্যান্য লোক বাসায় একাকী পড়লেও চলবে। তাহলে খতমে তারাবীহ কী করে সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ হতে পারে? কাজেই শরীয়তের দৃষ্টিতে খতমে তারাবীহ সুন্নতে মুয়াক্কাদায়ে কিফায়া।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি খতমে তারাবীহ পড়েননি, তিনি সূরা তারাবীহ পড়েছেন। আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতু রসূলিল্লাহ হযরত আবু বকর ছিদ্দীক্ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনিও খতমে তারাবীহ পড়েননি; একা একা সূরা তারাবীহ পড়েছেন। ইসলামের দ্বিতীয় খলীফা, খলীফাতুল মুসলিমীন হযরত উমর বিন খত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনিও খিলাফতের সাড়ে দশ বছর সূরা তারাবীহ পড়েছেন। খতমে তারাবীহ পড়েননি। তিনি তারাবীহ নামাযের জামায়াত জারি করেছেন। তৃতীয় খলীফা হযরত উছমান যুন নূরাইন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি উনার বার বছর খিলাফতের মধ্যে প্রায় প্রথম অর্ধেক সূরা তারাবীহ পড়েছেন। এরপরে তিনি খতমে তারাবীহ জারি করেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, তারাবীহর জামায়াত সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ কিফায়া। এটা জারি করেছেন হযরত উমর বিন খত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি। আর ‘খতমে তারাবীহ’ এটা জারি করেছেন হযরত উছমান যুন নূরাইন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মূলত: সঠিক ফতওয়া হলো এই যে, যাদের প্রতি রমাদ্বান শরীফ-এর রোযা ফরয তাদের জন্য এককভাবে তারাবীহ পড়া হচ্ছে সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ। আর হাফিযে কুরআন হওয়া ফরযে কিফায়া এবং তারাবীর নামাযের জামায়াতও সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ কিফায়া। অএতব, কেউ ইচ্ছা করলে খতম তারাবীহ পড়তে পারে। আবার কেউ ইচ্ছা করলে সূরা তারাবীহ পড়তে পারে। আর খতমে তারাবীহ কিংবা তারাবীহ-এর জামায়াত কোনটিই সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ নয়। বরং উভয়টি সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ কিফায়া। যা কিছু সংখ্যক লোকের পক্ষ হতে আদায় করা হলে অন্যান্য সকলের পক্ষ হতে তার হক্ব আদায় হয়ে যাবে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি সকলকে সুন্নতের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম ও পুঙ্খানুপুঙ্খ আমল করার আহ্বান জানান এবং এ বিষয়ে দলীলভিত্তিক ফতওয়া জানার জন্য সবাইকে যামানার তাজদীদী মুখপত্র ‘মাসিক আল বাইয়্যিনাত’ ও ‘দৈনিক আল ইহসান’ পড়ার আহ্বান জানান।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন