পবিত্র রমাদ্বান শরীফ-এর চাঁদ (হিলাল) খুঁজতে সউদী আরবের ওহাবী সরকারের নির্দেশ ছিল ৩০ জুলাই শনিবার; যেদিন চাঁদ অমাবস্যাতেও পৌঁছায়নি।
পরিকল্পিতভাবে মিথ্যাচার করা তাদের পক্ষেই সম্ভব, যাদের অন্তরে ঈমানের লেশমাত্র নেই।
সউদী আরবের ওহাবী সরকারের এখনো সময় রয়েছে তওবা করে কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ মুতাবিক চাঁদ দেখার সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সুলত্বানুন নাছীর, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, চাঁদ নিয়ে সউদী আরবের ওহাবী সরকার সমগ্র মুসলিম জাতির সঙ্গে প্রতারণা করে যাচ্ছে। পবিত্র রমাদ্বান শরীফ-এর চাঁদ (হিলাল) খুঁজতে সউদী আরবের ওহাবী সরকারের নির্দেশ ছিল ৩০ জুলাই শনিবার; যেদিন চাঁদ অমাবস্যাতেও পৌঁছায়নি। পরিকল্পিতভাবে মিথ্যাচার করা তাদের পক্ষেই সম্ভব, যাদের অন্তরে ঈমানের লেশমাত্র নেই। সউদী আরবের ওহাবী সরকারের এখনো সময় রয়েছে তওবা করে কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ মুতাবিক চাঁদ দেখার সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি সউদী আরবের ওহাবী সরকার পরিকল্পিতভাবে রমাদ্বান শরীফ মাস সঠিক তারিখে শুরু না করে মুসলমানদের রোযা, লাইলাতুল ক্বদর ইত্যাদি নষ্ট করার কারণে নছীহত হিসেবে উপরোক্ত ক্বওল শরীফ উল্লেখ করেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, হাদীছ শরীফ-এ রয়েছে, “যে ধোঁকা দেয় সে আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়।” সউদী ওহাবী সরকার তাদের সরকারি সংবাদ মাধ্যম সউদী আরবের প্রেস এজেন্সির ওয়েব সাইটে দুটি তারিখ ব্যবহার করে অর্থাৎ একটি ইংরেজি তারিখের বিপরীতে দুটি আরবী তারিখ ব্যবহার করে; যা সহজেই তাদের ওয়েব সাইটের ইংরেজি এবং আরবী অংশে গেলেই প্রমাণ পাওয়া যাবে। তারা এই কুটকৌশলের মাধ্যমে মাসের তারিখ আগ-পিছ করে মুসলমানদের বিভ্রান্ত করছে। সউদী আরবের ওহাবী সরকার যদি ৩১ জুলাই, রবিবার ২৯ শা’বান গণনা করতো, তবে সেদিন চাঁদ কোনো কারণে দেখা না গেলেও ১ আগস্ট, সোমবার দিনটি পূর্ণ করলে মাসটি সঠিক তারিখে শুরু হওয়ার একটা সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু তারা ৩০ জুলাই শনিবার ২৯ শা’বান গণনা করায় ৩১ জুলাই রবিবার ত্রিশতম দিনেও চাঁদ দেখার কোনো সম্ভাবনা ছিল না। অথচ ৩০ জুলাই শনিবার, যেদিন সউদী আরব ২৯ শা’বান গণনা করেছে, সেদিন সন্ধ্যার আড়াই ঘণ্টা পর চাঁদ অমাবস্যায় পৌঁছেছে। যে কোনো আরবী মাসের ২৮তম তারিখে পুরনো চাঁদ হারিয়ে যায় (অমাবস্যায় পৌঁছে) এবং ২৯তম তারিখে আমরা নতুন চাঁদ তালাশ করি। চাঁদ দেখা না গেলেও আমরা নতুন চাঁদ তালাশ করি আর পুরনো চাঁদ কখনো সন্ধ্যায় দেখা যায় না। অথচ সউদী আরবের ওহাবী সরকার সরকারিভাবে যেদিন রমাদ্বান মাসের চাঁদ তালাশ করতে বলেছে সেদিন নতুন চাঁদের জন্মই হয়নি। যে চাঁদ নিশ্চিতভাবে দেখা যাবে না এবং যে চাঁদের জন্মই হয়নি তা তালাশ করার কথা বলা মানেই হচ্ছে জনগণের সাথে প্রতারণা করা।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, সউদী আরবের ওহাবী সরকারের এহেন ষড়যন্ত্র নতুন কিছু নয়। কিন্তু তাদের সতর্ক করা হচ্ছে এবং নছীহত করা হচ্ছে যেনো তারা খালিছ তওবা করে এরকম বিভ্রান্তমূলক কাজ থেকে সরে আসে। কোটি কোটি মুসলমানগণের আমল নষ্টের জবাব দিতে তারাতো সক্ষম নয়। তবে কি তারা মুসলমান নয়? বরং তারা কি পরিকল্পিভাবেই মুসলমানদের আমল নষ্ট করে যাচ্ছে?
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন