সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

বিলাদতে আওলাদে রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করা

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি (উম্মতদেরকে) বলুন, আমি তোমাদের নিকট নুবুওওয়াতের দায়িত্ব পালনের কোন প্রতিদান চাহি না। তবে আমার নিকটজন তথা হযরত আহলে বাইত শরীফ উনাদের প্রতি সদাচরণ করবে।” (সূরা শূরা: আয়াত শরীফ ২৩)
হযরত আবূ যর গিফারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার হতে বর্ণিত, তিনি কা’বা শরীফ-এর দরজা ধরে বলেছেন, আমি নবী পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বলতে শুনেছি, সাবধান! আমার আহলে বাইত হলেন তোমাদের জন্য হযরত নূহ আলাইহিস্ সালাম উনার নৌকার মত। যে তাতে আরোহণ করবে, সে নাজাত পাবে। আর যে তা হতে পশ্চাতে থাকবে সে ধ্বংস হবে।”
অতএব সকলের উচিৎ আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের বিলাদত শরীফ উপলক্ষে অত্যন্ত জওক-শওক ও শান-শওকতের সাথে খুশি প্রকাশ করে রহমত, বরকত, সাকীনা, মাগফিরাত ও নাযাত-এর হিসসা লাভ করা।

যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের বিলাদত শরীফ বেমেছাল রহমত, বরকত ও খুশি প্রকাশের কারণ।

তাই সকলের উচিত- উনাদের বিলাদত শরীফ উপলক্ষে অত্যন্ত জওক-শওক ও শান-শওকতের সাথে খুশি প্রকাশ করে রহমত, বরকত, সাকীনা, মাগফিরাত ও নাযাত-এর হিসসা লাভ করা।

লখতে জিগারে মুজাদ্দিদে আ’যম, জান্নাতী যিন নূরাইন, শাহী বুশরাদ্বয়, নক্বীবাতুন নিসায়ি, আকরামে রহমানী, কায়িম-মক্বামে হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম, আওলাদে রসূল, ওলীয়ে মাদারজাদ, হযরত শাহ নাওয়াসী ক্বিবলাতাইন মুদ্দা জিল্লুহুমাল আলী উনাদের মুবারক বিলাদত শরীফ তথা ২৯ শে শা’বান শরীফ উপলক্ষে এক ক্বওল শরীফ-এ তিনি এ কথা বলেন।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, আল্লাহ পাক তিনি উনার হাবীব যিনি কুল-কায়িনাতের জন্য নবী ও রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শানে ইরশাদ করেন, “নিশ্চয়ই আমি আপনাকে সমগ্র সৃষ্টি জগতের জন্য রহমতস্বরূপ প্রেরণ করেছি।” (সূরা আম্বিয়া : আয়াত শরীফ ৭)

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার রহমতের হিসসা লাভ করে রহমতের অধিকারী হয়েছেন অন্যান্য সমস্ত নবী ও রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা একইভাবে রিসালতের যুগ শেষ হয়ে যাওয়ার পর তথা আখিরী রসূল হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিছাল শরীফ-এর পর উনার যাঁরা ক্বায়িম-মক্বাম ওলীআল্লাহ উনারা সেই রহমতের হিসসা পেয়ে রহমতের অধিকারী হয়েছেন।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মনোনীত ও মাহবুব বান্দা-বান্দী উনাদের বিলাদত ও বিছাল শরীফ-এর মাধ্যমে অনেক মাস, তারিখ ও বারকে মহাসম্মানিত করেন। যেমন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ ও বিছাল শরীফ-এর মাধ্যমে পবিত্র রবীউল আউয়াল শরীফ মাসকে, পবিত্র ১২ই শরীফ তারিখকে এবং পবিত্র সোমবার শরীফ বারকে মহাসম্মানিত করেছেন। সুবহানাল্লাহ!

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, অনুরূপ এ পবিত্র শা’বান মাসটিও অনেক সুমহান ব্যক্তিগণ উনাদের বিলাদত শরীফ-এর কারণে মহাসম্মানিত। কারণ এ পবিত্র শা’বান মাসের ৫ তারিখ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিলাদত দিবস।

১৫ই শা’বান সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিলাদত দিবস।

আর ২৯ শে শা’বান হচ্ছে লখতে জিগারে মুজাদ্দিদে আ’যম, বেহেশতী মেহমান, ওলীয়ে মাদারযাদ, নারীকুলের মুক্তির দিশারী হযরত শাহ নাওয়াসী ক্বিবলাদ্বয় মুদ্দা জিল্লুহুমাল আলী উনাদের মহা পবিত্র বিলাদত শরীফ দিবস। যে দিবসগুলো কুল-কায়িনাতের সকলের জন্যই মহান ঈদের বা খুশির দিন।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, ছাহাবী হযরত ইয়া’লা ইবনে মুররাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, “হযরত হুসাইন আলাইহিস সালাম তিনি আমার থেকে আর আমি হযরত হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার থেকে। যে ব্যক্তি হযরত হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাকে মুহব্বত করবে, মহান আল্লাহ পাক উনাকে মুহব্বত করবেন। হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার বংশ পৃথিবীর বংশসমূহের মধ্যে একটি শ্রেষ্ঠ বংশ।” সুবহানাল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ, মিশকাত শরীফ)

অন্য বর্ণনা থেকে জানা যায় যে, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বংশ জারি থাকবে উনার মেয়ে সাইয়্যিদাতুন নিসা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার মাধ্যমে। অর্থাৎ উনার দুই ছেলে হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম ও হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাদের মাধ্যমে। সুবহানাল্লাহ!

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, হাবীবাতুল্লাহ, ত্বাহিরাহ, তাইয়্যিবাহ, মাদারজাদ ওলী, আওলাদে রসূল হযরত শাহনাওয়াসীদ্বয় ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুমাল আলী উনারা আখাছ্ছুল খাছ আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। পিতা এবং মাতা উভয় দিক থেকেই উনারা আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার লখতে জিগার অর্থাৎ খাছ বংশধর। হাবীবাতুল্লাহ, ত্বাহিরাহ, তইয়্যিবাহ, মাশুকাহ মাদারজাদ ওলী, আওলাদে রসূল হযরত শাহনাওয়াসীদ্বয় ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুমাল আলী উনাদের বংশগত পরিচয় মুবারক উনাদের সুমহান শান-মান, মর্যাদা-মর্তবা, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান প্রকাশক।

মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ-এ ইরশাদ করেন, “হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি (উম্মতদেরকে) বলুন, আমি তোমাদের নিকট হিদায়েত দানের বিনিময়স্বরূপ কোনো প্রতিদান চাই না, তবে আমার নিকটজন তথা আহলে বাইতগণ উনাদের প্রতি তোমরা (উম্মতগণ) সদাচরণ করবে।” (সূরা শূরা : আয়াত শরীফ ২৩)

হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, “আমি রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দেখেছি, তিনি বিদায় হজ্জে আরাফার দিন উনার ‘কাসওয়া’ নামক উষ্ট্রীর উপর সাওয়ার অবস্থায় খুৎবা দান করেছেন।” আমি শুনেছি, তিনি খুৎবায় বলেছেন, “হে লোক সকল, আমি তোমাদের মাঝে এমন দু’টি জিনিস রেখে যাচ্ছি, তোমরা যদি তা শক্তভাবে ধরে রাখ, তবে তোমরা কখনও গুমরাহ হবে না; তা হলো আল্লাহ পাক উনার কিতাব ও আমার ইতরত বা আহলে বাইত।” (তিরমিযী শরীফ)

হাবীবাতুল্লাহ, ত্বাহিরাহ, তইয়্যিবাহ, মাদারজাদ ওলী, আওলাদে রসূল হযরত শাহনাওয়াসীদ্বয় ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুমাল আলী উনারা উক্ত আয়াত শরীফ এবং হাদীছ শরীফ-এর হাক্বীক্বী মিছদাক। উক্ত আয়াত শরীফ এবং হাদীছ শরীফ দ্বারা বুঝা যায়, হাবীবাতুল্লাহ, ত্বাহিরাহ, তইয়্যিবাহ, মাদারজাদ ওলী, আওলাদে রসূল হযরত শাহনাওয়াসীদ্বয় ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুমাল আলী উনারা উম্মতগণের জন্য নিয়ামত, বরকত, সাকীনা, মাগফিরাত, নাযাতের ওছীলা। তাই আজ পবিত্র ২৯ শে শা’বান, জ্বিন-ইনসানদের অত্যন্ত আনন্দের দিন তথা ঈদের দিন।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, হাদীছ শরীফ-এ রয়েছে, নিশ্চয়ই ওলীআল্লাহগণ উনাদের আলোচনা করা, ছানা-ছিফত, বর্ণনা করা রহমত হাছিলের কারণ। কাজেই উনাদের যারা ছানা-ছিফত, তা’যীম-তাকরীম করবে, মুহব্বত করবে, মুহব্বতের হক্ব আদায় করবে তারা রহমত লাভ করবে, হিদায়েত লাভ করবে, নাজাত লাভ করবে। 

 সূত্র: দৈনিক আল ইহসান (১ আগষ্ট, ২০১১)

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

*Coca-cola is Haram for Muslim

Because Coca-Cola and Other Soft Drinks may Contain ALCOHOL. Read Details here:~~~~ COCA-COLA: THE REAL THINGS? The proportions in the accompanying recipe are based on the analyses of Coke quoted above and Merory's recipes. The amount of caffeine agrees with that stated in Coca-Cola's So you asked about soft drinks... pamphlet; this is about a third of the caffeine found in the trial analyses. The following recipe produces a gallon of syrup very similar to Coca-Cola's. Mix 2,400 grams of sugar with just enough water to dissolve (high-fructose corn syrup may be substituted for half the sugar). Add 36 grams of caramel, 3.1 grams of caffeine, and 11 grams of phosphoric acid. Extract the cocaine from 1.1 grams of coca leaf ( Truxillo growth of coca preferred) with toluol; discard the cocaine extract. Soak the coca leaves and kola nuts (both finely powdered; 0.37 gram of kola nuts) in 22 grams of 20 percent alcohol. California white wine fortified to 20 percent strengt...

যে সকল শব্দ মুসলমানদের ব্যবহার করা উচিত নয়

শব্দ ব্যবহারের কুচিন্তায় যোগসাধনের ষড়যন্ত্র ইহুদী খ্রিস্টানদের ঐতিহ্যগত প্রবৃত্তি। স্বয়ং হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সময়ও ইহুদী খ্রিস্টানদের এরূপ ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার ছিল। কুরআন শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “হে ঈমানদারগণ! তোমরা রঈনা বলো না উনজুরনা বলো এবং শ্রবণ কর (বা শুনতে থাক) আর কাফিরদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি।” (সূরা বাক্বারা ১০৪) আয়াতের শানে নযুলে বলা হয়েছে, ইহুদীরা রসুলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কষ্ট দেবার জন্য ‘রঈনা’ শব্দ ব্যবহার করত, যার একাধিক অর্থ। একটি অর্থ হল ‘আমাদের দিকে লক্ষ্য করুন’ যা ভাল অর্থে ব্যবহার হয় আর খারাপ অর্থ হল ‘হে মূর্খ, হে মেষ শাবক’ এবং হিব্রু ভাষায় একটি বদদোয়া। ইহুদীরা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে রঈনা বলে সম্বোধন করত। যাতে প্রকৃতপক্ষে তাদের উদ্দেশ্য ছিল খারাপ অর্থের প্রতি ইঙ্গিত করা। আর হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ ‘রঈনা’ শব্দের ভাল অর্থের প্রতি ইঙ্গিত করে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সম্বোধন করলে ইহুদীরা খারাপ অর্থ চিন্তা করে হাসাহাসি করত। এতে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলা...

উশরযোগ্য ফল-ফসলের বিধান

উশর কি?  পবিত্র ‘উশর’ শব্দটি আরবী আশরাতুন (দশ) শব্দ হতে উৎসরিত বা উৎকলিত হয়েছে। উনার আভিধানিক বা শাব্দিক অর্থ হলেন এক দশমাংশ। আর সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার পরিভাষায় কৃষিজাত পণ্য- ফল ও ফসলের পবিত্র যাকাত উনাকে পবিত্র উশর বলে। এক কথায়, উৎপাদিত ফল ফসলের যাকাতই হচ্ছেন পবিত্র উশর। পবিত্র উশর সম্পর্কে পবিত্র কুরআন শরীফ থেকে দলীলঃ পবিত্র উশর সম্পর্কে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার একাধিক পবিত্র আয়াত শরীফ উনাদের মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে। মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- وانفقوا من طيبات ماكسبتم ومـما اخرجنا لكم من الارض. অর্থ : “তোমরা তোমাদের উপার্জিত হালাল সম্পদ হতে এবং যা আমি তোমাদের জন্য যমীন হতে উৎপন্ন করিয়েছি তা হতে দান করো।” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ২৬৭) তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-  واتوا حقه يوم حصاده অর্থ : “ফসল কাটার সময় তার হক (পবিত্র উশর) আদায় করো।” (পবিত্র সূরা আনআম শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১৪১) উশর সম্পর্কে পবিত্র হাদিস শরীফে যা বর্ণিত রয়েছে:  এ প্রসঙ্গে অনেক হাদিস শরীফ পাওয়া যায়। তার মধ্যে ২টি পবিত্র হাদী...